বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪ | ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

সুপ্রিম কোর্ট বার নির্বাচন: সমাধান কোন পথে?

সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সংবিধান অনুসারে সংগঠনটির কার্যনির্বাহী কমিটির মেয়াদ ছিল গত বছরের পয়লা এপ্রিল থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত। সেই হিসেবে কমিটির ২০২১-২২ সেশনের কার্যনির্বাহী কমিটির মেয়াদ ফুরিয়েছে আরও একদিন আগে। কিন্তু ২০২২-২৩ সেশনের কমিটি গঠনের জন্য নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলেও এখনো ফল ঘোষণা হয়নি। গত ১৫ ও ১৬ মার্চ অনুষ্ঠিত হওয়া ওই নির্বাচনের ফল ঘোষণা নিয়ে চলছে অনিশ্চয়তা।

তবে ২০২১-২২ সেশনের কার্যনির্বাহী কমিটির সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস মনে করেন, তাদের কমিটির মেয়াদ এখনও আছে। ঢাকাপ্রকাশকে তিনি বলেন, সমিতির সংবিধান অনুযায়ী এই মেয়াদকাল হলেও প্রতি বছর যেটি হয়ে আসছে, তা হচ্ছে এজিএমে (বার্ষিক সাধারণ সভা) নতুন কমিটির কাছে এক বছরের জন্য দায়িত্ব হস্তান্তর করা হয়। গত বছর ১২ এপ্রিল এজিএম হয়। সেদিন আমরা এক বছরের জন্য দায়িত্ব গ্রহণ করি। সে হিসেবে আমাদের কমিটির মেয়াদ আগামী ১১ এপ্রিল পর্যন্ত আছে।

বিদ্যমান পরিস্থিতি নিয়ে গত বুধবার (৩০ মার্চ) দীর্ঘ বৈঠক করেছে বারের কার্যনির্বাহী কমিটি। বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে, সাত দিনের মধ্যে বারের সাবেক সভাপতি ও সম্পাদকরা বৈঠক করবেন। ওই বৈঠকেই ফলাফল ঘোষণার বিষয়ে চলমান জটিলতার অবসান ঘটবে। সুপ্রিম কোর্ট বারের সাবেক সভাপতি ও সম্পাদকদের চিঠি দেওয়ার কাজ শুরু হবার কথা বৃহস্পতিবার থেকেই। তবে গতকাল শুক্রবার রাতে অন্তত চারজন সাবেক সভাপতির সঙ্গে কথা হয় ঢাকাপ্রকাশের। তাদের কেউ এখন পর্যন্ত চিঠিই পাননি বলে জানান।

দুই দিনব্যাপী ওই নির্বাচনের দ্বিতীয় দিনে গত ১৬ মার্চ রাতে ফল ঘোষণার কথা ছিল। কিন্তু সম্পাদক পদে ভোটের হিসাব নিয়ে সৃষ্ট জটিলতায় সেই ফল এখনও ঘোষণা করা হয়নি।

এই বিষয়ে মতামত জানতে চাইলে বারের সাবেক সভাপতি ও বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন ঢাকাপ্রকাশকে বলেন, আমি তো সিনিয়র, আগাম মতামত দেওয়া ঠিক হবে না। এখনও চিঠি পাইনি। চিঠি পেলে মতামত দেব।

বারের সাবেক সভাপতি ও সাবেক আইনমন্ত্রী ব্যরিস্টার শফিক আহমেদ ঢাকাপ্রকাশকে বলেন, ফল ঘোষণায় একদিনও দেরি করা ঠিক হয়নি।

তিনি বলেন, সম্পাদক পদের উভয় পক্ষ যদি এই নির্বাচন না মানে, তাহলে অন্য সব পদের ফলাফল তো ঘোষণা করে দেওয়া যায়। দায়িত্ব নেয়ার পর নতুন কমিটি যদি মনে করে বিতর্কিত সাধারণ সম্পাদক পদ ফাংশান করবে না, তাহলে করবে না। আর তারা যদি মনে করে এই পদে পুনরায় ভোট হতে পারে।

