শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪ | ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

বিএনপির সঙ্গে কখনো মিত্রতা নয়: মুজিবুল হক চুন্নু

জাতীয় পার্টি ধ্বংস করতে যা যা করার বিএনপি তাই করেছে। তাদের সঙ্গে কখনো মিত্রতা হবে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্ন।

জাতীয় পার্টির প্রার্থী হিসেবে ছয় বার জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী এই সংসদ সদস্য নির্বাচন ব্যবস্থার সংস্কার নিয়ে সোমবার (১ আগস্ট) বিকালে ঢাকাপ্রকাশ-কে মোবাইল ফোনে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেছেন।

এ ছাড়া গত রবিবার নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে সংলাপে ‘কাজ কিন্তু রাতেও হয় আমরাও করিয়েছি’ বলে যে বক্তব্য দিয়েছে তার ব্যাখ্যা দিয়েছেন। ঢাকাপ্রকাশ-এর পাঠকদের জন্য তা হুবহু তুলে ধরা হলো।

ঢাকাপ্রকাশ: আগামী নির্বাচন কি আলাদাভাবে করবেন? নাকি জোট আকারে করবেন।

মুজিবুল হক চুন্নু: না, আমরা তো কোনো জোট-মহাজোটে নাই। আমরা আছি নিজস্ব স্বকীয়তা নিয়ে, আমরা চলছি নিজের রাজনীতি নিয়ে। আমরা আগামী নির্বাচনে ৩০০ আসনে নমিনেশন দেওয়া যায় কি না, দিতে পারি কি-না সেই চিন্তাভাবনা করছি। সংগঠন গোঁজগাজ করছি। আমাদের টার্গেট ৩০০ আসনে প্রার্থী দেওয়া। তবে বাস্তবতা হচ্ছে ইউরোপসহ বিভিন্ন দেশে জোট কিন্তু বড় ফ্যাক্টর। জোট হওয়া দোষের কিছু না। আমরা কোনো জোটে যাব, এ রকম কোনো চিন্তাভাবনা এখন নাই। এটা অবস্থার প্রেক্ষিতে বোঝা যাবে। জোট হলেও বিএনপির সঙ্গে হবে না। আমাদের এখন টার্গেট ৩০০ আসনে নির্বাচন করা।

ঢাকাপ্রকাশ: একটা আলোচনা আছে আপনাদের পার্টির চেয়ারম্যান দেশের বাইরে গিয়েছিলেন। সেখানে একটা মিটিং করেছেন। বিএনপি জোটের সঙ্গে বা তারেক রহমানের সঙ্গে আলাপ করেছেন? এ বিষয়ে আপনার বক্তব্য কি

মুজিবুল হক চুন্নু: প্রশ্নই আসে না। ডাজ নট এটঅল। তারেক রহমান বা বিএনপির সঙ্গে আমার চেয়ারম্যানের কোনো রকম যোগাযোগের প্রশ্নই ওঠে না। আমি চ্যালেঞ্জ করছি। আমার সঙ্গেও কোন যোগাযোগের প্রশ্নই ওঠে না। সেই ধরনের কোনো যোগাযোগ করতেও রাজী না। কারণ, বিএনপি আমাদের অনেক অত্যাচার করেছে। বিএনপি এরশাদ সাহেবকে অনেক নির্যাতন করেছে। জাতীয় পার্টিকে ধ্বংস করার জন্য যা যা করার বিএনপি করেছে। সেগুলো আমরা ভুলি নাই। তাদের সঙ্গে আমাদের কোনো মিত্রতা হতে পারে না। বিএনপির সঙ্গে কোনো ধরনের মিত্রতা হবে না।

ঢাকাপ্রকাশ: আপনি ৩১ জুলাই নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে সংলাপে রাতের ভোটের বিষয়টি নিয়ে যে কথা বলেছেন এটা একটু পরিষ্কার করবেন?

