মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫ | ১৬ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

সুপ্রিম কোর্ট বার নির্বাচন: সমাধান কোন পথে?

সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সংবিধান অনুসারে সংগঠনটির কার্যনির্বাহী কমিটির মেয়াদ ছিল গত বছরের পয়লা এপ্রিল থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত। সেই হিসেবে কমিটির ২০২১-২২ সেশনের কার্যনির্বাহী কমিটির মেয়াদ ফুরিয়েছে আরও একদিন আগে। কিন্তু ২০২২-২৩ সেশনের কমিটি গঠনের জন্য নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলেও এখনো ফল ঘোষণা হয়নি। গত ১৫ ও ১৬ মার্চ অনুষ্ঠিত হওয়া ওই নির্বাচনের ফল ঘোষণা নিয়ে চলছে অনিশ্চয়তা।

তবে ২০২১-২২ সেশনের কার্যনির্বাহী কমিটির সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস মনে করেন, তাদের কমিটির মেয়াদ এখনও আছে। ঢাকাপ্রকাশকে তিনি বলেন, সমিতির সংবিধান অনুযায়ী এই মেয়াদকাল হলেও প্রতি বছর যেটি হয়ে আসছে, তা হচ্ছে এজিএমে (বার্ষিক সাধারণ সভা) নতুন কমিটির কাছে এক বছরের জন্য দায়িত্ব হস্তান্তর করা হয়। গত বছর ১২ এপ্রিল এজিএম হয়। সেদিন আমরা এক বছরের জন্য দায়িত্ব গ্রহণ করি। সে হিসেবে আমাদের কমিটির মেয়াদ আগামী ১১ এপ্রিল পর্যন্ত আছে।

বিদ্যমান পরিস্থিতি নিয়ে গত বুধবার (৩০ মার্চ) দীর্ঘ বৈঠক করেছে বারের কার্যনির্বাহী কমিটি। বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে, সাত দিনের মধ্যে বারের সাবেক সভাপতি ও সম্পাদকরা বৈঠক করবেন। ওই বৈঠকেই ফলাফল ঘোষণার বিষয়ে চলমান জটিলতার অবসান ঘটবে। সুপ্রিম কোর্ট বারের সাবেক সভাপতি ও সম্পাদকদের চিঠি দেওয়ার কাজ শুরু হবার কথা বৃহস্পতিবার থেকেই। তবে গতকাল শুক্রবার রাতে অন্তত চারজন সাবেক সভাপতির সঙ্গে কথা হয় ঢাকাপ্রকাশের। তাদের কেউ এখন পর্যন্ত চিঠিই পাননি বলে জানান।

দুই দিনব্যাপী ওই নির্বাচনের দ্বিতীয় দিনে গত ১৬ মার্চ রাতে ফল ঘোষণার কথা ছিল। কিন্তু সম্পাদক পদে ভোটের হিসাব নিয়ে সৃষ্ট জটিলতায় সেই ফল এখনও ঘোষণা করা হয়নি।

এই বিষয়ে মতামত জানতে চাইলে বারের সাবেক সভাপতি ও বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন ঢাকাপ্রকাশকে বলেন, আমি তো সিনিয়র, আগাম মতামত দেওয়া ঠিক হবে না। এখনও চিঠি পাইনি। চিঠি পেলে মতামত দেব।

বারের সাবেক সভাপতি ও সাবেক আইনমন্ত্রী ব্যরিস্টার শফিক আহমেদ ঢাকাপ্রকাশকে বলেন, ফল ঘোষণায় একদিনও দেরি করা ঠিক হয়নি।

তিনি বলেন, সম্পাদক পদের উভয় পক্ষ যদি এই নির্বাচন না মানে, তাহলে অন্য সব পদের ফলাফল তো ঘোষণা করে দেওয়া যায়। দায়িত্ব নেয়ার পর নতুন কমিটি যদি মনে করে বিতর্কিত সাধারণ সম্পাদক পদ ফাংশান করবে না, তাহলে করবে না। আর তারা যদি মনে করে এই পদে পুনরায় ভোট হতে পারে।

