মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫ | ১৬ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

পঞ্চবটি-মুক্তারপুর এলিভেটেড সড়ক নির্মাণ প্রকল্পে অনিয়ম

নারায়ণগঞ্জের পঞ্চবটি থেকে মুন্সিগঞ্জের মুক্তারপুর সেতু পর্যন্ত সড়ক প্রশস্তকরণ এবং এলিভেটেড সড়ক (দোতলা সড়ক) নির্মাণ কাজের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান নিয়োগের ক্ষেত্রে গুরুতর অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। নির্মাণকাজের অভিজ্ঞতা নেই এমন একটি চায়না প্রতিষ্ঠানকে ঠিকাদার হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে সেতু কর্তৃপক্ষ।

অভিযোগ উঠেছে, চীনের শ্যানডং লুকিয়াও গ্রুপ কোস্পানি লিমিটেড (এসডিএলকিউ) এবং শ্যানডং ইন্টারন্যাশনাল ইকোনমিক এন্ড টেকনিক্যাল কো-অপারেশন গ্রুপ লিমিটেড (সিএসআই) নামের ওই প্রতিষ্ঠানকে কাজ পাইয়ে দিতে অনিয়মের আশ্রয় নিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

সেতু বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, পঞ্চবটি থেকে মুক্তারপুর সেতু পর্যন্ত সড়ক প্রশস্তকরণ এবং একটি এলিভেটেড সড়ক নির্মাণের প্রকল্প গ্রহণ করেছে সেতু বিভাগ। এই প্রকল্পে প্রাক্কলিত ব্যয় ধরা হয়েছে দুই হাজার ২৪২ কোটি ৭৭ লাখ ৪৫ হাজার টাকা। সরকার এবং সেতু বিভাগের নিজস্ব অর্থায়নে এই প্রকল্প বাস্তবায়নকাল ধরা হয়েছে ১ জানুয়ারি ২০২১ সাল থেকে ৩০ জুন ২০২৫ সাল পর্যন্ত।।

এই প্রকল্পের জন্য সর্বনিন্ম দরদাতা হিসেবে চীনের শ্যানডং লুকিয়াও গ্রুপ কোস্পানি এবং শ্যানডং ইন্টারন্যাশনাল ইকোনমিক এন্ড টেকনিক্যাল কো-অপারেশন গ্রুপ লিমিটেডের সঙ্গে সম্প্রতি নির্মাণকাজের চুক্তি করেছে সেতু কর্তৃপক্ষ। চুক্তি অনুযায়ি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান এক হাজার ২০৬ কোটি ৬ লাখ ৬৯ হাজার ৩৫৬ টাকায় সড়ক প্রশস্তকরণ এবং এলিভেটেড সড়ক নির্মাণ কাজ করবে।

এই প্রকল্পের আওতায় পঞ্চবটি থেকে ‍মুক্তারপুর সেতু পর্যন্ত ১০ দশমিক ৩৭ কিলোমিটার এ্যা-গ্রেড সড়ক প্রশস্তকরণ, ৯ দশমিক ০৬ কিলোমিটার এলিভেটেড সড়ক নির্মাণ (যারমধ্যে র‌্যাম্প হচ্ছে ২ দশমিক ৮০৫কিলোমিটার), ১৭ দশমিক ৬১ কিলোমিটার ড্রেন, চারটি টোল প্লাজা এবং পাঁচটি ওজন স্কেল নির্মাণ করবে শ্যানডং।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, এই প্রকল্পটি বাস্তবায়নের জন্য সেতু বিভাগ 'এক ধাপ দুই খাম' পদ্ধতিতে’ দরপত্র আহ্বান করেছিল গত বছরের ৮ মার্চ। সেখানে দেশি-বিদেশি ১৪টি নির্মাণ প্রতিষ্ঠান অংশ নিয়েছিল। এরমধ্যে তিনটি বাংলাদেশি কোম্পানির একটি জেভি, কোরিয়া-বাংলাদেশের একটি জেভি, চীনের দুটি কোম্পানি এককভাবে, চীন-বাংলাদেশের চারটি জেভি এবং চীনের ১২টি কোম্পানি ছয়টি জেভি গঠন করে অংশ নেয়।

