বুধবার, ৮ জানুয়ারি ২০২৫ | ২৪ পৌষ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

৩৬ বছরেও সংস্কার হয়নি সেতু, সাঁকোই ভরসা

ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলার রাউতনগর কুলিক নদীর ব্রিজটি সংস্কারের অভাবে দীর্ঘ ৩৬ বছর ধরে এভাবেই পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে আছে। সেতু নির্মাণ হবে এ আশায় ৩৬ বছর ধরে অপেক্ষার প্রহর গুনছেন এলাকাবাসী। স্থানীয়দের কাছে সেতুটি যেন মরার উপর খাঁড়ার ঘা।

১৯৮৬ সালে মানুষের চলাচলের কথা চিন্তা করে দেড়শ মিটারের একটি ব্রিজ নির্মাণ করা হয়। ওই বছরেই ভয়াবহ বন্যায় ব্রিজটি দুমড়ে-মুচড়ে ভেঙে যায়। মধ্যখানে পড়ে থাকে প্রায় ৩০-৪০ মিটার সেতুর অবশিষ্ট অংশ এবং বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে দু'পাড়ের যোগাযোগ ব্যবস্থা। তখন থেকেই জনবহুল ওই দুই ইউনিয়নের মানুষ অদ্যাবধি এ চরম দুর্ভোগের মোকাবিলা আর আবেদন-নিবেদন করতে করতে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন। এরপরও মেরামত কিংবা নতুন ব্রিজ নির্মাণের কোনো উদ্যোগ নেয়নি কর্তৃপক্ষ।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে‌, চলাচলের বিকল্প ব্যবস্থা হিসেবে কাঠ ও বাঁশের সাঁকো তৈরি করে কাজ সারতে হচ্ছে ওই এলাকার মানুষদের। সেখানে পারাপারে পথচারীদের দিতে হয় জনপ্রতি ১০ টাকা। এভাবেই বাঁশের সেতুতে টাকা দিয়ে প্রায় ২৮ বছর ধরে পারাপার হচ্ছেন বর্মপুর, রসুনপুর, বিরাশী, লেহেম্বা ও রাউতনগর এলাকার কয়েক হাজার মানুষ।

স্থানীয়দের অভিযোগ, ব্রিজটি সংস্কারে সাবেক সংসদ সদস্য জাহিদুর রহমান ও বর্তমান সংসদ সদস্য হাফিজ উদ্দিনসহ সংশ্লিষ্ট অধিদপ্তরগুলো বারবার নির্মাণের আশ্বাস দিলেও এর কোনো বাস্তবায়ন হয়নি। বিভিন্ন সময়ে কয়েকবার মাপযোগ করে নিয়ে গেলেও সংস্কারের ব্যাপারে কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি। প্রতিদিন এ অস্থায়ী বাঁশের সেতু দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে প্রায় পাঁচ হাজারেরও অধিক মানুষ চলাচল করেছে। এ বাঁশের সাঁকোতেই লেহেম্বা ও হোসেনগাঁও দুই ইউনিয়নের মানুষের মিলিত হওয়ার একমাত্র মাধ্যম। সেতুর পূর্ব পার্শ্বে বিরাশী বাজারসহ একটি মাদ্রাসা, চারটি বিদ্যালয় এবং পশ্চিম পাশে রাউতনগর বাজারসহ একটি কলেজ, দুইটি মাদ্রাসা এবং তিনটি বিদ্যালয় রয়েছে।‌‌ প্রতিদিন শিক্ষার্থী, পথচারী, শিক্ষক ও সাধারণ মানুষ টাকা গুণে এই সাঁকো দিয়ে বাধ্য হয়ে যাতায়াত করতে হয়। অনেক দরিদ্র শিক্ষার্থীর অভিভাবক সাঁকো পারাপারের টাকা না দিতে পাড়ায় স্কুলে যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছে। এটি নতুনভাবে দ্রুত সংস্কার এখন যেন তাদের সময়ের দাবি হয়ে উঠেছে।

ঠাকুরগাঁও স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) নির্বাহী প্রকৌশলী শাহারুল আলম মন্ডল জানান, ব্রিজটি যাতে নতুনভাবে নির্মাণ করা যায় সে ব্যাপারে উদ্যোগ নেওয়া হবে।

এসজি

Header Ad
Header Ad

হাসিনাকে দীর্ঘমেয়াদি থাকার অনুমতি দিলো ভারত  

শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ছবিঃ সংগৃহীত

৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে দেশ ছেড়ে ভারতে পালিয়ে যাওয়া বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দীর্ঘমেয়াদি ভিসা দেওয়া হবে। এক উচ্চপদস্থ সূত্র গতকাল ভারতীয় গণমাধ্যমকে এ কথা জানিয়েছেন। তবে অনুমতির প্রকৃতি সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি।

