বৃহস্পতিবার, ১০ এপ্রিল ২০২৫ | ২৭ চৈত্র ১৪৩১
Dhaka Prokash

প্রশ্নবিদ্ধ সাংবাদিকতা: উত্তরণের পথ (৪)

স্বার্থের দ্বন্দ্বে পরাজিত সাংগঠনিক শক্তি

সাংবাদিকতা। পেশাটি এখনও মহান। সম্মানের। এর বিপরীতে প্রতি কদমেই রয়েছে প্রলোভনের টোপ। পদবির উচ্চতা অনুযায়ী প্লট, টেলিভিশন বা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স, বিদেশ ভ্রমণের আগে ডলারের খাম। আর একটু নিচে তাকালে চোখে পড়বে জন্মদিনে স্মার্ট টিভি উপহার; এমনকি থানা থেকে একশ টাকার ফ্লেক্সিলোডও। হয়তো সংখ্যায় তারা কমই; কিন্তু এর নেতিবাচক প্রভাব বড় বেশি শক্তিশালী। ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় ঠেলে দিচ্ছেন পাশের সহকর্মীকে। পেশাটি ক্রমেই হয়ে উঠছে আরও চ্যালেঞ্জিং। আর রাজনীতি চলছে ‘ইউ আর আইদার উইথ মি অর এগেইনস্ট মি’ নীতিতে। দলীয় রাজনীতির বিভাজক দেওয়ালের পুরুত্ব বাড়ছে দিনকে দিন। স্বার্থের দ্বন্দ্বে পরাজিত সাংগঠনিক শক্তি। পরিণত হয়েছে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র তাবুতে। তবু সাংবাদিকতা আছে, থাকবে; কিন্তু উত্তরণের পথই বা কী? এসব সমস্যার সমাধান নিয়ে ঢাকাপ্রকাশের পক্ষ থেকে মুখোমুখি হওয়া গণমাধ্যম গবেষক, বিশেষজ্ঞ ও সাংবাদিকদের। তাদের মতামতের ভিত্তিতে ‘প্রশ্নবিদ্ধ সাংবাদিকতা: উত্তরণের পথ’ শীর্ষক ঢাকাপ্রকাশের ধারাবহিক এ আয়োজনে আজ থাকছে চতুর্থ পর্ব

গণমাধ্যমের স্বাধীনতা থেকে শুরু করে নানা দাবি আদায়ের জন্য সাংবাদিকদের প্রয়োজন একটি শক্তিশালী সংগঠন; কিন্তু রাজনৈতিক বিভক্তির কারণে সাংগঠনিক শক্তি দুর্বল হয়ে পড়েছে।
এ প্রসঙ্গে কথাসাহিত্যিক ও অধ্যাপক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম বলেন, ‘শক্তির জায়গা তখনই আসবে, যখন সাংবাদিকরা নিজেদের বিএনপিপন্থী, আওয়ামী লীগপন্থী, বামপন্থী–থেকে বেরিয়ে এসে, সৎ সাংবাদিকতাপন্থী বলে মনে করবে। একটি প্ল্যাটফর্মে দাঁড়িয়ে সততার চর্চা করে দেখাতে এবং প্রমাণসহ যখন প্রতিষ্ঠিত করতে পারবেন, তখন পাঠকরাও তাদের সমর্থনে এগিয়ে আসবে। বৃহত্তর পাঠক সংযুক্তি না থাকলে একটা লড়াই করা কঠিন হয়ে যায়। আর পাঠক তখনই সমর্থন দেবে, যখন তারা দেখবে তার স্বার্থে সাংবাদিক লড়াই করবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘রাজনীতিতেও অনেক সৎ মানুষ আছেন, যারা দেশের উন্নতি চান, সৎ সাংবাদিকতা চান, তাদেরও সক্রিয় করতে হবে। এ ক্ষেত্রে সাংবাদিকদেরও সততার প্রমাণ দিতে হবে। তাহলে সেসব লোক সাংবাদিকদের পক্ষে কথা বলবেন। সাংবাদিকদের দোনোমনা থেকে বের হতে হবে।’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, ‘রাজনৈতিক ভিন্নতা থাকতে পারে তবে সংবাদ পরিবেশনের ক্ষেত্রে বস্তুনিষ্ঠতার বাইরে কিছু চিন্তা করা যাবে না। সাংবাদিক নেতারা যদি এ বিষয়ে একটি জায়গায় অবস্থান নিতে পারে তাহলে দেশের জন্য মঙ্গল হবে। তবে একটি দেশের স্বাধীনতা, স্বকীয়তা, সাতন্ত্র্যর ক্ষেত্রে কোনো বিভেদ মেনে নেওয়া যায় না। তবে সেটি ঘটেছে অনেক পেশায়।’

