সাতক্ষীরায় আগাম বোরো চাষাবাদে ব্যস্ত কৃষক
আবহাওয়ার অনুকূল পরিবেশ থাকায় সাতক্ষীরার তালায় বোরো চাষে বাম্পার ফলনের স্বপ্ন নিয়ে কৃষক আগাম জমি চাষ শুরু করেছেন। অতি বৃষ্টিতে আমনের ফলন ভালো না হওয়ায় লোকসান পুষিয়ে নিতে আগেভাগে চাষ শুরু করেছে কৃষক। এ বছর কৃষকরা ব্রি-২৮ জাতের ধান চাষের লক্ষ্যে বীজতলা তৈরি করেছেন।
সাতক্ষীরার তালা উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানিয়েছে, চলতি মৌসুমে উপজেলায় ১৯ হাজার হেক্টরের বেশি জমিতে চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। ধানের দাম বেশি হওয়াতে কৃষক উঁচু জমিতে আগেভাগে চাষ শুরু করবে।
তালা উপজেলার বিভিন্ন এলাকা কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সব এলাকায় আমন ধান কাটা শেষের পথে। নিচু জমিতে বীজতলা তৈরি করে অনেক কৃষক আগাম চারা তৈরি করে জমি চাষ শুরু করেছে। অনেক কৃষক মৎস্য ঘেরে মাছ ধরে ধান রোপন করবেন। তারা দেরিতে বীজ তলা তৈরির কাজ করছেন। সবমিলিয়ে উপজেলায় সর্বত্র কৃষক চাষাবাদে ব্যস্ত সময় পার করছে।
পাটকেলঘাটার আমতলাডাঙ্গা গ্রামের কৃষক শফিদুল ইসলাম জানান, গত বছর ভালো ফলন হওয়ায় এ বছর তিনি ব্রি-২৮ রোপন করছেন। তাছাড়া এলাকার কৃষক ব্রি ধান-৮১, ৮৮, ৬৩ ও হাইব্রিড-শক্তি-২, তেজ গোল্ড ব্রাক-১৭ জাতের ধানের বীজতলা তৈরি করেছে।
তিনি আরও জানান, নিজেদের জমি ও নিজস্ব ব্লক থাকায় আগাম চাষ শুরু করেছি। তাহলে ধান আগে কাটা পড়বে দামও বেশি পাওয়া যাবে।
কৃষক আজিবার রহমান বলেন, ‘আমার নিজের জমি নেই, বর্গাচাষ করি। পরের জমিতে মেশিন বসিয়ে চাষ করি। চারা তৈরি হয়ে গেছে। জমি চাষ শুরু করেছি। এক সপ্তাহ পরে রোপন শুরু করবো।’
তিনি জানান, ডিজেলের দাম বেশি হওয়াতে বিঘাপ্রতি উৎপাদন খরচ হবে ৬ থেকে ৭ হাজার টাকা। স্থানীয় উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা কল্যান পাল বলেন, ‘আমার ব্লকে কৃষকদের সুষম মাত্রা সার ব্যবহার, জৈব ও অজৈব, গুটি ইউরিয়া সার প্রয়োগ পোকামাকড় দমনসহ কৃষকদের নানাবিধ পরামর্শ প্রদান করা হয়ে থাকে।’
তালা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হাজিরা বেগম বলেন, ‘তালা উপজেলার শতকরা ৮০জন লোক কৃষি কাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত। তাছাড়া ধানের মূল্য বেশি হওয়াতে কৃষক তার সব জমিটুকু চাষাবাদ করবে। উপজেলায় নিচু জমিতে কৃষকের আমন ধানের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে আগাম চাষাবাদ শুরু করেছে।’
/এএন