কালুর পরিবারের ৪ সদস্যের লাশ উদ্ধার
এমভি অভিযান-১০ লঞ্চ দুর্ঘটনায় পরিবারের ১০ সদস্য হারানো কালু (৩০) এখনও হাসপাতালের বিছানায় কাতরাচ্ছেন আর স্বজনদের জন্য কান্না করছেন। তার হৃদয়বিদারক আহাজারিতে ভারী হয়ে উঠেছে আশপাশের পরিবেশ। শনিবার (২৫ ডিসেম্বর) নিখোঁজ ১০ সদস্যের মধ্যে ৪ জনের মৃতদেহ পাওয়া গিয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে কালুর ভাগনে নিশাত আকন বলেন, ‘আমরা হারানো ৬ জনকে এখনও খুজছি। জানি না পাবো কি-না। মামাকে কিছুই জানাইনি।’
দগ্ধ, আহত কালু বর্তমানে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের চক্ষু বিভাগে ঢাকা থেকে আগত ৭ চিকিৎসকের তত্বাবধানে চিকিৎসাধীন।
ঢাকার একটি রুটির দোকানে চাকরি করেন কালু। পরিবার নিয়ে ঢাকায় থাকেন। তিনি বলেন, ‘আমার বড় বোনের স্বামী কিছুদিন আগে বিদেশ থেকে বরগুনা এসেছে। তার সঙ্গে দেখা করতে আমার স্ত্রী, সন্তান, ভাই, ভাগ্নে, ছোট বোনসহ মোট ১০ জন একসঙ্গে ঢাকা থেকে বরগুনা আসছিলাম। হঠাৎ শুনতে পেলাম আগুন লেগেছে। এরপর ছুটাছুটি শুরু হলো। আগে বুঝতে পারলে সবাইকে নিয়ে পানিতে ঝাপ দিতাম। আমি এখানে অসুস্থ হয়ে পড়ে আছি। কাউকে খবরও দিতে পারছি না। কারও খোঁজ পাচ্ছি না।’
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার (২৩ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত ৩টার দিকে মাঝনদীতে এমভি অভিযান-১০ লঞ্চে আগুন লাগে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন শতাধিক। এর মধ্যে ৭২ জনকে ভর্তি করা হয়েছে বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।
এসএম/এএন