কুড়িগ্রামে জোড়া লাগা দুই শিশুর জন্ম
কুড়িগ্রামের একটি প্রাইভেট ক্লিনিকে জোড়া লাগানো অবস্থায় দুই কন্যা শিশুর জন্ম হয়েছে। সোমবার (২১ মার্চ) রাতে কুড়িগ্রাম শহরের খান ক্লিনিকে সিজারের মাধ্যমে জোড়া লাগানো শিশু দুটির জন্ম হয়।
মঙ্গলবার (২২ মার্চ) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাদের রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন সিভিল সার্জন ডা. মনজুর এ মোর্শেদ।
শিশু দুটির বাবা-মা কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার কাঁঠালবাড়ী ইউনিয়নের খামার শিবরাম গ্রামের রানা মিয়া ও নাসরিন বেগম। রানা মিয়া পেশায় একটি পরিবহন কাউন্টারের ম্যানেজার হিসেবে কাজ করছেন বলে জানা গেছে।
ক্লিনিক সূত্রে জানা গেছে, নাসরিন বেগমকে গত সোমবার (২১ মার্চ) ক্লিনিকে ভর্তি করানো হয়। রাত সাড়ে ১০টার দিকে সিজারের মাধ্যমে জোড়া লাগানো শিশু দুটির জন্ম হয়। জন্মের পর মা ও শিশু দুটির শারীরিক অবস্থা ভালো ছিল। পরে মঙ্গলবার তাদের রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়।
আরও পড়ুন: ১২ ঘণ্টার অস্ত্রোপচার সফল: লাবিবা-লামিসা আলাদা হলো
এ প্রসঙ্গে সিভিল সার্জন ডা. মনজুর এ মোর্শেদ জানান, বাথ ডিফেক্টের কারণে এ ধরনের শিশুর জন্ম হয়ে থাকে। জন্ম নেওয়া শিশু দুটির শরীরের শেষ ভাগের পেছন অংশ জোড়া লাগানো। জন্মের সময় তাদের ওজন সাড়ে চার কেজি ছিল। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাদের রংপুরে পাঠানো হয়েছে। তবে প্রসূতির শারীরিক অবস্থা ভালো রয়েছে।
‘গর্ভে থাকা অবস্থাতেই বাথ ডিপেক্টের কারণে শিশু দুটির শরীর জোড়া লেগেছে। তাদের শারীরিক অবস্থা এবং পরবর্তী চিকিৎসা ব্যবস্থা পরীক্ষা-নিরীক্ষা ছাড়া বলা সম্ভব নয়।’ যোগ করেন সিভিল সার্জন। তবে এ বিষয়ে শিশু দুটির বাবা-মায়ের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের ১৫ এপ্রিল নীলফামারির জলঢাকা উপজেলার কৈমারী ইউনিয়নের যদুনাথ পাড়া এলাকার লাল মিয়া ও মনুফা বেগম দম্পতির ঘরে জন্ম নেয় এমনই দুই জোড়া লাগানো শিশু লাবিবা ও লামিসা।
তবে গতকাল সোমবার (২১ মার্চ) লাবিবা-লামিসার সফল অস্ত্রোপচার হয় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। মেডিকেল বোর্ডের মাধ্যমে ৩৮ জন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সমন্বয়ে হাসপাতালে জোড়া লাগানো দুই বোন লাবিবা ও লামিসাকে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে আলাদা করা হয়। দীর্ঘ ১২ ঘণ্টা সময় ধরে সফল অস্ত্রোপচার শেষ করেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা।
এর একদিন পরই মঙ্গলবার (২২ মার্চ) কুড়িগ্রামে জোড়া লাগানো দুই শিশুর জন্মের খবর পাওয়া গেল।
এমএসপি