সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫ | ১৫ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

জুরাইনে পুলিশের উপর হামলার নেপথ্যে…

'পুলিশের ত্যাড়ামির কারণে তুচ্ছ বিষয় থেকেই পুলিশের উপর হামলা এবং পুলিশ বক্স ভাঙচুরের মত বড় ঘটনা ঘটেছে রাজধানীর জুরাইনে।' মঙ্গলবারের (৭ জুন) ওই ঘটনার পর বুধবার (৮ জুন) ওই এলাকার বিভিন্ন পর্যায়ের লোকজনের সঙ্গে কথা বলে এ সব তথ্য জানা গেছে।

অবশ্য ট্রাফিক পুলিশের ওয়ারী বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মো. সাইদুল ইসলাম বলেছেন, ভিডিও ফুটেজ বিশ্লেষণ করে ওই নারীর গায়ে কাউকে হাত দিতে দেখা যায়নি।

মঙ্গলবার জুরাইনে মোটরসাইকেল আরোহী এক দম্পতিকে আটকানোর পর কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে ট্রাফিক পুলিশের উপর চড়াও হয়েছেন স্থানীয় লোকজন। এতে সার্জেন্ট আলী হোসেনসহ ট্রাফিক কনস্টেবল সিরাজুল ইসলাম ও শ্যামপুর থানার উপপরিদর্শক উৎপল চন্দ্র আহত হন।

বুধবার ওই এলাকায় গিয়ে সাধারণ মানুষ কথা বললে তারা জানান, পুলিশের ত্যাড়ামির কারণে অপ্রিতিকর ঘটনাটি ঘটেছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, যারা এ ঘটনার প্রতিবাদ করেছেন তারা বেশিরভাগ পথচলতি মানুষ।

পুলিশের একটি সূত্র জানায়, প্রথমে মো. রনিকে পাঠাও চালক ভেবে গাড়ি চেক করতে চান সার্জেন্ট আলী হোসেন। রনির সঙ্গে তার স্ত্রী ইয়াছিন জাহান (নিশিতা) ছিলেন। এসময় রনি সার্জেন্টকে বলেন, সামান্য একটু পথ যাচ্ছি ভাই ছেড়ে দেন, পেছনে অসুস্থ রোগী। অন্যথায় অনেক ঘুরতে হবে। অতটুকু রাস্তা ছেড়ে দিলে আপনার আহামরি ক্ষতি হবে না। এমন কথায় ক্ষুব্ধ হয়ে সার্জেন্ট মোটরসাইকেলের চাবি নিয়ে নেন। এরপর দুজনের মধ্যে বাকবিতণ্ডা শুরু হয় এবং হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। তখন রনির স্ত্রী ঠেকাতে গেলে পুলিশ তাকেও মারধর করেন বলে অভিযোগ করেন স্থানীয়রা। তাৎক্ষণিকভাবে সেখানে জড়ো হওয়া জনতা এর প্রতিবাদ করেন।

স্থানীয়রা জানান, একপর্যায়ে সার্জেন্ট রনি ও তার স্ত্রীকে পুলিশ বক্সের ভেতরে নিয়ে যান এবং রনির গায়ে হাত তোলেন। এসময় রনি ভিডিও করেন। আশেপাশের লোকজন জড়ো হয়ে পুলিশ বক্সের দিকে যান। এরই একপর্যায়ে জনতা, হকার ও ব্যবসায়ীরা পুলিশ বক্স ঘেরাও করে রনিকে ছেড়ে দিতে বলেন। তারা ট্রাফিক পুলিশের বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন। রনিকে না ছাড়ায় তারা ক্ষিপ্ত হয়ে পুলিশ বক্সে হামলা করেন এতে গ্লাস ভেঙে আলী হোসেনসহ তিন জন পুলিশ সদস্য আহত হন

নাম প্রকাশ করতে অনিচ্ছুক পুলিশ বক্স বিপরীতে থাকা ইসলামী ব্যাংকের এক কর্মকর্তা (নারী) বলেন, আমরা দোতলা থেকে দেখছি পুলিশ প্রথমে ওই ব্যক্তি ও তার স্ত্রীকে আজেবাজে কথা বলা শুরু করে এবং টেনে-হিঁচড়ে ট্রাফিক বক্সের মধ্যে নিয়ে যায়। ঘটনাটি সাধারণ মানুষ দেখে সবাই একত্রিত হয়। তবে এখানে স্থানীয় দোকানদার ও চলাচলরত সাধারণ মানুষ বিক্ষুদ্ধ হয়ে পুলিশ ও ট্রাফিক পুলিশ বক্সে হামলা করে।