আরো পড়ুন

ক্ষমতাবান ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠান সাংবাদিকতার প্রতিবন্ধক

সাংবাদিকদের রাজনৈতিক সম্পৃক্ততার বিষয়ে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ আলম খান তপু বলেন, ‘একজন মানুষের দর্শন বা রাজনৈতিক বিশ্বাস না থাকলে তিনি সাংবাদিকতা করতেও পারবেন না; কিন্তু সংবাদ পরিবেশেনের ক্ষেত্রে রাজনৈতিক মতাদর্শের প্রয়োগ হচ্ছে কি না, সেটি গুরুত্বপূর্ণ।’

এ প্রসঙ্গে একই রকম মত দিয়েছেন ডিবিসি নিউজের সম্পাদক ও গণমাধ্যম গবেষক জায়েদুল আহসান পিন্টু। তিনি বলেন, ‘সাংবাদিকদের রাজনৈতিক মোটিভেশন থাকাও উচিত। পাকিস্তান আমলে আমরা বাংলাদেশ স্বাধীনের জন্য পাকিস্তানের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছিলাম। পক্ষ-বিপক্ষ থাকবে; কিন্তু রিপোর্টিংয়ের ক্ষেত্রে সে সুযোগ নেই। সে ক্ষেত্রে মতামত লিখতে পারেন।’

সাংবাদিক সংগঠন ও ইউনিয়নগুলোর নির্বাচনে দলীয় প্রভাবের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘যদিও ঘোষণা দেয় না আমরা আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জামাত, জাতীয় পার্টি করি, কিন্তু এটা স্পষ্ট দুটা ভিন্ন আদর্শের সাংবাদিকতার সংগঠন। ৯৩ সালে আওয়ামীপন্থী সাংবাদিক ইউনিয়ন, বিএনপিপন্থী সাংবাদিক ইউনিয়ন হয়ে গেল। যেটা সাংবাদিকদের জন্য সবচেয়ে বড় ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।‘

সাংবাদিকদের রাজনৈতিক বিভাজনের কারণেই সরকারের লোকজন যা চায়, তা অনায়াসে করে নিতে পারে বলে মনে করেন জ্যেষ্ঠ এ সাংবাদিক। তিনি বলেন, ‘সাংবাদিকদের ভেতরে যখন রাজনৈতিক বিভাজনের কারণে মালিক শ্রেণি এক ধরনের শোষণ করে, আবার সরকারের পক্ষ থেকেও এক ধরনের শোষণ বা চাপ সৃষ্টি করা হয়। আমরা যদি এক হয়ে প্রতিবাদটা করতে পারতাম সরকার সেখান থেকে সরে আসত।’

রাজনৈতিক বিভাজন থেকে বেরিয়ে এসে একটি প্ল্যাটফর্মে দাঁড়ানো সম্ভব কি না–এমন প্রশ্নের জবাবে এ গণমাধ্যম গবেষক বলেন, ‘বের হয়ে আসা কঠিন, তবে সম্ভব। রাজনৈতিক বিভাজন এত বেশি যে, সেখান থেকে বের হয়ে আসা সময়সাপেক্ষ ব্যাপার। রাজনৈতিকভাবে সুবিধাপ্রাপ্ত বলেই এত বিভাজন। তবে এটা মনে করা যাবে না যে, সব সাংবাদিক রাজনৈতিকভাবে সুবিধাপ্রাপ্ত। এখান থেকে বের হতে হলে সিনিয়র সাংবাদিকদের একটি কমন প্ল্যাটফর্মে আসতে হবে আর জুনিয়রদের কাছ থেকে একটা চাপও আসতে হবে।’

আরো পড়ুন

স্বাধীন সাংবাদিকতার পরিপন্থী ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন

