সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪ | ৮ পৌষ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

চার মাস পর পাগলা মসজিদে মিলল ১৯ বস্তা টাকা, চলছে গণনা

কিশোরগঞ্জের পাগলা মসজিদের দানবাক্স চার মাস পর খুলে ১৯ বস্তা টাকা পাওয়া গেছে।

শনিবার (৬ মে) সকাল ৮টায় দানবাক্সগুলো খোলা হয়। দানবাক্স খুলে প্রথমে টাকাগুলো বস্তায় ভরা হয়। পরে মসজিদের দ্বিতীয় তলায় নিয়ে মেঝেতে ঢেলে গণনা শুরু করা হয়।

ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদে আটটি দানবাক্স রয়েছে। প্রতি তিন থেকে সাড়ে তিনমাস পর পর এই বাক্সগুলো খোলা হয়। তবে করোনার প্রাদুর্ভাব শুরুর পর থেকে এ মসজিদের দানবাক্সগুলো খোলা হয় চার মাস পর পর। এবারও দানবাক্সগুলো খোলা হয়েছে চার মাস পর।

অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) এ টি এম ফরহাদ চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও দানবাক্স খোলা কমিটির আহ্বায়ক কাজী মহুয়া মমতাজের তত্ত্বাবধানে দানবাক্স খোলা হয়। সকাল ৮টায় আটটি দানবাক্স খুলে ১৯ বস্তা টাকা পাওয়া গেছে। এখন চলছে গণনার কাজ। গণনা শেষে টাকার পরিমাণ জানা যাবে।

টাকা গণনা কাজে সিনিয়র সহাকরী কমিশনার শেখ জাবের আহমেদ, সিরাজুল ইসলাম, সহকারী কমিশনার মোছা. নাবিলা ফেরদৌস, সাদিয়া আফরীন তারিন, মসজিদের পেশ ইমাম মুফতি খলিলুর রহমান ও রূপালী ব্যাংকের সহকারী মহাব্যবস্থাপক (এজিএম) রফিকুল ইসলাম, সিবিএ নেতা মো. আনোয়ার পারভেজসহ ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য এবং মসজিদ কমপ্লেক্সে অবস্থিত মাদরাসা ও এতিমখানার শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা অংশ নিয়েছেন।

এর আগে চলতি বছরের ৭ জানুয়ারি পাগলা মসজিদের দানবাক্স খুলে পাওয়া গিয়েছিল ২০ বস্তা টাকা। দিনভর গুণে পাওয়া গিয়েছিল ৪ কোটি ১৮ লাখ ১৬ হাজার ৭৪৪ টাকা। এ ছাড়াও বৈদেশিক মুদ্রা, সোনা ও রুপার অলংকারও মিলেছিল।

সে সময় তিন মাসে এই পরিমাণ টাকা জমা পড়েছিল মসজিদের দানবাক্সগুলোতে।

এ ছাড়াও মসজিদে নিয়মিত হাঁস-মুরগি, গরু-ছাগলসহ বিভিন্ন ধরনের জিনিসপত্র দান করেন অসংখ্য মানুষ।

মসজিদের পেশ ইমাম মুফতি খলিলুর রহমান জানান, প্রতিদিনই দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ এসে দান করছেন এই মসজিদে।

পাগলা মসজিদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা বীর মুক্তিযোদ্ধা শওকত উদ্দিন ভূঁইয়া জানান, পাগলা মসজিদ ও ইসলামী কমপ্লেক্সের খরচ চালিয়ে দানের বাকি টাকা ব্যাংকে জমা রাখা হয়। এ থেকে জেলার বিভিন্ন মসজিদ, মাদ্রাসা ও এতিমখানায় অনুদান দেওয়া হয়। অসহায় ও জটিল রোগে আক্রান্তদের সহায়তাও করা হয়।

আরএ/

Header Ad
Header Ad

চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন উপদেষ্টা হাসান আরিফ

চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন উপদেষ্টা হাসান আরিফ। ছবি: সংগৃহীত

বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন এবং ভূমি মন্ত্রণালয়ের প্রয়াত উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফকে রাজধানীর মিরপুরের শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে সমাহিত করা হয়েছে। সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) বেলা পৌনে ১১টার দিকে তাকে সেখানে দাফন করা হয়।

এসময় হাসান আরিফের পরিবারের সদস্যদের পাশাপাশি সরকারের শীর্ষস্থানীয়রা উপস্থিত ছিলেন। এদের মধ্যে ছিলেন স্বরাষ্ট্র এবং কৃষি উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, ভূমি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব সালেহ আহমেদ, বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব নাসরীন জাহানসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা।

