জন্মস্থানে সাহাবুদ্দীন আহমদের প্রথম জানাজা সম্পন্ন
সাবেক রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দীন আহমদের প্রথম জানাজা নেত্রকোনায় কেন্দুয়া উপজেলার নিজ জন্মস্থান পেমই গ্রামে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার (১৯ মার্চ) বেলা ৩টার দিকে কেন্দুয়ায় সাহাবুদ্দীনের মরদেহবাহী হেলিকপ্টার হেলিপ্যাডে অবতরণ করে। পরে তার মরদেহ কেন্দুয়া থেকে গাড়িতে করে সড়কপথে নেওয়া হয় জন্মস্থান পেমই গ্রামের বাড়িতে। সেখানে বিকাল ৫টার দিকে প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
সেসময় তার স্বজনরাসহ এলাকাবাসীর মাঝে শোকের ছায়া নেমে আসে। তাকে এক নজর দেখতে সবাই ভিড় জমান। সেখানে জেলা প্রশাসন, উপজেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি, বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে মরদেহে পুষ্পস্তবক দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়।
এ সময় স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক জিয়াউল হাসান সুমনের নেতৃত্বে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একটি চৌকস দল সাবেক রাষ্ট্রপতিকে গার্ড অব অনার দেয়।
পরে বিকাল ৫টায় বাড়ির প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হয় প্রথম জানাজার নামাজ। জানাজায় ইমামতি করেন মাওলানা মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ। জানাজায় সাবেক রাষ্ট্রপতির আত্মীয়-স্বজন, স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধিসহ সর্বস্তরের মানুষ অংশ নেন।
জানাজা শেষে মরদেহবাহী হেলিকপ্টারটি ফের ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যায়।
প্রসঙ্গত, সাহাবুদ্দীন আহমদ ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার (১৯ মার্চ) সকালে তিনি মারা যান। তার বয়স হয়েছিল ৯২ বছর। নব্বইয়ের গণআন্দোলনের পর বাংলাদেশের গণতন্ত্রে ফেরার প্রক্রিয়ায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালনকারী সাহাবুদ্দীন পরে ১৯৯৬ সালে পুনরায় রাষ্ট্রপ্রধানের পদে ফিরেছিলেন।
২০০১ সালে বঙ্গভবন থেকে বিদায় নেওয়ার পর ঢাকার গুলশানের বাড়িতে অনেকটা নিভৃত জীবন-যাপন করছিলেন সাহাবুদ্দীন আহমদ। দীর্ঘদিন ধরেই তিনি বার্ধ্যক্যজনিত বিভিন্ন অসুস্থতায় ভুগছিলেন। মাসখানেক আগে তাকে সিএমএইচে ভর্তি করা হয়।
এমএসপি