এদিকে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী পদে না থাকার কারণে তাঁর কূটনৈতিক পাসপোর্ট বাতিল হয়। ভারতে আসার পর সাধারণ পলাতক নাগরিক হিসেবে তাঁর স্বল্পসময়ের ভিসা মঞ্জুর হয় ‘মানবিকতার’ কারণে। ইতোমধ্যে তাঁর ভারতে থাকা পাঁচ মাস পেরিয়ে গেছে। এজন্য এবার দীর্ঘমেয়াদি ‘আবাসিক ভিসা’ বা রেসিডেনশিয়াল ভিসা দেওয়া হচ্ছে।

ভারতে রাজনৈতিক আশ্রয় দেওয়ার কোনো আইন নেই। তাই এ ধরনের পলাতক মানুষকে আবাসিক ভিসা দেওয়া হয়। এ ভিসা দেওয়া হলে শেখ হাসিনা সাধারণ নাগরিকের মতোই থাকতে পারবেন। তবে প্রকাশ্যে রাজনৈতিক কাজ করায় অসুবিধা হতে পারে। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুপারিশে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ ভিসা অনুমোদন করেছে। ভারত সরকার আগেই সিদ্ধান্ত নিয়েছে পলাতক হাসিনাকে বাংলাদেশের হাতে তুলে দেবে না। যদিও বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নোট ভার্বলের মাধ্যমে হাসিনার প্রত্যাবর্তন দাবি করেছে। এর আগে হাসিনাপুত্র সজীব ওয়াজেদ জয় বলেছিলেন, তাঁর মা রাজনৈতিক আশ্রয় চাননি এবং তাঁর পাসপোর্ট বাতিল হয়নি।

এর মধ্যে বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে শেখ হাসিনাকে গণহত্যার অভিযোগে আসামি করা হয়েছে। তারা হাসিনাকে ফেব্রুয়ারি মাসে ঢাকায় এনে বিচার করতে চান। যেহেতু ভারত সরকার ফেরত দেবে না এজন্য তারা ভারতে এসে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চান। কিন্তু এটা হয় কনস্যুলার সেকশনের মাধ্যমে। সরকারি যুক্তি হলো যারা কারাগারে বন্দি থাকেন তাদের জন্য এ সুবিধা আছে। হাসিনা যেহেতু গ্রেপ্তার হননি তাই তাঁর ক্ষেত্রে অসুবিধা হতে পারে। ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা যখন ভারতে আসেন তখন তাঁর বিরুদ্ধে কোনো ফৌজদারি মামলা ছিল না। তাঁর বিরুদ্ধে পরে মামলা দায়ের করে ইউনূস সরকার। এখন ভারত সরকারের সিদ্ধান্ত যত দিন তিনি থাকতে চাইবেন ভারতে থাকবেন।

 

Header Ad
Header Ad

ইউরোপে পোঁছানোর চেষ্টায় সাগরে প্রাণ গেলো ২,২০০ অভিবাসীর  

ছবিঃ সংগৃহীত

ভূমধ্যসাগর পেরিয়ে ইউরোপে পৌঁছাতে গিয়ে ২০২৪ সালে অন্তত ২,২০০ অভিবাসী প্রাণ হারিয়েছেন। জাতিসংঘের শিশু সংস্থা ইউনিসেফের ইউরোপ ও মধ্য-এশিয়া বিষয়ক আঞ্চলিক পরিচালক রেজিনা ডি ডোমিনিসিস এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানিয়েছেন।

বিবৃতিতে তিনি বলেছেন, ২০২৫ সালের শুরুতে ২০ জন অভিবাসী নিয়ে একটি নৌকা উপকূলে নিখোঁজ হওয়ার পর খবর পাওয়া গেছে। লিবিয়া উপকূল থেকে প্রায় ২০ মাইল দূরে রুক্ষ সমুদ্রে নৌকাটি ডুবে যায়।

ডি ডোমিনিসিস বলেন, ২০২৪ সালে কেবল মধ্য ভূমধ্যসাগরীয় রুটে প্রাণ হারিয়েছেন বা নিখোঁজ রয়েছেন প্রায় এক হাজার ৭০০ অভিবাসী। পুরো ভূমধ্যসাগরজুড়ে এই সংখ্যা দুই হাজার ২০০ ছাড়িয়েছে।

তিনি বলেন, ‘‘এই সংখ্যার মধ্যে ভুক্তভোগী শত শত শিশু রয়েছে। ভূমধ্যসাগর হয়ে যাত্রা করা অভিবাসীদের মধ্যে প্রতি পাঁচজনের মধ্যে একজন শিশু। যারা এশিয়া, মধ্যপ্রাচ্য এবং আফ্রিকার সংঘাত ও দারিদ্র্য থেকে পালিয়ে ইউরোপে পৌঁছানোর চেষ্টা করেন।’’