১৪টি প্রতিষ্ঠানের অংশগ্রহণে দরপত্রটি প্রতিযোগিতামূলক হলেও সাত সদস্যের দরপত্র কমিটি মূল্যায়ন করে কারিগরিভাবে ১০ দরদাতাকে অযোগ্য ঘোষণা করে। বাকি চারটি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সর্বনিন্ম দরদাতা হিসেবে চীনের শ্যানডং লুকিয়াও গ্রুপ কোস্পানি এবং শ্যানডং ইন্টারন্যাশনাল ইকোনমিক এন্ড টেকনিক্যাল কো-অপারেশন গ্রুপ লিমিটেডকে কাজ দেওয়া হয়।

বিভিন্ন সূত্রে প্রাপ্ত তথ্য ও অভিযোগ থেকে জানা গেছে, ‘একধাপ দুই খাম ‘ পদ্ধতিতে দরপত্র আহ্বান করলেও ১৪ দরদাতার সিলগালা আর্থিক প্রস্তাব বিবিএ এর হেফাজতে ছিল। সিআইসি ও জেভি অংশীদার শ্যানডং লুকিয়াও গ্রুপকে সর্বনিন্ম দরদাতা দেখিয়ে কাজ পাইয়ে দিতে আর্থিক প্রস্তাব খুলে যাদের দর এক হাজার ২০৬ কোটি টাকার নিচে পাওয়া গেছে তাদেরকে কারিগরি মূল্যায়নে নানান কারণ দেখিয়ে অযোগ্য করা হয়েছে।

জানা গেছে, চীনের সিএসসিএসি, সিআরসিসি-সিসিইসিসি জেভি এবং দক্ষিণ কোরিয়া ও বাংলাদেশের হানিল-সিপিসি জেভি দরপত্রের সকল শর্ত পূরণ করলেও তাদেরকে বাদ দেওয়া হয়েছে ‘সুনির্দিষ্ট অভিজ্ঞতার সনদ’ সংশ্লিষ্ট দেশের বাংলাদেশ মিশন থেকে সত্যায়িত করেনি এই অজুহাতে।

অথচ এই প্রতিষ্ঠানটি মালয়েশিয়ায় ১১ দশমিক ৮ কিলোমিটার দীর্ঘ দুটি দুই লেন সমুদ্র অতিক্রমকারী সেতু নির্মাণের অভিজ্ঞতা সনদ দিয়েছিল কুয়ালালামপুরস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশন থেকে। কিন্তু মূল্যায়ন কমিটি তাদেরকে বাদ দিয়েছে এই বলে যে, তারা চীনের বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে সুনির্দিষ্ট অভিজ্ঞতা সনদ এনডোর্সমেন্ট করেনি বলে।

কিন্তু দরপত্র দলিলের আইটিটি বা দরদাতাদের প্রতি নির্দেশের ১৮ এর ২ অনুচ্ছেদে উল্লেখ করা হয়েছে, অভিজ্ঞতা বাংলাদেশের না হলে সনদ ইংরেজিতে অনুদিত ও সংশ্লিষ্ট দূতাবাস থেকে সত্যায়িত হতে হবে। গত বছরের ৪ এপ্রিল অনুষ্ঠিত প্রাক-দরপত্র সভায় বিবিএ একটি ব্যাখ্যা দিয়ে বলেছিল, ‘বিদেশি দরদাতাদের ক্ষেত্রে অভিজ্ঞতার সনদ সংশ্লিষ্ট দেশের বাংলাদেশ দূতাবাস বা বাংলাদেশে সংশ্লিষ্ট দেশের দূতাবাস থেকে সত্যায়িত হতে হবে’।

অভিযোগ উঠেছে, দরপত্রের অংশগ্রহণের বিষয়ে বিবিএ কর্তৃপক্ষ যেসব শর্ত দিয়েছিল তার অধিকাংশই মূল্যায়ন কমিটি লঙ্ঘন করেছে।

দরপত্র দলিলের ৬৬ এর ১ অনুচ্ছেদ অনুযায়ি সিদ্ধান্তের সাত দিনের মধ্যে দরদাতাকে বাতিলের নোটিশ দেয়ার নিয়ম থাকলেও বিবিএ বাতিল হওয়া ১০ দরদাতাকে কোন নোটিশ দেয়নি। আর যারা চিঠি দিয়ে বিবিএ এর কাছে বাতিলের কারণ জানতে চেয়েছে তারাও কোন জবাব পায়নি।

