বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪ | ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্র: গুরুত্বপূর্ণ যে পাঁচ তথ্য জেনে রাখা প্রয়োজন

দেশের সর্ববৃহৎ বিদ্যুৎকেন্দ্রটি সোমবার উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এই কেন্দ্রের থেকে প্রতিদিন এক হাজার ৩২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের সক্ষমতা রয়েছে। পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় উপজেলার ধানখালীতে কয়লাভিত্তিক এ বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করা হয়েছে। বিদ্যুৎ উৎপাদনের দিক থেকে এটি বাংলাদেশে সর্ববৃহৎ কেন্দ্র।

বাংলাদেশের এখন পর্যন্ত বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ২৫ হাজার মেগাওয়াটের বেশি। পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র চালু হয়েছে এখন তেল বা ফার্নেস অয়েলভিত্তিক কুইক রেন্টালের আরেকটি বিকল্প তৈরি হয়েছে।

পায়রা বিদ্যুৎ কেন্দ্র সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ পাঁচটি তথ্য জেনে রাখতে পারেন:

১. চীন-বাংলাদেশের যৌথ প্রকল্প পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র তৈরি হয়েছে বাংলাদেশ ও চীনের যৌথ উদ্যোগে। ২০১৪ সালে এই সংক্রান্ত চুক্তি হয়েছিল। নির্মাণের কাজ করেছে বাংলাদেশ-চায়না পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড। আড়াইশো কোটি ডলার ব্যয়ে এই কেন্দ্র নির্মাণের সিংহভাগ অর্থায়ন করেছে চীন।

এরপর ২০১৬ সালের অক্টোবরে পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার ধানখালীতে কয়লাভিত্তিক এ বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের ভিত্তি প্রস্তর উদ্বোধন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ ধানখালী গ্রামের এক হাজার একর জমির ওপর নির্মিত হয়েছে বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি।

এর কাছেই রয়েছে পায়রা বন্দর। যেখান থেকে বিদ্যুৎকেন্দ্রের জ্বালানি কয়লা আমদানি সহজ হবে বলে সরকার আশা করছে। কর্মকর্তারা আশা করছেন, এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রের মাধ্যমে দক্ষিণাঞ্চলে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত হবে।

২. এক বছরের বেশি সময় পরে বিদ্যুতের ব্যবহার পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্রটি সোয়া এক বছর আগে পুরোপুরি প্রস্তুত হয়ে গেলেও, সঞ্চালন অবকাঠামোর কারণে গত এক বছরে কাজে লাগানো যায়নি। পরীক্ষামূলক চালানোর পর ২০২০ সালের ১৫ মে প্রথম কেন্দ্রটি পুরোপুরি উৎপাদনে আসে। আর দ্বিতীয় ইউনিট বাণিজ্যিকভাবে কাজ শুরু করে সেই বছরের ডিসেম্বর মাসে। তবে সঞ্চালন লাইন পুরোপুরি নির্মাণ শেষ না হওয়ার কারণে সেই বিদ্যুৎ ব্যবহার করা যায়নি।

এখন পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে গোপালগঞ্জ পর্যন্ত, আমিনবাজার-মাওয়া-গোপালগঞ্জ-মোংলা পর্যন্ত সঞ্চালন লাইন তৈরি করা হয়েছে। বর্তমানে প্রতিদিন এই প্ল্যান্টে ৭০০ থেকে এক হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদিত হচ্ছে।

৩. দক্ষিণাঞ্চলে বিদ্যুৎ সঙ্কট দূর করবে সরকার বলছে, বাংলাদেশের বিদ্যুতের বিপুল চাহিদার এক দশমাংশ পূরণ হবে পায়রার এই একটি কেন্দ্র থেকে। এখানকার বিদ্যুৎ দিয়ে দক্ষিণাঞ্চলের বিদ্যুতের সমস্যা অনেকাংশে মিটে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। বিশেষ করে পদ্মা সেতু হওয়ার পর দক্ষিণাঞ্চলে শিল্প-কারখানা ও উন্নয়নের যে আশা করা হচ্ছে, সেখানে বিদ্যুৎ সরবরাহে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে এই কেন্দ্রটি। পাওয়ার সেলের তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশে এখন মোট বিদ্যুৎ গ্রাহকের সংখ্যা ৪ কোটি ২১ লাখ।