মুজিবুল হক চুন্নু: ‘গত কয়েকটি নির্বাচনে দেখা গেছে বিএনপি ক্ষমতায় গেলে আওয়ামী লীগ বলে ফেয়ার হয় নাই। আবার ২০০৮ সালে তখনো বলে ফেয়ার হয় নাই। তার মানে তিনটা ইলেকশন হলো কোনটাই ফেয়ার হয় নাই। তাহলে ফেয়ার হওয়ার সুযোগ নাই। আসলে গত ১১টি সংসদ নির্বাচন দেখা গেছে বিশেষ করে প্রিসাইডিং অফিসাররা আগের দিন রাতে ব্যালট পেপার নিয়ে আসে। ব্যলট পেপারসহ বিভিন্ন ভোট কেন্দ্র বা ভোট কেন্দ্রের কাছে বাড়ি ঘরে থাকে। থাকলে ওই সময় পুলিশকে বা প্রিসাইডিং অফিসারকে টাকা পয়সা দিয়ে রাতের বেলায় অনেকে চেয়ারম্যান মেম্বার, এমপিরা অনেকে সিল মারায়। আমরাও তো এই কাম করছি। আমি ওইটা বলেছি। শুধু গত নির্বাচন না। জাতীয় সংসদের সব নির্বাচনের কথা বলছি।’

ঢাকাপ্রকাশ: অনেকে বলছে আপনার এই বক্তব্যের পর জাতীয় পার্টির এমপিদের পদত্যাগ করা উচিত। আপনি কী মনে করেন?

মুজিবুল হক চুন্নু: যারা বলছেন তাদের উদ্দেশে বলি আমি কিন্তু একটা নির্দিষ্ট ইলেকশন নিয়ে বলি নাই। আমি বলেছি গত ১১টা নির্বাচনেই এই ধরনের কাজ হয়েছে। এই কাজগুলি আমরা যারা পলিটিশিয়ান, আমাদের মতো পলিটিশিয়ানরাই করেছে। শুধু ২০১৮ সালের নির্বাচন নয়। পূর্বের ১১টি ইলেকশনেই এই ধরনের অনিয়ম হয়েছে। এই কাজটি আমাদের মতো যারা তারা করেছে।

ঢাকাপ্রকাশ: এই অনিয়ম থেকে বের হওয়ার রাস্তা কী?

মুজিবুল হক চুন্নু: বের হওয়ার একমাত্র রাস্তা নির্বাচন পদ্ধতি পরিবর্তন। বিদ্যমান পদ্ধতিতে প্রধান নির্বাচন কমিশনার যদি ভালো মানুষও হোন, তিনি মন থেকেও যদি চান তবুও তিনি করতে পারবেন না। তাকে তো সরকারের হেল্প লাগবে। সেই হেল্প করার মতো মানসিকতা কোনো সরকারেরই নাই। কারণ, যখন সরকার মনে করবে হেরে যাবে তখন নির্বাচন কমিশনকে সেভাবে সাহায্য করবে বলে আমরা মনে করি না। তাই বলছি আনুপাতিক হারে প্রতিনিধিত্বকারী নির্বাচন করলে ফেয়ার করা সম্ভব।

আনুপাতিক হারে নির্বাচনের পদ্ধতিটা হল, ৩০০ আসনেই প্রত্যেক দল প্রার্থী ঠিক করে নির্বাচন কমিশনকে জমা দেবে। কেউ জানবে না কে প্রার্থী। ভোট হবে মার্কার উপরে। ভোট হওয়ার পর যে দল যত শতাংশ কাস্টিং ভোট পাবে সেই দল তত শতাংশ এমপি পাবে। সেই দল যাদের নাম দিয়েছে সেখান থেকে সিরিয়াল অনুযায়ী এমপি হিসেবে পাবে। এটা ইউরোপের অনেকগুলো দেশে চালু হয়েছে। এটা চালু করলে আর সমস্যা হবে না।

ঢাকাপ্রকাশ: এই সরকারের অধীনেই তো নির্বাচন হচ্ছে?

মুজিবুল হক চুন্নু: সংবিধানে তো তাই আছে। সংবিধান পরিবর্তন করতে হলে আওয়ামী লীগ লাগবে। আওয়ামী লীগ কি পরিবর্তন করবে? হাইকোর্ট বলছেন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন দরকার নাই। আসলে জাতীয় পার্টি মূলত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কনসেপ্টই বিশ্বাস করে না। জাতীয় পার্টি শুরু থেকেই কেয়ারটেকার কনসেপ্টই বিশ্বাস করে না। জাতীয় পার্টি কখনই এই পদ্ধতি ওন করে না।

ঢাকাপ্রকাশ: ভোট চুরি ঠেকাতে আপনার পরামর্শ কী?

