বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪ | ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

৭০ শিশুকে কারাগারে নয় বাবা-মায়ের জিম্মায় পাঠালেন বিচারক

কারাগারে নয়, বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা আর ফুল হাতে দিয়ে ৭০ জন অভিযুক্ত শিশুকে বাবা-মায়ের কাছে ফেরত পাঠালেন আদালত।

সোমবার (২১ মার্চ) দুপুরে ৯ শর্তে ৫০ মামলায় এসব শিশুদের বাবা-মায়ের জিম্মায় দেওয়া হয়।

একসঙ্গে অর্ধশত মামলার রায় দিতে গিয়ে এমন নজির স্থাপন করলেন সুনামগঞ্জের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক জাকির হোসেন।

জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে এমন রায় বলেও জানান আদালত। এই রায়ে শিশুদের জীবনে সংশোধনের সুযোগ তৈরি হওয়ায় খুশি আইনজীবী ও অভিভাবকরাও। আদালত প্রত্যেকের হাতে জাতীয় পতাকা তোলে দিয়ে বলেন, এই পতাকা বুকে ধারণ করতে হবে, দেশকে সাজাবে তোমরা। দীর্ঘদিন এই মামলাগুলো চলে আসায় পড়াশোনাসহ সুন্দর ভবিষ্যতের পথ থেকে ছিটকে পড়ছিল শিশুরা।

জানা যায়, কোমলমতি এসব শিশুদের পরিবারের অন্যদের সঙ্গে মামলায় জড়ানো হয়েছিল। মারামারি ও ছোট খাট কিছু চুরির অভিযোগ আনা হয়েছিল। ক্ষুদ্র একটি অভিযোগ এসব শিশুদের আদালতে হাজিরা দিতে হতো। এর ফলে শিশুদের ভবিষ্যৎ এক অনিশ্চিয়তার মধ্যে নিপতিত হয়। তাদের শিক্ষাজীবন ব্যাহত হয়। স্বাভাবিক জীবনে শিশুদের বেড়ে ওঠা হুমকির সম্মুখীন হয়।

শিশুদের ৯ শর্তগুলো হলো- নিয়মিত পড়াশুনার পাশাপাশি প্রতিদিন কিছু ভালো কাজ করা এবং ডায়েরিতে তা লিখে রাখা, মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস জানা, সবার সঙ্গে ভালো ব্যবহার করা, বাবা-মাসহ গুরুজনদের আদেশ মেনে চলা এবং বাবা-মায়ের সেবাযত্ন ও কাজে সাহায্য করা, নিয়মিত ধর্মগ্রন্থ পাঠ করা ও নামাজ আদায় করা। প্রত্যেককে কমপক্ষে ২০টি করে গাছ লাগানো এবং গাছের পরিচর্যা করা, অসৎ সঙ্গ ত্যাগ করা, মাদক থেকে দূরে থাকাসহ ভবিষ্যতে কোনো অপরাধের সঙ্গে নিজেকে না জড়ানো।

এসব শর্ত পালন হচ্ছে কি না তা আগামী এক বছর একজন প্রবেশন কর্মকর্তা পর্যবেক্ষণ করবেন এবং প্রতি তিন মাস অন্তর অন্তর আদালতকে অবহিত করবেন।

সুনমাগঞ্জ জেলার প্রবেশন কর্মকর্তা শফিউর রহমান ঢাকাপ্রকাশকে বলেন, ক্ষুদ্র অভিযোগে এসব শিশুদের আদালতে হাজিরা দিতে হতো। শিশুদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে নিতে এসব মামলা নিষ্পত্তি করে পরিবারের সান্নিধ্যে এসব কোমলমতি শিশুরা স্বাভাবিকভাবে বেড়ে উঠবে এবং সুন্দর জীবন গঠনের সুযোগ পাবে।

এ ব্যাপারে সুনামগঞ্জের নারী ও শিশু আদালতের পিপি হাসান মাহবুব সাদী ঢাকাপ্রকাশকে বলেন, এই রায়ের মাধ্যমে শিশুরা তাদের আপন ঠিকানা ফিরে পেয়েছে। এর আগেও কয়েকটি মামলায় ১৩৩ জন শিশুকে প্রবেশনের মাধ্যমে পরিবারের জিম্মায় পাঠিয়েছিলেন।

