সোমবার, ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ | ১১ ফাল্গুন ১৪৩১
Dhaka Prokash

বিএনপির সঙ্গে কখনো মিত্রতা নয়: মুজিবুল হক চুন্নু

জাতীয় পার্টি ধ্বংস করতে যা যা করার বিএনপি তাই করেছে। তাদের সঙ্গে কখনো মিত্রতা হবে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্ন।

জাতীয় পার্টির প্রার্থী হিসেবে ছয় বার জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী এই সংসদ সদস্য নির্বাচন ব্যবস্থার সংস্কার নিয়ে সোমবার (১ আগস্ট) বিকালে ঢাকাপ্রকাশ-কে মোবাইল ফোনে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেছেন।

এ ছাড়া গত রবিবার নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে সংলাপে ‘কাজ কিন্তু রাতেও হয় আমরাও করিয়েছি’ বলে যে বক্তব্য দিয়েছে তার ব্যাখ্যা দিয়েছেন। ঢাকাপ্রকাশ-এর পাঠকদের জন্য তা হুবহু তুলে ধরা হলো।

ঢাকাপ্রকাশ: আগামী নির্বাচন কি আলাদাভাবে করবেন? নাকি জোট আকারে করবেন।

মুজিবুল হক চুন্নু: না, আমরা তো কোনো জোট-মহাজোটে নাই। আমরা আছি নিজস্ব স্বকীয়তা নিয়ে, আমরা চলছি নিজের রাজনীতি নিয়ে। আমরা আগামী নির্বাচনে ৩০০ আসনে নমিনেশন দেওয়া যায় কি না, দিতে পারি কি-না সেই চিন্তাভাবনা করছি। সংগঠন গোঁজগাজ করছি। আমাদের টার্গেট ৩০০ আসনে প্রার্থী দেওয়া। তবে বাস্তবতা হচ্ছে ইউরোপসহ বিভিন্ন দেশে জোট কিন্তু বড় ফ্যাক্টর। জোট হওয়া দোষের কিছু না। আমরা কোনো জোটে যাব, এ রকম কোনো চিন্তাভাবনা এখন নাই। এটা অবস্থার প্রেক্ষিতে বোঝা যাবে। জোট হলেও বিএনপির সঙ্গে হবে না। আমাদের এখন টার্গেট ৩০০ আসনে নির্বাচন করা।

ঢাকাপ্রকাশ: একটা আলোচনা আছে আপনাদের পার্টির চেয়ারম্যান দেশের বাইরে গিয়েছিলেন। সেখানে একটা মিটিং করেছেন। বিএনপি জোটের সঙ্গে বা তারেক রহমানের সঙ্গে আলাপ করেছেন? এ বিষয়ে আপনার বক্তব্য কি

মুজিবুল হক চুন্নু: প্রশ্নই আসে না। ডাজ নট এটঅল। তারেক রহমান বা বিএনপির সঙ্গে আমার চেয়ারম্যানের কোনো রকম যোগাযোগের প্রশ্নই ওঠে না। আমি চ্যালেঞ্জ করছি। আমার সঙ্গেও কোন যোগাযোগের প্রশ্নই ওঠে না। সেই ধরনের কোনো যোগাযোগ করতেও রাজী না। কারণ, বিএনপি আমাদের অনেক অত্যাচার করেছে। বিএনপি এরশাদ সাহেবকে অনেক নির্যাতন করেছে। জাতীয় পার্টিকে ধ্বংস করার জন্য যা যা করার বিএনপি করেছে। সেগুলো আমরা ভুলি নাই। তাদের সঙ্গে আমাদের কোনো মিত্রতা হতে পারে না। বিএনপির সঙ্গে কোনো ধরনের মিত্রতা হবে না।

ঢাকাপ্রকাশ: আপনি ৩১ জুলাই নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে সংলাপে রাতের ভোটের বিষয়টি নিয়ে যে কথা বলেছেন এটা একটু পরিষ্কার করবেন?