মুজিবুল হক চুন্নু: ব্যালট পেপার আগের দিন না নিয়ে…এখন তো যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো নির্বাচনের দিন খুব সকালে বের হয়ে ৮ টার মধ্যে পৌছে দিতে হবে। আমরা চাচ্ছি যদি বিদ্যমান পরিস্থিতিতে নির্বাচন হয় তাহলে ব্যালট পেপারটা আগের দিন রাতে নিয়ে যায় তাতে কোন নিরাপত্তা নাই। বরং এটা ইচ্ছা করলে ভোট ঘুরাতে পারে, অনেক কিছু করতে পারে। এজন্য ব্যালট পেপার না দিয়ে সরকারি লোক দিয়ে সকাল ৮টার মধ্যে সেন্টারে সেন্টারে পৌঁছে দিতে হবে। এটা সম্ভব। রিমোর্ট এলাকায় শুধু হাওর বা পাবর্ত্য এলাকা সেখানে সরকার চিন্তা করতে পারে কিভাবে রিজার্ভে রাখতে পারে। আমাদের মতো এলাকায়… উপজেলা থেকে এখন সমস্ত ইউনিয়ন এলাকায় গাড়ি যায়। এটা কোনো কঠিন কাজ হবে না। ৮টার আগে পৌঁছে দেবে। রিমোর্ট এলাকায় পর্যাপ্ত পুলিশ দিতে পারে।

ঢাকাপ্রকাশ: বিএনপি যদি নির্বাচনে না আসে আপনারা যাবেন কি?

মুজিবুল হক চুন্নু: কে নির্বাচনে আসবে এবং আসবে না এটা আমাদের কোন বিষয় না। কোন দল এলো কি এলো না সেটা সেই দলের বিষয়। আমরা জাতীয় পার্টি নির্বাচনমুখী দল। আমরা ৯১ সাল থেকে প্রতিটি নির্বাচনে আছি। সাহাবুদ্দিন সাহেব আমাদের উপরে অনেক অন্যায় অত্যাচার করেছেন। আমাদের নেতাকে সেদিন নির্বাচনের নিয়ম অনুযায়ী টেলিভিশন পত্রিকায় বক্তব্য রাখতে দেননি। আমাদের নেতারা জেলে ছিলেন, তারপরও আমরা নির্বাচন করেছি। সমস্ত নির্বাচনে জাতীয় পার্টি অংশগ্রহণ করেছে। আমরা নির্বাচনমুখী দল নির্বাচনে আমরা যাবো। কিন্তু নির্বাচনটা সুষ্ঠু…। সরকারকে বলব জনগণের জন্য যদি হয়ে থাকেন তাহলে নির্বাচন সুষ্ঠু হওয়ার জন্য রাজনৈতিক দলের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। সুষ্ঠু করার জন্য যা যা পদক্ষেপ নেওয়ার নেন এটা আমাদের দাবি।

ঢাকাপ্রকাশ: মহাসচিব হিসাবে মাঠ পর্যায় থেকে কী রকম সাড়া পাচ্ছেন?

মুজিবুল হক চুন্নু: আমি মহাসচিব হওয়ার পর সারা দেশের নেতা-কর্মীদের কাছ থেকে স্বস্তস্ফূর্ত সমর্থন পাচ্ছি। এখনকার রাজনীতি আমাদের চেয়ারম্যান এবং আমি পরিষ্কার করছি। আমরা আওয়ামী লীগের ‘বি টিম’ না, আমরা বিএনপিরও ‘বি টিম’ গিরি করতে চাই না। আমাদের নিজস্ব রাজনীতি আছে, আমাদের এরশাদ সাহেবের রাজনীতি, জাতীয় পার্টির রাজনীতি। সেই রাজনীতি নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছি। আমরা জনগণের পক্ষে কথা বলছি, জনগণের পক্ষে থাকব। জনগণকে নিয়ে আমরা আছি। রাজনীতিতে ক্লিয়ার করার কারণে আমাদের যে কর্মীরা ঘুমিয়ে ছিল তারা জেগে উঠেছে। সংগঠন করার জন্য আমরা টিম করব। জাতীয় পার্টিতে নবজাগরণ সৃষ্টি হয়েছে। বিএনপি এবং আওয়ামী লীগের ৩২ বছরের শাসনে মানুষ অতিষ্ঠ। মানুষ চাচ্ছে তৃতীয় একটা দল। মানুষ পছন্দ করছে। সেই দল জাতীয় পার্টি ছাড়া আর কেউ নয়।

ঢাকাপ্রকাশ: জাতীয় পার্টির কি ৬৪ জেলায় কমিটি আছে?