উল্লেখ্য যে, ইতোপূর্বে তিন দফায় ৯৫টি মামলায় ১৩০ জন শিশুকে একইভাবে প্রবেশন দিয়ে মামলা থেকে নিষ্কৃতির মাধ্যমে তাদের সুস্থ স্বাভাবিক জীবনে প্রত্যাবর্তনে সুযোগ করে দেওয়া হয়। একই ট্রাইব্যুনালের একই বিচারক নারী ও শিশু নির্যাতন দমন মামলায় প্রায় দেড় শতাধিক পরিবারকে ভাঙনের হাত থেকে রক্ষা করে আপোষে তাদের মামলাসমূহ নিষ্পত্তি করে স্বামী, স্ত্রী ও তাদের সন্তানদের সুন্দর জীবন গড়ার সুযোগ করে দিয়েছিলেন।

টিটি/

Header Ad

হাসনাত ও সারজিসকে হত্যাচেষ্টাকারী ড্রাইভার ও হেলপার আটক

হাসনাত-সারজিসকে হত্যাচেষ্টাকারী ড্রাইভার ও হেলপার আটক। ছবি: সংগৃহীত

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম দুই সমন্বয়ক, হাসনাত আবদুল্লাহ ও সারজিস আলমকে ট্রাকচাপা দিয়ে হত্যার চেষ্টায় অভিযুক্ত ট্রাক চালক ও হেলপারকে আটক করা হয়েছে।

বুধবার (২৭ নভেম্বর) রাতে চট্টগ্রামের লোহাগাড়া থানা পুলিশ তাদের আটক করে। তবে আটক হওয়া ওই চালক ও হেলপারের নাম-পরিচয় এখনো জানা যায়নি।

এর আগে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে এ হত্যাচেষ্টার ঘটনা ঘটে। লোহাগাড়া থানার দায়িত্বরত সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) মো. আলিম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, বিষয়টি নিয়ে একটি আইনগত প্রক্রিয়া চলছে।

জানা গেছে, বুধবার অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম আলিফের কবর জিয়ারত শেষে ফেরার পথে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের চুনতি ইউনিয়নের হাজী রাস্তার মোড়ে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

এর আগে আজ দুপুরে চট্টগ্রাম নগরের টাইগারপাস মোড়ে চট্টগ্রামে আইনজীবী আলিফ হত্যার প্রতিবাদে এক বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। যেখানে বক্তব্য দেন হাসনাত আব্দুল্লাহ ও সারজিস আলম। সমাবেশে ইসকনকে নিষিদ্ধের দাবি জানিয়ে আইনজীবী আলিফ নিহতের ঘটনায় জড়িতদের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেপ্তারের দাবি জানান তারা।

Header Ad

বিমান বাহিনীকে পঞ্চম জেনারেশনে উন্নীত করাই প্রধান লক্ষ্য: এয়ার চিফ মার্শাল

বক্তব্য রাখছেন এয়ার চিফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খাঁন। ছবি: সংগৃহীত

একুশ শতকের স্পেশাল বৈষয়িক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় অন্তবর্তীকালীন সরকারের মাধ্যমে বিমান বাহিনীকে পঞ্চম জেনারেশনে উন্নতি করাই প্রধান লক্ষ্য বলে জানিয়েছেন বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার চীফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খাঁন। তিনি বলেন, মহড়ার মূল উদ্দেশ্যে হচ্ছে আমাদের সক্ষমতা যাচাই করা এবং এর মাধ্যমে আমরা আমাদের অনেক বিষয় নির্ণয় করে সে মোতাবেক পদক্ষেপ গ্রহণ করি।

বুধবার (২৭ নভেম্বর) দুপুরে টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলার রসুলপুর বিমানবাহিনীর ফায়ারিং রেঞ্জে বার্ষিক গোলা বর্ষণ মহড়া অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

হাসান মাহমুদ খাঁন বলেন, বিমানবাহিনীর প্রধান ভূমিকা হচ্ছে দিগন্ত, স্থলে ও জলে যে কোন আঘাত প্রতিহত করা। এছাড়াও দেশের যে কোন প্রয়োজনে ২৪ ঘন্টা, ৭ দিন সবসময় আমরা প্রস্তুত থাকি।

এদিকে, মহড়ায় শুরুতেই দেখানো হয় দুর্ঘটনা কবলিত পাইলটকে উদ্ধারে কমান্ডো অভিযান। এতে দুটি যুদ্ধ হেলিকপ্টার ও একটি রেসকিউ হেলিকপ্টার অংশ নেয়। এরপর মহড়ায় যোগ দেয় এফ সেভেন বিজিআই ও  মিগ ২৯সহ পাঁচটি যুদ্ধ বিমান।

এসময় গোলাবর্ষণ ও রকেট নিক্ষেপ করে প্রদর্শন করে নানা যুদ্ধ কৌশল। পরে মিগ ২৯ যুদ্ধ বিমান বিমানবাহিনী প্রধানকে সালামের মাধ্যমে মহড়ার কার্যক্রম শেষ করে। অনুষ্ঠানে সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, বিমানবাহিনী, বিভিন্ন মন্ত্রাণালয় ও প্রশাসনের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