গত ২০ ডিসেম্বর উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফ বাসায় অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে রাজধানীর ল্যাব এইড হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তার বয়স হয়েছিল ৮৩ বছর।

তার প্রথম নামাজে জানাজা ২১ ডিসেম্বর বাদ এশা ধানমন্ডি সাত নাম্বার বায়তুল আমান মসজিদে অনুষ্ঠিত হয়। সেদিন বেলা ১১টায় হাইকোর্ট প্রাঙ্গণে দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। তৃতীয় জানাজা ওইদিন দুপুরে সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে।

পরে তার মরদেহ ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালের (সিএমএইচ) হিমঘরে রাখা হয়। সেখান থেকে নিয়ে আজ চিরশায়িত করা হলো হাসান আরিফকে। তার জন্য আজ সোমবার রাষ্ট্রীয়ভাবে শোক পালন করা হচ্ছে।

প্রসঙ্গত, শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) বিকেল ৩টা ১০ মিনিটে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফ শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৩ বছর।

অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা হিসেবে হাসান আরিফ গত ৮ আগস্ট শপথ নেন। ফখরুদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলেও আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়, ভূমি এবং ধর্ম মন্ত্রণালয়বিষয়ক উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন তিনি। এ ছাড়া তিনি ২০০১ থেকে ২০০৫ সালের ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত অ্যাটর্নি জেনারেলের দায়িত্ব পালন করেন।

১৯৪১ সালের ১০ জুলাই কলকাতায় জন্মগ্রহণ করেন হাসান আরিফ। কলকাতার সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজ থেকে মাধ্যমিক এবং উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সম্পন্ন করেন। এরপর কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক এবং এলএলবি ডিগ্রি সম্পন্ন করেন।

১৯৬৭ সালে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কলকাতা হাইকোর্টে আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন। এরপর ঢাকায় এসে বাংলাদেশ হাইকোর্টে কাজ শুরু করেন। ১৯৭০ সালে তিনি হাইকোর্টের আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন।

Header Ad
Header Ad

বিয়ের অনুষ্ঠান থেকে ফেরার পথে প্রাণ গেল ৩ যুবকের

ছবি: সংগৃহীত

কুমিল্লায় বিয়ের অনুষ্ঠান থেকে ফেরার পথে মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশে বৈদ্যুতিক পিলারের সাথে ধাক্কা লেগে তিন আরোহী নিহত হয়েছেন।

রোববার (২২ ডিসেম্বর) মধ্যরাতে তাদের মামার বিয়ের অনুষ্ঠান থেকে ফেরার পথে কুমিল্লা সদর উপজেলার বুড়িচং সড়কের পালপাড়া এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন- সদর উপজেলার আড়াইওরা এলাকার কাউসার খলিলের ছেলে আহাদ হোসেন, ভুবনগড় এলাকার মৃত মনির হোসেনের ছেলে মিনহাজুল এবং বুড়িচং উপজেলার শিকারপুর এলাকার জাকির হোসেনের ছেলে মোহাম্মদ ইমন৷

কুমিল্লা কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মহিনুল ইসলাম জানান, গতকাল মধ্যরাত আনুমানিক দেড়টার দিকে সদর উপজেলার পালপাড়া এলাকায় বুড়িচং সড়কে দুর্ঘটনা ঘটে। দ্রুতগামী মোটরসাইকেলটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশের বৈদ্যুতিক পিলারের সাথে ধাক্কায় তিনজন প্রাণ হারিয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। নিহতদের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

নিহত আহাদের মামা পাপন জানান, আড়াইওরা এলাকায় বিয়ের অনুষ্ঠান থেকে ভিডিওগ্রাফার মিনহাজকে বাড়ি পৌঁছে দিতে যাচ্ছিল আহাদ ও ইমন। যাবার পথেই এই দুর্ঘটনা ঘটে। যতটুকু জানা গেছে, ঘটনাস্থলেই তাদের মৃত্যু হয়েছে।

Header Ad
Header Ad

যুক্তরাজ্যে টিউলিপ সিদ্দিককে জিজ্ঞাসাবাদ

টিউলিপ সিদ্দিক। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশে ক্রেমলিন অর্থায়নে পরিচালিত পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রকল্প থেকে প্রায় ৪ বিলিয়ন পাউন্ড আত্মসাতের অভিযোগে যুক্তরাজ্যের সিটি মিনিস্টার টিউলিপ সিদ্দিক ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে তদন্তে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

