ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগ, শিক্ষক কারাগারে
রাজশাহীতে কোচিংয়ে দুই ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগে এক কলেজ শিক্ষককে গ্রেপ্তারের পর কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
ওই শিক্ষকের নাম আহাদুজ্জামান নাজিম। তিনি রাজশাহী নগরীর ভাটাপাড়া এলাকার বাসিন্দা। গোদাগাড়ী উপজেলার রাজাবাড়িহাট ডিগ্রি কলেজের শিক্ষক তিনি।
নগরীর মহিষবাথান এলাকায় নাজিমের একটি কোচিং সেন্টার আছে। এটির নাম ‘নাজিম প্রাইভেট সেন্টার’। এখানে গত মঙ্গলবার দশম শ্রেণি পড়ুয়া দুই ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগে শনিবার রাতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে থানায় মামলা হয়েছে। রোববার সকালে নাজিমকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
ভুক্তভোগীরা জানিয়েছেন, আহাদুজ্জামান নাজিম রাজাবাড়িহাট ডিগ্রি কলেজের মার্কেটিং বিভাগের প্রভাষক। তবে নিজের কোচিংয়ে তিনি ইংরেজি পড়াতেন। তিনি মাঝে মাঝেই নানা অযুহাতে ছাত্রীদের শরীরে হাত দিতেন। লজ্জায় কেউ কিছু না বলে কোচিংয়ে আসা বন্ধ করে দিত। ঘটনার শিকার দুই শিক্ষার্থীও চেপে যাচ্ছিলেন। পরে বিষয়টি পরিবারকে জানানো হলে অভিভাবকরা নাজিমকে ধরে পুলিশে দেন।
এজাহারের বরাত দিয়ে নগরীর রাজপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাজহারুল ইসলাম জানান, গত মঙ্গলবার বিকালে কোচিংয়ের দুই ছাত্রীকে যৌন হয়রানি করেন শিক্ষক নাজিম। ওই দুই ছাত্রীকে ফুসলিয়ে মোটরসাইকেলে তুলে অন্য জায়গায় নিয়ে যাওয়ারও চেষ্টা করেন। ওই দুই ছাত্রী তার সঙ্গে না গিয়ে বাড়ি চলে যান।
এরপর তারা কোচিংয়ে আসা বন্ধ করে দেন। পরে শনিবার এক ছাত্রীর সহপাঠী ভুক্তভোগী ছাত্রীর বাড়ি গিয়ে তার অভিভাবককে ঘটনাটি সম্পর্কে জানান। এরপর ওই দুই ছাত্রীর অভিভাবকসহ অন্য অভিভাবকেরা শনিবার সন্ধ্যায় কোচিং সেন্টারটি ঘেরাও করে পুলিশে খবর দেন। পুলিশ গিয়ে নাজিমকে থানায় নিয়ে আসে। এ নিয়ে রাতেই এক ছাত্রীর অভিভাবক বাদি হয়ে শিক্ষক নাজিমের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। রোববার সকালে নাজিমকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
এসএন