মুজিবুল হক চুন্নু: ‘গত কয়েকটি নির্বাচনে দেখা গেছে বিএনপি ক্ষমতায় গেলে আওয়ামী লীগ বলে ফেয়ার হয় নাই। আবার ২০০৮ সালে তখনো বলে ফেয়ার হয় নাই। তার মানে তিনটা ইলেকশন হলো কোনটাই ফেয়ার হয় নাই। তাহলে ফেয়ার হওয়ার সুযোগ নাই। আসলে গত ১১টি সংসদ নির্বাচন দেখা গেছে বিশেষ করে প্রিসাইডিং অফিসাররা আগের দিন রাতে ব্যালট পেপার নিয়ে আসে। ব্যলট পেপারসহ বিভিন্ন ভোট কেন্দ্র বা ভোট কেন্দ্রের কাছে বাড়ি ঘরে থাকে। থাকলে ওই সময় পুলিশকে বা প্রিসাইডিং অফিসারকে টাকা পয়সা দিয়ে রাতের বেলায় অনেকে চেয়ারম্যান মেম্বার, এমপিরা অনেকে সিল মারায়। আমরাও তো এই কাম করছি। আমি ওইটা বলেছি। শুধু গত নির্বাচন না। জাতীয় সংসদের সব নির্বাচনের কথা বলছি।’

ঢাকাপ্রকাশ: অনেকে বলছে আপনার এই বক্তব্যের পর জাতীয় পার্টির এমপিদের পদত্যাগ করা উচিত। আপনি কী মনে করেন?

মুজিবুল হক চুন্নু: যারা বলছেন তাদের উদ্দেশে বলি আমি কিন্তু একটা নির্দিষ্ট ইলেকশন নিয়ে বলি নাই। আমি বলেছি গত ১১টা নির্বাচনেই এই ধরনের কাজ হয়েছে। এই কাজগুলি আমরা যারা পলিটিশিয়ান, আমাদের মতো পলিটিশিয়ানরাই করেছে। শুধু ২০১৮ সালের নির্বাচন নয়। পূর্বের ১১টি ইলেকশনেই এই ধরনের অনিয়ম হয়েছে। এই কাজটি আমাদের মতো যারা তারা করেছে।

ঢাকাপ্রকাশ: এই অনিয়ম থেকে বের হওয়ার রাস্তা কী?

মুজিবুল হক চুন্নু: বের হওয়ার একমাত্র রাস্তা নির্বাচন পদ্ধতি পরিবর্তন। বিদ্যমান পদ্ধতিতে প্রধান নির্বাচন কমিশনার যদি ভালো মানুষও হোন, তিনি মন থেকেও যদি চান তবুও তিনি করতে পারবেন না। তাকে তো সরকারের হেল্প লাগবে। সেই হেল্প করার মতো মানসিকতা কোনো সরকারেরই নাই। কারণ, যখন সরকার মনে করবে হেরে যাবে তখন নির্বাচন কমিশনকে সেভাবে সাহায্য করবে বলে আমরা মনে করি না। তাই বলছি আনুপাতিক হারে প্রতিনিধিত্বকারী নির্বাচন করলে ফেয়ার করা সম্ভব।

আনুপাতিক হারে নির্বাচনের পদ্ধতিটা হল, ৩০০ আসনেই প্রত্যেক দল প্রার্থী ঠিক করে নির্বাচন কমিশনকে জমা দেবে। কেউ জানবে না কে প্রার্থী। ভোট হবে মার্কার উপরে। ভোট হওয়ার পর যে দল যত শতাংশ কাস্টিং ভোট পাবে সেই দল তত শতাংশ এমপি পাবে। সেই দল যাদের নাম দিয়েছে সেখান থেকে সিরিয়াল অনুযায়ী এমপি হিসেবে পাবে। এটা ইউরোপের অনেকগুলো দেশে চালু হয়েছে। এটা চালু করলে আর সমস্যা হবে না।

ঢাকাপ্রকাশ: এই সরকারের অধীনেই তো নির্বাচন হচ্ছে?