অভিযোগ উঠেছে, দরদাতার আর্থিক যোগ্যতা যাছাইয়ের বার্ষিক গড় লেনদেন ৫০০ কোটি টাকা বা সাড়ে নয় কোাটি ডলার প্রমাণ হিসেবে সাম্প্রতিক বা শেষ তিন বছরের অডিট রিপোর্ট প্রদানের কথা। অর্থাৎ ২০১৮, ২০১৯ ও ২০২০ সালের অডিট রিপোর্ট জমা দেওয়ার কথা থাকলেও বিবিএ এর চাহিদা অনুযায়ি কয়েকটি কোম্পানি অডিট রিপোর্ট জমা দিলেও শ্যানডং লুকিয়াও গ্রুপ ও সিএসআই জমা দিয়েছে ২০১৭,২০১৮ ও ২০১৯ সালের রিপোর্ট। এমনকি শ্যানডং সরকারি খাত থেকে প্রাপ্ত বিলের সত্যায়িত সনদসহ নির্মাণ খাতের বার্ষিক টার্নওভার জমা দিতে পারেনি।

তাছাড়া অডিট রিপোর্ট অনুযায়ি চায়না শ্যানডং ইন্টারন্যাশনাল হচ্ছে প্রকৌশল কোম্পানি। এটি যে প্রকৃত নির্মাণ প্রতিষ্ঠান সে রকম কোন তথ্য তাদের জমা দেওয়া অডিট রিপোর্টে উঠে আসেনি।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চায়না শ্যানডং ইন্টারন্যাশনাল ইকোনমিক এন্ড টেকনিক্যাল কো-অপারেশন গ্রুপ লিমিটেড(সিআইসি) মূলত এক্সপ্রেসওয়ের ব্যবস্থাপনা বা টোল আদায়কারী প্রতিষ্ঠান। এটি কোন নির্মাণ প্রতিষ্ঠান না হলেও পঞ্চবটি-মুক্তারপুর সড়ক প্রশস্তকরণ এবং এলিভেটেড সড়ক নির্মাণের মত একটি বড় কাজ তাদের হাতেই তুলে দিয়েছে বিবিএ।

এসব অভিযোগ এবং চায়না শ্যানডং এর বিষয়ে জানতে চাইলে পঞ্চবটি-মুক্তারপুর প্রকল্পের পরিচালক মো. শফিক বুধবার ঢাকাপ্রকাশকে বলেন, এসব অভিযোগ সঠিক নয়। কারণ ১৪টি প্রতিষ্ঠানের দরপত্র মূল্যায়ন করে ১০টি বাদ দেওয়া হয়েছে। তারপর বাকি চারটি থেকে সর্বনিন্ম দরদাতা হিসেবে চায়না শ্যানডংকে কাজ দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, যে ১০টি প্রতিষ্ঠানকে বাদ দেওয়া হয়েছে তারা দরপত্রের ক্র্যাইটেরিয়া পূরণ করতে পারেননি।

শফিক বলেন, সাত সদস্যের একটি অভিজ্ঞ মূল্যায়ন কমিটি দরপত্রগুলো মূল্যায়ন করেছে। এসব অভিযোগ আমলে নেওয়ার সুযোগ নেই। এখানে কারচুপির কোন সুযোগ নেই।

প্রকল্প পরিচালক বলেন, শ্যানডং সম্পর্কে আমরা ব্যাপক খোঁজ নিয়েছি। তারা একটি ভালো প্রতিষ্ঠান। ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতেও তারা নির্মাণকাজ করছে।

প্রকল্প পরিচালকের কথার সূত্র ধরে ঢাকাপ্রকাশ শ্যানডং সম্পর্কে খোঁজ নিয়েছিল। তাতে জানা যায়, চায়না শ্যানডং ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেওয়ের নির্মাণ কাজের সঙ্গে যুক্ত নয়। প্রতিষ্ঠানটি ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের একটি আর্থিক অংশিদার প্রতিষ্ঠান। ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে তাদের আর্থিক বিনিয়োগ রয়েছে ৩৪ শতাংশ। আবার তারা যে এই শেয়ার নিয়েছে সেটিও সরকারের অনুমোদন ছাড়া নিয়েছে বলে অভিযোগ আছে। তাছাড়া এখানে তারা কোন নির্মাণকাজ করছে না। নির্মাণ কাজের সঙ্গে তাদের কোন সংশ্লিষ্টতা নেই বলে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের নির্মাণ কাজের সঙ্গে যুক্ত সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে এটা নিশ্চিত হওয়া গেছে

