সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫ | ১৫ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

ইভিএম ইস্যুতে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে বিভক্তি

ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) পরীক্ষা করতে চার সদস্যের কারিগরি দল নিয়ে যাওয়ার জন্য ৩৯টি রাজনৈতিক দলকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। কিন্তু দুই দিনে যেসব রাজনৈতিক দল নির্বাচন কমিশনে গিয়েছে তাদের কেউই কারিগরি দল নিয়ে যায়নি। বরং রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতিনিধিরা নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে ইভিএম ইস্যুতে দরকষাকষি করেছেন।

বেশিরভাগ দলই বলেছে, তারা ইভিএম চায় না। দেশের মানুষ এখনও ইভিএম এর বিষয়ে অভ্যস্ত হয়ে উঠেনি। তারা সরাসরি ব্যালটে সিল দিয়ে ভোটের পক্ষে নিজেদের মতামত তুলে ধরেছে। তবে কয়েকটি দল ইভিএম এর পক্ষে তাদের মত তুলে ধরেছে।

আর নির্বাচন সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ইভিএম বিষয় না। আগে নির্বাচন কমিশনকে আস্থা অর্জন করতে হবে। ইভিএমের সুফল ভালোভাবে তুলে ধরতে ইসির সক্ষমতা দেখাতে হবে। রাজনৈতিক দল ও জনগণের আস্থা অর্জন করতে পারলেই সংকট অনেকটা কেটে যাবে।

অবশ্য প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল বলছেন, নির্বাচন কমিশনের দিক থেকে শতভাগ নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করা হবে। তবে রাজনৈতিক দলগুলো ঘরে বসে থাকলে হবে না। তাদেরও মাঠে দায়িত্ব পালন করতে হবে।

গত ১৯ জুন ১৩টি দলকে কমিশন কার্যালয়ে আসার আমন্ত্রণ জানিয়েছিল ইসি। ওই দিন গণফোরাম, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ ও বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি-বিজেপি অংশ নেয়নি। জাতীয় পার্টিসহ (জাপা) অন্যদলগুলো অংশ নিলেও তারা কেউ কারিগরি বিশেষজ্ঞ আনেনি।

২১ জুন দ্বিতীয় ধাপের সংলাপে অংশ গ্রহণ করে ৮টি দল। এদিনও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপিসহ ৫টি দল সংলাপ বর্জন করে। অপর চারটি দল হচ্ছে- জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডি, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ও বাংলাদেশ মুসলিম লীগ-বিএমএল।

দুই দিনে ২৬টি দলের মধ্যে বিএনপিসহ ৮টি দল ইসির ডাকে সাড়া দেয়নি। শেষ ধাপে ২৮ জুন নির্বাচন কমিশনে যাওয়ার কথা রয়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগসহ ১৩টি দলের।

প্রথম দুই ধাপের আলোচনায় যারা অংশ নিয়েছেন তাদের মতামত হচ্ছে ইভিএম এখনও ভোটারদের কাছে জনপ্রিয় যন্ত্র না। ইভিএমকে আস্থায় নিতে পারছেন না তারা।

ইসির আমন্ত্রণে প্রথম দিনে নিজেদের মতামত তুলে ধরে সংসদের প্রধান বিরোধী দল জাতীয় পার্টি। দলটির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু ইভিএম সম্পর্কে বলেন, ‘আমরা ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিনে ভোট নেওয়ার পক্ষে নয়। কারণ, দেশের মানুষ এখনও ইভিএমে ভোট দেওয়ার জন্য প্রস্তুত নয়। দেশের মানুষ এখনও ইভিএম বিশ্বাস করে না। গ্রাম-গঞ্জের মানুষ এখনও মনে করেন ইভিএম মানেই কারসাজি। কেউ কেউ মনে করেন, কোনো একটি দলের স্বার্থে ইভিএমে ভোট গ্রহণ করা হয়।’