মুজিবুল হক চুন্নু: সংবিধানে তো তাই আছে। সংবিধান পরিবর্তন করতে হলে আওয়ামী লীগ লাগবে। আওয়ামী লীগ কি পরিবর্তন করবে? হাইকোর্ট বলছেন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন দরকার নাই। আসলে জাতীয় পার্টি মূলত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কনসেপ্টই বিশ্বাস করে না। জাতীয় পার্টি শুরু থেকেই কেয়ারটেকার কনসেপ্টই বিশ্বাস করে না। জাতীয় পার্টি কখনই এই পদ্ধতি ওন করে না।

ঢাকাপ্রকাশ: ভোট চুরি ঠেকাতে আপনার পরামর্শ কী?

মুজিবুল হক চুন্নু: ব্যালট পেপার আগের দিন না নিয়ে…এখন তো যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো নির্বাচনের দিন খুব সকালে বের হয়ে ৮ টার মধ্যে পৌছে দিতে হবে। আমরা চাচ্ছি যদি বিদ্যমান পরিস্থিতিতে নির্বাচন হয় তাহলে ব্যালট পেপারটা আগের দিন রাতে নিয়ে যায় তাতে কোন নিরাপত্তা নাই। বরং এটা ইচ্ছা করলে ভোট ঘুরাতে পারে, অনেক কিছু করতে পারে। এজন্য ব্যালট পেপার না দিয়ে সরকারি লোক দিয়ে সকাল ৮টার মধ্যে সেন্টারে সেন্টারে পৌঁছে দিতে হবে। এটা সম্ভব। রিমোর্ট এলাকায় শুধু হাওর বা পাবর্ত্য এলাকা সেখানে সরকার চিন্তা করতে পারে কিভাবে রিজার্ভে রাখতে পারে। আমাদের মতো এলাকায়… উপজেলা থেকে এখন সমস্ত ইউনিয়ন এলাকায় গাড়ি যায়। এটা কোনো কঠিন কাজ হবে না। ৮টার আগে পৌঁছে দেবে। রিমোর্ট এলাকায় পর্যাপ্ত পুলিশ দিতে পারে।

ঢাকাপ্রকাশ: বিএনপি যদি নির্বাচনে না আসে আপনারা যাবেন কি?

মুজিবুল হক চুন্নু: কে নির্বাচনে আসবে এবং আসবে না এটা আমাদের কোন বিষয় না। কোন দল এলো কি এলো না সেটা সেই দলের বিষয়। আমরা জাতীয় পার্টি নির্বাচনমুখী দল। আমরা ৯১ সাল থেকে প্রতিটি নির্বাচনে আছি। সাহাবুদ্দিন সাহেব আমাদের উপরে অনেক অন্যায় অত্যাচার করেছেন। আমাদের নেতাকে সেদিন নির্বাচনের নিয়ম অনুযায়ী টেলিভিশন পত্রিকায় বক্তব্য রাখতে দেননি। আমাদের নেতারা জেলে ছিলেন, তারপরও আমরা নির্বাচন করেছি। সমস্ত নির্বাচনে জাতীয় পার্টি অংশগ্রহণ করেছে। আমরা নির্বাচনমুখী দল নির্বাচনে আমরা যাবো। কিন্তু নির্বাচনটা সুষ্ঠু…। সরকারকে বলব জনগণের জন্য যদি হয়ে থাকেন তাহলে নির্বাচন সুষ্ঠু হওয়ার জন্য রাজনৈতিক দলের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। সুষ্ঠু করার জন্য যা যা পদক্ষেপ নেওয়ার নেন এটা আমাদের দাবি।

ঢাকাপ্রকাশ: মহাসচিব হিসাবে মাঠ পর্যায় থেকে কী রকম সাড়া পাচ্ছেন?