এনএইচবি/কেএফ/

Header Ad
Header Ad

সব রুফটপ রেস্তোরাঁর ট্রেড লাইসেন্স বাতিল

ছবি: সংগৃহীত

নকশাবহির্ভূত রেস্তোরাঁর ট্রেড লাইসেন্স বাতিল করেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)। সোমবার গণমাধ্যমে এক বিজ্ঞপ্তি দিয়ে ট্রেড লাইসেন্স বাতিল করার বিষয়টি জানায় ডিএসসিসি।

এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির ব্যবসায়ীরা। তাঁরা বলছেন, এতে নতুন করে হয়রানিতে পড়বেন ব্যবসায়ীরা।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের আওতাধীন এলাকায় কিছু আবাসিক ও বাণিজ্যিক ভবনের অভ্যন্তরে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) অনুমোদিত নকশায় না থাকলেও বিধিবহির্ভূতভাবে রেস্তোরাঁ (রেস্টুরেন্ট) পরিচালনা করা হচ্ছে এবং ভবনের ছাদে অবৈধভাবে রুফটপ রেস্তোরাঁ পরিচালিত হচ্ছে, যা জনজীবনের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। বিধিবহির্ভূতভাবে রেস্তোরাঁ পরিচালনা করায় এরই মধ্যে বিভিন্ন স্থানে দুর্ঘটনায় প্রাণহানি ও সম্পদহানির ঘটনা ঘটছে। এসব ক্ষেত্রে অনেক অবৈধ ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান অনৈতিক উপায়ে করপোরেশনের ট্রেড লাইসেন্স নিয়েছে।

ডিএসসিসির বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সম্পদ ও জানমালের ঝুঁকি এড়াতে নকশাবহির্ভূত সব রেস্তোরাঁ এবং ভবনের ছাদে স্থাপিত রুফটপ রেস্তোরাঁর ট্রেড লাইসেন্স বাতিল ঘোষণা করা হলো। বাতিল করা লাইসেন্স দিয়ে কোনো ব্যবসা পরিচালনা করা হলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ বিষয়ে ডিএসসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মো. জিল্লুর রহমান বলেন, ‘যেসব রেস্তোরাঁ সঠিক তথ্য না দিয়ে ট্রেড লাইসেন্স নিয়েছে, সেগুলো বাতিল করা হয়েছে। তবে ভবনের অনুমোদন কিন্তু বাতিল করা হয়নি। ভবনের নকশায় রেস্তোরাঁ থাকলে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা সশরীর উপস্থিত হয়ে আমাদের কাছে তথ্য-উপাত্ত দিলে সেগুলো সচল করা হবে।’

বিজ্ঞপ্তি দিয়ে ট্রেড লাইসেন্স বাতিল করার বিষয়টি জানায় ডিএসসিসি। ছবি: সংগৃহীত

অপর এক প্রশ্নের জবাবে জিল্লুর রহমান বলেন, ‘আমরা প্রতিটি রেস্তোরাঁকে আলাদা করে চিঠি পাঠাব।’

ডিএসসিসির এমন সিদ্ধান্তে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির মহাসচিব ইমরান হাসান। তিনি বলেন, কোনো প্রকার আলোচনা না করেই ডিএসসিসি এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে। রেস্তোরাঁ ব্যবসায়ীদের ওপর জুলুম চলছে। ব্যবসাগুলো এক দিনে গড়ে ওঠেনি। রাজউকের পাস করা ভবনের নকশায় রেস্তোরাঁ নেই বললেই চলে। বিগত সরকারের সময় এই জটিলতা নিরসনে একটা টাস্কফোর্স করা হয়েছিল। সেই টাস্কফোর্সের দুটি বৈঠক হয়েছিল। তারপর তো সরকার বদল হয়ে গেল।

ইমরান হাসান বলেন, ‘ট্রেড লাইসেন্স বাতিল করে এখন যদি ডিএসসিসি অভিযানে নামে, তাহলে নতুন করে হয়রানিতে পড়বেন ব্যবসায়ীরা। এমন পরিস্থিতি হলে আমাদের রেস্তোরাঁ বন্ধ করা ছাড়া আর কোনো উপায় থাকবে না।’