বাংলাদেশের পাওয়ার সেলের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ২৫ হাজার ৫১৪ মেগাওয়াট। তবে সর্বোচ্চ ১৩ হাজার ৭৯২ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়েছে গত বছরের ২৭ এপ্রিল। সক্ষমতা থাকলেও গড় উৎপাদন হচ্ছে নয় থেকে ১০ হাজার মেগাওয়াট। বিদ্যুৎ আমদানি করা হয় ১১৬০ মেগাওয়াট। বাংলাদেশে এখন ৫৬ শতাংশ বিদ্যুৎই আসছে বেসরকারি কেন্দ্রগুলো থেকে এবং বাংলাদেশে বিদ্যুতের উচ্চমূল্য নিয়ে বেসরকারি খাতের কেন্দ্রগুলোকেই দায়ি করা হয়।

পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের নিয়ন্ত্রণ কক্ষ আবার বিদ্যুৎ উৎপাদনে সক্ষমতা থাকলেও সঞ্চালন ও সরবরাহ লাইনের অভাব থাকায় বিদ্যুতে গ্রাহকদের কাছে সেটি ঠিকমতো সরবরাহ করা যায় না। বাংলাদেশে প্রতিদিনের বিদ্যুতের চাহিদা থাকলেও অনেক গ্রাহকই ঠিকমতো বিদ্যুৎ পান না। বিশেষ করে এ জন্য সবচেয়ে বেশি ভুগছেন গ্রামীণ এলাকার বাসিন্দারা।

যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান ইন্সটিটিউট ফর এনার্জি ইকোনমিকস ফাইন্যান্সিয়াল অ্যানালাইসিস (আইইইএফএ) ২০২০ সালে একটি প্রতিবেদনে বলেছিল, বাংলাদেশে মোট বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ৪৩ শতাংশ ব্যবহৃত হয়, বাকি ৫৭ শতাংশ অলস বসিয়ে রেখে কেন্দ্র ভাড়া দেয়া হয়।

তবে আশা করা হচ্ছে, এই বিদ্যুতের ব্যবহার শুরু হলে সরকার কুইক রেন্টাল প্রকল্পগুলো থেকে বেরিয়ে আসতে পারবে। তখন বিদ্যুৎ উৎপাদনে খরচও কমে যাবে।

৪. কয়লা ব্যবহার নিয়ে সমালোচনা পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র। এই বিদ্যুৎ উৎপাদনে প্রতিদিন ১২ হাজার টনের বেশি কয়লা পোড়ানো হচ্ছে। ইন্দোনেশিয়া থেকে বঙ্গোপসাগরের রামনাবাদ চ্যানেল হয়ে কয়লা আসে। পরবর্তীতে অস্ট্রেলিয়া ও অন্যান্য দেশ থেকেও আমদানির পরিকল্পনা রয়েছে। এ বিদ্যুৎকেন্দ্রের কাজ যখন শুরু হয়, তখন থেকে সেখানকার পরিবেশের ওপর এর ক্ষতিকর প্রভাব নিয়ে আলোচনা ওঠে।

সরকারের বিদ্যুৎ খাতে ২০১৬ সালের মহা-পরিকল্পনা অনুযায়ী ২০৪১ সালের মধ্যে ৬০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্য স্থির করা হয়েছে। যেখানে আমদানি ও নিজস্ব গ্যাসে ৩৫ শতাংশ, আমদানি নির্ভর কয়লায় ৩৫ শতাংশ, তেল, বিদ্যুৎ আমদানি ও নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে বাকি ৩০ ভাগ বিদ্যুৎ উৎপাদনের পরিকল্পনা করা হয়েছে। তবে বাংলাদেশও সর্বশেষ জলবায়ু সম্মেলনে কয়লার ব্যবহার থেকে বেরিয়ে আসার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। পরিকল্পনায় থাকা ১০টি কয়লানির্ভর কেন্দ্র বাতিল করেছে সরকার কিছুদিন আগে।

যদিও সরকার শুরু থেকেই বলে এসেছে, পরিবেশের ক্ষতি না করে করা হবে এ কাজ। কিন্তু কার্যত গত কয়েক বছরে সেখানকার পরিবেশের ব্যাপক পরিবর্তন লক্ষ্য করছেন স্থানীয় মানুষেরা।

