গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার ছয়ঘড়িয়া বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ে নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ
ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আবু সুফিয়ান মন্ডল ও তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মোঃ আফজাল হোসেন।
গাইবান্ধা জেলার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার কোচাশহর ইউনিয়নের ছয়ঘড়িয়া বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ে নিয়োগে প্রধান শিক্ষকসহ আরো পাঁচটি নিয়োগে সীমাহীন অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে।
সম্প্রতি বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকসহ পাঁচটি পদে কর্মচারী নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। নিয়োগ দেওয়া জন্য ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মোঃ আফজাল হোসেন ও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আবু সুফিয়ান মন্ডল মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে পছন্দের প্রার্থীদের নিয়োগ দেওয়ার ব্যবস্থা করেন। নিয়োগ প্রক্রিয়ার ছিল অনেক অনিয়ম। বিদ্যালয়টি একটি স্বনামধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কিন্তু বর্তমান নিয়োগপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ও সভাপতির নানা রকম অনিয়ম এবং দুর্নীতির কারনে বিদ্যালয়টির বর্তমানে শিক্ষার পরিবেশ বিঘ্নিত হচ্ছে। জানা যায়, ম্যানেজিং কমিটি অনুমোদন হওয়ার মাত্র ৭ দিনের ভিতর তড়িঘড়ি করে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করেন। পরে একটি জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় নাম মাত্র এই নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দেন, যেখানে প্রার্থীদের কোনো যোগ্যতার কথা উল্লেখ ছিল না।সরকারি নীতিমালা অমান্য করে পছন্দের প্রার্থীদের নিয়োগ দিতে পরিকল্পিতভাবে বিজ্ঞপ্তিতে যোগ্যতার কথা উল্লেখ করেনি ম্যানেজিং কমিটি।
এই নিয়োগের ব্যাপারে এক শিক্ষার্থীর অভিভাবকের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, কখন পরীক্ষা হলো আর কখন নিয়োগ হলো কেউ তো কিছুই জানলো না।একই সাথে এলাকাবাসি ও বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের সাথে কথা বললে তারা বলেন,অবৈধ নিয়োগ বানিজ্য বন্ধ করে এবং নতুন করে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে এলাকাবাসীকে জানিয়ে যোগ্য শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হোক এবং সেই সাথে তারা বিষয়টি দুর্নীতি দমন কমিশনকে অবহিত করার দাবি জানান।
এ বিষয়ে সদ্য নিয়োগপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মোঃ হামিদুল ইসলামের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি কথা না বলে সদ্য নিয়োগপ্রাপ্ত সহকারী প্রধান শিক্ষক মোঃ আনিসুর রহমানের কাছে ফোন ধরিয়ে দেন। তিনি প্রধান শিক্ষক ও তার নিয়োগের দুর্নীতির অভিযোগ অস্বীকার করেন।
স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির এক সদস্যের সাথে কথা বললে তিনি ঢাকা প্রকাশকে বলেন, আমি এই নিয়োগের বিষয়ে কিছুই জানি না। তিনি বলেন, সভাপতি আর প্রধান শিক্ষকের কোরাম ঠিক থাকলে সদস্যের কি কোন দাম থাকে। এই নিয়োগের ব্যাপারে তারাই সব বলতে পারবে।
এ বিষয়ে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আবু সুফিয়ান মন্ডলকে ফোন দেওয়া হলে তিনি নিয়োগের দুর্নীতির বিষয়টি এড়িয়ে গিয়ে বলেন, আমি অসুস্থ ,ঢাকা যাচ্ছি ৭ দিন পর কথা হবে বলে ফোন কেটে দেন।
এ বিষয়টি সম্পর্কে জানার জন্য তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মোঃ আফজাল হোসেন ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারকে একাধিকবার ফোন করা হলে তারা ফোন রিসিভ করে নাই।