তবে সরাসরি ইভিএম এর পক্ষে-বিপক্ষে না বলে জাতীয় পার্টি (জেপি) সাধারণ সম্পাদক শেখ শহীদুল ইসলাম বলেন, ‘সংলাপে ইভিএম এর গুণাগুণ সম্পর্কে বলা হচ্ছে। তার আগে চিন্তা করতে হবে আমরা কি একসঙ্গে ৩০০ আসনে ইভিএম দিয়ে নির্বাচন করতে সক্ষম? যদি তাই না পারি তাহলে কিছু কেন্দ্রে বা কিছু আসনে ইভিএম আর কিছু কেন্দ্রে ব্যালটে ভোট এটা হলে বিভেদ সৃষ্টি করা হলো। প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ অন্যান্য কমিশনাররা যখন দায়িত্ব গ্রহণ করেন তখন কিন্তু বলেছেন রাগ-অনুরাগ-বিরাগের বশবর্তী হয়ে কিছু করব না। এভাবে কিছু আসনে ইভিএম করা হলে তাদের সেই শপথ ভঙ্গ হবে।’

প্রথম দিন সংলাপে যাওয়ার কথা থাকলেও নিজেদের ব্যস্ততার কারণে যায়নি গণফোরাম (ড. কামাল) অংশের নেতারা। তবে তারা নির্ধারিত তারিখে না গেলেও যেতে আগ্রহী বলে জানান দলটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোস্তাক আহমেদ। তিনি ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, ‘আমাদের দলের সংসদ সদস্য মোকাব্বির খান নিজ নির্বাচনি এলাকায় বন্যার কারণে ব্যস্ত থাকায় যেতে পারিনি। তবে ইসিকে বলেছি আমাদের পরবর্তী তারিখে ডাকার জন্য। তবে যাই আর না যাই আমরা ইভিএম এ বিশ্বাস করি না। ইভিএম এর খেলা কুমিল্লায় দেখিয়ে দিয়েছে। ইভিএম এর চাইতে নির্বাচনি ব্যবস্থায় আগে আস্থা ফেরাতে হবে।’

আলোচনায় অংশ নিয়ে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ফ্রন্ট (বিএনএফ) চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘সমস্যা ইভিএমএ না, সমস্যা হচ্ছে ভোট যখন দেওয়া হয় বাটন চাপার সময় ওখানে ডাকাত থাকে। তাদের সরাবেন কীভাবে? এটা বড় সমস্যা। ইভিএম বড় সমস্যা না। তা ছাড়া রাজনৈতিক দলগুলোর আস্থার সংকটের সুরাহা যদি না হয় তাহলে ইভিএমের ত্রুটি-বিচ্যুতি খুঁজে লাভ নেই। আমরা সবাই মিলে নির্বাচনে যে বিশ্বাসযোগ্যতা হারিয়েছি, এটা আগে ঠিক করতে হবে।’

সংলাপ বর্জন করে বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি চেয়ারম্যান সৈয়দ মোহাম্মদ ইব্রাহিম ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, আমরা ইভিএম এর পক্ষে না। আমাদের এক দাবি নিরপেক্ষ সরকার ব্যবস্থা। এ নির্বাচন কমিশনের উপর আমাদের কোনো আস্থা নেই। সেখানে ইভিএম হোক আর যাই হোক আমরা সেটার পক্ষে না।

ব্যালট পেপারে কি নির্বাচন সুষ্ঠু করা সম্ভব এমন প্রশ্নের জবাবে বলেন, ইভিএম এর চাইতে কিছুটা স্বস্তিদায়ক। ইভিএম এর চেয়ে ব্যালট গ্রহণযোগ্য।

অবশ্য প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, আমরা আমাদের দিক থেকে শতভাগ নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করব। আামার মনে হয় না সরকারের আজ্ঞাবহ হয়ে কেউ ওই কাজটা (কারচুপি) করতে যাবে। অন্য কোনোভাবে সম্ভব কি-না, তবে আমরা যারা কমিশনের সদস্য আছি, সরকারও চাইবে না আমরা আজ্ঞাবহ হয়ে কাজ করি।

তিনি বলেন, কেবল তাদের উপর নির্ভর করলে নির্বাচন সুন্দর হবে না। এজন্য দলগুলোকে ঘরে বসে না থেকে মাঠে দায়িত্ব পালন করতে হবে।