ধানখালী গ্রামের একজন স্কুল শিক্ষক মুস্তাফা তুহিন বলছিলেন, গাছপালায় কালো ছোপছোপ পড়ে গেছে। সরকারের পক্ষ থেকে বলেছে ওটা ছত্রাক বা ফাঙ্গাস। কিন্তু নারকেল ও অন্যান্য গাছপালায় আগে তো ছত্রাক ছিল না, হঠাৎ ২/৩ বছরে ছত্রাক আসলো কোথা থেকে? আর গাছপালার ফলনও কমে গেছে।

সরকার বলছে, পরিবেশের ক্ষতির ঝুঁকি কমাতে এই কেন্দ্রে আলট্রা সুপার ক্রিটিকাল প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে। বাংলাদেশ চায়না পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ.এম খোরশেদুল আলম বলছেন, বিশ্বব্যাংকের নির্ধারিত মানদণ্ড মেনেই বিদ্যুৎ তৈরি হচ্ছে এখানে এবং কার্বন ও সালফার নিঃসরণের মাত্রা সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণ করছে পরিবেশ অধিদপ্তরসহ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান ।

তবে পরিবেশবাদীরা বলছেন, এরপরেও পরিবেশের ক্ষতি হবেই। তারা বলছেন, সরকারের উদ্যোগের ফলে ক্ষতির পরিমাণ কমতে পারে, কিন্তু নির্মূল হবে না।

পরিবেশবাদীদের নেটওয়ার্ক বাংলাদেশের বৈদেশিক দেনা বিষয়ক কর্মজোটের সদস্য-সচিব হাসান মেহেদী বলছেন, ফ্লাই-অ্যাশের পরিমাণ কমলেও যে পরিমাণ নিঃসরণ হচ্ছে আর হবে সেটির ব্যবস্থাপনা কঠিন।

তিনি বলছেন, ‘ধরুন আগে হয়ত ১০০ গ্রাম ছাই হত এখন ৭০ গ্রাম হবে। এখনো বছরে ২০ লাখ টন ছাই হবে, সেই ছাইয়ের ব্যবস্থাপনা কঠিন কাজ। এর বাইরে বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কয়লা ঠাণ্ডা করার জন্য যে পানি ব্যবহার হবে সেটি ডিসচার্জ হবে রামনাবাদ চ্যানেল এবং পাশের নদীতে। সমস্যা হচ্ছে ইলিশের একটি অভয়ারণ্য, এবং গত এক বছর ধরে ওখানে ইলিশের সংখ্যা কমে গেছে বলে স্থানীয় মানুষেরা বলছে।’

বাংলাদেশে রামপাল, মাতারবাড়ি প্রকল্পসহ আরও কয়েকটি বড় আকারের কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের কাজ চলমান রয়েছে।

৫. আলট্রা সুপার ক্রিটিক্যাল প্রযুক্তি পরিবেশ রক্ষায় যে বিশেষ প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে কয়লাভিত্তিক প্রকল্প বা প্ল্যান্টের ক্ষয়ক্ষতি কমিয়ে আনা হয়, তাকে বলা হয় আলট্রা সুপার ক্রিটিক্যাল প্রযুক্তি। এ ধরনের প্রযুক্তি ব্যবহারকারীর দেশের তালিকায় বাংলাদেশ ১৩ তম দেশে পরিণত হয়েছে।

এশিয়ায় ভারত, চীন, তাইওয়ান, জাপান ও মালয়েশিয়ায় আলট্রা সুপার ক্রিটিক্যাল প্রযুক্তির বিদ্যুৎকেন্দ্র রয়েছে। এ.এম খোরশেদুল আলম বলেছেন, ঢাকনিযুক্ত কোল ইয়ার্ড ব্যবহার করার ফলে বাতাসের মাধ্যমে খোলা কয়লার গুঁড়ো ছড়িয়ে পড়ার সুযোগ কমে যাবে। ফলে পরিবেশ দুষণের সম্ভাবনাও থাকবে না।

এমএসপি

 

Header Ad

হাসনাত ও সারজিসকে হত্যাচেষ্টাকারী ড্রাইভার ও হেলপার আটক

হাসনাত-সারজিসকে হত্যাচেষ্টাকারী ড্রাইভার ও হেলপার আটক। ছবি: সংগৃহীত

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম দুই সমন্বয়ক, হাসনাত আবদুল্লাহ ও সারজিস আলমকে ট্রাকচাপা দিয়ে হত্যার চেষ্টায় অভিযুক্ত ট্রাক চালক ও হেলপারকে আটক করা হয়েছে।