যে কোনো পেশাজীবীদের ন্যায্য দাবি আদায়ের জন্য পেশাসংশ্লিষ্ট সংগঠন বা ইউনিয়ন থাকে। সাংবাদিকদেরও রয়েছে তেমন ইউনিয়ন বা ক্লাব। প্রেসক্লাব, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন, ফেডালের সাংবাদিক ইউনিয়ন, সাব এডিটরস কাউন্সিল। এ ছাড়া রয়েছে নানা বিটভিত্তিক ও অঞ্চলভিত্তিক সাংবাদিক সংগঠন। সংগঠনের অভাব নেই, তবে অভাব আছে শক্তির। স্বার্থের দ্বন্দ্বে পরাজিত হয়েছে সাংগঠনিক শক্তি।

এত সাংবাদিক সংগঠনের প্রয়োজনীয়তা প্রসঙ্গে সাংবাদিক নেতা সাজ্জাদ আলম খান তপু বলেন, ‘বিশেষায়িত বিট যেমন–বিজনেস, স্পোর্টসের ক্ষেত্রে আলাদা সংগঠন প্রয়োজন হতে পারে। সংগঠন করা দরকার স্বাধীন সাংবাদিকতা প্রবাহে নিজেদের সম্পৃক্ত করতে। সাংবাদিকতাকে বাধাগ্রস্ত করতে নয়। তবে কল্যাণমূলক কনসার্ট, অধিকার প্রতিষ্ঠার লড়াই, মর্যাদার লড়াইয়ের জন্য সংগঠন দরকার।’

তবে এ ব্যাপারে ভিন্ন মত দিলেন ডিবিসি নিউজের সম্পাদক জায়েদুল আহসান পিন্টু। তিনি বলেন, ‘সাংবাদিকদের এত সংগঠনের দরকার হতো না যদি মাদার অরগানাইজেশন (মূল প্রতিষ্ঠান) ঠিক থাকত। একটি প্রেসক্লাব ও একটি সাংবাদিক ইউনিয়ন যথেষ্ট। প্রেসক্লাবে সাংবাদিকরা আড্ডা দেবে। এর মধ্যে নানা জ্ঞানের আলোচনা হবে, খেলাধুলা হবে, বিনোদনও হবে। আর পেশাগত উন্নয়ন, রুটি-রুজি, অনিয়ম প্রতিরোধে, ন্যায্যতা আদায়ের জন্য সাংবাদিক ইউনিয়ন থাকবে। এ দুটি প্রতিষ্ঠান যদি ঠিকমতো কাজ করে, তাহলে তৃতীয় প্রতিষ্ঠানের দরকার হতো না।’

তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘এক সময় পেশাদার সাংবাদিকরা প্রেসক্লাবে ঢুকতে পারতেন না। এখানেও আওয়ামী লীগ-বিএনপির লোক দেখে বাছাই করা হতো, কে সদস্য হবে, কে হবে না। এসব কারণে সেখান থেকে বের হয়ে রিপোর্টাস ইউনিটি করতে হয়েছে।’

রাজনৈতিক বিভক্তি, সাংগঠনিক দুর্বলতার বাইরেও সাংবাদিকতা আক্রান্ত আরেকটি রোগে। ঘুষ বা দুর্নীতির আশ্রয় নেওয়া। দুর্নীতির খবর ফাঁস করার হুমকি দেওয়া, টাকার বিনিময়ে মিথ্যা খবর দেওয়া বা খবর বন্ধ করা। এসব ক্ষেত্রে ঘুষের পরিমাণও নির্ধারিত হয় পদের ওজন বুঝে।

আরো পড়ুন

গোপন সমঝোতার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে সাংবাদিকতা

চাকরির নিশ্চয়তা, আর্থিক সচ্ছলতা না থাকার কারণে সাংবাদিকদের দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়ার কোনো সম্পর্ক আছে কি না–এমন প্রশ্নের জবাবে সাজ্জাদ আলম খান বলেন, ‘অল্প বেতন পেলেই দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়লে, সাংবাদিকতায় না আসা ভালো। তবে আমরা ন্যায্য বেতন চাই। ওয়েজ বোর্ড অনুযায়ী বেতন চাচ্ছি। একটি ভালো প্রতিষ্ঠানই পারে সাংবাদিকতার ভালো ক্ষেত্র তৈরি করতে। এখানে ব্ল্যাকমেইলিং বা কাউকে করায়ত্ব করার সুযোগ থাকেব না। এজন্য ভালো বেতন, প্রতিষ্ঠান ও মর্যাদা থাকা দরকার। এ ছাড়া আইনিভাবেও সুরক্ষা দিতে হবে।’

সাংবাদিকদের বেতন অনেক কম দেওয়া হয় স্বীকার করে ডিবিসি নিউজের সম্পাদক জায়েদুল আহসান পিন্টু বলেন, ‘সাংবাদিকদের যে বেতন দেওয়া হয়, তা দিয়ে সংসার চলে না। তাই বলে অনিয়ম করবে তা হবে না। তাহলে কেউ রিকশা চালাত না, সবাই ডাকাতিই করত।’

তবে প্রতিষ্ঠানের আধিক্য উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘বাজার ছোট টেলিভিশন বা গণমাধ্যমের সংখ্যা বেশি। অত প্রতিষ্ঠানের দরকার কী?’

