বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪ | ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

বুলবুলকে ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যে খুন, নাকি অন্য কিছু?

দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে মারা যাওয়া গরিবের ডাক্তার হিসেবে পরিচিত দন্ত চিকিৎসক আহমেদ মাহী বুলবুল তাৎক্ষণিক চিকিৎসা পাননি বলে অভিযোগ করেছেন তার স্বজনেররা। স্বজনদের দাবি, হয়তো তাৎক্ষণিক চিকিৎসা পেলে সে বেঁচে যেত।

তবে, বুলবুলকে ছিনতায়য়ের উদ্দেশ্য খুন করা হয়েছে, নাকি অন্য কোনো কারণে? সব বিষয় খতিয়ে দেখার জন্য প্রশাসনকে অনুরোধ জানিয়েছে সচেতন মহল।

এর আগে শনিবার (২৬ মার্চ) রাজধানীর সবুজবাগের একটি বাসায় দুই শিশুসন্তানের মুখ বেঁধে রেখে তাদের মা মুক্তা আক্তারকে কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। এরপর আজ ভোরে আবার ছুরিকাঘাতে প্রাণ গেল ডা. বুলবুলের।

জানা যায়, বুলবুল দরিদ্র ও নিম্নবিত্তদের বিনামূল্যে চিকিৎসা দিতেন। শুধু স্বাবলম্বীদের কাছ থেকে ফি নিতেন। পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, ডা. বুলবুলের মগবাজারে রংপুর ডেন্টাল নামে একটি চেম্বার রয়েছে। সেখানে গরিব রোগীদের বিনামূল্যে চিকিৎসা দিয়ে প্রশংসিত ছিলেন তিনি। তিনি দরিদ্র ও নিম্নবিত্তদের বিনামূল্যে চিকিৎসা দিতেন। শুধু স্বাবলম্বীদের কাছ থেকে ফি নিতেন। এ কার্যক্রম আরও বিস্তৃত করার কথা ছিল।

রিকশাচালককে খুজছে পুলিশ

পুলিশি তথ্য মতে জানা গেছে, বুলবুলকে বহনকারী রিকশাচালককে পাওয়া যায়নি। তদন্তের জন্য তাকে ও খুজছে পুলিশ।

তদন্তকারী এক কর্মকর্তার তথ্য মতে জানা যায়, প্রথমে ছিনতায়ের কবলে পড়ে বুলবুল খুন হয়েছে বলে ধারণা করা হয়েছে। পরে বেশ কিছু আলামতের তথ্য উপাত্ত বলছে, বুলবুলকে খুন করা হয়েছে। কেন তাকে খুন করার হয়েছে তা খতিয়ে দেখছেন তারা।

রাজধানীর শেওড়াপাড়ায় রবিবার (২৭ মার্চ) ভোর সাড়ে পাঁচটার দিকে দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে খুন হন তিনি। এরপর এ ঘটনায় তদন্ত শুরু করে থানা পুলিশ ও পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।

যা বলছেন বুলবুলের স্ত্রী শাম্মী

বুলবুলের স্ত্রী শাম্মী আক্তার জানান, রাজধানীর শেওড়াপাড়ার বাসা থেকে নিজের ঠিকাদারি ব্যবসার কাজে নোয়াখালী যাওয়ার জন্য ভোরে ফজরের নামাজ শেষে বাসা থেকে বের হয়েছিলেন বুলবুল।

শাম্মী আক্তার আরও বলেন, সকালে বড় মেয়েকে নিয়ে বাসার কাছেই মনিপুর স্কুলে যাবার সময় তার বাবা মো. ইয়াকুব এর ফোন 'মারে, বুলবুল নাই।' যেন আকাশ ভেঙে মাথার মাথার উপর পড়ল। রিকশা নিয়ে প্রতিবেশী এক নারীর সহযোগিতায় দুই সন্তানকে কোলে করে রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে গিয়ে তারা সেখানে বুলবুলের লাশ দেখতে পান।

এ বিষয়ে শাম্মী আক্তার মিরপুর মডেল থানায় এ হত্যাকান্ডের ঘটনায় মামলা করেছেন বলে জানা গেছে।

যা বলছে পুলিশ ও  মামলার ততদন্তকারী সংস্থা পিবিআই

পুলিশের একটি সূত্র জানায়, এ ঘটনায় বুলবুলের সহকারী সৌরভকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে তদন্তকারী কর্মকর্তারা।