বুধবার (২৭ নভেম্বর) রাতে চট্টগ্রামের লোহাগাড়া থানা পুলিশ তাদের আটক করে। তবে আটক হওয়া ওই চালক ও হেলপারের নাম-পরিচয় এখনো জানা যায়নি।

এর আগে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে এ হত্যাচেষ্টার ঘটনা ঘটে। লোহাগাড়া থানার দায়িত্বরত সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) মো. আলিম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, বিষয়টি নিয়ে একটি আইনগত প্রক্রিয়া চলছে।

জানা গেছে, বুধবার অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম আলিফের কবর জিয়ারত শেষে ফেরার পথে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের চুনতি ইউনিয়নের হাজী রাস্তার মোড়ে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

এর আগে আজ দুপুরে চট্টগ্রাম নগরের টাইগারপাস মোড়ে চট্টগ্রামে আইনজীবী আলিফ হত্যার প্রতিবাদে এক বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। যেখানে বক্তব্য দেন হাসনাত আব্দুল্লাহ ও সারজিস আলম। সমাবেশে ইসকনকে নিষিদ্ধের দাবি জানিয়ে আইনজীবী আলিফ নিহতের ঘটনায় জড়িতদের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেপ্তারের দাবি জানান তারা।

Header Ad

বিমান বাহিনীকে পঞ্চম জেনারেশনে উন্নীত করাই প্রধান লক্ষ্য: এয়ার চিফ মার্শাল

বক্তব্য রাখছেন এয়ার চিফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খাঁন। ছবি: সংগৃহীত

একুশ শতকের স্পেশাল বৈষয়িক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় অন্তবর্তীকালীন সরকারের মাধ্যমে বিমান বাহিনীকে পঞ্চম জেনারেশনে উন্নতি করাই প্রধান লক্ষ্য বলে জানিয়েছেন বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার চীফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খাঁন। তিনি বলেন, মহড়ার মূল উদ্দেশ্যে হচ্ছে আমাদের সক্ষমতা যাচাই করা এবং এর মাধ্যমে আমরা আমাদের অনেক বিষয় নির্ণয় করে সে মোতাবেক পদক্ষেপ গ্রহণ করি।

বুধবার (২৭ নভেম্বর) দুপুরে টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলার রসুলপুর বিমানবাহিনীর ফায়ারিং রেঞ্জে বার্ষিক গোলা বর্ষণ মহড়া অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

হাসান মাহমুদ খাঁন বলেন, বিমানবাহিনীর প্রধান ভূমিকা হচ্ছে দিগন্ত, স্থলে ও জলে যে কোন আঘাত প্রতিহত করা। এছাড়াও দেশের যে কোন প্রয়োজনে ২৪ ঘন্টা, ৭ দিন সবসময় আমরা প্রস্তুত থাকি।

এদিকে, মহড়ায় শুরুতেই দেখানো হয় দুর্ঘটনা কবলিত পাইলটকে উদ্ধারে কমান্ডো অভিযান। এতে দুটি যুদ্ধ হেলিকপ্টার ও একটি রেসকিউ হেলিকপ্টার অংশ নেয়। এরপর মহড়ায় যোগ দেয় এফ সেভেন বিজিআই ও  মিগ ২৯সহ পাঁচটি যুদ্ধ বিমান।

এসময় গোলাবর্ষণ ও রকেট নিক্ষেপ করে প্রদর্শন করে নানা যুদ্ধ কৌশল। পরে মিগ ২৯ যুদ্ধ বিমান বিমানবাহিনী প্রধানকে সালামের মাধ্যমে মহড়ার কার্যক্রম শেষ করে। অনুষ্ঠানে সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, বিমানবাহিনী, বিভিন্ন মন্ত্রাণালয় ও প্রশাসনের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

Header Ad

দুর্ঘটনার কবলে হাসনাত-সারজিস, দুমড়ে-মুচড়ে গেল গাড়ি

দুর্ঘটনার কবলে হাসনাত-সারজিস, দুমড়ে-মুচড়ে গেল গাড়ি। ছবি: সংগৃহীত

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা হাসনাত আব্দুল্লাহ ও সারজিস আলমের বহরের একটি গাড়ি দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে। এতে গাড়িটির সামনের অংশ দুমড়ে-মুচড়ে গেছে।

