কেয়ারটেকারে ফিরে যাওয়ার সুযোগ নেই: আনিসুল হক
আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, ‘বিএনপির একটা দাবি আছে। সেটা হলো কেয়ারটেকার সরকার। আমার বক্তব্য হচ্ছে, কেয়ারটেকার সরকারে ফিরে যাওয়ার আমাদের কোনো অবকাশ নাই।’
তিনি বলেন, ‘আবারও বলি, আমরা আইনের শাসনে বিশ্বাস করি। সুপ্রিমকোর্ট, সর্বোচ্চ আদালত রায় দিয়েছেন কেয়ারটেকার সরকার অবৈধ। সেই রায় মেনে পঞ্চদশ সংশোধনী হয়েছে এবং তা কার্যকর হয়েছে। এখন কথা হচ্ছে, কেয়ারটেকার সরকার ব্যবস্থায় ফিরে যাওয়ার কোনো অবকাশ নাই।’
গত বৃহস্পতিবার (৪ আগস্ট) সচিবালয়ে আইন মন্ত্রণালয়ে নিজের কক্ষে বসে ঢাকাপ্রকাশ-কে এসব কথা বলেন আনিসুল হক।
মন্ত্রী বলেন, আমার আশা, সেটা হচ্ছে বিএনপি যদি বাংলাদেশে বিশ্বাস করে তাহলে অবশ্যই তারা নির্বাচনে আসবে। আমি মনে করি, তারা নির্বাচনে আসুক। এসেই দেখবে সুষ্ঠু নির্বাচন হয় কি না।
এ সময় তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচন করার জন্য যা যা সহযোগিতা চায় আওয়ামী লীগ তাই করবে।
নির্বাচন কমিশন আইন গঠন প্রক্রিয়ার কথা উল্লেখ করে আনিসুল হক বলেন, দেখেন আমরা আইনের শাসনে বিশ্বাস করি। আমরা আইনি প্রক্রিয়ার মধ্যে থাকব। এটুকু আমি বুঝি। এর বাইরে কোনো কিছু করার সুযোগ আছে কি না আমি জানি না।
তিনি বলেন, বিএনপি এবং সুশীল সমাজের দাবি ছিল যে, ইলেকশন কমিশন গঠনের একটা আইন থাকতে হবে। সংবিধানের ১১৮ অনুচ্ছেদ উল্লেখ করে তারা এটা বলেছিলেন। তারা একটা ড্রাফটও করে দিয়েছিলেন। আমি তখন বলেছিলাম অতি তাড়াতাড়ি হবে।
সেই সময় রাষ্ট্রপতির সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর একটা সংলাপ হয়েছে। সেই সংলাপে একটা ঐক্যমত হয়েছে যে, তারা সকলেই আইনটা চেয়েছে। এই চাওয়া মাত্রই আমরা ১০ দিনের মধ্যে একটা আইন করি। গত ১৭ জানুয়ারি থেকে শুরু করে ২৮ জানুয়ারি পর্যন্ত সময়ের মধ্যে আইনটা করা হয়। এই আইনটা করার সময় প্রত্যেকটা দল একটা করে, দুইটা করে সংশোধনী দিয়েছে। যেই সংশোধনীগুলো যৌক্তিক হয়েছে সেটা গ্রহণ করা হয়েছে।
আইনমন্ত্রী বলেন, ‘আজকে পর্যন্ত এমন কোনো আইন দেখানো যাবে না যেখানে ২২টা সংশোধনী গ্রহণ করা হয়েছে। এই আইনে সর্বোচ্চ সংশোধনী গ্রহণ করা হয়েছে।’
এর মানে হচ্ছে, এই আইনটা একটা সার্বজনীন আইন হয়েছে। সকলের ঐক্যমতে আইন হয়েছে। আইনের একটা দাবি ছিল। সেটা পূরণ করা হয়েছে।
দ্বিতীয় কথা হচ্ছে, সেই আইনের উপর ভিত্তি করে নির্বাচন কমিশনের প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং নির্বাচন কমিশনারদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এই আইনে যা আছে সেই পদ্ধতিতে এবং সকলের অংশগ্রহণ ও আলাপ আলোচনার মাধ্যমে।
এমএমএ/