ইভিএম সম্পর্কে নির্বাচন পর্যবেক্ষক সংস্থা ব্রতীর প্রধান নির্বাহী শারমিন মুরশিদ ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, ‘আস্থা একটা যন্ত্রের প্রতি নাও থাকতে পারে। কিন্তু আস্থা তৈরি করার দায়িত্ব তাদের যারা নির্বাচন পরিচালনা করবে। আস্থা তৈরি করতে হবে। এটা ব্যবহার করার মাধ্যমে প্রমাণ করতে হবে যে এটা কার্যকরি এবং নিরাপদ পাশাপাশি আমার ভোটের অধিকারটা অক্ষুণ্ণ রাখছে। এটা যথেষ্টভাবে ব্যবহার হয়নি। যেটুক হয়েছে তার ভেতর যে ত্রুটি দেখতে পেয়েছি তাতে মানুষের মনের ভেতরে আস্থা আনেনি এটা। ইভিএম এখন পর্যন্ত আস্থার যথেষ্ট প্রমাণ রাখেনি। একটা স্বচ্ছতার ঘাটতি থেকে যায়।’

তিনি বলেন, ‘মানুষের দৃষ্টিভঙ্গি আস্থাশীল না হলে ইভিএম আর আস্থা শূন্য হয়ে যাবে। এটার ট্রায়াল টেস্ট করার যে সময় প্রয়োজন সেরকম যথেষ্ট সময় হাতে নেই। যদি কোনো বিষয় জটিল ও অসচ্ছতার বিন্দুমাত্র সন্দেহ থাকে তাহলে আমার প্রস্তাব প্রথাগত ভোটিংয়ে নির্বাচনটা করা।’

এসএম/এনএইচবি/এসএন

 

 

Header Ad
Header Ad

পাঁচ জেলায় বজ্রপাতে ১১ জনের মৃত্যু

ছবি: সংগৃহীত

দেশের পাঁচটি জেলায় বজ্রপাতে ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। রোববার ও সোমবার (২৭ ও ২৮ এপ্রিল) দেশের বিভিন্ন স্থানে এসব মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে। কুমিল্লার মুরাদনগর ও বরুড়া উপজেলায় চারজন, কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম ও মিঠামইনে তিনজন, নেত্রকোনার কলমাকান্দা ও মদনে দুজন, সুনামগঞ্জের শাল্লায় একজন এবং চাঁদপুরের কচুয়ায় একজন প্রাণ হারিয়েছেন।

কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার পূর্বধইর পূর্ব ইউনিয়নের কোরবানপুর পূর্বপাড়া এলাকায় ধান কাটতে গিয়ে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বজ্রপাতে দুজন কৃষক নিহত হন। নিহতরা হলেন নিখিল দেবনাথ (৫৮) ও জুয়েল ভূঁইয়া (৩০)।

একই জেলার বরুড়া উপজেলার খোসবাস উত্তর ইউনিয়নের পয়েলগচ্ছ গ্রামে দুপুর ১২টার দিকে ঘুড়ি ওড়ানোর সময় বজ্রপাতে মারা যায় দুই কিশোর—মোহাম্মদ জিহাদ (১৪) ও মো. ফাহাদ (১৩)। এ সময় আবু সুফিয়ান (সাড়ে ৭) নামের একটি শিশু আহত হয় এবং তাকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রামে খয়েরপুর আব্দুল্লাহপুর ইউনিয়নের হাওরে ধান কাটার সময় সকালে বজ্রপাতে প্রাণ হারান দুই কৃষক—ইন্দ্রজিৎ দাস (৩০) ও স্বাধীন মিয়া (১৫)। একই সময়ে মিঠামইন উপজেলার শান্তিগঞ্জ হাওরে ধানের খড় শুকাতে গিয়ে বজ্রপাতে নিহত হন ফুলেছা বেগম (৬৫) নামের এক নারী।