বারের আরেক সাবেক সভাপতি খন্দকার মাহবুব হোসেনও চিঠি পাননি বলে জানান তিনি। ঢাকাপ্রকাশকে তিনি বলেন, দেশের সবগুলো প্রতিষ্ঠানে নির্বাচনী ব্যবস্থা ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে। এখানে (সুপ্রিম কোর্ট বার) কখনো ইলেকশনে হেরে গিয়ে রিকাউন্টিংয়ের দাবি তোলা হয়নি। একে কেন্দ্র করে যা হয়েছে, এটা নেক্কারজনক ঘটনা। তারা নির্বাচন উপকমিটির সঙ্গে অসম্মানজনক আচরণ করেছে, তাদের অপমান করেছে। এর প্রেক্ষিতে উপকমিটির আহ্বায়ক পদত্যাগ করেছেন। তিনি একজন সম্মানিত ব্যক্তি। এখন উপকমিটিকে অনুরোধ করে নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করার ব্যবস্থা করা দরকার। এছাড়া আর কোনও গতান্তর আমি দেখি না।

খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, এর আগে একবার সুপ্রিম কোর্ট বারের এক নির্বাচনে আবদুল মতিন খসরু (প্রয়াত সাবেক আইনমন্ত্রী ও বারের সাবেক সভাপতি) রিকাউন্টিংয়ের আবেদন করেছিলেন, সেটি নাকচ হয়েছিল। কারণ বারের গঠনতন্ত্রে রিকাউন্টিংয়ের বিধান নেই।

বারের আরেক সাবেক সভাপতি জয়নুল আবেদীন ঢাকাপ্রকাশকে বলেন, সুপ্রিম কোর্ট বারের নির্বাচনের ফল ঘোষণা নিয়ে এমন ঘটনা আগে ঘটেনি। রিকাউন্টিংয়ের বিধান আমাদের গঠনতন্ত্রে নেই।

বিধান না থাকলেও নজির আছে। বর্তমান রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন রিকাউন্টিং করিয়ে একবার বারের সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছিলেন-এই উদাহরণ মনে করিয়ে দিলে তিনি বলেন, হ্যাঁ, রিকাউন্টিংয়ে নূরুল ইসলাম সুজন ২ ভোটে জিতেছিলেন। যাই হোক, আমি এখন কোন মতামত দেব না।

চিঠি না পাওয়ার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, যখন আমরা বৈঠকে বসব, তখন সেখানে মতামত দেব।

এ বিষয়ে রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, চলমান জটিলতার অবসান কীভাবে হবে, সেটা কমিটি বসে ঠিক করবে। মেয়াদ শেষ হয়ে গেলেও পরবর্তী কমিটি দায়িত্ব গ্রহণ না করা পর্যন্ত বর্তমান কমিটি কাজ চালিয়ে যেতে পারবে। আর প্রধান নির্বাচন কমিশনার পদত্যাগ করায় কমিশনের অন্য সদস্যদের মধ্য থেকে একজন বা নতুন করে কাউকে দায়িত্ব দেওয়া যাবে।

