ধাক্কা দেওয়া সেই জাহাজ আটক, ঘটনা তদন্তে ৩ কমিটি
নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যায় যাত্রীবাহী লঞ্চে ধাক্কা দেওয়া এমভি রূপসী-৯ নামে জাহাজটি আটক করা হয়েছে।
রবিবার (২০ মার্চ) সন্ধ্যার দিকে মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া হোসেন্দী সংলগ্ন মেঘনা নদী থেকে জাহাজটি আটক করে গজারিয়া কোস্ট গার্ড ও নৌ-পুলিশ।
গজারিয়া কোস্ট গার্ডের কন্টিনজেন্ট কমান্ডার লুৎফর রহমান গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
এদিকে, যাত্রীবাহী লঞ্চ ডুবির ঘটনায় নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়, নৌপরিবহন অধিদপ্তর ও জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে পৃথক তিনটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
এর মধ্যে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব আ ন ম বজলুর রশীদকে আহ্বায়ক করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। কমিটিকে তিন কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
একই ঘটনার তদন্তে প্রকৌশলী ও জরিপকারক ওবায়দুল্লাহ ইবনে বশিরকে আহ্বায়ক করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে নৌপরিবহন অধিদপ্তর। এই কমিটিকে আগামী ১৫ কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
এদিকে, নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ শামীম বেপারীকে আহ্বায়ক করে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকেও ছয় সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামীকাল সোমবারের মধ্যে এই কমিটিকে প্রতিবেদন জমা দিতে হবে।
নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের উপ-পরিচালক আবদুল্লাহ আল আরেফিন জানান, ডুবে যাওয়া লঞ্চে ৫০ থেকে ৬০ জন যাত্রী ছিল।
লঞ্চ ডুবির ঘটনায় এখনো পর্যন্ত নারী ও শিশুসহ ৬ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ছাড়া নিখোঁজ ১৫ জন নিখোঁজ রয়েছে বলে ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা গেছে।
মৃতদের মধ্যে একজনের নাম জয়নাল ভূঁইয়া (৫৫)। তিনি মুন্সীগঞ্জ জেলার সদর উপজেলার উত্তর ইসলামপুর এলাকার মৃত জুলফিকার আলীর ছেলে। আর বাকি ৫ জনের নাম পরিচায় জানা যায়নি।
এর আগে রবিবার (২০ মার্চ) দুপুর ২টার দিকে নারায়ণগঞ্জ লঞ্চ টার্মিনাল থেকে এমএল আশরাফ উদ্দিন নামে একটি যাত্রীবাহী লঞ্চ প্রায় ৫০ জন যাত্রী নিয়ে মুন্সিগঞ্জের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। সোয়া ২টার দিকে বন্দরের আল আমিন নগরের বাংলা সিমেন্ট ঘাট এলাকায় আসলে এমভি সিটি ৯ নামের সিটি গ্রুপের একটি মালবাহী জাহাজ দ্রুত গতিতে অতিক্রম করার সময় যাত্রীবাহী লঞ্চটিকে পেছনের দিক থেকে ধাক্কা দেয়। এতে লঞ্চটি ডুবে যায়। ১০-১৫ জন যাত্রী সাঁতরে তীরে উঠলেও বাকিরা এখনো নিখোঁজ রয়েছে।
এদিকে দুর্ঘটনার পরই ঘটনাস্থলে ছুটে যান বন্দর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিএম কুদরাত এ খুদা। তিনি জানান, এ পর্যন্ত ছয় জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ফায়ার সার্ভিস, নৌ পুলিশ ও বিআইডব্লিউটিএ উদ্ধার অভিযান চালাচ্ছে।
জরুরি যোগাযোগে হটলাইন নম্বর:
এ দিকে লঞ্চডুবির ঘটনায় জরুরি যোগাযোগ রক্ষার্থে বিআইডব্লিউটিএ প্রধান কার্যালয়ে কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে।
যেকোনো প্রয়োজনে হটলাইন নং -১৬১১৩, টেলিফোন +৮৮২২২৩৩৫২৩০৬ ও মোবাইল নং +৮৮০১৯৫৮৬৫৮২১৩ নম্বরে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।
এমএসপি