বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৪ | ২৯ কার্তিক ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

আজকের এই দিনে মুক্তির স্বাদ পান নওগাঁবাসী

ফাইল ছবি

একাত্তরের ১৬ ডিসেম্বর, পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর আত্মসমর্পণের মধ্য দিয়ে দেশ স্বাধীন হলেও কিছু জেলা অবরুদ্ধ করে রেখেছিল ওই বাহিনী ও তাদের দোসররা। নওগাঁ ছিল সেগুলোর মধ্যে একটি। আজকের এই দিনে মুক্তির স্বাদ পান নওগাঁবাসী। ১৬ ডিসেম্বর ঢাকায় পাকিস্তানি সেনাদের আত্মসমর্পণের খবর পেয়ে জেলার বীর মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে নওগাঁকে মুক্ত করার প্রস্তুতি নেন মুক্তিবাহিনীর স্থানীয় কমান্ডার জালাল হোসেন চৌধুরী। সে অনুযায়ী পরদিন ভোরে তার নেতৃত্বে নওগাঁ শহরের দিকে এগোয় প্রায় সাড়ে ৩ শত বীর মুক্তিযোদ্ধা। সেখানে পাকিস্তানি সেনাদের সঙ্গে রাত পর্যন্ত চলে সম্মুখ যুদ্ধ। দুর্বল হয়ে পড়ে হানাদাররা।

জেলা মুক্তিযোদ্ধা ইউনিটের সাবেক কমান্ডার হারুন অর রশিদ বলেন, ‘১৬ থেকে ১৮ ডিসেম্বর, এ দুই দিন আমাদের কাছে ছিল খুবই ভয়াবহ। যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো না থাকায় বোঝা যাচ্ছিল না কোথায় কী হচ্ছে।’

হারুন জানান, ১৮ ডিসেম্বর বগুড়া থেকে ভারতের মেজর চন্দ্র শেখর ও তার দল এবং পশ্চিম দিনাজপুরের বালুরঘাট থেকে পি বি রায়ের নেতৃত্বে মিত্রবাহিনী ও মুক্তিবাহিনী নওগাঁয় প্রবেশ করে। চূড়ান্ত হার মানে হানাদার বাহিনী।

সেদিন সকাল ১০টার দিকে প্রায় দুই হাজার পাকিস্তানি সেনা শহরের পিএম গার্লস স্কুল, সরকারি গার্লস স্কুল, পুরাতন থানা চত্বর ও এসডিও অফিস এলাকায় রাস্তার দু’পাশে অস্ত্র রেখে আত্মসমর্পণ করেন। এসডিও অফিস চত্বরে ওড়ে স্বাধীন বাংলার পতাকা।

নওগাঁর মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক গবেষক মেহমুদ মুস্তফা রাসেল ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, ‘১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তানি সেনারা ঢাকায় আত্মসমর্পণের খবর শোনার পর থেকেই বীর মুক্তিযোদ্ধারা বিজয় উল্লাসের জন্য নওগাঁ শহরে প্রবেশের চেষ্টা করে। ১৭ ডিসেম্বর সকাল ৭ টার দিকে শহরের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রায় ৩-৪ শত মুক্তিযোদ্ধা নওগাঁ শহরের দিকে অগ্রসর হতে থাকে। জগৎসিংহপুর, খলিশাকুড়ি, হাট-নওগাঁ, শিবপুর থেকে মুক্তিযোদ্ধারা শহরের ভিতরে প্রবেশের চেষ্টা করলে পাকিস্তানি সেনারা মার্টার সেল নিক্ষেপ করে। শুরু হয় সম্মুখ যুদ্ধ। এ যুদ্ধে ৭ জন শহিদ হন।’

তিনি আরোও বলেন, ‘সেদিন যারা শহিদ হয়েছেলেন- কিশোর অছিমুদ্দিন, ফজলু, ফরিদ হোসেন, আমজাদ হোসেন, ওসমান, শাহাদাত হোসেন, ইসাহাক। পর দিন ১৮ ডিসেম্বর সকালে বগুড়া থেকে অগ্রসরমান ভারতীয় মেজর চন্দ্র শেখর, পশ্চিম দিনাজপুর বালুরঘাট থেকে পিবি রায়ের নেতৃত্বে মিত্র বাহিনী নওগাঁ শহরে প্রবেশ করে। পাকিস্তানি সেনাদের তখন আর করার কিছুই ছিল না। ফলে সকাল ১০ টার দিকে প্রায় দুই হাজার পাকিস্তানি সেনা নওগাঁ কেডি স্কুল থেকে পিএম গার্লস স্কুল, পুরাতন থানা চত্বর ও এসডিও অফিস থেকে শুরু করে রাস্তার দু পাশে মাটিতে অস্ত্র রেখে সারিবদ্ধ ভাবে দাড়িয়ে নত মস্তকে আত্মসমর্পণ করে। এ নওগাঁর বিহারি সম্প্রদায় কেডি সরকারি স্কুলে আশ্রয় নেয়। পুরাতন কালেক্টর (এসডিও) অফিস চত্বরে স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করা হয়। সেখানে উপস্থিত মুক্তিযোদ্ধারা পতাকার প্রতি সালাম জানিয়ে সম্মান প্রদর্শন করেন। এর মধ্যে দিয়ে ১৮ ডিসেম্বর হানাদার মুক্ত হয় নওগাঁ।’