প্রসঙ্গত, গত ১৭ মার্চ দিবাগত রাত ১টার দিকে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি নির্বাচনের ভোট গণনা করা হয়। তাতে দেখা যায় যে সভাপতিসহ ৬টি পদে আওয়ামী লীগ-সমর্থিত সাদা প্যানেল এগিয়ে। আর সম্পাদকসহ ৮টি পদে বিএনপি-সমর্থিত নীল প্যানেল। ওই সময় নির্বাচন কমিশন আনুষ্ঠানিক ফলাফল ঘোষণার প্রস্তুতি নিলেও সম্পাদক পদে ভোট পুনরায় গণনার দাবি তোলেন আওয়ামী লীগপন্থী আইনজীবীরা। ভোট গণনার সময় আওয়ামী লীগপন্থী আইনজীবীদের সাদা প্যানেলের প্রার্থী আব্দুন নূর দুলালের সমর্থকরা কিছু নষ্ট হওয়া ভোট তাদের প্রতিপক্ষ নীল প্যানেলের প্রার্থীর পক্ষে গণনা করা হয় বলে অভিযোগ করেন। এর প্রেক্ষিতে তারা সম্পাদক পদে ভোট রিকাউন্টিংয়ের আবেদন করেন। রিকাউন্টিং না করায় তারা নির্বাচন পরিচালনায় গঠিত উপকমিটির আহ্বায়ক এ ওয়াই মশিউজ্জামানের সঙ্গে খারাপ আচরণ করেছেন বলেও অভিযোগ ওঠে। পরে আহ্বায়ক পদ থেকে পদত্যাগ করেন মশিউজ্জামান। ফলে আটকে যায় ভোটের ফল ঘোষণা।

ভোট গণনায় সভাপতি পদে এগিয়ে থাকা মমতাজ উদ্দিন ফকির ঢাকাপ্রকাশকে বলেন, পয়লা এপ্রিল থেকে নির্বাচিতদের কাছে দায়িত্ব দিলে ভালো হতো। তবে এখন এই অবস্থায় কী করা হবে তা রুহুল কুদ্দুস সাহেবকে জিজ্ঞেস করেন।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে আব্দুন নূর দুলাল ঢাকাপ্রকাশকে বলেন, আমরা রিকাউন্টিংয়ের আবেদন করেছি। তবে এটি আসলে রিকাউন্টিং হবে না। কারণ নির্বাচন পরিচালনায় গঠিত উপকমিটির আহ্বায়ক এ ওয়াই মশিউজ্জামানই তখন বলেছিলেন যে গণনাতো শেষ হয়নি, তাই এটি হবে ফ্রেশ কাউন্টিং। পরে তিনি কাউন্ট না করে ভোটের বাক্স বারের সম্পাদকের হেফাজতে রেখে গেছেন। কিন্তু বারের সম্পাদক তো ভোটের একটা পক্ষে, আমার প্রতিপক্ষ আহ্বায়ক, তার কাছেই ভোটের বাক্স রেখে গেছেন। মেয়াদ ফুরিয়ে যাওয়ায় রুহুল কুদ্দুস সাহেব এখন আর বারের সম্পাদকও নন। তবুও আমি চাই গণনা হোক, গণনায় তিনি জিতলে আমি ফুলের মালা দিয়ে বরণ করে নেব।

এমএ/এসআইএইচ

 

Header Ad
Header Ad

সব রুফটপ রেস্তোরাঁর ট্রেড লাইসেন্স বাতিল

ছবি: সংগৃহীত

নকশাবহির্ভূত রেস্তোরাঁর ট্রেড লাইসেন্স বাতিল করেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)। সোমবার গণমাধ্যমে এক বিজ্ঞপ্তি দিয়ে ট্রেড লাইসেন্স বাতিল করার বিষয়টি জানায় ডিএসসিসি।

এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির ব্যবসায়ীরা। তাঁরা বলছেন, এতে নতুন করে হয়রানিতে পড়বেন ব্যবসায়ীরা।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের আওতাধীন এলাকায় কিছু আবাসিক ও বাণিজ্যিক ভবনের অভ্যন্তরে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) অনুমোদিত নকশায় না থাকলেও বিধিবহির্ভূতভাবে রেস্তোরাঁ (রেস্টুরেন্ট) পরিচালনা করা হচ্ছে এবং ভবনের ছাদে অবৈধভাবে রুফটপ রেস্তোরাঁ পরিচালিত হচ্ছে, যা জনজীবনের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। বিধিবহির্ভূতভাবে রেস্তোরাঁ পরিচালনা করায় এরই মধ্যে বিভিন্ন স্থানে দুর্ঘটনায় প্রাণহানি ও সম্পদহানির ঘটনা ঘটছে। এসব ক্ষেত্রে অনেক অবৈধ ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান অনৈতিক উপায়ে করপোরেশনের ট্রেড লাইসেন্স নিয়েছে।