নেত্রকোনার কলমাকান্দা উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের ধনুন্দ গ্রামে রবিবার রাত ১০টার দিকে বজ্রপাতে আহত হয়ে পরে হাসপাতালে মারা যান দিদারুল ইসলাম (২৮)। তিনি একটি ইফতেদায়ি মাদ্রাসার শিক্ষক ছিলেন।
আজ সকাল ৭টার দিকে মদন উপজেলার তিয়োশ্রী গ্রামে মাদ্রাসাগামী শিশু মো. আরাফাত (১০) বজ্রপাতে মারা যায়।

সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলার আটগাঁও গ্রামের বুড়িগাঙ্গাল হাওরে গরু চরাতে গিয়ে বজ্রপাতে মারা যান রিমন তালুকদার। তিনি শাল্লা ডিগ্রি কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন।

চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলার নাহারা গ্রামে সকালে বজ্রপাতের বিকট শব্দে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা যান বিশাখা রানী (৩৫)। তিনি কৃষক হরিপদ সরকারের স্ত্রী। চিকিৎসক জানান, বজ্রপাতের সরাসরি আঘাতের কোনো চিহ্ন ছিল না, শব্দের প্রভাবে তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান।

 

Header Ad
Header Ad

জামিন পেলেন মডেল মেঘনা আলম

মডেল মেঘনা আলম। ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর ধানমন্ডি থানায় প্রতারণা ও চাঁদাবাজির অভিযোগে দায়ের করা মামলায় জামিন পেয়েছেন মডেল মেঘনা আলম।

সোমবার (২৮ এপ্রিল) ঢাকার অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. ছানাউল্ল্যাহ শুনানি শেষে তার জামিন মঞ্জুরের আদেশ দেন। আদালত সূত্রে জানা গেছে, মামলার অভিযোগপত্র পর্যালোচনা এবং মেঘনা আলমের আইনজীবীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ সিদ্ধান্ত দেওয়া হয়।

এর আগে গত ১০ এপ্রিল মডেল মেঘনা আলমকে ডিটেনশন আইনে ৩০ দিনের জন্য কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। সেদিন রাত সাড়ে ১০টার দিকে তাকে আটক করে আদালতে হাজির করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। এরপর আদালতে তাকে আটক রাখার আবেদন করলে সেটি মঞ্জুর হয়।

মামলার এজাহারে বলা হয়, মেঘনা আলম ও দেওয়ান সমিরসহ অজ্ঞাতনামা আরও ২-৩ জন মিলে একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সক্রিয় সদস্য। এই চক্রটি বিভিন্ন সুন্দরী মেয়েদের ব্যবহার করে বাংলাদেশে কর্মরত বিদেশি কূটনীতিক ও দেশীয় ধনাঢ্য ব্যবসায়ীদের প্রেমের ফাঁদে ফেলে অবৈধ সম্পর্ক স্থাপনে উৎসাহিত করত। এরপর এসব সম্পর্কের দুর্বলতা কাজে লাগিয়ে ভিকটিমদের সম্মানহানির ভয় দেখিয়ে মোটা অঙ্কের অর্থ হাতিয়ে নেওয়া হতো।

 

মডেল মেঘনা আলম। ছবি: সংগৃহীত

এজাহারে আরও উল্লেখ করা হয়, আসামি দেওয়ান সমির 'কাওয়ালি গ্রুপ' নামে একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সিইও এবং 'সানজানা ইন্টারন্যাশনাল' নামে একটি ম্যানপাওয়ার প্রতিষ্ঠানের মালিক। এর আগে তার 'মিরআই ইন্টারন্যাশনাল ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড' নামের একটি প্রতিষ্ঠান ছিল।

চক্রটি 'ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর' নিয়োগের নামে সুন্দরী ও আকর্ষণীয় মেয়েদের ব্যবহার করে সহজে বিদেশি কূটনীতিক ও ধনাঢ্য ব্যবসায়ীদের কাছে যাতায়াতের সুযোগ তৈরি করত। উদ্দেশ্য ছিল ব্ল্যাকমেইলের মাধ্যমে বড় অঙ্কের চাঁদা আদায় এবং দেওয়ান সমিরের ব্যক্তিগত ব্যবসাকে লাভজনক করা।

