বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪ | ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

ঢাকা-ওয়াশিংটন বৈঠক

গুরুত্ব পাবে নিষেধাজ্ঞা, কোয়াড-আইপিএস, রোহিঙ্গা ও খুনি রাশেদকে ফেরানো

ঢাকা-ওয়াশিংটন বৈঠকে গুরুত্ব পাবে র‌্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা, কোয়াড-আইপিএস, রোহিঙ্গা ইস্যু ও বঙ্গবন্ধুর খুনি রাশেদকে ফেরানোর মতো বিষয়গুলো। এর বাইরে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের নানা দিক নিয়ে আলোচনা হবে বলে জানা গেছে।

আজ শনিবার (২ এপ্রিল) রাতে ওয়াশিংটন যাচ্ছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন। আগামী ৪ এপ্রিল ওয়াশিংটনে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনের সঙ্গে বৈঠক করবেন ড. মোমেন।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, বৈঠকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব পাবে র‌্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি। গত ২০ মার্চ ঢাকায় মার্কিন আন্ডার সেক্রেটারি ভিক্টোরিয়া নুল্যান্ডের নেতৃত্বাধীন প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক করেছে পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেনের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশের প্রতিনিধিদল। বৈঠকে র‌্যাবের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে বাংলাদেশ।

তবে বাংলাদেশ উদ্বেগ প্রকাশ করলেও খুব শিগগিরই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার হচ্ছে না বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। আন্ডার সেক্রেটারি ভিক্টোরিয়া নুল্যান্ড বলেছেন, মানবাধিকারের মতো বিষয়গুলোকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেয়। যদিও গত তিন মাসের বিচার বাহির্ভূত হত্যাকাণ্ড বাংলাদেশে ঘটেনি বলেও জানিয়েছেন তিনি। মার্কিন প্রশাসন বিষয়টি পর্যবেক্ষণে রেখেছে বলেও জানান ভিক্টোরিয়া নুল্যান্ড।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, আন্ডার সেক্রেটারি ভিক্টোরিয়া নুল্যান্ডের সফরকালে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারে আশ্বাস না পাওয়ায় বাংলাদেশ একরকম হতাশ। এখন ৪ এপ্রিলের বৈঠকে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনের সঙ্গে কথা হবে ড. মোমেনের। 

এ ব্যপারে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম সম্প্রতি কয়েকজন সাংবাদিককে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে বলেন, মির্জা ফখরুলসহ অনেকেই বলছেন আরও অনেকের ‍বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হচ্ছে। আদতে এমন কিছু নয়। তারা বলেছিল ইউরোপীয় ইউনিয়নও (ইইউ) নিষেধাজ্ঞা দিচ্ছে। কিন্তু ইইউ বিবৃতি দিয়ে বলেছে, এটি তাদের একজন সদস্যের ব্যক্তিগত মত। ইইউয়ের সঙ্গে এই বক্তব্যের কোনো সম্পৃক্ততা নেই। এমনকি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেও নিষেধাজ্ঞার তেমন কোনো প্রভাব নেই।

র‌্যাবকে বাংলাদেশের গর্বের একটি প্রতিষ্ঠান হিসেবে আখ্যায়িত করে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, তাদেরকে প্রটেক্ট করা, তাদের কর্মকর্তাদের প্রটেক্ট করা আমাদের রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব। সেই জায়গা থেকে আমরা বিষয়গুলো দেখছি। এর বেশি কিছু এখনই বলা সম্ভব না।

জানতে চাইলে সাবেক রাষ্ট্রদূত আতিকুর রহমান ঢাকাপ্রকাশ’কে বলেন, আমাার মনে হচ্ছে বৈঠকে র‌্যাবের ইস্যু ওঠাবে বাংলাদেশ। কারণ এটা বাংলাদেশের মাথা ব্যথার কারণ হয়ে আছে।