কর্মসংস্থানের ব্যবস্থার প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘যখন ৪০টি টেলিভিশন ছিল না, তখন সব মানুষ কী বেকার ছিল? বিকল্প বের হয়ে যায়।’

শুধু ব্যক্তিগত পর্যায় থেকে নয়, ইদানিং সাংগঠনিকভাবেও উপহার গ্রহণ, পিকনিক বা অনুষ্ঠানের চাঁদা নেওয়া হচ্ছে। এ প্রসঙ্গে সাংবাদিক নেতা সাজ্জাদ আলম খান তপু বলেন, ‘কল্যাণমূলক বা অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য কোনো সভা, সেমিনার বা বিনোদমূলক কর্মসূচির প্রয়োজনে অনুদান সংগ্রহ সেটি একরকম। আর যদি ব্ল্যাকমেইলিং বা জোরদবদস্তিমূলক হয়, সেটি অবশ্যই নিন্দনীয় ও অপরাধযোগ্য বিষয়।’

তবে এসবের দৃঢ় প্রতিবাদ করেন জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক জায়েদুল আহসান পিন্টু। তিনি বলেন, ‘এগুলো নেওয়া মানে স্বার্থের দ্বন্দ্ব (কনফ্লিক্ট অব ইন্টারেস্ট) বেড়ে যায়। যখনই আপনি কারো কাছ থেকে সুবিধা নেবেন, তখন আপনি মানসিকভাবে তার কাছে দায়বদ্ধ থেকে যাচ্ছেন। সেই জায়গায় আমি মনে করি এগুলো স্ট্রিক্টলি নিষিদ্ধ করা উচিত। আমরা চাঁদা দিয়ে যাব, চাঁদা দেওয়ার ক্ষমতা না থাকলে অফিসকে বলা যেতে পারে। আপনি যখন বাইরের অফিস থেকে নেবেন, সেটি আপনার আচরণবিধির লঙ্ঘন। সংগঠনগুলো কাজটি করে সাংবাদিকদের নৈতিকতাবিরোধী কাজ করছে। এ ধরনের সুবিধা নেব না বলে আচরণবিধি তৈরি করা দরকার। রাষ্ট্রের কাছ থেকে নেওয়া যায়, রাষ্ট্রের টাকা মানে জনগণের টাকা। সরকারের দায়িত্ব পেট্রোনাইজ করা।’

এসএন/এসএ/

Header Ad
Header Ad

সরকারে এলে প্রথম ১৮ মাসে ১ কোটি কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করবে বিএনপি

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নির্বাচিত হয়ে সরকার গঠন করতে পারলে প্রথম ১৮ মাসে বিএনপি ১ কোটি কর্মসংস্থান বা চাকরির ব্যবস্থা করবে। ২০৩৪ সালে জিডিপির লক্ষ্যমাত্রা ১ ট্রিলিয়ন ডলার নির্ধারণ করেছে বিএনপি। এ ছাড়া জনগণের ঘাড় থেকে বাড়তি করের লাগাম টেনে ধরা, মানুষের মন থেকে করের ভয় দূর করে কীভাবে কর আহরণ বাড়ানো যায়, তা নিয়েও দলটি কাজ করতে চায়।

বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) আয়োজনে বিনিয়োগ সম্মেলন ২০২৫–এ অংশ নিয়ে বিএনপি এসব পরিকল্পনার কথা জানিয়েছে। বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে এসব তথ্য জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

