জ্বালানির তেলের মূল্য বাড়ায় কৃষিতে লাগবে বড় ধাক্কা
দেশে জ্বালানি তেলের অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধির প্রভাব সব খাতকে ওলট-পালট করে দিচ্ছে। বাড়বে জীবনযাত্রার ব্যয়। ফলে চরম অস্বস্তিতে সাধারণ মানুষ। নিত্য দিনের খাবার থেকে শুরু করে চলার পথ, সব জায়গায় সংকটে পড়বে সাধারণ মানুষ। সবচেয়ে বড় ধাক্কা লাগবে কৃষিতে।
জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধির ফলে প্রতিটি মানুষের জীবন যাত্রার ব্যয় দ্বিগুণেরও বেশি বেড়ে যাওয়ার শঙ্কা প্রকাশ করেছেন অনেকে। রাস্তায় বের হলে অতিরিক্ত বাস ভাড়া দিতে হবে, সবজি কিনতে গুণতে হবে বাড়তি টাকা। একইভাবে চাল, ডাল, মাছ, মাংস সবকিছুতেই গুণতে হবে বাড়তি টাকা। ফলে প্রতিটি পরিবার ব্যয় বাড়বে দ্বিগুণেরও বেশি। এমনটাই মনে করছেন সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে সরকারের বর্তমান ও সাবেক আমলারাও।
জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও অনেকেই সরকারের এমন সিদ্ধান্তের কড়া সমালোচনার করছেন। কেউ বলছেন এটা সরকারের অপরিপক্ক সিদ্ধান্ত। জ্বালানি তেলের দামের এমন লাফে দিশেহারা সাধারণ মানুষ।
এদিকের তৈরি পোশাক কারখানার মালিকরাও মহা দুশ্চিন্তায়। কারণ, তারা মনে করছে পরিবহন ভাড়া বেড়ে যাওয়ায় শ্রমিকদের বেতন বাড়ানো চাপ আসতে পারে। একদিকে জ্বালানির বাড়তি দাম অন্যদিকে শ্রমিকের বেতন বাড়ানোর চাপ ছোট ছোট পোশাক কারখানাগুলো উৎপাদন বন্ধ করে দিতে পারে বলেও মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির প্রভাব সব খাতে পড়বে এটা সবাই জানে। এখানে আমার একক কোনো মন্তব্য নেই। যদি দাম বৃদ্ধি নিয়ে কেউ অরাজকতা করে, সরকারের বেঁধে দেওয়া দামেও ভোক্তার চাহিদা মেটানো হচ্ছে না, আমরা তখন অ্যাকশনে যাব। জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানো সরকারি সিদ্ধান্ত। এটা নিয়ে কিছু বলার নাই।
কৃষি মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব আনোয়ার ফারুক ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, ‘কৃষি উৎপাদন হয়তো কমবে না। তবে এর নেতিবাচক প্রভাব সব সেক্টরে পড়বে। সারের মূল্য বৃদ্ধিতে খুব বেশি সমস্যা হতো না। এখন জ্বালানির মূল্য বৃদ্ধির ফলে বিদ্যুতের দাম বেড়ে যাবে, পরিবহন ভাড়া বেড়ে যাবে, যে কারণে সব কিছুর দাম বেড়ে যাবে। তাই কৃষিও বড় ধাক্কা খাবে।’
এনএইচবি/এমএমএ/