মুজিবুল হক চুন্নু: আমি মহাসচিব হওয়ার পর সারা দেশের নেতা-কর্মীদের কাছ থেকে স্বস্তস্ফূর্ত সমর্থন পাচ্ছি। এখনকার রাজনীতি আমাদের চেয়ারম্যান এবং আমি পরিষ্কার করছি। আমরা আওয়ামী লীগের ‘বি টিম’ না, আমরা বিএনপিরও ‘বি টিম’ গিরি করতে চাই না। আমাদের নিজস্ব রাজনীতি আছে, আমাদের এরশাদ সাহেবের রাজনীতি, জাতীয় পার্টির রাজনীতি। সেই রাজনীতি নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছি। আমরা জনগণের পক্ষে কথা বলছি, জনগণের পক্ষে থাকব। জনগণকে নিয়ে আমরা আছি। রাজনীতিতে ক্লিয়ার করার কারণে আমাদের যে কর্মীরা ঘুমিয়ে ছিল তারা জেগে উঠেছে। সংগঠন করার জন্য আমরা টিম করব। জাতীয় পার্টিতে নবজাগরণ সৃষ্টি হয়েছে। বিএনপি এবং আওয়ামী লীগের ৩২ বছরের শাসনে মানুষ অতিষ্ঠ। মানুষ চাচ্ছে তৃতীয় একটা দল। মানুষ পছন্দ করছে। সেই দল জাতীয় পার্টি ছাড়া আর কেউ নয়।

ঢাকাপ্রকাশ: জাতীয় পার্টির কি ৬৪ জেলায় কমিটি আছে?

মুজিবুল হক চুন্নু: সব জেলাতেই আছে। পূর্ণাঙ্গ কমিটি কিছু জেলায় আছে। অনেক জেলায় কমিটির মেয়াদ নাই। সে সমস্ত জেলায় আল্টিমেটাম দিয়েছি আগামী ২০ অক্টোবরের মধ্যে সমস্ত জেলার উপজেলা ও ইউনিয়ন শেষ করে ৩০ অক্টোবরের মধ্যে সমস্ত জেলায় সম্মেলনের ব্যবস্থা করবেন। ইতিমধ্যে সে সমস্ত জেলায় সফর পার্টির চেয়ারম্যান ও আমি আরম্ভ করেছি। ব্যাপক সাড়া পাচ্ছি।

ঢাকাপ্রকাশ: বিদিশা এরশাদ আর একটা জাতীয় পার্টির নেতৃত্ব দিচ্ছেন। এটা নিয়ে কী ভাবছেন?

মুজিবুল হক চুন্নু: যেকোনো নাগরিক বলতে পারে সেও পলিটিক্স করে। এই ধরণের কেউ আছে, কিছু করছে এটা আমাদের নলেজে নাই। আমাদের চোখে পড়ছে না। এটা আমাদের কোনো হিসাবের মধ্যে নাই।

ঢাকাপ্রকাশ: দীর্ঘ সময় দেওয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।

মুজিবুল হক চুন্নু: আপনার মাধ্যমে ঢাকাপ্রকাশ-এর সবাইকে ধন্যবাদ।

এসএম/এনএইচবি/এমএমএ/

 

 

 

 

Header Ad
Header Ad

আমাদের ব্যর্থতা আছে অস্বীকার করার উপায় নেই: আসিফ নজরুল

আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল। ছবি: সংগৃহীত

দেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে ব্যর্থতার দায় স্বীকার করেছেন আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল। তিনি বলেছেন, আমাদের ব্যর্থতা আছে, এটা অস্বীকার করার কোনো কারণ নাই। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি এমন যে আমাদের আত্মতুষ্টির সুযোগ নাই।