মার্কিন আন্ডার সেক্রেটারির ঢাকা সফরের সময় তেমন কোনো আশ্বাস না পাওয়া আতিকুর রহমান বলেন, এখানে কিছু টেকনিক্যাল বিষয় আছে যুক্তরাষ্ট্রের। সেটা আমরা কেউ জানি না। হিউম্যান রাইটস দিয়ে ওরা অনেক কিছু বিচার করে পৃথিবীর। এটা তাদের অভ্যন্তরীণ ব্যপার। তবে আমাদের যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আছে সেই দিক বিবেচনা করে এটি তাদের মাথায় রাখা উচিত ছিল যুক্তরাষ্ট্রের। নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার আগে আলাপ আলোচনা করা উচিত ছিল। যেহেতু দুদেশের মধ্যে সুন্দর সম্পর্ক আছে।

কোয়াড-আইপিএস

যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট কোয়াডে যোগদানের বিষয়ে চাপ রয়েছে বাংলাদেশের ওপরে। কোয়াডে এখন পর্যন্ত যোগ দেওয়া বাকি তিনটি দেশ হলো ভারত, জাপান ও অস্ট্রেলিয়া।

গত বছরে কোয়াডে যোগদান নিয়ে চীন সরাসরিই হুমকি দিয়েছিল বাংলাদেশকে। কোয়াডে যোগ দিলে বাংলাদেশের ক্ষতি হবে বলে তখন চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং হুমকি দিয়েছিলেন। সেই সময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন বলেছিলেন, চীন আমাদের সঙ্গে আলোচনা করলেও পারত। এভাবে হুমকি না দিয়ে। তখন কোয়াডে যোগদানের বিষয়টিও অস্বীকার করেছিলেন ড. মোমেন।

একই অবস্থা ইন্দো-প্যাসিফিক স্ট্রাটেজি বা আইপিএস নিয়েও বলা যায়। এক্ষেত্রেও যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন জোটের সঙ্গে থাকার চাপ রয়েছে বাংলাদেশের ওপরে।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আন্ডার সেক্রেটারি ভিক্টোরিয়া নুল্যান্ডের ঢাকা সফরের সময়ও বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা হয়। হুমকি মোকাবিলায় বাংলাদেশকে সঙ্গে নিয়ে কাজ করার কথা বলেছিলেন ভিক্টোরিয়া নুল্যান্ড।

এ প্রসঙ্গে ঢাকায় নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং বলছেন, কোয়াড-আইপিএস নিয়ে বাংলাদেশ বুদ্ধিবৃত্তিক সিদ্ধান্ত নেবেই প্রত্যাশা করে চীন।

রোহিঙ্গা ইস্যু

বৈঠকে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু হলো রোহিঙ্গা ইস্যু। বাংলাদেশে প্রায় ১৪ লাখ মিয়ানমারের নাগরিক রয়েছে যাদের দেশটি ফিরিয়ে নিতে অস্বীকার করছে। নানা ছলচাতুরীর আশ্রয় নিচ্ছে দেশটি। এ ব্যাপারে বাংলাদেশ অতীতেও অন্যান্য দেশের মতো যুক্তরাষ্ট্রেরও সহযোগিতা চেয়েছে।

এক পর্যায়ে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন হতাশ হয়েই বলেছিলেন, বড় বড় দেশগুলো মিয়ানমারকে চাপে না রেখে তাদের সঙ্গে বাণিজ্য বাড়াচ্ছে। তিনি বাণিজ্য বৃদ্ধির একটি উপাত্তও সাংবাদিকদের সামনে তুলে ধরেছিলেন। 

যদিও মিয়ানমারের সামরিক সরকার ক্ষমতায় আসার পর যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন দেশটির বেশ কয়েকজন কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। কানাডা খুন হওয়ার রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাহর পরিবারকে আশ্রয় দিয়েছে।

খুনি রাশেদকে ফেরানো

বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক পাঁচ খুনির একজন রাশেদ চৌধুরী। তিনি দীর্ঘদিন ধরে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন। বাংলাদেশ বিভিন্ন সময় রাশেদ চৌধুরীকে ফেরানোর চেষ্টা করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বহু দেনদরবার করেছে।

কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র আইনের দোহাই দিয়ে রাশেদ চৌধুরীকে ফেরত দিচ্ছে না। যুক্তরাষ্ট্রের আইন মৃত্যুদণ্ডের বিরোধী। তাই মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত রাশেদ চৌধুরীকে ফেরত দেওয়া যাবে না বলে বিভিন্ন সময় জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এ নিয়ে বিভিন্ন সময় সরকারের শীর্ষ কর্তারা হতাশ হয়ে বক্তব্য দিয়েছেন।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ৪ এপ্রিলের বৈঠকে অন্যতম মূল এজেন্ডা হবে খুনি রাশেদকে ফিরিয়ে আনার বিষয় নিয়ে। আইনগত ফাঁকফোকর দিয়েও কোনোভাবে রাশেদ চৌধুরীকে ফেরানো যায় কীনা সেটা নিয়ে আলোচনা হবে দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রীর।

 

আরইউ/

Header Ad

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ

ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করে কুশল বিনিময় করেছেন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে তাদের এ কুশল বিনিময় হয়।

সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়া পৌঁছালে উপস্থিত সবাই তাকে স্বাগত জানান। অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৩ সমন্বয়ক ও সরকারের উপদেষ্টা তার পাশে এসে দাঁড়ান এবং শারীরিক খোঁজখবর নেন। এ সময় খালেদা জিয়া তাদের অভিনন্দন জানান এবং দেশকে এগিয়ে নিতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার পরামর্শ দেন।

এ সময় এই ৩ উপদেষ্টা বিএনপি চেয়ারপারসনের কাছে দোয়া চান এবং সরকারের সংস্কার কাজে তার সর্বাত্মক সহযোগিতা চান।

এদিকে সেনাকুঞ্জে গেলে খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্ত্রী খালেদা জিয়া এখানে এসেছেন। একযুগ তিনি আসার সুযোগ পাননি। আমরা গর্বিত এই সুযোগ দিতে পেরে। দীর্ঘদিনের অসুস্থতা সত্ত্বেও বিশেষ দিনে সবার সঙ্গে শরিক হওয়ার জন্য আপনাকে আবারও ধন্যবাদ। আপনার আশু রোগমুক্তি কামনা করছি।

Header Ad

দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম

ছবি: সংগৃহীত

আবারও স্বর্ণের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। এবার ভরিতে ১ হাজার ৯৯৪ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। যা আজকেও ছিল এক লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাজুস। শুক্রবার (২২ নভেম্বর) থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য বেড়েছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

নতুন দাম অনুযায়ী, প্রতি ভরি ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩৩ হাজার ৯৮ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১৪ হাজার ৮৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯৩ হাজার ৬৭৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস আরও জানায়, স্বর্ণের বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে গয়নার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে।

স্বর্ণের দাম কমানো হলেও দেশের বাজারে অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। দেশে ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৫৭৮ টাকায়। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ৪৪৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ১১১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৫৮৬ টাকায়।

এর আগে, সবশেষ গত ১৯ নভেম্বর দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছিল বাজুস। সে সময় টানা চার দফা কমার পর ভরিতে ২ হাজার ৯৪০ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা নির্ধারণ করেছিল সংগঠনটি।

এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩১ হাজার ১৯৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১২ হাজার ৪৫৩ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯২ হাজার ২৮৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা কার্যকর হয়েছে গত ২০ নভেম্বর থেকে।

এ নিয়ে চলতি বছরে এখন পর্যন্ত দেশের বাজারে ৫১ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছে। যেখানে ৩০ বার দাম বাড়ানো হয়েছে, আর কমানো হয়েছে ২১ বার।

Header Ad

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

ছবি: সংগৃহীত

দেশের জনপ্রিয় নির্মাতা আশফাক নিপুন। কাজের পাশাপাশি সামাজিক মাধ্যমেও বেশ সরব তিনি। কথা বলেন নানা ইস্যু নিয়ে। সেই ধারাবাহিকতায় সরকার পতনের পর অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠনেও বিভিন্ন সময় নিজের আকাঙ্ক্ষা, প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন। পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশ্যেও বিভিন্ন বার্তা দিয়েছেন। এবার এমনি একটি বার্তায় দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি জনগনের আস্থার বিষয়ে আক্ষেপ জানালেন এই নির্মাতা।