Header Ad
Header Ad

জুলাই গণ-অভ্যুত্থান অধিদপ্তর গঠন করলো সরকার

ছবি: সংগৃহীত

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের ইতিহাস সংরক্ষণ, আন্দোলনে নিহতদের পরিবার ও আহতদের পুনর্বাসন এবং এই গণ-অভ্যুত্থানের আদর্শকে রাষ্ট্রীয়ভাবে প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে 'জুলাই গণ-অভ্যুত্থান অধিদপ্তর' গঠন করেছে বাংলাদেশ সরকার।

সোমবার (২৮ এপ্রিল ২০২৫) সরকারের পক্ষ থেকে গেজেট আকারে এ সংক্রান্ত ঘোষণা প্রকাশ করা হয়েছে। এর আগে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে এই অধিদপ্তর গঠনের জন্য একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।

প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়, গত বছরের ১২ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী নতুন অধিদপ্তর গঠনের উদ্যোগ নেওয়া হয়। সেই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনেই এই নতুন অধিদপ্তর প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।

এর পাশাপাশি, অধিদপ্তর গঠনের প্রক্রিয়ায় গত ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪ তারিখে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপদেষ্টা ফারুক ই আজমের সভাপতিত্বে একটি আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা অনুষ্ঠিত হয়। ওই সভায় জুলাই গণ-অভ্যুত্থান অধিদপ্তর গঠনের নীতিগত সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। পরে উপদেষ্টা পরিষদে বিষয়টি উপস্থাপিত হলে চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়।

সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, এই অধিদপ্তর শুধু ইতিহাস সংরক্ষণের কাজই করবে না, বরং জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের চেতনা ও আদর্শকে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য বিভিন্ন গবেষণা, প্রকাশনা এবং সচেতনতামূলক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করবে। একইসঙ্গে, নিহত এবং আহতদের পরিবারদের যথাযথ পুনর্বাসন ও সহায়তার ব্যবস্থাও করা হবে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

পাঁচ জেলায় বজ্রপাতে ১১ জনের মৃত্যু
জামিন পেলেন মডেল মেঘনা আলম
জুলাই গণ-অভ্যুত্থান অধিদপ্তর গঠন করলো সরকার
নিরীহ কাউকে মামলা দিয়ে হয়রানি করা যাবে না: আইজিপি
পাকিস্তানে সামরিক হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে ভারত: নিউইয়র্ক টাইমস
ঢাকায় অটোরিকশা ও চার্জিং স্টেশন বন্ধে ডিএনসিসির অভিযান শুরু হতে যাচ্ছে
চাঁদা না দিলে রেলের কমান্ড্যান্টকে বদলির হুমকির অভিযোগ দুই ছাত্র প্রতিনিধির বিরুদ্ধে (ভিডিও)
বলিউডে সেনারা হিরো, বাস্তবে কেন জিরো ভারতীয় বাহিনী!
কুমিল্লায় বজ্রপাতে স্কুলছাত্রসহ নিহত ৪
মে মাসে শেখ হাসিনার বিচার শুরু হচ্ছে: প্রধান উপদেষ্টা
ঢাকাসহ সারাদেশে বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে
সবাই মিলে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করাই লক্ষ্য: আলী রীয়াজ
ইশরাককে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ
কাশ্মীর সীমান্তে ভারত-পাকিস্তানের ফের গোলাগুলি
টস হেরে ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ, একাদশে ৩ পরিবর্তন
দেশে ফিরেছেন প্রধান উপদেষ্টা
টটেনহামকে উড়িয়ে প্রিমিয়ার লিগের চ্যাম্পিয়ন লিভারপুল
শেখ হাসিনাকে ‘চুপ’ রাখতে পারবেন না মোদি
রেফারির কাছে ক্ষমা চাইলেন মাদ্রিদের ডিফেন্ডার আন্তনিও রুদিগার
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবীন শিক্ষার্থীদের শুভেচ্ছা উপহার দিলেন ছাত্রদল নেতা