তবে আমাদের চেষ্টা আছে এবং আত্ম-জিজ্ঞাসা আছে। ব্যর্থতা উত্তরণের জন্য আমাদের প্রচণ্ড চেষ্টা আছে, তাড়না আছে। প্রত্যেকটা ব্যর্থতার ক্ষেত্রে প্রচণ্ড চেষ্টা আছে।

‘দেশের পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে মানবাধিকার ও পরিবেশের ওপর গুরুত্বসহ আইন প্রয়োগ’ বিষয়ক কর্মশালায় যোগদানের পূর্বে সাংবাদিকদের কাছে এমন মন্তব্য করেন। আজ সোমবার দুপুরে রাজশাহীর পিটিআই মিলনায়তনে এ কর্মশালার আয়োজন করা হয়।

এ সময় আইন উপদেষ্টা বলেন, আমরা একটা ধ্বংসপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান নিয়ে কাজ করছি; বিশেষ করে পুলিশ প্রশাসন ও বিচার বিভাগ। সেখান থেকে দাঁড়াতে আমাদের সময় লাগছে।

তিনি আরও বলেন, পতিত ফ্যাসিস্ট শক্তির হাতে হাজার হাজার কোটি টাকা আছে, টাকা থাকলে এবং বদ মতলব থাকলে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নষ্ট করা সম্ভব। সে বিষয়টিও দেখা হচ্ছে। আমাদের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নয়নে কাজ করছেন এবং আমাদের কো-অর্ডিনেশন মিটিংয়েও বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হচ্ছে।

চলমান বিচার পদ্ধতি নিয়ে আসিফ নজরুল বলেন, যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগের শক্ত প্রমাণ আছে তাদের বিরুদ্ধে যেন যথোপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হয়। আর যারা নির্দোষ তাদের যেন অযথা হয়রানি করা না হয় সে বিষয়টিও সমন্বয় করে দেখার নির্দেশনা দেওয়া হবে।

Header Ad
Header Ad

মিঠাপুকুরে ধর্ষকের গ্রেফতার ও বিচারের দাবিতে সড়ক অবরোধ ও কুশপুত্তলিকা দাহ

ধর্ষকের গ্রেফতার ও বিচারের দাবিতে সড়ক অবরোধ। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

রংপুরে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় জড়িতদের শাস্তির দাবিতে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন শিক্ষার্থীরা। রবিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) মিঠাপুকুরের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থী, ভূমিহীন সংগঠন ও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা এই কর্মসূচি পালন করেছেন।

আন্দোলনকারীরা মিঠাপুকুর উপজেলা চত্বর থেকে মিছিল সহ পদযাত্রা করে মিঠাপুকুর থানায় পৌঁছান এবং সেখান থেকে ঢাকা-রংপুর মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন এবং কুশপুত্তলিকা দাহ করেন। এতে ঢাকা-রংপুর মহাসড়কে দীর্ঘ যানজট সৃষ্টি হয়।

এসময় বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা ধর্ষকের গ্রেফতার, সর্বোচ্চ শাস্তি এবং ধর্ষণের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি কার্যকরের পাশাপাশি মিঠাপুকুর থানার বর্তমান ওসিকে অপসারণের দাবি জানান।

মিঠাপুকুর থানার বর্তমান ওসিকে অপসারণের দাবিতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

পরবর্তীতে প্রশাসনের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছে আন্দোলনকারীদের আশ্বস্ত করার চেষ্টা করেন। তবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেন, যদি আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ধর্ষক গ্রেফতার না হয়, তবে আরও বড় ধরনের আন্দোলন কর্মসূচি দেওয়া হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন।

