সর্বনিম্ন তাপমাত্রায় কাঁপছে দিনাজপুর, দুর্ভোগে খেটে খাওয়া মানুষ
ফাইল ছবি
দেশের উত্তরাঞ্চলে জেঁকে বসেছে শীত। কনকনে ঠান্ডা আর উত্তরের হিমেল বাতাসে জবুথবু উত্তরের জনপদ দিনাজপুরের মানুষ। টানা তীব্র শৈত্যপ্রবাহের কারণে দুর্ভোগ বেড়েছে জনজীবনে। তীব্র শীতে সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছেন খেটে খাওয়া দিনমজুর মানুষ। গত কয়েকদিন থেকে জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির নিচে।
শুক্রবার (২৬ জানুয়ারি) সকালে জেলায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৭ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। চলতি মৌসুমে এটিই জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা।
এদিকে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া খুব বেশি মানুষ ঘর থেকে বের হচ্ছেন না। শীতের সকালে ছিন্নমূল আর গ্রামীণ মানুষ খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছে। সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছেন নিম্ন আয়ের মানুষজন।
তীব্র শীতে কাবু শহরের রামনগর এলাকায় কাজের সন্ধানে আসা জুয়েল মিয়া বলেন, ‘যে শীত ভাই, কিন্তু প্যাট তো মানে না। কাম না করিলে খামো কী? শীতের জন্যে কাজও হয় না। গরিব মানুষের কষ্ট কেউ দেখে না। কাম করিবা গেইলে হাতগুলা কোঁকড়া নাগি যাছে। তাও কাজ করিবার লাগে।’
ইটভাটার শ্রমিক মামুন বলেন, এই কনকনে ঠান্ডা আর বাতাসের কারণে গতকাল কাজে যাইনি। আজকেও মনে হচ্ছে যাওয়া হবে না। এ ঠান্ডায় বাড়ি থেকে বের হওয়া যায় না ভাটায় গিয়ে কীভাবে কাজ করব? টেনশনে আছি দুইদিন পর এনজিওর কিস্তি পরিশোধের তারিখ আছে।
কৃষক জনাব আলী বলেন, এ বছরের একটানা মাস খানেক ধরে শীত প্রকট হওয়ায় বীজতলাসহ আলুর ব্যাপক ক্ষতি হয়ে যাচ্ছে। কীটনাশক এনে স্প্রে করেও ফসল রক্ষা করা কঠিন হয়ে গেছে, আলুর গাছ আর বীজতলা নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছি।
দিনাজপুর আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান বলেন, জেলায় বর্তমানে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বইছে। শুক্রবার সকাল ৬টায় জেলায় এ মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৭ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।