আর এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে টিউলিপকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন যুক্তরাজ্যের মন্ত্রিপরিষদ অফিসের ন্যায় ও নৈতিকতা দলের কর্মকর্তারা। স্থানীয় সময় রোববার (২২ ডিসেম্বর) যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম দ্য সানডে টাইমসের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, টিউলিপকে গত বৃহস্পতিবার জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। সেখানে নিজের অবস্থান তুলে ধরেন তিনি। যদিও টিউলিপ নিজে জিজ্ঞাসাবাদের ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করেননি। তবে মন্ত্রিসভা অফিসের এক মুখপাত্র বলেছেন, অর্থ আত্মসাতের সঙ্গে জড়িত থাকার দাবি অস্বীকার করেছেন তিনি।

অভিযোগ উঠেছে, রাশিয়ার সঙ্গে ২০১৩ সালে যখন রূপপুর বিদ্যুৎকেন্দ্র নিয়ে আলোচনা হয়, তখন এতে মধ্যস্থতা করেন টিউলিপ। যদিও ওই সময় তিনি ব্রিটেনের কোনো সরকারি দায়িত্বে ছিলেন না।

সূত্র জানায়, জিজ্ঞাসাবাদে টিউলিপ জানানা যে তিনি এক দশকেরও বেশি সময় আগে তাঁর খালার সঙ্গে দেখা করতে মস্কো গিয়েছিলেন। কারণ বাংলাদেশের চেয়ে রাশিয়ায় যাওয়া তাঁর জন্য সহজ ছিল।

টিউলিপ ব্রিটেনের লেবার মন্ত্রিসভার সদস্য। তিনি ইকোনমিক সেক্রেটারি টু দ্য ট্রেজারি অ্যান্ড সিটি মিনিস্টার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তাঁর কাজ যুক্তরাজ্যের অর্থবাজারের ভেতরের দুর্নীতি সামাল দেওয়া।

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর ডাউনিং স্ট্রিটের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, টিউলিপের ওপর প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারের আস্থা আছে এবং দুর্নীতিবিরোধী পদক্ষেপগুলোর দেখাশোনো করার ক্ষেত্রে তাঁর দায়িত্ব অব্যাহত থাকবে। তিনি তাঁর মন্ত্রীর দায়িত্ব অব্যাহত রাখবেন।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন উপদেষ্টা হাসান আরিফ
বিয়ের অনুষ্ঠান থেকে ফেরার পথে প্রাণ গেল ৩ যুবকের
যুক্তরাজ্যে টিউলিপ সিদ্দিককে জিজ্ঞাসাবাদ
বিমান বিধ্বস্ত হয়ে একই পরিবারের ১০ জন নিহত
উপদেষ্টা হাসান আরিফের মৃত্যুতে আজ রাষ্ট্রীয় শোক
গাজায় হাসপাতাল-স্কুল ও ‘সেফ জোনে’ ইসরায়েলের হামলা, নিহত ৫০
আজ রাজধানীর যেসব সড়ক বন্ধ থাকবে
৯ গোলের রোমাঞ্চকর ম্যাচে টটেনহ্যামকে হারাল লিভারপুল
লাইভে ‘জুবায়েরপন্থী’ বলায় টাঙ্গাইলে সাংবাদিকের ওপর হামলা, আহত ৬
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহত শিশু আরাফাত মারা গেছে
আমাদের কেবিনেটে কোনো অসৎ ব্যক্তি নেই: নৌ উপদেষ্টা
কবে লন্ডন যাচ্ছেন খালেদা জিয়া, যা জানা গেল
হামাসের সঙ্গে সংঘর্ষে ৩৫ ইসরাইলি সেনা নিহত, আহত শতাধিক
নতুন স্বরাষ্ট্রসচিব ড. নাসিমুল গনি
গুম করে বন্দিদের ভারতে পাঠাতেন শেখ হাসিনা!
বিরামপুরে সাদ পন্থীদের নিষিদ্ধের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ
নওগাঁয় পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সামনে শিক্ষার্থীদের অবস্থান
আব্রাম না থাকলে তাকে আমার যোগ্য বলেই মনে করতাম না: অপু বিশ্বাস
কাবাঘরে ‌‘জয় বাংলা’ স্লোগান, পরিচয় জানা গেল সেই যুবকের
গাইবান্ধায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গ্রেফতার