বারের আরেক সাবেক সভাপতি খন্দকার মাহবুব হোসেনও চিঠি পাননি বলে জানান তিনি। ঢাকাপ্রকাশকে তিনি বলেন, দেশের সবগুলো প্রতিষ্ঠানে নির্বাচনী ব্যবস্থা ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে। এখানে (সুপ্রিম কোর্ট বার) কখনো ইলেকশনে হেরে গিয়ে রিকাউন্টিংয়ের দাবি তোলা হয়নি। একে কেন্দ্র করে যা হয়েছে, এটা নেক্কারজনক ঘটনা। তারা নির্বাচন উপকমিটির সঙ্গে অসম্মানজনক আচরণ করেছে, তাদের অপমান করেছে। এর প্রেক্ষিতে উপকমিটির আহ্বায়ক পদত্যাগ করেছেন। তিনি একজন সম্মানিত ব্যক্তি। এখন উপকমিটিকে অনুরোধ করে নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করার ব্যবস্থা করা দরকার। এছাড়া আর কোনও গতান্তর আমি দেখি না।

খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, এর আগে একবার সুপ্রিম কোর্ট বারের এক নির্বাচনে আবদুল মতিন খসরু (প্রয়াত সাবেক আইনমন্ত্রী ও বারের সাবেক সভাপতি) রিকাউন্টিংয়ের আবেদন করেছিলেন, সেটি নাকচ হয়েছিল। কারণ বারের গঠনতন্ত্রে রিকাউন্টিংয়ের বিধান নেই।

বারের আরেক সাবেক সভাপতি জয়নুল আবেদীন ঢাকাপ্রকাশকে বলেন, সুপ্রিম কোর্ট বারের নির্বাচনের ফল ঘোষণা নিয়ে এমন ঘটনা আগে ঘটেনি। রিকাউন্টিংয়ের বিধান আমাদের গঠনতন্ত্রে নেই।

বিধান না থাকলেও নজির আছে। বর্তমান রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন রিকাউন্টিং করিয়ে একবার বারের সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছিলেন-এই উদাহরণ মনে করিয়ে দিলে তিনি বলেন, হ্যাঁ, রিকাউন্টিংয়ে নূরুল ইসলাম সুজন ২ ভোটে জিতেছিলেন। যাই হোক, আমি এখন কোন মতামত দেব না।

চিঠি না পাওয়ার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, যখন আমরা বৈঠকে বসব, তখন সেখানে মতামত দেব।

এ বিষয়ে রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, চলমান জটিলতার অবসান কীভাবে হবে, সেটা কমিটি বসে ঠিক করবে। মেয়াদ শেষ হয়ে গেলেও পরবর্তী কমিটি দায়িত্ব গ্রহণ না করা পর্যন্ত বর্তমান কমিটি কাজ চালিয়ে যেতে পারবে। আর প্রধান নির্বাচন কমিশনার পদত্যাগ করায় কমিশনের অন্য সদস্যদের মধ্য থেকে একজন বা নতুন করে কাউকে দায়িত্ব দেওয়া যাবে।

প্রসঙ্গত, গত ১৭ মার্চ দিবাগত রাত ১টার দিকে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি নির্বাচনের ভোট গণনা করা হয়। তাতে দেখা যায় যে সভাপতিসহ ৬টি পদে আওয়ামী লীগ-সমর্থিত সাদা প্যানেল এগিয়ে। আর সম্পাদকসহ ৮টি পদে বিএনপি-সমর্থিত নীল প্যানেল। ওই সময় নির্বাচন কমিশন আনুষ্ঠানিক ফলাফল ঘোষণার প্রস্তুতি নিলেও সম্পাদক পদে ভোট পুনরায় গণনার দাবি তোলেন আওয়ামী লীগপন্থী আইনজীবীরা। ভোট গণনার সময় আওয়ামী লীগপন্থী আইনজীবীদের সাদা প্যানেলের প্রার্থী আব্দুন নূর দুলালের সমর্থকরা কিছু নষ্ট হওয়া ভোট তাদের প্রতিপক্ষ নীল প্যানেলের প্রার্থীর পক্ষে গণনা করা হয় বলে অভিযোগ করেন। এর প্রেক্ষিতে তারা সম্পাদক পদে ভোট রিকাউন্টিংয়ের আবেদন করেন। রিকাউন্টিং না করায় তারা নির্বাচন পরিচালনায় গঠিত উপকমিটির আহ্বায়ক এ ওয়াই মশিউজ্জামানের সঙ্গে খারাপ আচরণ করেছেন বলেও অভিযোগ ওঠে। পরে আহ্বায়ক পদ থেকে পদত্যাগ করেন মশিউজ্জামান। ফলে আটকে যায় ভোটের ফল ঘোষণা।