পুলিশ বক্সের বিপরীতের বিক্রমপুর প্লাজার দুজন নিরাপত্তাকর্মী বলেন, তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এত বড় একটা ঘটনা ঘটে। পুলিশ ইচ্ছা করলে তাদের ছেড়ে দিতে পারত। তারা বারবার বলছিল আমাদের গাড়ির কাগজপত্র সব ঠিক আছে। কিন্তু নাছোড়বান্দা পুলিশ তাদের না ছাড়ায় এই ঘটনাটি ঘটে।

জুরাইন এলাকার বাসিন্দা ব্যবসায়ী পলাশ আহমেদ বলেন, পুলিশের উপর হামলা হয়েছে এটা দুঃখজনক ঘটনা। তবে পুলিশ অন্যায় করেছে। কত মটরসাইকেল রং রোড দিয়ে চলাচল করে পুলিশ তো তাদের কিছু বলে না । তাছাড়া এখানে কাটা রাস্তা নেই, এই জন্য মূলত সমস্যাটা তৈরি হয় সবাই রং রোড দিয়ে চলাচল করে।

পুলিশবক্সের বিপরীতের ডাচ বাংলা ব্যাংকের এক কর্মকর্তা বলেন, সকালে দেখলাম এক ব্যক্তি ও এক মহিলা মোটরসাইকেলে করে যাচ্ছিলেন। তাদের মাথায় হেলমেটও ছিল। এ সময় ট্রাফিকের একজন সার্জেন্ট মোটরসাইকেলটি থামান। কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে ট্রাফিক সার্জেন্ট নারীর গায়ে হাত তোলেন এবং তাদের পুলিশ বক্সের দিকে নিয়ে যান। তখনই এলাকার লোকজন উত্তেজিত হয়ে পড়েন। তারা পুলিশ বক্স লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন।

তিনি বলেন, আজ সকালের খবর শুনলাম এই ঘটনায় পুলিশ মামলা করেছে। এটা শুনে আরও দুঃখ লাগল।

স্থানীয় একটি দোকানের মালিক মো. হৃদয় বলেন, এ ঘটনার সময় আমি ছিলাম না। আমার কর্মচারী ছিলেন। তিনি আমাকে বললেন, এ ঘটনাটি ঘটেছে পুলিশের কারণে। পুলিশ ক্ষমতার অপব্যবহার করেছে।

মায়ের দোয়া এন্টারপ্রাইজের মো. জীবন বলেন, এ ঘটনায় যারা প্রতিবাদ করেছিলেন তারা সবাই ছিলেন এলাকার বহিরাগত। বেশির ভাগ মানুষ পথচলতি। আজ সকালে শুনলাম এলাকাবাসীর নামে মামলা হয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ট্রাফিক পুলিশের ওয়ারী বিভাগের উপকমিশনার মো. সাইদুল ইসলাম বলেন, পুলিশের উপর হামলার ঘটনায় ট্রাফিক পুলিশ বাদী হয়ে সংশ্লিষ্ট থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে। আমরা জানতে পেরেছি সকাল সাড়ে ৯টার দিকে এক ব্যক্তি একজন নারীকে নিয়ে উল্টো পথে বাইক চালিয়ে আসছিলেন। ওই নারীর মাথায় হেলমেট ছিল না। এ সময় এক ট্রাফিক কনস্টেবল বাইকসহ চালককে রাস্তার পাশে দাঁড়াতে বলেন। ট্রাফিক সার্জেন্ট তার কাছ থেকে কাগজপত্র দেখতে চান। উল্টো ওই ব্যক্তি পুলিশের কাগজ চেক করতে চেয়েছিল।

তিনি বলেন, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে ট্রাফিক পুলিশকে ‘বডিওর্ন’ ক্যামেরা দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনার পরে ক্যামেরায় ধারণ করা ভিডিও ফুটেজ দেখা হচ্ছে এবং এ বিষয়ে তদন্ত চলছে, বিস্তারিত পরে বলতে পারব।

স্থানীয়দের অভিযোগ, ট্রাফিক পুলিশ প্রথমে ওই নারীর গায়ে হাত তোলেন। এর জবাবে ট্রাফিক পুলিশের ডিসি বলেন, ভিডিও ফুটেজ বিশ্লেষণ করে ওই নারীর গায়ে কাউকে হাত দিতে দেখা যায়নি।