Header Ad

দুর্ঘটনার কবলে হাসনাত-সারজিস, দুমড়ে-মুচড়ে গেল গাড়ি

দুর্ঘটনার কবলে হাসনাত-সারজিস, দুমড়ে-মুচড়ে গেল গাড়ি। ছবি: সংগৃহীত

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা হাসনাত আব্দুল্লাহ ও সারজিস আলমের বহরের একটি গাড়ি দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে। এতে গাড়িটির সামনের অংশ দুমড়ে-মুচড়ে গেছে।

বুধবার (২৭ নভেম্বর) সন্ধ্যার দিকে এই দুর্ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, চট্টগ্রামে নিহত অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম আলিফের কবর জিয়ারত শেষে ফেরার পথে আনুমানিক সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের চুনতি ইউনিয়নের হাজী রাস্তার মোড়ে এ দুর্ঘটনা ঘটে। তবে এই ঘটনায় দুই সমন্বয়ক অক্ষত রয়েছেন।

লোহাগাড়া থানার দায়িত্বরত সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মো. আলিম দুর্ঘটনার তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, এই ঘটনায় একটি ট্রাক জব্দ করা হয়েছে। জিডির প্রক্রিয়া চলছে। তবে কীভাবে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে তা প্রাথমিকভাবে জানাতে পারেননি এএসআই আলিম।

এদিকে, ফেসবুকে ভাঙা গাড়ির ছবি আপলোড করে বিষয়টি জানান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখ্য সংগঠক হান্নান মাসুদ।

পোস্টে তিনি লিখেন, শহীদ এডভোকেট সাইফুল ইসলাম আলিফ ভাইয়ের কবর জেয়ারত করে ফেরার পথে আনুমানিক সন্ধ্যা ৭.৩০ মিনিটে চট্রগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের চুনতি ইউনিয়নের হাজী রাস্তার মোড়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ ও সার্জিস আলমের গাড়ি বহরে ট্রাক চাপা দিয়ে হত্যা চেষ্টা করা হয়।

প্রাথমিক তদন্তে ড্রাইভার ময়মনসিংহ থেকে কক্সবাজারে মালামাল খালাস করে আসার কথা বললেও মাল খালাসের কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। অতীতে ভারতীয় কর্তৃক বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় অনেক ব্যক্তিকে হত্যা করার নজির রয়েছে।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

হাসনাত ও সারজিসকে হত্যাচেষ্টাকারী ড্রাইভার ও হেলপার আটক
বিমান বাহিনীকে পঞ্চম জেনারেশনে উন্নীত করাই প্রধান লক্ষ্য: এয়ার চিফ মার্শাল
দুর্ঘটনার কবলে হাসনাত-সারজিস, দুমড়ে-মুচড়ে গেল গাড়ি
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে আইনজীবী সাইফুলের গায়েবানা জানাজা
দুই দফা কমার পর আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম
বিসিএসের প্রশ্নফাঁস: বিজি প্রেসের দুই কর্মচারী গ্রেপ্তার
সাত কলেজের অনার্স ১ম বর্ষের পরীক্ষা স্থগিত
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক শেষে যা বললেন মির্জা ফখরুল
ফ্যাসিবাদের দোসরদের ষড়যন্ত্র এখনো অব্যাহত: রিজভী
জিয়াউর রহমানকে নিয়ে ‘আপত্তিকর’ মন্তব্য, বিচারককে ডিম ছুড়লেন আইনজীবীরা
কলকাতায় বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশনের সামনে বিজেপির বিক্ষোভ
নিরবের পরকীয়ার অভিযোগ ফিরিয়ে নিলেন স্ত্রী, চাইলেন ক্ষমা
মিয়ানমারের জান্তা প্রধানের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন
স্ত্রী হত্যা মামলায় জামিন পেলেন সাবেক এসপি বাবুল
ইসকন নিষিদ্ধের দাবিতে উত্তাল চট্টগ্রাম, নেতৃত্বে হাসনাত-সারজিস
চাঁদাবাজি ও কর ফাঁকির মামলা থেকে তারেক রহমানের অব্যাহতি
পাবনার আটঘরিয়ায় দিনে-দুপুরে বাড়িতে হামলা-ভাঙচুর ও লুটপাট
যে পেশায় মানুষের জায়গা নিতে পারবে না এআই
প্রবাসীদের জন্য মধ্যপ্রাচ্যে ইলিশ রপ্তানির উদ্যোগ
সুপ্তার সেঞ্চুরির আক্ষেপের পরেও বাংলাদেশের রেকর্ড সংগ্রহ