ডিএসসিসির বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সম্পদ ও জানমালের ঝুঁকি এড়াতে নকশাবহির্ভূত সব রেস্তোরাঁ এবং ভবনের ছাদে স্থাপিত রুফটপ রেস্তোরাঁর ট্রেড লাইসেন্স বাতিল ঘোষণা করা হলো। বাতিল করা লাইসেন্স দিয়ে কোনো ব্যবসা পরিচালনা করা হলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ বিষয়ে ডিএসসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মো. জিল্লুর রহমান বলেন, ‘যেসব রেস্তোরাঁ সঠিক তথ্য না দিয়ে ট্রেড লাইসেন্স নিয়েছে, সেগুলো বাতিল করা হয়েছে। তবে ভবনের অনুমোদন কিন্তু বাতিল করা হয়নি। ভবনের নকশায় রেস্তোরাঁ থাকলে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা সশরীর উপস্থিত হয়ে আমাদের কাছে তথ্য-উপাত্ত দিলে সেগুলো সচল করা হবে।’

বিজ্ঞপ্তি দিয়ে ট্রেড লাইসেন্স বাতিল করার বিষয়টি জানায় ডিএসসিসি। ছবি: সংগৃহীত

অপর এক প্রশ্নের জবাবে জিল্লুর রহমান বলেন, ‘আমরা প্রতিটি রেস্তোরাঁকে আলাদা করে চিঠি পাঠাব।’

ডিএসসিসির এমন সিদ্ধান্তে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির মহাসচিব ইমরান হাসান। তিনি বলেন, কোনো প্রকার আলোচনা না করেই ডিএসসিসি এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে। রেস্তোরাঁ ব্যবসায়ীদের ওপর জুলুম চলছে। ব্যবসাগুলো এক দিনে গড়ে ওঠেনি। রাজউকের পাস করা ভবনের নকশায় রেস্তোরাঁ নেই বললেই চলে। বিগত সরকারের সময় এই জটিলতা নিরসনে একটা টাস্কফোর্স করা হয়েছিল। সেই টাস্কফোর্সের দুটি বৈঠক হয়েছিল। তারপর তো সরকার বদল হয়ে গেল।

ইমরান হাসান বলেন, ‘ট্রেড লাইসেন্স বাতিল করে এখন যদি ডিএসসিসি অভিযানে নামে, তাহলে নতুন করে হয়রানিতে পড়বেন ব্যবসায়ীরা। এমন পরিস্থিতি হলে আমাদের রেস্তোরাঁ বন্ধ করা ছাড়া আর কোনো উপায় থাকবে না।’

গত বছরের ২৯ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর বেইলি রোডে গ্রিন কোজি কটেজ নামের ভবনে ভয়াবহ আগুনে ৪৬ জনের মৃত্যু হয়। এ ঘটনার পর রেস্তোরাঁর অনুমোদন ও অগ্নিনিরাপত্তাব্যবস্থার ঘাটতি সামনে আসে। ওই ভবনে আটটি রেস্তোরাঁ ছিল, তবে ভবনটিতে রেস্তোরাঁ প্রতিষ্ঠার কোনো অনুমোদন ছিল না।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) চার বছর আগে দেশের রেস্তোরাঁ খাত নিয়ে একটি জরিপ করে। সেই জরিপের তথ্যানুযায়ী, ২০২১ সালে দেশে মোট হোটেল ও রেস্তোরাঁ ছিল ৪ লাখ ৩৬ হাজার ২৭৪টি, যা ২০০৯-১০ অর্থবছরের চেয়ে ৫৮ শতাংশ বেশি। সরকারি সংস্থার মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান রয়েছে ৮৫২টি। বাকি সব ব্যক্তি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের মালিকানাধীন।