বুধবার (২৭ নভেম্বর) সন্ধ্যার দিকে এই দুর্ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, চট্টগ্রামে নিহত অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম আলিফের কবর জিয়ারত শেষে ফেরার পথে আনুমানিক সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের চুনতি ইউনিয়নের হাজী রাস্তার মোড়ে এ দুর্ঘটনা ঘটে। তবে এই ঘটনায় দুই সমন্বয়ক অক্ষত রয়েছেন।

লোহাগাড়া থানার দায়িত্বরত সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মো. আলিম দুর্ঘটনার তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, এই ঘটনায় একটি ট্রাক জব্দ করা হয়েছে। জিডির প্রক্রিয়া চলছে। তবে কীভাবে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে তা প্রাথমিকভাবে জানাতে পারেননি এএসআই আলিম।

এদিকে, ফেসবুকে ভাঙা গাড়ির ছবি আপলোড করে বিষয়টি জানান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখ্য সংগঠক হান্নান মাসুদ।

পোস্টে তিনি লিখেন, শহীদ এডভোকেট সাইফুল ইসলাম আলিফ ভাইয়ের কবর জেয়ারত করে ফেরার পথে আনুমানিক সন্ধ্যা ৭.৩০ মিনিটে চট্রগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের চুনতি ইউনিয়নের হাজী রাস্তার মোড়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ ও সার্জিস আলমের গাড়ি বহরে ট্রাক চাপা দিয়ে হত্যা চেষ্টা করা হয়।

প্রাথমিক তদন্তে ড্রাইভার ময়মনসিংহ থেকে কক্সবাজারে মালামাল খালাস করে আসার কথা বললেও মাল খালাসের কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। অতীতে ভারতীয় কর্তৃক বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় অনেক ব্যক্তিকে হত্যা করার নজির রয়েছে।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

হাসনাত ও সারজিসকে হত্যাচেষ্টাকারী ড্রাইভার ও হেলপার আটক
বিমান বাহিনীকে পঞ্চম জেনারেশনে উন্নীত করাই প্রধান লক্ষ্য: এয়ার চিফ মার্শাল
দুর্ঘটনার কবলে হাসনাত-সারজিস, দুমড়ে-মুচড়ে গেল গাড়ি
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে আইনজীবী সাইফুলের গায়েবানা জানাজা
দুই দফা কমার পর আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম
বিসিএসের প্রশ্নফাঁস: বিজি প্রেসের দুই কর্মচারী গ্রেপ্তার
সাত কলেজের অনার্স ১ম বর্ষের পরীক্ষা স্থগিত
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক শেষে যা বললেন মির্জা ফখরুল
ফ্যাসিবাদের দোসরদের ষড়যন্ত্র এখনো অব্যাহত: রিজভী
জিয়াউর রহমানকে নিয়ে ‘আপত্তিকর’ মন্তব্য, বিচারককে ডিম ছুড়লেন আইনজীবীরা
কলকাতায় বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশনের সামনে বিজেপির বিক্ষোভ
নিরবের পরকীয়ার অভিযোগ ফিরিয়ে নিলেন স্ত্রী, চাইলেন ক্ষমা
মিয়ানমারের জান্তা প্রধানের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন
স্ত্রী হত্যা মামলায় জামিন পেলেন সাবেক এসপি বাবুল
ইসকন নিষিদ্ধের দাবিতে উত্তাল চট্টগ্রাম, নেতৃত্বে হাসনাত-সারজিস
চাঁদাবাজি ও কর ফাঁকির মামলা থেকে তারেক রহমানের অব্যাহতি
পাবনার আটঘরিয়ায় দিনে-দুপুরে বাড়িতে হামলা-ভাঙচুর ও লুটপাট
যে পেশায় মানুষের জায়গা নিতে পারবে না এআই
প্রবাসীদের জন্য মধ্যপ্রাচ্যে ইলিশ রপ্তানির উদ্যোগ
সুপ্তার সেঞ্চুরির আক্ষেপের পরেও বাংলাদেশের রেকর্ড সংগ্রহ