মুজিবুল হক চুন্নু: সব জেলাতেই আছে। পূর্ণাঙ্গ কমিটি কিছু জেলায় আছে। অনেক জেলায় কমিটির মেয়াদ নাই। সে সমস্ত জেলায় আল্টিমেটাম দিয়েছি আগামী ২০ অক্টোবরের মধ্যে সমস্ত জেলার উপজেলা ও ইউনিয়ন শেষ করে ৩০ অক্টোবরের মধ্যে সমস্ত জেলায় সম্মেলনের ব্যবস্থা করবেন। ইতিমধ্যে সে সমস্ত জেলায় সফর পার্টির চেয়ারম্যান ও আমি আরম্ভ করেছি। ব্যাপক সাড়া পাচ্ছি।

ঢাকাপ্রকাশ: বিদিশা এরশাদ আর একটা জাতীয় পার্টির নেতৃত্ব দিচ্ছেন। এটা নিয়ে কী ভাবছেন?

মুজিবুল হক চুন্নু: যেকোনো নাগরিক বলতে পারে সেও পলিটিক্স করে। এই ধরণের কেউ আছে, কিছু করছে এটা আমাদের নলেজে নাই। আমাদের চোখে পড়ছে না। এটা আমাদের কোনো হিসাবের মধ্যে নাই।

ঢাকাপ্রকাশ: দীর্ঘ সময় দেওয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।

মুজিবুল হক চুন্নু: আপনার মাধ্যমে ঢাকাপ্রকাশ-এর সবাইকে ধন্যবাদ।

এসএম/এনএইচবি/এমএমএ/

 

 

 

 

Header Ad

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ

ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করে কুশল বিনিময় করেছেন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে তাদের এ কুশল বিনিময় হয়।

সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়া পৌঁছালে উপস্থিত সবাই তাকে স্বাগত জানান। অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৩ সমন্বয়ক ও সরকারের উপদেষ্টা তার পাশে এসে দাঁড়ান এবং শারীরিক খোঁজখবর নেন। এ সময় খালেদা জিয়া তাদের অভিনন্দন জানান এবং দেশকে এগিয়ে নিতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার পরামর্শ দেন।

এ সময় এই ৩ উপদেষ্টা বিএনপি চেয়ারপারসনের কাছে দোয়া চান এবং সরকারের সংস্কার কাজে তার সর্বাত্মক সহযোগিতা চান।

এদিকে সেনাকুঞ্জে গেলে খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্ত্রী খালেদা জিয়া এখানে এসেছেন। একযুগ তিনি আসার সুযোগ পাননি। আমরা গর্বিত এই সুযোগ দিতে পেরে। দীর্ঘদিনের অসুস্থতা সত্ত্বেও বিশেষ দিনে সবার সঙ্গে শরিক হওয়ার জন্য আপনাকে আবারও ধন্যবাদ। আপনার আশু রোগমুক্তি কামনা করছি।

Header Ad

দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম

ছবি: সংগৃহীত

আবারও স্বর্ণের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। এবার ভরিতে ১ হাজার ৯৯৪ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। যা আজকেও ছিল এক লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাজুস। শুক্রবার (২২ নভেম্বর) থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য বেড়েছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

নতুন দাম অনুযায়ী, প্রতি ভরি ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩৩ হাজার ৯৮ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১৪ হাজার ৮৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯৩ হাজার ৬৭৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস আরও জানায়, স্বর্ণের বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে গয়নার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে।

স্বর্ণের দাম কমানো হলেও দেশের বাজারে অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। দেশে ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৫৭৮ টাকায়। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ৪৪৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ১১১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৫৮৬ টাকায়।

এর আগে, সবশেষ গত ১৯ নভেম্বর দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছিল বাজুস। সে সময় টানা চার দফা কমার পর ভরিতে ২ হাজার ৯৪০ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা নির্ধারণ করেছিল সংগঠনটি।

এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩১ হাজার ১৯৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১২ হাজার ৪৫৩ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯২ হাজার ২৮৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা কার্যকর হয়েছে গত ২০ নভেম্বর থেকে।

এ নিয়ে চলতি বছরে এখন পর্যন্ত দেশের বাজারে ৫১ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছে। যেখানে ৩০ বার দাম বাড়ানো হয়েছে, আর কমানো হয়েছে ২১ বার।

Header Ad

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

ছবি: সংগৃহীত

দেশের জনপ্রিয় নির্মাতা আশফাক নিপুন। কাজের পাশাপাশি সামাজিক মাধ্যমেও বেশ সরব তিনি। কথা বলেন নানা ইস্যু নিয়ে। সেই ধারাবাহিকতায় সরকার পতনের পর অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠনেও বিভিন্ন সময় নিজের আকাঙ্ক্ষা, প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন। পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশ্যেও বিভিন্ন বার্তা দিয়েছেন। এবার এমনি একটি বার্তায় দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি জনগনের আস্থার বিষয়ে আক্ষেপ জানালেন এই নির্মাতা।