জুরাইন এলাকার একাধিক মানুষ ও ভিডিও ফুটেজ দেখে জানা গেছে, পুলিশের সঙ্গে জনতার সংঘর্ষের একাধিক ভিডিও ফুটেজ সোশ্যাল মিডিয়াতে প্রকাশ হয় যা ওই ব্যক্তি নিজেই করেন। তাছাড়া ঘটনাস্থলে উপস্থিত লোকজন ও বিভিন্ন ভিডিও করেছে ভিডিওতে বাইকে থাকা ব্যক্তিকে পুলিশ সদস্যদের উদ্দেশে বলতে শোনা গেছে, জুরাইন ট্রাফিক পুলিশ বক্স এর সদস্যরা অনেক দিন ধরে ফুতপাতের ব্যবসায়ী ও চলাচলরত মানুষদের গাড়ি চেকের নামে অত্যাচার করে আসছে এ সুযোগে মানুষ বিক্ষুব্ধ হয়েছে।

স্থানীয় লোকজন যখন পুলিশের উপর চড়াও হচ্ছিলেন, সে সময় মো. রনি ও তার স্ত্রীকে ঘটনাস্থলের পাশের পুলিশ বক্সে নেওয়া হয়। সেখান থেকে ফেসবুকে লাইভে যান রনি। লাইভে তাকে বলতে শোনা যায়, ‘বাংলাদেশের জনগণ দেখেন, যারা প্রত্যেকদিন জুরাইনে চাঁদাবাজি করে, চাঁদাবাজি করার সময় আমার সঙ্গে কথা হয়। আমার সঙ্গে তারা বাজে আচরণ করেছে এবং একপর্যায়ে আমাকে ও আমার স্ত্রীকে মারধর করেছে। কোন আইনে আছে মারধর করা যাবে? কেন আপনি মারলেন?

এ বিষয়ে জানতে চাইলে শ্যামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মফিজুল ইসলাম ঢাকাপ্রকাশ’কে বলেন, এ ঘটনায় মো. রনিসহ তিনজনকে আটক করা হয়েছে। ৪০০ জনের নামে মামলা হয়েছে। মামলার তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষে ভালোভাবে বলা যাবে।

সার্জেন্ট ফারুক, আশিক, ইমরুল ও নিতাই বলেন, সামান্য ঘটনা এত বড় হবে কোনোভাবেই এটা কাম্য ছিল না। তাছাড়া যার সঙ্গে ঘটনা ঘটেছে সে খুব ভদ্র মানুষ।

জুরাইন পুলিশ বক্সের ইনচার্জ (টিআই) বিপ্লব ভৌমিক বলেন, আমাদের জয়েন কমিশনার স্যার বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করছেন। বিস্তারিত তার সঙ্গে কথা বলেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে এডিশনাল পুলিশ কমিশনার ট্রাফিক (প্রধান) মো. মনিবুর রহমান বলেন, ঘটনাস্থল আমি তদন্ত করেছি। ডিউটিরত পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেছি। এ ঘটনায় ট্রাফিক পুলিশ বাদী হয়ে সংশ্লিষ্ট থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে।

এ বিষয়ে কোনো তদন্ত কমিটি হয়েছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এখনো পর্যন্ত কোনো তদন্ত কমিটি করা হয়নি। বিষয়টি নিয়ে আমাদের কাজ চলছে। তবে পুলিশের কাজে বাধা দেওয়া একটি শাস্তিযোগ্য অপরাধ। সবকিছু বিবেচনা করেই আমরা কাজ করছি।

কেএম/আরএ/

Header Ad
Header Ad

পাঁচ জেলায় বজ্রপাতে ১১ জনের মৃত্যু

ছবি: সংগৃহীত

দেশের পাঁচটি জেলায় বজ্রপাতে ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। রোববার ও সোমবার (২৭ ও ২৮ এপ্রিল) দেশের বিভিন্ন স্থানে এসব মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে। কুমিল্লার মুরাদনগর ও বরুড়া উপজেলায় চারজন, কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম ও মিঠামইনে তিনজন, নেত্রকোনার কলমাকান্দা ও মদনে দুজন, সুনামগঞ্জের শাল্লায় একজন এবং চাঁদপুরের কচুয়ায় একজন প্রাণ হারিয়েছেন।

কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার পূর্বধইর পূর্ব ইউনিয়নের কোরবানপুর পূর্বপাড়া এলাকায় ধান কাটতে গিয়ে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বজ্রপাতে দুজন কৃষক নিহত হন। নিহতরা হলেন নিখিল দেবনাথ (৫৮) ও জুয়েল ভূঁইয়া (৩০)।