রেস্তোরাঁ ব্যবসা করতে চাইলে একজন বিনিয়োগকারীকে সরকারের সাতটি সংস্থার অনুমোদন ও ছাড়পত্র নিতে হয়। রেস্তোরাঁর জন্য প্রথমে নিবন্ধন ও পরে লাইসেন্স নিতে হয় সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসকের কাছ থেকে। ঢাকা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের ২০২৪ সালের মার্চ মাসের তথ্য অনুযায়ী, সরকারের সব সংস্থার প্রয়োজনীয় অনুমোদন ও ছাড়পত্র নিয়ে ঢাকায় রেস্তোরাঁ ব্যবসা করছে মাত্র ১৩৪টি প্রতিষ্ঠান। এর মধ্যে রাজধানীর দুই সিটি করপোরেশন এলাকায় রয়েছে ১২৮টি রেস্তোরাঁ।

Header Ad
Header Ad

মানুষের আস্থা ফিরিয়ে আনতে পুলিশের প্রতি প্রধান উপদেষ্টার আহ্বান

মানুষের আস্থা ফিরিয়ে আনতে পুলিশের প্রতি প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের আহ্বান। ছবি: সংগৃহীত

পুলিশ ও জনগণের মধ্যে তৈরি হওয়া দূরত্ব কমিয়ে এনে মানুষের আস্থা পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য পুলিশ বাহিনীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস।

আজ রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সে পুলিশ সপ্তাহ-২০২৫ উদ্বোধনকালে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, “স্বৈরাচারী শাসনের অবৈধ আদেশ পালন করতে গিয়ে পুলিশের অনেক সদস্য জনরোষের মুখে পড়েছেন।” পুলিশকে জনগণের বন্ধু হিসেবে নিজেদের ভাবমূর্তি পুনর্গঠনের পরামর্শ দেন তিনি।

নির্বাচন প্রসঙ্গে প্রধান উপদেষ্টা জানান, আগামী ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের পরিকল্পনা রয়েছে। নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ করতে পুলিশ সদস্যদের আন্তরিক ও দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখার নির্দেশনা দেন তিনি।

Header Ad
Header Ad

নিলামে তুলেও এস আলম গ্রুপের সম্পত্তি বিক্রি করতে পারছে না ব্যাংকগুলো

নিলামে তুলেও এস আলম গ্রুপের সম্পত্তি বিক্রি করতে পারছে না ব্যাংকগুলো। ছবি: সংগৃহীত

বারবার নিলাম ডেকেও এস আলম গ্রুপের বন্ধকী সম্পত্তির কোনো ক্রেতা খুঁজে পাচ্ছে না দেশের ব্যাংকগুলো। ফলে ঋণ আদায়ে এখন বাধ্য হয়ে অর্থ ঋণ আদালতের শরণাপন্ন হচ্ছে তারা। এতে পুরো প্রক্রিয়া দীর্ঘায়িত ও জটিল হয়ে পড়েছে।

চট্টগ্রামভিত্তিক এই শিল্পগোষ্ঠী ইসলামী ব্যাংকসহ বিভিন্ন ব্যাংক থেকে হাজার কোটি টাকা ঋণ নিয়ে খেলাপি হয়েছে। উদাহরণস্বরূপ, জনতা ব্যাংক ১০,৭০০ কোটি টাকার বিপরীতে ছয়বার নিলাম ডেকেও কোনো সাড়া পায়নি। একইভাবে ইসলামী ব্যাংকও সাত দফা নিলাম আয়োজন করেও ব্যর্থ হয়েছে, যার মধ্যে আইডিয়াল ফ্লাওয়ার মিলসের ১,১০০ কোটি টাকার ঋণ সংক্রান্ত নিলামও অন্তর্ভুক্ত।