‘১ ট্রিলিয়ন ডলার ইকোনমি’ শিরোনামে দেওয়া ওই পোস্টে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর লিখেছেন, জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি নির্বাচিত হয়ে সরকার গঠন করতে পারলে প্রথম ১৮ মাসে ১ কোটি কর্মসংস্থান বা চাকরির ব্যবস্থা করবে। প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ (এফডিআই)/মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) লক্ষ্যমাত্রার শূন্য দশমিক ৪৫ শতাংশ থেকে জিডিপির ২ দশমিক ৫ শতাংশে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছে বিএনপি। ২০৩৪ সালে জিডিপির লক্ষ্যমাত্রা ১ ট্রিলিয়ন ডলার নির্ধারণ করেছে বিএনপি। জনগণের ঘাড় থেকে বাড়তি করের লাগাম টেনে ধরা, মানুষের মন থেকে করের ভয় দূর করে কীভাবে কর আহরণ বৃদ্ধি করা যায়, তা নিয়েও কাজ করতে চায় বিএনপি।

বাংলাদেশে বিদেশি বিনিয়োগ বা এফডিআইকে জনপ্রিয় করতে বিএনপি ১১টি রেগুলেটরি পরিবর্তনের প্রস্তাব করেছে বলেও পোস্টে উল্লেখ করেন মির্জা ফখরুল। এর মধ্যে আটটি প্রস্তাবের কথা তুলে ধরেছেন তিনি। এগুলো হলো বিডাকে কার্যকর করা, ভিসা বা ওয়ার্ক পারমিট বিধির আধুনিকীকরণ, বিনিয়োগকারীদের জন্য ২৪x৭ (দিনে ২৪ ঘণ্টা ও সপ্তাহে ৭ দিন) সেবা চালু করা, স্বয়ংক্রিয় মুনাফা প্রত্যাবাসনের ব্যবস্থা, স্থানীয়ভাবে দক্ষ জনশক্তির ব্যবস্থা করা, বিনিয়োগকারীদের নিরাপত্তা আইন প্রণয়নের সঙ্গে অবকাঠামোগত উন্নয়ন, মানবসম্পদের কর্মদক্ষতা বৃদ্ধির ব্যবস্থা নেওয়া এবং প্রকৃত প্রশিক্ষণ ও প্রণোদনার ব্যবস্থা করে বৈদেশিক কর্মসংস্থানের পরিমাণ ও আওতা বৃদ্ধি।

সরকার গঠন করতে পারলে দেশের মানবসম্পদের কর্মদক্ষতা বৃদ্ধির ব্যবস্থা নেওয়া, প্রকৃত প্রশিক্ষণ ও প্রণোদনার ব্যবস্থা করে বৈদেশিক কর্মসংস্থানের পরিমাণ ও আওতা বৃদ্ধির জন্য বিএনপি অতীতের চেয়েও ব্যাপক সফলতা অর্জন করতে চায় বলে জানান মির্জা ফখরুল। পোস্টে তিনি জানান, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বিনিয়োগ সম্মেলন উপলক্ষে এক শুভেচ্ছাবার্তায় তিনটি বিষয় বলেছেন। এগুলো হলো ঐক্যই ভবিষ্যৎ জাতীয় উন্নয়নের সোপান, এফডিআই আকৃষ্ট করতে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সরকার আইন করেছিল এবং দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার সরকারগুলোর বিনিয়োগবান্ধব নীতি ছিল।

Header Ad
Header Ad

চুয়াডাঙ্গা সীমান্তে বিজিবি-বিএসএফের কমান্ডার পর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত

চুয়াডাঙ্গা সীমান্তে বিজিবি-বিএসএফের কমান্ডার পর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

চুয়াডাঙ্গা সীমান্তে বিজিবি-বিএসএফ ব্যাটালিয়ন কমান্ডার পর্যায়ে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) বেলা ১১ টা থেকে ‍দুপুর ১২ টা ২০ মিনিট পর্যন্ত চুয়াডাঙ্গা ব্যাটালিয়ন (৬ বিজিবি) এর দায়িত্বপূর্ণ এলাকা মেহেরপুর জেলার ইছাখালি সীমান্ত এলাকার মেইন পিলার ১২৪ এর নিকট শূন্য রেখা বরাবর ভারতীয় পার্শ্বে বিএসএফ নব চন্দ্রপুর ক্যাম্পে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

বিজিবি সূত্র জানায়, চুয়াডাঙ্গা ব্যাটালিয়ন (৬ বিজিবি) এবং প্রতিপক্ষ ৫৬ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের সাথে ব্যাটালিয়ন কমান্ডার পর্যায়ে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে বিজিবি’র পক্ষে চুয়াডাঙ্গা ব্যাটালিয়ন (৬ বিজিবি) এর অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. নাজমুল হাসান স্টাফ অফিসারসহ মোট ৯ সদস্যের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব প্রদান করেন।