বুধবার (২০ নভেম্বর) আশফাক নিপুন তার ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে লেখেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সর্বস্তরের ছাত্র এবং সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছিল, বাসায় বসে বসে দোয়া করেছিল, যার যা সামর্থ্য দিয়ে সহায়তা করেছিল। কারণ, তারা দেখেছিল লড়াইটা আওয়ামী ফ্যাসিস্ট শাসক বনাম সাধারণ ছাত্র-জনতার। এটাও অস্বীকার করার কোনো উপায় নাই যে এই আন্দোলন বেগবান করতে বিরোধী সকল দলের কর্মীদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। তাদের সংগ্রামও গত দেড় দশকের। কিন্তু এটা যদি শুধুমাত্র রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যকার লড়াই হতো তাহলে সাধারণ মানুষ এই লড়াই থেকে দূরে থাকত। সেই প্রমাণ বিগত ১৫ বছরে আছে।

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

কারণ হিসেবে তিনি বলেন, দেশের সাধারণ মানুষ এখনো দেশের কোনো রাজনৈতিক দলকেই পুরোপুরি বিশ্বাস করতে পারে না। এটাই বাস্তবতা। এই বাস্তবতা মেনে সকল রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত কীভাবে সাধারণ জনগণের ভেতর নিজের দলের প্রতি আস্থা তৈরি করা যায় সেই বিষয়ে নিরলস কাজ করা। এই আস্থা ক্ষমতায় গিয়ে অর্জন করা সম্ভব না। কারণ, সাধারণ মানুষ আজীবন এস্টাবলিশমেন্টের বিপক্ষে। এই আস্থা অর্জন করতে হয় ক্ষমতা বলয়ের বাইরে থেকেই।

নিপুন আরও লিখেন, অরাজনৈতিক সরকার দিয়ে দীর্ঘদিন দেশ চালানো যেমন কাজের কথা না ঠিক তেমনি রাজনৈতিক সরকার হতে চাওয়া সকল রাজনৈতিক দলগুলোর বোঝা উচিত মুক্তিযুদ্ধের পরে বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় গণঅভ্যুত্থান সংগঠিত হয়েছে সকল প্রকার পূর্বানুমান (যেমন- বর্ষাকালে আন্দোলন হয় না, নির্বাচনের আগেই কেবল জোরেশোরে আন্দোলন হয়, ঘোষণা দিয়ে বিরোধী সকল পক্ষ আন্দোলনে শামিল না হলে সফল হয় না) অগ্রাহ্য করেই। সেটা সম্ভব হয়েছে সাধারণ মানুষের ন্যায্যতার আকাঙ্ক্ষা থেকেই।

সবশেষ এই নির্মাতা লিখেছেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষার দুই পয়সার দাম দেন নাই। সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষা, ইচ্ছা আর দেশপ্রেমকে পুঁজি করে অরাজনৈতিক এবং রাজনৈতিক যারাই রাজনীতি রাজনীতি খেলতে চাইবে, তাদের দশাও কোন একসময় যেন পলাতক শেখ হাসিনার মতো না হয়, সেই বিষয় নিশ্চিত করতে হবে তাদেরকেই।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ
দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম
‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’
‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা
নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু
২০২৬ সালের মাঝামাঝিতে নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত
সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে খালেদা জিয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ৫ জনকে রোবটিক হাত উপহার
সেনাকুঞ্জের পথে খালেদা জিয়া
সুযোগ পেলে শেখ হাসিনার পক্ষে মামলায় লড়ব: জেড আই খান পান্না
নির্বাচন কমিশন গঠন, সিইসি হলেন অবসরপ্রাপ্ত সচিব নাসির উদ্দীন
ডিএনএ টেস্টের ফলাফল: ভিনিসিয়ুসের পূর্বপুরুষ ছিলেন ক্যামেরুনের
জামিন পেলেন সাংবাদিক শফিক রেহমান
বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে আসা সেই শাহজাহান ওমর গ্রেপ্তার
মিরপুর ও মহাখালীতে অটোরিকশা চালকদের সেনাবাহিনীর ধাওয়া
‘শেখ হাসিনা এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী’, এমন কথা বলেননি ট্রাম্প
লেবাননে ৮ শতাধিক ইসরায়েলি সেনা নিহত
ভারতে সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরল ২৪ বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরী
ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে অবরোধ করে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের বিক্ষোভ
গাজায় ইসরায়েলের হামলায় আরও ৮৮ ফিলিস্তিনি নিহত