নওগাঁয় দাম কমে যাওয়ায় ভাগে বড় তরমুজ কিনছেন ক্রেতারা!
ছবি : ঢাকাপ্রকাশ
কমতে শুরু করেছে মৌসুমি ফল তরমুজের দাম। তিনদিনের ব্যবধানে নওগাঁয় প্রতিকেজিতে দাম কমেছে প্রকারভেদে ১০-২০ টাকা। দাম কমে যাওয়ায় ভাগে তরমুজ কিনছেন ভোক্তারা। সোমবার (২৫ মার্চ) দুপুরে শহরের তাজের মোড়ে বিক্রি করতে দেখা গেছে। প্রয়োজনমত তরমুজ কিনতে পারায় খুশি অনেকে। এতে করে টাকাও কম খরচ হচ্ছে ভোক্তাদের।
জেলায় তরমুজ উৎপাদন না হওয়ায় বাহিরের জেলা থেকে নিয়ে আসেন ব্যবসায়িরা। ব্যবসায়িদের মাধ্যমে জেলার চাহিদা পুরণ হয়ে থাকে। মৌসুমের শুরুতে প্রতিকেজি তরমুজ বিক্রি হয়েছিল ৭৫-৮০ টাকা কেজি। প্রতি পিস তরমুজের ওজন ছিল ৫-৭ কেজি। আকারে বড় এবং দাম চড়া হওয়ায় অনেকের পক্ষে কেনা সম্ভব হচ্ছিল না। ছোট পরিবারের যতটুকু প্রয়োজন কেনা সম্ভব হচ্ছিল না।ব্যবসায়িদের বেচাকেনাও কম ছিল। কয়েক দফায় দাম কমে এখন প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০-৩৫ টাকায়। তবে তরমুজের আকার ৮-১০ কেজি। আকারেও বড় হওয়ায় একার পক্ষে কিনতে পারছেন না অনেকে। এছাড়া পরিবারের যতটুকু প্রয়োজন তার থেকে বেশি হচ্ছে এবং টাকাও বেশি লাগছে। তাই পরিবারের সাধ্যমতো ভাগ করে তরমুজ কিনতে দেখা গেছে। এতে অর্ধেক কেনায় খরচও কম পড়ছে। এমন সুযোগ পাওয়ায় অনেকে খুশি। তবে ভাগে কিনতে হলে নিজেকেই আরেকজনকে খুঁঁজে নিতে হবে।
তরমুজ কিনতে আসা নিজ্জু শেখ নামের এক ক্রেতা বলেন, রোজা বলেই বাজারে তরমুজ কিনতে আসলাম। তবে বিক্রেতারা দাম কমই চাচ্ছেন। তাছাড়া তরমুজগুলো বড়। প্রতি কেজি তরমুজ ৩০ থেকে ৩৫ টাকা কেজি দাম চাওয়া হচ্ছে। কেজি দরে একটি তরমুজ কিনতে গেলে ৩০০-৩৫০ টাকা হয়ে যাচ্ছে। এতবড় তরমুজ প্রয়োজন নেই তাই ভাগে সাড়ে ১১ কেজি ওজনের একটি তরমুজ দুই ভাগে কিনলাম।
সুমন নামের ক্রেতা বলেন, ৩০ টাকা কেজি দরে ৮কেজি ওজনের একটি তরমুজ কিনেছি। দামটা অনেক কম। বাড়ির বাচ্চারা বায়না ধরছে তরমুজ খাবে কিছু করার নেই। যত দামই হোক কিনতে এসে দেখি কম দামে বিক্রি হচ্ছে। সুষ্ঠু ভাবে এভাবে বাজার মনিটরিং করা গেলে তরমুজের দাম স্বাভাবিক থাকতো।