মধ্য ভূমধ্যসাগরীয় রুটটিকে বিশ্বের সবচেয়ে বিপজ্জনক রুট হিসাবে বিবেচনা করা হয়। লিবিয়া ও তিউনিশিয়া উপকূল থেকে ইউরোপে পৌঁছানোর চেষ্টা করা অভিবাসীদের জন্য ইতালি অন্যতম প্রধান অবতরণ পয়েন্ট।

জাতিসংঘের অভিবাসন বিষয়ক আন্তর্জাতিক সংস্থা (আইওএম) বলেছে, ২০১৪ সাল থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিতে গিয়ে কমপক্ষে ২৫ হাজার ৫০০ অভিবাসী মারা গেছেন অথবা নিখোঁজ হয়েছেন।

অভিবাসী নৌকার যাত্রা বন্ধের লক্ষ্যে ইতালি ও ইইউ কর্তৃপক্ষ তিউনিশিয়া এবং লিবিয়ার সঙ্গে কয়েকটি চুক্তি করলেও কমেনি ঝুঁকিপূর্ণ যাত্রার সংখ্যা। ইতালির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, গত বছর ৬৬ হাজার ৩১৭ জন অভিবাসী ইতালিতে পৌঁছেছেন। যা ২০২৩ সালের তুলনায় অর্ধেকেরও কম।

Header Ad
Header Ad

ই-সিগারেট আমদানি নিষিদ্ধ করল সরকার  

ই-সিগারেট। ছবিঃ সংগৃহীত

জনস্বাস্থ্য রক্ষায় ই-সিগারেট বা ইলেকট্রনিক নিকোটিন ডেলিভারি সিস্টেম আমদানি নিষিদ্ধ করেছে সরকার।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয় আজ মঙ্গলবার (০৭ ডিসেম্বর) এক প্রজ্ঞাপন জারি করে বলেছে, আমদানি নীতি আদেশ ২০২১-২০২৪ এর আওতায় নিষিদ্ধ পণ্যের তালিকায় ই-সিগারেট যুক্ত করা হয়েছে।

এ নিষেধাজ্ঞা অবিলম্বে কার্যকর হবে বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়।

জনস্বাস্থ্য ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে ক্ষতিকারক প্রভাব থেকে রক্ষা করার জন্য সব ই-সিগারেট সম্পর্কিত পণ্য আমদানি সীমাবদ্ধ করার জন্য প্রায় এক মাস আগে নেওয়া একটি সরকারি উদ্যোগের পর এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হলো।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

হাসিনাকে দীর্ঘমেয়াদি থাকার অনুমতি দিলো ভারত  
ইউরোপে পোঁছানোর চেষ্টায় সাগরে প্রাণ গেলো ২,২০০ অভিবাসীর  
ই-সিগারেট আমদানি নিষিদ্ধ করল সরকার  
ঢাবি থেকে সাত কলেজকে আলাদা করতে কমিশন ও শিক্ষার্থীদের বৈঠক বুধবার
প্রধান উপদেষ্টার ত্রাণ তহবিলে ৯৮ কোটি টাকার অনুদান সংগ্রহ
এবার শাহীনকে ধরা হলো বিমানবন্দরে! আদালতে সোপর্দ
হৃদয়-মেয়ার্সের জুটিতে বরিশালের সহজ জয়
‘ফিরোজা’ থেকে বিমানবন্দরের পথে খালেদা জিয়া
কানাডার অনেকে যুক্তরাষ্ট্রের ৫১তম অঙ্গরাজ্য হিসেবে তাঁদের দেশকে দেখতে চান: ট্রাম্প
ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনাসহ ৯৭ জনের পাসপোর্ট বাতিল
পাঁচদশক আড়ালে থাকা মেজর ডালিম বাংলাদেশে ফিরছেন!
সাবেক জনপ্রশাসনমন্ত্রী ফরহাদ হোসেনের ছোট ভাই মৃদুল গ্রেপ্তার
জুলাই-আগস্ট গণহত্যার ন্যায়বিচার দেখতে চান প্রধান বিচারপতি
আবারও বাড়বে শীতের দাপট, ঘন কুয়াশার সঙ্গে থাকবে ঠাণ্ডা বাতাস
পরিবারসহ নাফিজ সারাফতের বাড়ি, জমি ও ফ্ল্যাট ক্রোকের আদেশ
শিবগঞ্জ-মালদা সীমান্তে কাঁটাতার দেয়া নিয়ে বিজিবি-বিএসএফের উত্তেজনা
দক্ষিণ কোরিয়ায় বিমান বিধ্বস্ত: দায় নিয়ে পদত্যাগের ঘোষণা পরিবহনমন্ত্রীর
ভারতের কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়া ৯০ বাংলাদেশি চট্টগ্রামে পৌঁছেছেন
টাঙ্গাইলে রাতের আঁধারে গুড়িয়ে দেওয়া হলো বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল (ভিডিও)
রোজার আগে পণ্যে শুল্ক আরোপ করা হবে না: অর্থ উপদেষ্টা