বুধবার (২০ নভেম্বর) আশফাক নিপুন তার ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে লেখেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সর্বস্তরের ছাত্র এবং সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছিল, বাসায় বসে বসে দোয়া করেছিল, যার যা সামর্থ্য দিয়ে সহায়তা করেছিল। কারণ, তারা দেখেছিল লড়াইটা আওয়ামী ফ্যাসিস্ট শাসক বনাম সাধারণ ছাত্র-জনতার। এটাও অস্বীকার করার কোনো উপায় নাই যে এই আন্দোলন বেগবান করতে বিরোধী সকল দলের কর্মীদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। তাদের সংগ্রামও গত দেড় দশকের। কিন্তু এটা যদি শুধুমাত্র রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যকার লড়াই হতো তাহলে সাধারণ মানুষ এই লড়াই থেকে দূরে থাকত। সেই প্রমাণ বিগত ১৫ বছরে আছে।

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

কারণ হিসেবে তিনি বলেন, দেশের সাধারণ মানুষ এখনো দেশের কোনো রাজনৈতিক দলকেই পুরোপুরি বিশ্বাস করতে পারে না। এটাই বাস্তবতা। এই বাস্তবতা মেনে সকল রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত কীভাবে সাধারণ জনগণের ভেতর নিজের দলের প্রতি আস্থা তৈরি করা যায় সেই বিষয়ে নিরলস কাজ করা। এই আস্থা ক্ষমতায় গিয়ে অর্জন করা সম্ভব না। কারণ, সাধারণ মানুষ আজীবন এস্টাবলিশমেন্টের বিপক্ষে। এই আস্থা অর্জন করতে হয় ক্ষমতা বলয়ের বাইরে থেকেই।

নিপুন আরও লিখেন, অরাজনৈতিক সরকার দিয়ে দীর্ঘদিন দেশ চালানো যেমন কাজের কথা না ঠিক তেমনি রাজনৈতিক সরকার হতে চাওয়া সকল রাজনৈতিক দলগুলোর বোঝা উচিত মুক্তিযুদ্ধের পরে বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় গণঅভ্যুত্থান সংগঠিত হয়েছে সকল প্রকার পূর্বানুমান (যেমন- বর্ষাকালে আন্দোলন হয় না, নির্বাচনের আগেই কেবল জোরেশোরে আন্দোলন হয়, ঘোষণা দিয়ে বিরোধী সকল পক্ষ আন্দোলনে শামিল না হলে সফল হয় না) অগ্রাহ্য করেই। সেটা সম্ভব হয়েছে সাধারণ মানুষের ন্যায্যতার আকাঙ্ক্ষা থেকেই।

সবশেষ এই নির্মাতা লিখেছেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষার দুই পয়সার দাম দেন নাই। সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষা, ইচ্ছা আর দেশপ্রেমকে পুঁজি করে অরাজনৈতিক এবং রাজনৈতিক যারাই রাজনীতি রাজনীতি খেলতে চাইবে, তাদের দশাও কোন একসময় যেন পলাতক শেখ হাসিনার মতো না হয়, সেই বিষয় নিশ্চিত করতে হবে তাদেরকেই।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ
দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম
‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’
‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা
নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু
২০২৬ সালের মাঝামাঝিতে নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত
সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে খালেদা জিয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ৫ জনকে রোবটিক হাত উপহার
সেনাকুঞ্জের পথে খালেদা জিয়া
সুযোগ পেলে শেখ হাসিনার পক্ষে মামলায় লড়ব: জেড আই খান পান্না
নির্বাচন কমিশন গঠন, সিইসি হলেন অবসরপ্রাপ্ত সচিব নাসির উদ্দীন
ডিএনএ টেস্টের ফলাফল: ভিনিসিয়ুসের পূর্বপুরুষ ছিলেন ক্যামেরুনের
জামিন পেলেন সাংবাদিক শফিক রেহমান
বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে আসা সেই শাহজাহান ওমর গ্রেপ্তার
মিরপুর ও মহাখালীতে অটোরিকশা চালকদের সেনাবাহিনীর ধাওয়া
‘শেখ হাসিনা এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী’, এমন কথা বলেননি ট্রাম্প
লেবাননে ৮ শতাধিক ইসরায়েলি সেনা নিহত
ভারতে সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরল ২৪ বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরী
ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে অবরোধ করে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের বিক্ষোভ
গাজায় ইসরায়েলের হামলায় আরও ৮৮ ফিলিস্তিনি নিহত