গত বছরের ২৯ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর বেইলি রোডে গ্রিন কোজি কটেজ নামের ভবনে ভয়াবহ আগুনে ৪৬ জনের মৃত্যু হয়। এ ঘটনার পর রেস্তোরাঁর অনুমোদন ও অগ্নিনিরাপত্তাব্যবস্থার ঘাটতি সামনে আসে। ওই ভবনে আটটি রেস্তোরাঁ ছিল, তবে ভবনটিতে রেস্তোরাঁ প্রতিষ্ঠার কোনো অনুমোদন ছিল না।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) চার বছর আগে দেশের রেস্তোরাঁ খাত নিয়ে একটি জরিপ করে। সেই জরিপের তথ্যানুযায়ী, ২০২১ সালে দেশে মোট হোটেল ও রেস্তোরাঁ ছিল ৪ লাখ ৩৬ হাজার ২৭৪টি, যা ২০০৯-১০ অর্থবছরের চেয়ে ৫৮ শতাংশ বেশি। সরকারি সংস্থার মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান রয়েছে ৮৫২টি। বাকি সব ব্যক্তি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের মালিকানাধীন।

রেস্তোরাঁ ব্যবসা করতে চাইলে একজন বিনিয়োগকারীকে সরকারের সাতটি সংস্থার অনুমোদন ও ছাড়পত্র নিতে হয়। রেস্তোরাঁর জন্য প্রথমে নিবন্ধন ও পরে লাইসেন্স নিতে হয় সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসকের কাছ থেকে। ঢাকা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের ২০২৪ সালের মার্চ মাসের তথ্য অনুযায়ী, সরকারের সব সংস্থার প্রয়োজনীয় অনুমোদন ও ছাড়পত্র নিয়ে ঢাকায় রেস্তোরাঁ ব্যবসা করছে মাত্র ১৩৪টি প্রতিষ্ঠান। এর মধ্যে রাজধানীর দুই সিটি করপোরেশন এলাকায় রয়েছে ১২৮টি রেস্তোরাঁ।

Header Ad
Header Ad

মানুষের আস্থা ফিরিয়ে আনতে পুলিশের প্রতি প্রধান উপদেষ্টার আহ্বান

মানুষের আস্থা ফিরিয়ে আনতে পুলিশের প্রতি প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের আহ্বান। ছবি: সংগৃহীত

পুলিশ ও জনগণের মধ্যে তৈরি হওয়া দূরত্ব কমিয়ে এনে মানুষের আস্থা পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য পুলিশ বাহিনীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস।

আজ রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সে পুলিশ সপ্তাহ-২০২৫ উদ্বোধনকালে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, “স্বৈরাচারী শাসনের অবৈধ আদেশ পালন করতে গিয়ে পুলিশের অনেক সদস্য জনরোষের মুখে পড়েছেন।” পুলিশকে জনগণের বন্ধু হিসেবে নিজেদের ভাবমূর্তি পুনর্গঠনের পরামর্শ দেন তিনি।

নির্বাচন প্রসঙ্গে প্রধান উপদেষ্টা জানান, আগামী ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের পরিকল্পনা রয়েছে। নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ করতে পুলিশ সদস্যদের আন্তরিক ও দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখার নির্দেশনা দেন তিনি।

Header Ad
Header Ad

নিলামে তুলেও এস আলম গ্রুপের সম্পত্তি বিক্রি করতে পারছে না ব্যাংকগুলো

নিলামে তুলেও এস আলম গ্রুপের সম্পত্তি বিক্রি করতে পারছে না ব্যাংকগুলো। ছবি: সংগৃহীত

বারবার নিলাম ডেকেও এস আলম গ্রুপের বন্ধকী সম্পত্তির কোনো ক্রেতা খুঁজে পাচ্ছে না দেশের ব্যাংকগুলো। ফলে ঋণ আদায়ে এখন বাধ্য হয়ে অর্থ ঋণ আদালতের শরণাপন্ন হচ্ছে তারা। এতে পুরো প্রক্রিয়া দীর্ঘায়িত ও জটিল হয়ে পড়েছে।

চট্টগ্রামভিত্তিক এই শিল্পগোষ্ঠী ইসলামী ব্যাংকসহ বিভিন্ন ব্যাংক থেকে হাজার কোটি টাকা ঋণ নিয়ে খেলাপি হয়েছে। উদাহরণস্বরূপ, জনতা ব্যাংক ১০,৭০০ কোটি টাকার বিপরীতে ছয়বার নিলাম ডেকেও কোনো সাড়া পায়নি। একইভাবে ইসলামী ব্যাংকও সাত দফা নিলাম আয়োজন করেও ব্যর্থ হয়েছে, যার মধ্যে আইডিয়াল ফ্লাওয়ার মিলসের ১,১০০ কোটি টাকার ঋণ সংক্রান্ত নিলামও অন্তর্ভুক্ত।