জেলার সামাজিক সংগঠন একুশে পরিষদের সভাপতি ডি এম আবদুল বারী বলেন, প্রতিবছর এ দিনটিকে ‘নওগাঁ হানাদার মুক্ত দিবস’ হিসেবে পালন করেন তারা।

Header Ad

দেশে ফিরলেন প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ছবি: সংগৃহীত

আজারবাইজানে কপ-২৯ জলবায়ু সম্মেলন শেষে দেশে ফিরেছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) রাত ৮টার কিছু আগে রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছান তিনি। এর আগে বিকেলে ঢাকার উদ্দেশে বাকু ছাড়েন প্রধান উপদেষ্টা।

কপ২৯ জলবায়ু সম্মেলনে অংশ নিতে গত সোমবার (১১ নভেম্বর) আজারবাইজান যান ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বুধবার (১৩ নভেম্বর) বাংলাদেশ সময় দুপুর ১টার দিকে বাকুতে জাতিসংঘের জলবায়ু সম্মেলনে ভাষণ দেন তিনি।

এছাড়া বুধবার জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের সঙ্গে এলডিসি উচ্চপর্যায়ের বৈঠক হয়। এই রুদ্ধদ্বার বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টাও ছিলেন।

আজ বৃহস্পতিবার আজারবাইজানের প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বাকুতে কপ-২৯ জলবায়ু সম্মেলন কেন্দ্রে এ সাক্ষাতে পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছেন তারা।

এর আগে গত মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) জলবায়ু সম্মেলনের ফাঁকে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান, সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ান, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ, ঘানার প্রেসিডেন্ট নানা আকুফো-আড্ডো, মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুইজ্জু, বসনিয়া ও হার্জেগোভিনার প্রেসিডেন্ট ডেনিস বেচিরোভিচ সাক্ষাৎ করেছেন।

এছাড়া বার্বাডোজের প্রধানমন্ত্রী মিয়া মটলি, আলবেনিয়ার প্রধানমন্ত্রী ইদি রামা, লিখটেনস্টাইনের প্রধানমন্ত্রী ড্যানিয়েল রিশ, ভুটানের প্রধানমন্ত্রী শেরিং টোবগে ও ইরানের ভাইস প্রেসিডেন্ট শিনা আনসারির সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেন ড. ইউনূস।

Header Ad

ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শহীদদের নামে ৩ স্টেডিয়ামের নামকরণ

ছবি: সংগৃহীত

অন্তর্বর্তী সরকারের যুব ও ক্রীড়া এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এক মাস আগে জানিয়েছিলেন, ছাত্র-জনতার আন্দোলনে মানুষের জীবনের বিনিময়ে আজকের এই স্বাধীনতা। যারা জাতীয় বীর এবং যে সকল শহীদ হয়েছেন তাদের নামে স্টেডিয়ামের নামকরণ করা হবে। এক মাসের ব্যবধানে ক্রীড়া উপদেষ্টার বক্তব্যের বাস্তবায়ন করা হলো।

দেশের তিনটি স্টেডিয়ামের নাম পরিবর্তন করেছেন তিনি। বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) এক বিবৃতিতে এই তথ্য নিশ্চিত করেছে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ। যেখানে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের শহীদদের স্মরণ করা হয়েছে।

তিন স্টেডিয়ামের প্রথমেই রয়েছে কুষ্টিয়ার শেখ কামাল স্টেডিয়াম। যার নাম পরিবর্তন করে রাখা হয়েছে শহীদ আবরার ফাহাদ স্টেডিয়াম। দ্বিতীয়তে রয়েছে টাঙ্গাইল জেলার স্টেডিয়াম। এটির বর্তমান নাম শহীদ মারুফ স্টেডিয়াম টাঙ্গাইল।

এই তালিকার তৃতীয় স্থানে রয়েছে বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ ভবন প্রাঙ্গন মাঠ, ঢাকা। যার নাম রাখা হয়েছে শহীদ ফারহান ফাইয়াজ খেলার মাঠ।

Header Ad

শিল্পপতিকে হত্যার পর ৭ টুকরো করে লেকে ফেলে দেন পরকীয়া প্রেমিকা

শিল্পপতি মো. জসিম উদ্দিন মাসুম ও পরকীয়া প্রেমিকা রুমা। ছবি: সংগৃহীত

নারায়ণগঞ্জে ব্যবসায়ী মো. জসিম উদ্দিন মাসুম (৬২) হত্যাকাণ্ডের মূলহোতা রুমা আক্তারকে আটক করেছে পুলিশ। এ সময় হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত চাপাতি, হ্যাকস ব্লেড এবং নিহত মাসুমের পরিধেয় সাফারি স্যুট উদ্ধার করা হয়।

বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে নিজ সুপারের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ সব কথা জানান নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপার প্রত্যুষ কুমার মজুমদার।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করেছেন রুমা। তার দেয়া তথ্যমতে মাসুমের মরদেহের অন্যান্য অংশ খুঁজে পাওয়া গেছে। অভিযুক্ত রুমা আক্তার ময়মনসিংহের গৌরীপুরের তাতরাকান্দা এলাকার নজর আলীর মেয়ে।

হত্যাকাণ্ডের মূলহোতা রুমা আক্তারকে আটক করেছে পুলিশ। ছবি: সংগৃহীত

পুলিশ সুপার জানান, শিল্পপতি মাসুমের সঙ্গে রুমার প্রেমের সম্পর্ক ছিল। এই প্রেমের সম্পর্ককে কেন্দ্র করে গত ১০ নভেম্বর শেওড়াপাড়া রুমার ভাড়া বাসায় মাসুমকে প্রথমে দুধের সঙ্গে চেতনানাশক ওষুধ খাইয়ে অচেতন করে হত্যা করা হয়। এরপর তার মরদেহ চাপাতি ও হ্যাকস ব্লেড দিয়ে খণ্ড খণ্ড করে পাঠাওয়ের গাড়ি যোগে বিভিন্ন স্থানে ফেলে দেন রুমা। ঘটনায় জড়িত অন্যদের ধরতে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করছে পুলিশ।

নিহত মাসুমের পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত ১০ নভেম্বর বিকেলে জসিম ব্যক্তিগত গাড়িতে করে বাসা থেকে বের হয়ে গুলশান যান। এরপর গাড়িচালককে ছেড়ে দেন। চালককে জানিয়েছিলেন, অন্য গাড়িতে নারায়ণগঞ্জের কারখানায় যাবেন। তবে রাতে বাসায় না ফেরায় ও মোবাইল বন্ধ থাকায় পরদিন গুলশান থানায় তার বড় ছেলে জিডি করেন।

উল্লেখ্য, বুধবার পূর্বাচল ৫ নম্বর সেক্টরের একটি লেকের পাড় থেকে কালো পলিথিনের ব‍্যাগের ভেতরে শিল্পপতি জসিম উদ্দিন মাসুমের বিচ্ছিন্ন মাথা, দুটি হাত, বিচ্ছিন্ন দুটি পা, বুকের অংশ এবং ধারালো অস্ত্র দ্বারা বিচ্ছিন্ন অবস্থায় ভুরি, ফেপসা ও কলিজা একটি সাদা পলিথিনের ভেতর মোড়ানো অবস্থায় উদ্ধার করে পুলিশ। তিনি ফতুল্লার চাঁদ ডাইংয়ের মালিক। তিনি রাজধানীর বসন্ধুরা আবাসিক এলাকায় পরিবার নিয়ে বসবাস করতেন।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

দেশে ফিরলেন প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস
ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শহীদদের নামে ৩ স্টেডিয়ামের নামকরণ
শিল্পপতিকে হত্যার পর ৭ টুকরো করে লেকে ফেলে দেন পরকীয়া প্রেমিকা
ছাত্র আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ সোহরাওয়ার্দী কলেজ শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহর মৃত্যু
আগামীতে আওয়ামী লীগের মতো পরিবারতন্ত্র থাকবে না: তারেক রহমান
বঙ্গবন্ধু নাম পাল্টে নওগাঁ বিশ্ববিদ্যালয় লেখা সাইনবোর্ড টানালেন শিক্ষার্থীরা
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে মুক্তিযোদ্ধার নাতি-নাতনি কোটা বাতিল
মাউশির ৮ আঞ্চলিক কার্যালয়ে নতুন উপ-পরিচালক
ঢাবিতে ছাত্রদলের ২৪২ সদস্যবিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা
ভারতে বসে শেখ হাসিনার মোবাইল ব্যবহার ও বিবৃতি নিয়ে ঢাকার অসন্তোষ
গাইবান্ধায় বড় ভাইকে হত্যার দায়ে ছোট ভাইয়ের মৃত্যুদণ্ড
সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে’র সঙ্গে ড. ইউনূসের বৈঠক
উদ্বোধন হলো বেনাপোলের কার্গো ইয়ার্ড টার্মিনাল: বাড়বে বাণিজ্য, কমবে যানজট
চুয়াডাঙ্গায় যৌথবাহিনীর বাজার তদারকি অভিযান, জরিমানা আদায়
ব্রিকসে অংশীদার হওয়ার প্রস্তাব পেল তুরস্ক
জনস্বার্থে বন্ধ থাকা বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো চালু করার নির্দেশ
ক্ষমতায় গেলে আন্দোলনে আহত ও নিহতদের পরিবারকে পুনর্বাসন করা হবে: সালাহউদ্দিন
তারল্য সংকট মেটাতে ৬ হাজার ৫৮৫ কোটি টাকার সহায়তা পেল দুর্বল সাত ব্যাংক
নতুন রূপে আসছে র‍্যাব: পরিবর্তন হচ্ছে নাম, লোগো ও পোশাক
সংস্কার শেষে দ্রুত জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের প্রতিশ্রুতি ড. ইউনূসের