ভোট গণনায় সভাপতি পদে এগিয়ে থাকা মমতাজ উদ্দিন ফকির ঢাকাপ্রকাশকে বলেন, পয়লা এপ্রিল থেকে নির্বাচিতদের কাছে দায়িত্ব দিলে ভালো হতো। তবে এখন এই অবস্থায় কী করা হবে তা রুহুল কুদ্দুস সাহেবকে জিজ্ঞেস করেন।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে আব্দুন নূর দুলাল ঢাকাপ্রকাশকে বলেন, আমরা রিকাউন্টিংয়ের আবেদন করেছি। তবে এটি আসলে রিকাউন্টিং হবে না। কারণ নির্বাচন পরিচালনায় গঠিত উপকমিটির আহ্বায়ক এ ওয়াই মশিউজ্জামানই তখন বলেছিলেন যে গণনাতো শেষ হয়নি, তাই এটি হবে ফ্রেশ কাউন্টিং। পরে তিনি কাউন্ট না করে ভোটের বাক্স বারের সম্পাদকের হেফাজতে রেখে গেছেন। কিন্তু বারের সম্পাদক তো ভোটের একটা পক্ষে, আমার প্রতিপক্ষ আহ্বায়ক, তার কাছেই ভোটের বাক্স রেখে গেছেন। মেয়াদ ফুরিয়ে যাওয়ায় রুহুল কুদ্দুস সাহেব এখন আর বারের সম্পাদকও নন। তবুও আমি চাই গণনা হোক, গণনায় তিনি জিতলে আমি ফুলের মালা দিয়ে বরণ করে নেব।

এমএ/এসআইএইচ

 

Header Ad

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ

ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করে কুশল বিনিময় করেছেন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে তাদের এ কুশল বিনিময় হয়।

সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়া পৌঁছালে উপস্থিত সবাই তাকে স্বাগত জানান। অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৩ সমন্বয়ক ও সরকারের উপদেষ্টা তার পাশে এসে দাঁড়ান এবং শারীরিক খোঁজখবর নেন। এ সময় খালেদা জিয়া তাদের অভিনন্দন জানান এবং দেশকে এগিয়ে নিতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার পরামর্শ দেন।

এ সময় এই ৩ উপদেষ্টা বিএনপি চেয়ারপারসনের কাছে দোয়া চান এবং সরকারের সংস্কার কাজে তার সর্বাত্মক সহযোগিতা চান।

এদিকে সেনাকুঞ্জে গেলে খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্ত্রী খালেদা জিয়া এখানে এসেছেন। একযুগ তিনি আসার সুযোগ পাননি। আমরা গর্বিত এই সুযোগ দিতে পেরে। দীর্ঘদিনের অসুস্থতা সত্ত্বেও বিশেষ দিনে সবার সঙ্গে শরিক হওয়ার জন্য আপনাকে আবারও ধন্যবাদ। আপনার আশু রোগমুক্তি কামনা করছি।

Header Ad

দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম

ছবি: সংগৃহীত

আবারও স্বর্ণের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। এবার ভরিতে ১ হাজার ৯৯৪ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। যা আজকেও ছিল এক লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাজুস। শুক্রবার (২২ নভেম্বর) থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য বেড়েছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

নতুন দাম অনুযায়ী, প্রতি ভরি ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩৩ হাজার ৯৮ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১৪ হাজার ৮৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯৩ হাজার ৬৭৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস আরও জানায়, স্বর্ণের বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে গয়নার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে।

স্বর্ণের দাম কমানো হলেও দেশের বাজারে অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। দেশে ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৫৭৮ টাকায়। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ৪৪৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ১১১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৫৮৬ টাকায়।

এর আগে, সবশেষ গত ১৯ নভেম্বর দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছিল বাজুস। সে সময় টানা চার দফা কমার পর ভরিতে ২ হাজার ৯৪০ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা নির্ধারণ করেছিল সংগঠনটি।

এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩১ হাজার ১৯৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১২ হাজার ৪৫৩ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯২ হাজার ২৮৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা কার্যকর হয়েছে গত ২০ নভেম্বর থেকে।

এ নিয়ে চলতি বছরে এখন পর্যন্ত দেশের বাজারে ৫১ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছে। যেখানে ৩০ বার দাম বাড়ানো হয়েছে, আর কমানো হয়েছে ২১ বার।

Header Ad

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

ছবি: সংগৃহীত

দেশের জনপ্রিয় নির্মাতা আশফাক নিপুন। কাজের পাশাপাশি সামাজিক মাধ্যমেও বেশ সরব তিনি। কথা বলেন নানা ইস্যু নিয়ে। সেই ধারাবাহিকতায় সরকার পতনের পর অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠনেও বিভিন্ন সময় নিজের আকাঙ্ক্ষা, প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন। পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশ্যেও বিভিন্ন বার্তা দিয়েছেন। এবার এমনি একটি বার্তায় দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি জনগনের আস্থার বিষয়ে আক্ষেপ জানালেন এই নির্মাতা।