পুলিশের মিরপুর বিভাগের উপকমিশনার আ স ম মাহতাব উদ্দিন বলেন, বুলবুল নামের এক ব্যক্তি ছিনতাইকারীদের ছুরিকাঘাতে মারা গেছেন। তার পায়ে ছুরিকাঘাত করা হয়। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তার মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে এ বিষয়েটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

জানতে চাইলে পিবিআই এর এডিশনাল এএসপি মিয়া কুতুবুর রহমান চৌধুরী ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, তদন্তে আমরা জানতে পেরেছি একটি ঠিকাদারি কাজের জন্য বুলবুল রাজধানীর শেওড়াপাড়া মেট্রোরেল স্টেশন এলাকা থেকে ভোরে নোয়াখালী যাওয়ার উদ্দেশে বের হন।

তিনি আরও বলেন, এটি একটি পরিকল্পিত হত্যা কি না তদন্তের পর বিস্তারিত জানানো যাবে। হামলার পর তার কাছ থেকে টাকা-পয়সা কিছুই নেয়নি হামলাকারীরা।

মিয়া কুতুবুর রহমান চৌধুরী বলেন, বুলবুলের বিষয়ে জানার জন্য আমরা তার সহকারী সৌরভকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছি। তবে, এ ঘটনায় আমরা কিছু তথ্য পেয়েছি সেগুলো নিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে। তদন্তের স্বার্থে আপাতত তেমন কিছু বলা যাচ্ছে না।

অধিক রক্তক্ষরণে চিকিৎসা দেওয়ার আগেই মারা যান বুলবুল

সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান, বুলবুলের উরুতে ছুরিকাঘাত করা হয়েছে। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে তিনি মারা গেছেন।

এ বিষয়ে মিরপুর আল-হেলাল হাসপাতালের পরিচালক ডা. আবু শামীম রবিবার রাতে ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, ‘আমি হাসপাতালের সমস্ত সিসি ক্যামেরা দেখেছি। তাতে দেখলাম আমাদের সমস্ত চিকিৎসক ও সিস্টার, ব্রাদাররা নিচে গিয়ে রোগীকে দেখেছেন। তাতে তারা দেখতে পান, রোগী প্রাথমিক চিকিৎসার অবস্থায় ছিলেন না। আগেই তিনি মারা গেছেন। অনেক ব্লিডিং হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, যেহেতু আইনি একটা বিষয় আছে। আমাদের কাছে নির্দেশনা আছে, এ ঘটনায় সরকারি হাসপাতালে পাঠানোর। সেটাই করা হয়েছে।

দুই থানার টানাহেচড়ায় বুলবুলের চিকিৎসায় দেরি

স্বজন ও প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, কাফরুল না মিরপুর মডেল থানায় ঘটনাটি ঘটেছে এ নিয়ে দুই থানার টানাহেচড়ায় চিকিৎসা দিতে দেরি হয় বুলবুলের।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে কাফরুল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাফিজুর রহমান ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, ঘটনাস্থল থেকে নিহতকে কাফরুল থানাধীন আল-হেলাল হসপিটালে নিয়ে আসা হয়। এরপর সেখানেই তাকে পুলিশের সহায়তায় চিকিৎসা দেওয়া হয়।

পরবর্তীতে আমরা জানতে পারি ঘটনাটি মিরপুর মডেল থানা এলাকার, এরপর মডেল থানা পুলিশকে জানালে নিহতকে সোহরাওয়ার্দী হসপিটালে নেওয়া হয়। পরবর্তীতে সেখানে তার মৃত্যু হয়।

দুই থানার টানাটানিতে হাসপাতালে তাকে ঠিকমত চিকিৎসা দেওয়া হয়নি এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটা ভিত্তিহীন কথা। থানা পুলিশের সহায়তায় তাকে সোহরাওয়ার্দী হসপিটাল এ পাঠানো হয়েছে।

এ বিষয়ে রোববার সন্ধ্যায় মিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাজিরুর রহমান ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, রোববার ভোর ৫টার পর শেওড়াপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার সময় ওই চিকিৎসক রিকশায় ছিলেন বলে আমরা জানতে পেরেছি। তবে রিকশাচালককে এখনও পাওয়া যায়নি। ছিনতাইকারী কতজন ছিল এটাও জানা যায়নি। আমাদের এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে বলে প্রথমে কাফরুল থানা আমাদের এ বিষয়টি জানায়।