অপরদিকে বিএসএফ এর পক্ষে ৫৬ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের কমান্ড্যান্ট শ্রী বিনয় কুমার তাঁর স্টাফ অফিসারসহ ৮ সদস্য বিশিষ্ট প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন।

বৈঠকের শুরুতে উভয় পক্ষ ঈদ-উল-ফিতর পরবর্তী শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। শুভেচ্ছা বিনিময়ের পর উভয় ব্যাটালিয়ন কমান্ডার সীমান্ত এলাকায় শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখার লক্ষ্যে চোরাচালান প্রতিরোধ, অবৈধ অনুপ্রবেশ রোধ, যৌথ টহল তৎপরতা জোরদারকরণ এবং গোয়েন্দা নজরদারির বিষয়সমূহে বিস্তারিত আলোচনা করেন। সীমান্তকে অধিক সুসংহত ও কার্যকরী করার লক্ষ্যে বিজিবি-বিএসএফ যৌথভাবে কার্যক্রম পরিচালনার বিষয়ে ব্যাটালিয়ন কমান্ডারগণ একমত পোষণ করেন। এছাড়াও, সীমান্তে দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে উভয় দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে পারস্পরিক সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখা ও সীমান্ত সংক্রান্ত যে কোনো গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার তাৎক্ষণিক তথ্য আদান-প্রদানের বিষয়ে উভয় ব্যাটালিয়ন কমান্ডারগণ সম্মত হন।

বৈঠক শেষে উভয় ব্যাটালিয়ন কমান্ডার মেইন পিলার ১২৪ সহ তৎসংলগ্ন সীমান্ত পিলারসমূহ যৌথভাবে পায়ে হেঁটে পরিদর্শন করেন।
দু’দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে বিদ্যমান সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় করার প্রত্যয় ব্যক্ত করে আন্তরিক ও সদ্ভাবপূর্ণ পরিবেশে বৈঠক শেষ হয়।

Header Ad
Header Ad

আবারও চেন্নাইয়ের অধিনায়ক হলেন ধোনি

মহেন্দ্র সিং ধোনি। ছবি: সংগৃহীত

আবারও চেন্নাই সুপার কিংসের নেতৃত্বে ফিরলেন 'ক্যাপ্টেন কুল' মহেন্দ্র সিং ধোনি। ইনজুরির কারণে সরে দাঁড়াতে বাধ্য হয়েছেন তরুণ অধিনায়ক ঋতুরাজ গাইকোয়াড়। তার অনুপস্থিতিতে হাল ধরলেন অভিজ্ঞ ধোনি।

আইপিএল ২০২৫-এর মাঝপথে এসে বড়সড় পরিবর্তন আনলো চেন্নাই সুপার কিংস। দলের কোচ স্টিফেন ফ্লেমিং নিশ্চিত করেছেন, চেন্নাইয়ের নেতৃত্ব আবারও ধোনির কাঁধেই তুলে দেওয়া হয়েছে।

ফ্লেমিং বলেন, "আমাদের হাতে বেশ কয়েকটি নেতৃত্বের বিকল্প থাকলেও ধোনির অভিজ্ঞতাই আমাদের চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছে দেয়। ধোনি পরিস্থিতি বিবেচনা করে নিজেই সম্মত হয়েছেন দায়িত্ব নিতে।"

গত মৌসুম থেকে অধিনায়কত্ব সামলাচ্ছিলেন তরুণ ব্যাটার ঋতুরাজ গাইকোয়াড়। চলতি মৌসুমেও তাকেই সামনে রেখে প্রস্তুতি নেয় চেন্নাই। তবে কনুইয়ের ইনজুরিতে আইপিএলের বাকি অংশ থেকে ছিটকে পড়েন তিনি। ফলে ফের নেতৃত্বভার ফিরে গেল ধোনির হাতে।

২০২৩ আইপিএলের ফাইনালে চেন্নাইকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন ধোনি। তার কৌশলী নেতৃত্বেই সিএসকে ঘরে তোলে পঞ্চম শিরোপা। এর আগেও তিনি নেতৃত্ব ছেড়েছিলেন, কিন্তু সেসময় অধিনায়কত্বে ব্যর্থ হন রবীন্দ্র জাদেজা। পরে আবার দায়িত্ব নেন ধোনি, এবং প্রমাণ করেন—বয়স শুধুই সংখ্যা, অভিজ্ঞতা কখনও পুরনো হয় না।