সাম্প্রতিক সময়ে এস আলম গ্রুপের একাধিক স্টিল মিল, বিদ্যুৎকেন্দ্র ও জমি নিলামে তোলা হলেও দরপত্র জমা পড়েনি। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, আইনি প্রক্রিয়া পূরণের জন্যই তারা এসব নিলাম ডাকছেন, যদিও আগ্রহী ক্রেতার দেখা মিলছে না। অনেকেই এই বিষয়টিকে ভয় পাচ্ছেন বলে উল্লেখ করেন তারা।

অভিযোগ রয়েছে, এস আলম গ্রুপ সরাসরি ও পরোক্ষভাবে ইসলামী ব্যাংক থেকে প্রায় ১ লাখ ৫ হাজার কোটি টাকা ঋণ নিয়েছে, যার বড় একটি অংশ বিদেশে পাচার হয়েছে। সরকার পরিবর্তনের পর বাংলাদেশ ব্যাংক ইসলামী ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ ভেঙে দিয়ে গ্রুপটির নিয়ন্ত্রণ জব্দ করে।

বর্তমানে এস আলম গ্রুপের ওপর কেন্দ্রীয়ভাবে তদন্ত ও আইনি পদক্ষেপ নিচ্ছে ১৪ সদস্যের বিশেষ লিগ্যাল টিম। একই সঙ্গে তাদের জব্দকৃত শেয়ার বিক্রির জন্য আন্তর্জাতিক বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে আলোচনা চলছে।

 

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

সব রুফটপ রেস্তোরাঁর ট্রেড লাইসেন্স বাতিল
মানুষের আস্থা ফিরিয়ে আনতে পুলিশের প্রতি প্রধান উপদেষ্টার আহ্বান
নিলামে তুলেও এস আলম গ্রুপের সম্পত্তি বিক্রি করতে পারছে না ব্যাংকগুলো
সেই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষেই চার বছর পর সাদমানের সেঞ্চুরি
স্টারলিংকের লাইসেন্স অনুমোদন প্রধান উপদেষ্টার, মাসিক খরচের বিষয়ে যা জানা গেল!
রাখাইনের সঙ্গে মানবিক করিডরের বিষয়টি স্পষ্ট করুন: জামায়াত আমির
প্রাথমিকের প্রধান শিক্ষকরা পাচ্ছেন দশম গ্রেড, সহকারী শিক্ষক ১২তম
এনসিপির সঙ্গে আমার কোনো ধরনের সম্পর্ক নেই: উমামা ফাতেমা
আওয়ামী লীগ সরকার পুলিশকে দলীয় বাহিনীতে পরিণত করেছিল: প্রধান উপদেষ্টা
আত্মসমর্পণ করলেন তারেক রহমানের খালাতো ভাই
চার শতাধিক যাত্রী নিয়ে ঢাকা ছাড়ল বছরের প্রথম হজ ফ্লাইট
রাখাইনে মানবিক করিডর দেওয়া নিয়ে আলোচনা করা উচিত ছিল: ফখরুল
দেশের সব পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে শাটডাউন কর্মসূচি
ভারতের সামরিক আক্রমণ আসন্ন,পারমাণবিক অস্ত্রের হুমকি পাকিস্তানের
কানাডার প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত মার্ক কার্নি
নওগাঁয় ডাকাত দলের ৩ সদস্যসহ ৮ জন গ্রেপ্তার, উদ্ধার লুণ্ঠিত মালামাল
নিজের মূত্র পান করেছিলেন বলিউড অভিনেতা পরেশ রাওয়াল
নাহিদ ইসলামকে বাংলাদেশের আগামীর প্রধানমন্ত্রী বললেন হাসনাত আব্দুল্লাহ
কিছু লোডশেডিং না হলে ভর্তুকি বেড়ে যাবে: বিদ্যুৎ উপদেষ্টা
গণপিটুনির পর কারাগারে ইমামের মৃত্যু, গাজীপুরের পূবাইলে চাঞ্চল্য