ওসি বলেন, এ ঘটনায় ডা. আহমেদ মাহী বুলবুলের পরিবার থানায় মামলা করেছে। এটা কি ছিনতায়য়ের উদ্দেশ্য খুন, নাকি অন্য কোনো কারণ আছে সবকিছু মাথায় রেখে তদন্ত করা হচ্ছে। খুব দ্রুত আমরা মামলার রহস্য ও জড়িত যে বা যারা ছিল তাদের গ্রেপ্তার করা হবে।

/এএস

Header Ad

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ

ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করে কুশল বিনিময় করেছেন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে তাদের এ কুশল বিনিময় হয়।

সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়া পৌঁছালে উপস্থিত সবাই তাকে স্বাগত জানান। অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৩ সমন্বয়ক ও সরকারের উপদেষ্টা তার পাশে এসে দাঁড়ান এবং শারীরিক খোঁজখবর নেন। এ সময় খালেদা জিয়া তাদের অভিনন্দন জানান এবং দেশকে এগিয়ে নিতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার পরামর্শ দেন।

এ সময় এই ৩ উপদেষ্টা বিএনপি চেয়ারপারসনের কাছে দোয়া চান এবং সরকারের সংস্কার কাজে তার সর্বাত্মক সহযোগিতা চান।

এদিকে সেনাকুঞ্জে গেলে খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্ত্রী খালেদা জিয়া এখানে এসেছেন। একযুগ তিনি আসার সুযোগ পাননি। আমরা গর্বিত এই সুযোগ দিতে পেরে। দীর্ঘদিনের অসুস্থতা সত্ত্বেও বিশেষ দিনে সবার সঙ্গে শরিক হওয়ার জন্য আপনাকে আবারও ধন্যবাদ। আপনার আশু রোগমুক্তি কামনা করছি।

Header Ad

দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম

ছবি: সংগৃহীত

আবারও স্বর্ণের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। এবার ভরিতে ১ হাজার ৯৯৪ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। যা আজকেও ছিল এক লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাজুস। শুক্রবার (২২ নভেম্বর) থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য বেড়েছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

নতুন দাম অনুযায়ী, প্রতি ভরি ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩৩ হাজার ৯৮ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১৪ হাজার ৮৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯৩ হাজার ৬৭৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস আরও জানায়, স্বর্ণের বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে গয়নার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে।

স্বর্ণের দাম কমানো হলেও দেশের বাজারে অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। দেশে ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৫৭৮ টাকায়। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ৪৪৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ১১১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৫৮৬ টাকায়।

এর আগে, সবশেষ গত ১৯ নভেম্বর দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছিল বাজুস। সে সময় টানা চার দফা কমার পর ভরিতে ২ হাজার ৯৪০ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা নির্ধারণ করেছিল সংগঠনটি।

এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩১ হাজার ১৯৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১২ হাজার ৪৫৩ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯২ হাজার ২৮৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা কার্যকর হয়েছে গত ২০ নভেম্বর থেকে।

এ নিয়ে চলতি বছরে এখন পর্যন্ত দেশের বাজারে ৫১ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছে। যেখানে ৩০ বার দাম বাড়ানো হয়েছে, আর কমানো হয়েছে ২১ বার।

Header Ad

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

ছবি: সংগৃহীত

দেশের জনপ্রিয় নির্মাতা আশফাক নিপুন। কাজের পাশাপাশি সামাজিক মাধ্যমেও বেশ সরব তিনি। কথা বলেন নানা ইস্যু নিয়ে। সেই ধারাবাহিকতায় সরকার পতনের পর অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠনেও বিভিন্ন সময় নিজের আকাঙ্ক্ষা, প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন। পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশ্যেও বিভিন্ন বার্তা দিয়েছেন। এবার এমনি একটি বার্তায় দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি জনগনের আস্থার বিষয়ে আক্ষেপ জানালেন এই নির্মাতা।