চলতি মৌসুমে অবশ্য চেন্নাইয়ের পারফরম্যান্স আশানুরূপ নয়। এখন পর্যন্ত পাঁচ ম্যাচে মাত্র একটি জয়ে পয়েন্ট তালিকার ৯ নম্বরে রয়েছে দলটি। এই মুহূর্তে দলকে নতুন করে উজ্জীবিত করতে পারে ধোনির নেতৃত্ব, এমনটাই আশা ভক্ত-সমর্থকদের।

আগামীকাল শুক্রবার ধোনির অধীনে চেন্নাই মাঠে নামবে কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিপক্ষে। ম্যাচটি হতে পারে দলের ঘুরে দাঁড়ানোর টার্নিং পয়েন্ট।

এদিকে ভারতের সাবেক অধিনায়ক সৌরভ গাঙ্গুলিও ধোনিকে আবারও অধিনায়ক হিসেবে দেখতে চেয়েছিলেন। সম্প্রতি তিনি বলেন, “আমি জানি না চেন্নাই ম্যানেজমেন্ট কী ভাবছে, তবে ধোনি যেহেতু এখনো খেলছে, তার অভিজ্ঞতা কাজে লাগানো উচিত। সে চেন্নাইয়ের জন্য সেরা সিদ্ধান্ত নেবে, এতে কোনো সন্দেহ নেই।”

অন্যদিকে পয়েন্ট টেবিলে এখন শীর্ষে গুজরাট টাইটান্স, দ্বিতীয় স্থানে দিল্লি ক্যাপিটালস, তৃতীয়তে রয়েছে বিরাট কোহলির রয়েল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। সমান ম্যাচে সমান জয়ে চারে পাঞ্জাব কিংস। তবে শিরোপাধারী কেকেআর রয়েছে ছয়ে, পাঁচ ম্যাচে দুটো জয় নিয়ে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

সরকারে এলে প্রথম ১৮ মাসে ১ কোটি কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করবে বিএনপি
চুয়াডাঙ্গা সীমান্তে বিজিবি-বিএসএফের কমান্ডার পর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত
আবারও চেন্নাইয়ের অধিনায়ক হলেন ধোনি
‘ক্রিম আপা’ খ্যাত কন্টেন্ট ক্রিয়েটর শারমিন শিলা গ্রেফতার
দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ দামে সোনা, ভরি ১ লাখ ৫৯ হাজার টাকা
ভিন্ন ধর্মের ছেলের সঙ্গে প্রেম, বাবার হাতে প্রাণ গেল মেয়ের
পোল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত হলেন সাবেক আইজিপি ময়নুল
জেনে নিন গ্রীষ্মে সুস্বাদু আর উপকারী কাঁচা আমের ১১টি বিস্ময়কর গুণ
এসএসসি পরীক্ষা না দিয়ে প্রেমিকের বাড়িতে অনশনে কিশোরী
সাধারণ মানুষ চায় এই সরকার আরো ৫ বছর থাকুক: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
ফিলিস্তিনে গণহত্যার প্রতিবাদে টাঙ্গাইলে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের মানববন্ধন (ভিডিও)
জিয়াউর রহমান বেঁচে থাকলে ইসরায়েল এমন অপকর্মের সাহস পেত না: মির্জা আব্বাস (ভিডিও)
নওগাঁয় গাছ কাটাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে নিহত ২
বাংলাদেশ রেলওয়ের দুই কর্মকর্তাকে পদায়ন ও বদলি
২০ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে বাংলাদেশে হাসপাতাল বানাচ্ছে মার্কিন কোম্পানি
কাদের-কামালসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের রেড নোটিশ জারি করতে চিঠি
সিলেটে থানায় লালগালিচা দেখে ক্ষোভ ঝাড়লেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
দিল্লিতে লিঙ্গ পরিবর্তনের চিকিৎসা নিতে এসে গ্রেপ্তার ৫ বাংলাদেশি
রবিবার ৩ জেলায় সাধারণ ছুটি, সবমিলিয়ে টানা ৪ দিনের অবকাশ
এসএসসির ফল ৬০ দিনে প্রকাশের চেষ্টা করা হবে: শিক্ষা উপদেষ্টা