কালভার্টই যেন বিড়ম্বনা

শুকনো সময়ে হেঁটে কিংবা বাইসাইকেল ব্যবহার করে চলাচল করা গেলেও বৃষ্টির সময় একেবারে চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়ে নীলফামারীর ডোমার উপজেলার হরিণচড়া ইউনিয়নের ‘আর্ত কালভার্টটি’। উপজেলার হরিণচড়া ইউনিয়নের হরিহারা গ্রামের বাঁশেরপুল নামক স্থানে অবস্থিত এই কালভার্ট।
এই কালভার্ট দিয়ে প্রতিদিনই যাতায়াত করেন ডোমার উপজেলার হরিণচড়া, সোনারায় এবং নীলফামারী সদর উপজেলার লক্ষ্মীচাপ ও চওড়া বড়গাছা ইউনিয়নের লাখো মানুষ। ফলে দুর্ভোগে পড়েছেন তারা। ২০১৭ সালের বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পর নদী খনন কাজ শেষে পানির গতি বৃদ্ধি পাওয়ায় একদম দেবে যায় কালভার্টটি।
কালভার্ট ব্যবহার করতে না পারায় মালামাল নিয়ে ভ্যান, পিকআপ ও ট্রাকগুলোকে ৪ কিলোমিটার পথ ঘুরে উঠতে হচ্ছে নীলফামারী-ডোমার প্রধান সড়কে। এ ছাড়া কালভার্টটি ভেঙে নিচু হয়ে যাওয়ায় প্রায়ই দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন পথচারীরা।
এই পথ দিয়ে প্রতিদিন চলাচলকারী ভ্যানচালক নূর হোসেন বলেন, খালি ভ্যান নিয়ে কালভার্টের উপর দিয়ে আসাও কষ্টকর। এমনভাবে দেবে গেছে যে ভ্যান নামালে উল্টে পড়ার উপক্রম হয়। কোনোরকমে অন্যের সহায়তা নিয়ে ভ্যান নামিয়ে উঠাতে হয়।
সোনারায় ইউনিয়নের ডুগডুগি এলাকার বাসিন্দা রমজান আলী বলেন, ২০১৭ সালের বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয় কালভার্টটি। তারপরও চলাচল করা যেত। কিন্তু কিছুদিন হলো কালভার্টটি ভেঙে দেবে যাওয়ায় আর চলাচল করা যাচ্ছে না। হেঁটে চলা ছাড়া কোনো উপায় নেই।
উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান তোফায়েল আহমেদ বলেন, সেতুটি ভেঙে যাওয়ায় দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে কয়েকটি ইউনিয়নের মানুষ। দ্রুত সময়ের মধ্যে কলন্দর নদীর উপর ক্ষতিগ্রস্ত সেতুটি নির্মাণ করতে জেলা পরিষদ ও প্রশাসনকে অবগত করা হয়েছে।
টিআর/এসজি