সাম্প্রতিক সময়ে এস আলম গ্রুপের একাধিক স্টিল মিল, বিদ্যুৎকেন্দ্র ও জমি নিলামে তোলা হলেও দরপত্র জমা পড়েনি। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, আইনি প্রক্রিয়া পূরণের জন্যই তারা এসব নিলাম ডাকছেন, যদিও আগ্রহী ক্রেতার দেখা মিলছে না। অনেকেই এই বিষয়টিকে ভয় পাচ্ছেন বলে উল্লেখ করেন তারা।

অভিযোগ রয়েছে, এস আলম গ্রুপ সরাসরি ও পরোক্ষভাবে ইসলামী ব্যাংক থেকে প্রায় ১ লাখ ৫ হাজার কোটি টাকা ঋণ নিয়েছে, যার বড় একটি অংশ বিদেশে পাচার হয়েছে। সরকার পরিবর্তনের পর বাংলাদেশ ব্যাংক ইসলামী ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ ভেঙে দিয়ে গ্রুপটির নিয়ন্ত্রণ জব্দ করে।

বর্তমানে এস আলম গ্রুপের ওপর কেন্দ্রীয়ভাবে তদন্ত ও আইনি পদক্ষেপ নিচ্ছে ১৪ সদস্যের বিশেষ লিগ্যাল টিম। একই সঙ্গে তাদের জব্দকৃত শেয়ার বিক্রির জন্য আন্তর্জাতিক বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে আলোচনা চলছে।

 

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

সব রুফটপ রেস্তোরাঁর ট্রেড লাইসেন্স বাতিল
মানুষের আস্থা ফিরিয়ে আনতে পুলিশের প্রতি প্রধান উপদেষ্টার আহ্বান
নিলামে তুলেও এস আলম গ্রুপের সম্পত্তি বিক্রি করতে পারছে না ব্যাংকগুলো
সেই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষেই চার বছর পর সাদমানের সেঞ্চুরি
স্টারলিংকের লাইসেন্স অনুমোদন প্রধান উপদেষ্টার, মাসিক খরচের বিষয়ে যা জানা গেল!
রাখাইনের সঙ্গে মানবিক করিডরের বিষয়টি স্পষ্ট করুন: জামায়াত আমির
প্রাথমিকের প্রধান শিক্ষকরা পাচ্ছেন দশম গ্রেড, সহকারী শিক্ষক ১২তম
এনসিপির সঙ্গে আমার কোনো ধরনের সম্পর্ক নেই: উমামা ফাতেমা
আওয়ামী লীগ সরকার পুলিশকে দলীয় বাহিনীতে পরিণত করেছিল: প্রধান উপদেষ্টা
আত্মসমর্পণ করলেন তারেক রহমানের খালাতো ভাই
চার শতাধিক যাত্রী নিয়ে ঢাকা ছাড়ল বছরের প্রথম হজ ফ্লাইট
রাখাইনে মানবিক করিডর দেওয়া নিয়ে আলোচনা করা উচিত ছিল: ফখরুল
দেশের সব পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে শাটডাউন কর্মসূচি
ভারতের সামরিক আক্রমণ আসন্ন,পারমাণবিক অস্ত্রের হুমকি পাকিস্তানের
কানাডার প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত মার্ক কার্নি
নওগাঁয় ডাকাত দলের ৩ সদস্যসহ ৮ জন গ্রেপ্তার, উদ্ধার লুণ্ঠিত মালামাল
নিজের মূত্র পান করেছিলেন বলিউড অভিনেতা পরেশ রাওয়াল
নাহিদ ইসলামকে বাংলাদেশের আগামীর প্রধানমন্ত্রী বললেন হাসনাত আব্দুল্লাহ
কিছু লোডশেডিং না হলে ভর্তুকি বেড়ে যাবে: বিদ্যুৎ উপদেষ্টা
গণপিটুনির পর কারাগারে ইমামের মৃত্যু, গাজীপুরের পূবাইলে চাঞ্চল্য