পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্র উদ্বোধনে নতুন সাজে পটুয়াখালী
আগামীকাল উদ্বোধন হতে যাচ্ছে দেশের বৃহৎ পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র। এজন্য সোমবার (২১ মার্চ) পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় আসবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
দেশের প্রতিটি ঘরে শতভাগ বিদ্যুতায়নেরও উদ্বোধন করা হবে। প্রধানমন্ত্রীর এ আগমন ঘিরে এখন কলাপাড়া উপেজেলায় বিরাজ করছে সাজ সাজ রব। নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে দেওয়া হয়েছে বিদ্যুৎ কেন্দ্র এলাকা।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, নেতাকর্মীদের ব্যানার ফেস্টুনে ছেয়ে গেছে বিদ্যুত কেন্দ্রে প্রবেশের প্রধান সড়কগুলো। নৌকার তোরণে সাজানো হয়েছে সড়কের বিভিন্ন স্থান। এ ছাড়া সিক্সলেন সড়কের প্রধান ফটকে নির্মাণ করা হয়েছে বর্ণিল গেট।
এদিকে বিদ্যুৎ কেন্দ্রের অভ্যন্তরের সড়কগুলোও সাজানো হয়েছে নানা রঙয়ের পতাকায়। শেষ হয়েছে সভাস্থলের প্যান্ডেল সাজানোর কাজ।
এ ছাড়া প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে শেখ জামাল, শেখ কামাল ও শেখ রাসেল সেতু বর্ণিল আলোয় সজ্জিত হয়েছে। কুয়াকাটা পৌরসভাও সাজানো হয়েছে নতুন সাজে। পৌর শহরের খাস পুকুর থেকে জিরো পয়েন্ট পর্যন্ত করা হয়েছে আলোকসজ্জা। এ ছাড়া শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে সাটানো হয়েছে নেতাকর্মীদের ফেস্টুন।
মহিপুর থানা যুবলীগের আহ্বায়ক মিজানুর রহমান বুলেট আকন জানান, ‘প্রধানমন্ত্রী কলাপাড়া আসায় আমরা দক্ষিণাঞ্চলবাসী আনন্দিত। এক সময়ের অবহেলিত কলাপাড়াকে জেলা ঘোষণা করা দাবি জানাই আমরা।’
২০১৪ সালে বাংলাদেশ নর্থওয়েস্ট পাওয়ার কোম্পানি ও চায়না ন্যাশনাল মেশিনারি ইমপোর্ট অ্যান্ড এক্সপোর্ট করপোরশনের (সিএমসি) মধ্যে ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণে চুক্তি হয়।
২০১৬ সালের ১৪ অক্টোবর পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার ধানখালীতে কয়লা ভিত্তিক এ বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের ভিত্তি প্রস্তর উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। নির্মাণ কাজ শুরুর পর ২০২০ সালের ১৫ মে প্রথম ইউনিটের ৬৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদন করে জাতীয় গ্রিডে দিতে সক্ষম হয় বাংলাদেশ চায়না পাওয়ার কম্পানি লিমিটেড (বিসিপিসিএল)।
পরে ওই বছরের ৮ ডিসেম্বর আল্ট্রা সুপার প্রযুক্তি ব্যবহার করে দ্বিতীয় ইউনিটের ৬৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করে এ কেন্দ্রটি। কিন্তু গোপালগঞ্জ সাবস্টেশনের ধারণ ক্ষমতা কম থাকায় এবং গোপালগঞ্জ থেকে ঢাকার আমিন বাজার পর্যন্ত সঞ্চালন লাইনের কাজ শেষ না হওয়ায় দ্বিতীয় ইউনিটের ৬৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ এখন পর্যন্ত সরবারহ করতে পারছেনা এ বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি।
পটুয়াখালী পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শহিদুল্লাহ জানান, প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে সর্বোচ্চ গুরুত্ব সহকারে নিরাপত্তা পরিকল্পনা প্রণয়ন করা হয়েছে। এই নিরাপত্তার মধ্যে কোভিড প্রটোকলও রয়েছে। মাঠে সাদা পোশাকের নিরাপত্তা বাহিনীসহ চার স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গড়ে তোলা হয়েছে।
এমএমএ/