একই জেলার বরুড়া উপজেলার খোসবাস উত্তর ইউনিয়নের পয়েলগচ্ছ গ্রামে দুপুর ১২টার দিকে ঘুড়ি ওড়ানোর সময় বজ্রপাতে মারা যায় দুই কিশোর—মোহাম্মদ জিহাদ (১৪) ও মো. ফাহাদ (১৩)। এ সময় আবু সুফিয়ান (সাড়ে ৭) নামের একটি শিশু আহত হয় এবং তাকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রামে খয়েরপুর আব্দুল্লাহপুর ইউনিয়নের হাওরে ধান কাটার সময় সকালে বজ্রপাতে প্রাণ হারান দুই কৃষক—ইন্দ্রজিৎ দাস (৩০) ও স্বাধীন মিয়া (১৫)। একই সময়ে মিঠামইন উপজেলার শান্তিগঞ্জ হাওরে ধানের খড় শুকাতে গিয়ে বজ্রপাতে নিহত হন ফুলেছা বেগম (৬৫) নামের এক নারী।

নেত্রকোনার কলমাকান্দা উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের ধনুন্দ গ্রামে রবিবার রাত ১০টার দিকে বজ্রপাতে আহত হয়ে পরে হাসপাতালে মারা যান দিদারুল ইসলাম (২৮)। তিনি একটি ইফতেদায়ি মাদ্রাসার শিক্ষক ছিলেন।
আজ সকাল ৭টার দিকে মদন উপজেলার তিয়োশ্রী গ্রামে মাদ্রাসাগামী শিশু মো. আরাফাত (১০) বজ্রপাতে মারা যায়।

সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলার আটগাঁও গ্রামের বুড়িগাঙ্গাল হাওরে গরু চরাতে গিয়ে বজ্রপাতে মারা যান রিমন তালুকদার। তিনি শাল্লা ডিগ্রি কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন।

চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলার নাহারা গ্রামে সকালে বজ্রপাতের বিকট শব্দে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা যান বিশাখা রানী (৩৫)। তিনি কৃষক হরিপদ সরকারের স্ত্রী। চিকিৎসক জানান, বজ্রপাতের সরাসরি আঘাতের কোনো চিহ্ন ছিল না, শব্দের প্রভাবে তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান।

 

Header Ad
Header Ad

জামিন পেলেন মডেল মেঘনা আলম

মডেল মেঘনা আলম। ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর ধানমন্ডি থানায় প্রতারণা ও চাঁদাবাজির অভিযোগে দায়ের করা মামলায় জামিন পেয়েছেন মডেল মেঘনা আলম।

সোমবার (২৮ এপ্রিল) ঢাকার অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. ছানাউল্ল্যাহ শুনানি শেষে তার জামিন মঞ্জুরের আদেশ দেন। আদালত সূত্রে জানা গেছে, মামলার অভিযোগপত্র পর্যালোচনা এবং মেঘনা আলমের আইনজীবীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ সিদ্ধান্ত দেওয়া হয়।

এর আগে গত ১০ এপ্রিল মডেল মেঘনা আলমকে ডিটেনশন আইনে ৩০ দিনের জন্য কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। সেদিন রাত সাড়ে ১০টার দিকে তাকে আটক করে আদালতে হাজির করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। এরপর আদালতে তাকে আটক রাখার আবেদন করলে সেটি মঞ্জুর হয়।

মামলার এজাহারে বলা হয়, মেঘনা আলম ও দেওয়ান সমিরসহ অজ্ঞাতনামা আরও ২-৩ জন মিলে একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সক্রিয় সদস্য। এই চক্রটি বিভিন্ন সুন্দরী মেয়েদের ব্যবহার করে বাংলাদেশে কর্মরত বিদেশি কূটনীতিক ও দেশীয় ধনাঢ্য ব্যবসায়ীদের প্রেমের ফাঁদে ফেলে অবৈধ সম্পর্ক স্থাপনে উৎসাহিত করত। এরপর এসব সম্পর্কের দুর্বলতা কাজে লাগিয়ে ভিকটিমদের সম্মানহানির ভয় দেখিয়ে মোটা অঙ্কের অর্থ হাতিয়ে নেওয়া হতো।

 

মডেল মেঘনা আলম। ছবি: সংগৃহীত

এজাহারে আরও উল্লেখ করা হয়, আসামি দেওয়ান সমির 'কাওয়ালি গ্রুপ' নামে একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সিইও এবং 'সানজানা ইন্টারন্যাশনাল' নামে একটি ম্যানপাওয়ার প্রতিষ্ঠানের মালিক। এর আগে তার 'মিরআই ইন্টারন্যাশনাল ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড' নামের একটি প্রতিষ্ঠান ছিল।