Header Ad
Header Ad

এবার মেহেদি হাসান ও বিপ্লব কুমার চাকরি থেকে বরখাস্ত

যুগ্ম পুলিশ কমিশনার বিপ্লব কুমার সরকার ও ট্রাফিকের যুগ্ম পুলিশ কমিশনার এস এম মেহেদি হাসান। ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিএমপি) পুলিশের যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ) বিপ্লব কুমার সরকার ও ডিএমপির ট্রাফিকের (দক্ষিণ) যুগ্ম পুলিশ কমিশনার এস এম মেহেদি হাসানকে সরকারি চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

সোমবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের পুলিশ-১ শাখা থেকে জারিকৃত সিনিয়র সচিব নাসিমুল গণির সই করা পৃথক প্রজ্ঞাপনে এ আদেশ দেওয়া হয়।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ডিএমপির সাবেক যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (অ্যাডমিন অ্যান্ড গোয়েন্দা-দক্ষিণ) বিপ্লব কুমার সরকার এবং ডিএমপির ট্রাফিকের (দক্ষিণ) যুগ্ম পুলিশ কমিশনার এস এম মেহেদী হাসান গত বছরের ৬ আগস্ট থেকে যথাযথ কর্তৃপক্ষকে মৌখিক বা লিখিতভাবে অবহিত না করে বিনা অনুমতিতে কর্মস্থলে অনুপস্থিত রয়েছেন।

সেহেতু, বিপ্লব কুমার সরকার এবং এস এম মেহেদী হাসানকে সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮ এর ২ (চ) বিধি অনুযায়ী ২০২৪ সালের ৬ আগস্ট থেকে সরকারি চাকরি হতে সাময়িক বরখাস্ত করা হলো।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

আমাদের ব্যর্থতা আছে অস্বীকার করার উপায় নেই: আসিফ নজরুল
মিঠাপুকুরে ধর্ষকের গ্রেফতার ও বিচারের দাবিতে সড়ক অবরোধ ও কুশপুত্তলিকা দাহ
এবার মেহেদি হাসান ও বিপ্লব কুমার চাকরি থেকে বরখাস্ত
এমসি কলেজ শিক্ষার্থীকে মারধরের ঘটনায় জামায়াত আমিরের দায় স্বীকার  
লালমনিরহাটে জামাত-শিবিরের কলেজ দখলের চেষ্টা
গাইবান্ধায় আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের দুই নেতাকে গ্রেপ্তার  
এলিফ্যান্ট রোডের একটি বাসা থেকে ঢাবি ছাত্রীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার
চ্যানেল ‘চ্যানেল ওয়ান’ সম্প্রচারে বাধা নেই  
নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে যুদ্ধবিরতি চুক্তি ভাঙার অভিযোগ  
‘ডু অর ডাই’ ম্যাচে নিউজল্যান্ডের বিপক্ষে আজ মাঠে নামছে বাংলাদেশ
আ:লীগ পাচার হওয়া অর্থ দিয়ে দেশকে অস্থিতিশীল করছে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা  
বনশ্রীতে ব্যবসায়ীকে গুলি করে ২০০ ভরি সোনা ছিনতাই    
চট্টগ্রাম কলেজে ছাত্রদলের ওপর ছাত্রশিবিরের হামলা
সেমিফাইনালের পথে ভারত, কোহলির সেঞ্চুরিতে পাকিস্তানের হার
নাহিদের পদত্যাগ নিয়ে যা জানা গেল
দুর্ঘটনায় আহত ছেলেকে হাসপাতালে দেখতে যাওয়ার পথে সড়কে প্রাণ গেল মায়ের
অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা দ্রুত মৃত্যু ডেকে আনে!
জীবন থাকতে কোনো স্থানীয় নির্বাচন করতে দেওয়া হবে না: ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক
২৫ ফেব্রুয়ারি ‘জাতীয় শহীদ সেনা দিবস’ ঘোষণা, সরকারি ছুটি নিয়ে যা জানা গেল!
ঢাবির মধুর ক্যান্টিনে ছাত্রশিবিরের সংবাদ সম্মেলন, ছাত্রদলের নিন্দা