রংপুরে বলাৎকারের অভিযোগে এসআই প্রত্যাহার
রংপুরের পীরগাছায় দুই ব্যক্তিকে বলাৎকারের অভিযোগে স্বপন কুমার রায় নামে এক এসআইকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। বলাৎকারের শিকার একজন বর্তমানে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
শুক্রবার (১৮ মার্চ) সকালে ওই এসআইয়ের ভাড়া বাড়ি থেকে আরও একজনকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় ওইদিন সকালে এসআই স্বপন কুমারকে পীরগাছা থানা থেকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন রংপুরের সহকারী পুলিশ সুপার (সি সার্কেল) আশরাফুল আলম পলাশ।
বৃহস্পতিবার (১৭ মার্চ) রাতে স্বপন কুমারের ভাড়া বাসায় ওই ব্যক্তিকে বলাৎকার করেন তিনি।
একাধিক সূত্রে জানা যায়, পীরগাছা থানার এসআই স্বপন কুমারের সঙ্গে চাকরির সুবাদে পূর্ব পরিচিত ছিলেন ওই ব্যক্তি। ঘটনার দিন রাতে স্বপন ওই ব্যক্তিকে তার বাসায় ডেকে নেন। রাতে তাকে চেতনানাশক ওষুধ খাওয়ানোর পর বলাৎকার করেন স্বপন। বলাৎকারের শিকার ওই ব্যক্তির অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হলে গুরুতর আহত অবস্থায় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। স্বপন কুমার নীলফামারী জেলার বাসিন্দা।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, এসআই স্বপন কুমার রায়ের স্ত্রী অন্তঃসত্ত্বা হওয়ায় ২০-২৫ দিন আগে বাবার বাড়িতে চলে যান। বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে এসআই স্বপন কুমার রায় বুধবার রাতে ওই ব্যক্তিকে তার বাড়িতে ডেকে নেন। অচেতন করে ওই ব্যক্তিকে বলাৎকার করেন স্বপন। সারারাত সেখানে অবস্থানের পর বৃহস্পতিবার সকালে সেখান থেকে পালিয়ে বাড়িতে চলে যান ওই ব্যক্তি। এরপর শারীরিকভাবে অসুস্থ অনুভব করলে সন্ধ্যায় তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অভিযুক্ত এসআই স্বপন কুমার রায়কে রাতেই পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়।
শুক্রবার দুপুরে ওই পুলিশ কর্মকর্তার প্রত্যাহারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পীরগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সরেস চন্দ্র। তিনি বলেন, পীরগাছা সদর ইউনিয়নের শুকানপুকুর গ্রামের দুই ব্যক্তি মৌখিকভাবে উপপরিদর্শক (এসআই) স্বপন কুমারের বিরুদ্ধে তাদের বলাৎকারের অভিযোগ করেছেন। এর মধ্যে একজন ভ্যানচালক। তার বয়স ৫০। তাকে অসুস্থ অবস্থায় ভ্যানে করে রাতেই থানায় নিয়ে আসা হয়েছিল। অন্যজন নৈশপ্রহরী। তার বয়স (৫৫)। এদের মধ্যে ভ্যানচালক অসুস্থ হয়ে পড়ায় তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তিনি বৃহস্পতিবার কোনো এক সময় বলাৎকারের শিকার হন। আর ওই নৈশপ্রহরী সাত দিন আগে স্বপনের দ্বারা বলাৎকারের শিকার হন। ভুক্তভোগী ও তার পরিবার এখন পর্যন্ত কোনো অভিযোগ করেননি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
রংপুরের সহকারী পুলিশ সুপার(সি সার্কেল) আশরাফুল আলম পলাশ জানান, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এসআইকে প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে। তদন্তে সত্যতা পেলে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এসএন