বুধবার (২০ নভেম্বর) আশফাক নিপুন তার ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে লেখেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সর্বস্তরের ছাত্র এবং সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছিল, বাসায় বসে বসে দোয়া করেছিল, যার যা সামর্থ্য দিয়ে সহায়তা করেছিল। কারণ, তারা দেখেছিল লড়াইটা আওয়ামী ফ্যাসিস্ট শাসক বনাম সাধারণ ছাত্র-জনতার। এটাও অস্বীকার করার কোনো উপায় নাই যে এই আন্দোলন বেগবান করতে বিরোধী সকল দলের কর্মীদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। তাদের সংগ্রামও গত দেড় দশকের। কিন্তু এটা যদি শুধুমাত্র রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যকার লড়াই হতো তাহলে সাধারণ মানুষ এই লড়াই থেকে দূরে থাকত। সেই প্রমাণ বিগত ১৫ বছরে আছে।

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

কারণ হিসেবে তিনি বলেন, দেশের সাধারণ মানুষ এখনো দেশের কোনো রাজনৈতিক দলকেই পুরোপুরি বিশ্বাস করতে পারে না। এটাই বাস্তবতা। এই বাস্তবতা মেনে সকল রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত কীভাবে সাধারণ জনগণের ভেতর নিজের দলের প্রতি আস্থা তৈরি করা যায় সেই বিষয়ে নিরলস কাজ করা। এই আস্থা ক্ষমতায় গিয়ে অর্জন করা সম্ভব না। কারণ, সাধারণ মানুষ আজীবন এস্টাবলিশমেন্টের বিপক্ষে। এই আস্থা অর্জন করতে হয় ক্ষমতা বলয়ের বাইরে থেকেই।

নিপুন আরও লিখেন, অরাজনৈতিক সরকার দিয়ে দীর্ঘদিন দেশ চালানো যেমন কাজের কথা না ঠিক তেমনি রাজনৈতিক সরকার হতে চাওয়া সকল রাজনৈতিক দলগুলোর বোঝা উচিত মুক্তিযুদ্ধের পরে বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় গণঅভ্যুত্থান সংগঠিত হয়েছে সকল প্রকার পূর্বানুমান (যেমন- বর্ষাকালে আন্দোলন হয় না, নির্বাচনের আগেই কেবল জোরেশোরে আন্দোলন হয়, ঘোষণা দিয়ে বিরোধী সকল পক্ষ আন্দোলনে শামিল না হলে সফল হয় না) অগ্রাহ্য করেই। সেটা সম্ভব হয়েছে সাধারণ মানুষের ন্যায্যতার আকাঙ্ক্ষা থেকেই।

সবশেষ এই নির্মাতা লিখেছেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষার দুই পয়সার দাম দেন নাই। সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষা, ইচ্ছা আর দেশপ্রেমকে পুঁজি করে অরাজনৈতিক এবং রাজনৈতিক যারাই রাজনীতি রাজনীতি খেলতে চাইবে, তাদের দশাও কোন একসময় যেন পলাতক শেখ হাসিনার মতো না হয়, সেই বিষয় নিশ্চিত করতে হবে তাদেরকেই।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ
দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম
‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’
‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা
নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু
২০২৬ সালের মাঝামাঝিতে নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত
সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে খালেদা জিয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ৫ জনকে রোবটিক হাত উপহার
সেনাকুঞ্জের পথে খালেদা জিয়া
সুযোগ পেলে শেখ হাসিনার পক্ষে মামলায় লড়ব: জেড আই খান পান্না
নির্বাচন কমিশন গঠন, সিইসি হলেন অবসরপ্রাপ্ত সচিব নাসির উদ্দীন
ডিএনএ টেস্টের ফলাফল: ভিনিসিয়ুসের পূর্বপুরুষ ছিলেন ক্যামেরুনের
জামিন পেলেন সাংবাদিক শফিক রেহমান
বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে আসা সেই শাহজাহান ওমর গ্রেপ্তার
মিরপুর ও মহাখালীতে অটোরিকশা চালকদের সেনাবাহিনীর ধাওয়া
‘শেখ হাসিনা এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী’, এমন কথা বলেননি ট্রাম্প
লেবাননে ৮ শতাধিক ইসরায়েলি সেনা নিহত
ভারতে সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরল ২৪ বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরী
ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে অবরোধ করে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের বিক্ষোভ
গাজায় ইসরায়েলের হামলায় আরও ৮৮ ফিলিস্তিনি নিহত