বুধবার (২০ নভেম্বর) আশফাক নিপুন তার ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে লেখেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সর্বস্তরের ছাত্র এবং সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছিল, বাসায় বসে বসে দোয়া করেছিল, যার যা সামর্থ্য দিয়ে সহায়তা করেছিল। কারণ, তারা দেখেছিল লড়াইটা আওয়ামী ফ্যাসিস্ট শাসক বনাম সাধারণ ছাত্র-জনতার। এটাও অস্বীকার করার কোনো উপায় নাই যে এই আন্দোলন বেগবান করতে বিরোধী সকল দলের কর্মীদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। তাদের সংগ্রামও গত দেড় দশকের। কিন্তু এটা যদি শুধুমাত্র রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যকার লড়াই হতো তাহলে সাধারণ মানুষ এই লড়াই থেকে দূরে থাকত। সেই প্রমাণ বিগত ১৫ বছরে আছে।

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

কারণ হিসেবে তিনি বলেন, দেশের সাধারণ মানুষ এখনো দেশের কোনো রাজনৈতিক দলকেই পুরোপুরি বিশ্বাস করতে পারে না। এটাই বাস্তবতা। এই বাস্তবতা মেনে সকল রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত কীভাবে সাধারণ জনগণের ভেতর নিজের দলের প্রতি আস্থা তৈরি করা যায় সেই বিষয়ে নিরলস কাজ করা। এই আস্থা ক্ষমতায় গিয়ে অর্জন করা সম্ভব না। কারণ, সাধারণ মানুষ আজীবন এস্টাবলিশমেন্টের বিপক্ষে। এই আস্থা অর্জন করতে হয় ক্ষমতা বলয়ের বাইরে থেকেই।

নিপুন আরও লিখেন, অরাজনৈতিক সরকার দিয়ে দীর্ঘদিন দেশ চালানো যেমন কাজের কথা না ঠিক তেমনি রাজনৈতিক সরকার হতে চাওয়া সকল রাজনৈতিক দলগুলোর বোঝা উচিত মুক্তিযুদ্ধের পরে বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় গণঅভ্যুত্থান সংগঠিত হয়েছে সকল প্রকার পূর্বানুমান (যেমন- বর্ষাকালে আন্দোলন হয় না, নির্বাচনের আগেই কেবল জোরেশোরে আন্দোলন হয়, ঘোষণা দিয়ে বিরোধী সকল পক্ষ আন্দোলনে শামিল না হলে সফল হয় না) অগ্রাহ্য করেই। সেটা সম্ভব হয়েছে সাধারণ মানুষের ন্যায্যতার আকাঙ্ক্ষা থেকেই।

সবশেষ এই নির্মাতা লিখেছেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষার দুই পয়সার দাম দেন নাই। সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষা, ইচ্ছা আর দেশপ্রেমকে পুঁজি করে অরাজনৈতিক এবং রাজনৈতিক যারাই রাজনীতি রাজনীতি খেলতে চাইবে, তাদের দশাও কোন একসময় যেন পলাতক শেখ হাসিনার মতো না হয়, সেই বিষয় নিশ্চিত করতে হবে তাদেরকেই।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ
দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম
‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’
‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা
নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু
২০২৬ সালের মাঝামাঝিতে নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত
সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে খালেদা জিয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ৫ জনকে রোবটিক হাত উপহার
সেনাকুঞ্জের পথে খালেদা জিয়া
সুযোগ পেলে শেখ হাসিনার পক্ষে মামলায় লড়ব: জেড আই খান পান্না
নির্বাচন কমিশন গঠন, সিইসি হলেন অবসরপ্রাপ্ত সচিব নাসির উদ্দীন
ডিএনএ টেস্টের ফলাফল: ভিনিসিয়ুসের পূর্বপুরুষ ছিলেন ক্যামেরুনের
জামিন পেলেন সাংবাদিক শফিক রেহমান
বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে আসা সেই শাহজাহান ওমর গ্রেপ্তার
মিরপুর ও মহাখালীতে অটোরিকশা চালকদের সেনাবাহিনীর ধাওয়া
‘শেখ হাসিনা এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী’, এমন কথা বলেননি ট্রাম্প
লেবাননে ৮ শতাধিক ইসরায়েলি সেনা নিহত
ভারতে সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরল ২৪ বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরী
ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে অবরোধ করে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের বিক্ষোভ
গাজায় ইসরায়েলের হামলায় আরও ৮৮ ফিলিস্তিনি নিহত