চক্রটি 'ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর' নিয়োগের নামে সুন্দরী ও আকর্ষণীয় মেয়েদের ব্যবহার করে সহজে বিদেশি কূটনীতিক ও ধনাঢ্য ব্যবসায়ীদের কাছে যাতায়াতের সুযোগ তৈরি করত। উদ্দেশ্য ছিল ব্ল্যাকমেইলের মাধ্যমে বড় অঙ্কের চাঁদা আদায় এবং দেওয়ান সমিরের ব্যক্তিগত ব্যবসাকে লাভজনক করা।

Header Ad
Header Ad

জুলাই গণ-অভ্যুত্থান অধিদপ্তর গঠন করলো সরকার

ছবি: সংগৃহীত

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের ইতিহাস সংরক্ষণ, আন্দোলনে নিহতদের পরিবার ও আহতদের পুনর্বাসন এবং এই গণ-অভ্যুত্থানের আদর্শকে রাষ্ট্রীয়ভাবে প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে 'জুলাই গণ-অভ্যুত্থান অধিদপ্তর' গঠন করেছে বাংলাদেশ সরকার।

সোমবার (২৮ এপ্রিল ২০২৫) সরকারের পক্ষ থেকে গেজেট আকারে এ সংক্রান্ত ঘোষণা প্রকাশ করা হয়েছে। এর আগে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে এই অধিদপ্তর গঠনের জন্য একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।

প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়, গত বছরের ১২ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী নতুন অধিদপ্তর গঠনের উদ্যোগ নেওয়া হয়। সেই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনেই এই নতুন অধিদপ্তর প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।

এর পাশাপাশি, অধিদপ্তর গঠনের প্রক্রিয়ায় গত ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪ তারিখে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপদেষ্টা ফারুক ই আজমের সভাপতিত্বে একটি আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা অনুষ্ঠিত হয়। ওই সভায় জুলাই গণ-অভ্যুত্থান অধিদপ্তর গঠনের নীতিগত সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। পরে উপদেষ্টা পরিষদে বিষয়টি উপস্থাপিত হলে চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়।

সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, এই অধিদপ্তর শুধু ইতিহাস সংরক্ষণের কাজই করবে না, বরং জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের চেতনা ও আদর্শকে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য বিভিন্ন গবেষণা, প্রকাশনা এবং সচেতনতামূলক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করবে। একইসঙ্গে, নিহত এবং আহতদের পরিবারদের যথাযথ পুনর্বাসন ও সহায়তার ব্যবস্থাও করা হবে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

পাঁচ জেলায় বজ্রপাতে ১১ জনের মৃত্যু
জামিন পেলেন মডেল মেঘনা আলম
জুলাই গণ-অভ্যুত্থান অধিদপ্তর গঠন করলো সরকার
নিরীহ কাউকে মামলা দিয়ে হয়রানি করা যাবে না: আইজিপি
পাকিস্তানে সামরিক হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে ভারত: নিউইয়র্ক টাইমস
ঢাকায় অটোরিকশা ও চার্জিং স্টেশন বন্ধে ডিএনসিসির অভিযান শুরু হতে যাচ্ছে
চাঁদা না দিলে রেলের কমান্ড্যান্টকে বদলির হুমকির অভিযোগ দুই ছাত্র প্রতিনিধির বিরুদ্ধে (ভিডিও)
বলিউডে সেনারা হিরো, বাস্তবে কেন জিরো ভারতীয় বাহিনী!
কুমিল্লায় বজ্রপাতে স্কুলছাত্রসহ নিহত ৪
মে মাসে শেখ হাসিনার বিচার শুরু হচ্ছে: প্রধান উপদেষ্টা
ঢাকাসহ সারাদেশে বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে
সবাই মিলে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করাই লক্ষ্য: আলী রীয়াজ
ইশরাককে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ
কাশ্মীর সীমান্তে ভারত-পাকিস্তানের ফের গোলাগুলি
টস হেরে ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ, একাদশে ৩ পরিবর্তন
দেশে ফিরেছেন প্রধান উপদেষ্টা
টটেনহামকে উড়িয়ে প্রিমিয়ার লিগের চ্যাম্পিয়ন লিভারপুল
শেখ হাসিনাকে ‘চুপ’ রাখতে পারবেন না মোদি
রেফারির কাছে ক্ষমা চাইলেন মাদ্রিদের ডিফেন্ডার আন্তনিও রুদিগার
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবীন শিক্ষার্থীদের শুভেচ্ছা উপহার দিলেন ছাত্রদল নেতা