আমতলীতে যৌন হয়রানীর মামলায় বাদী গ্রেপ্তার
বরগুনার আমতলীতে যৌন হয়রানীর মামলা মিথ্যা প্রমাণিত হওয়ায় শিখা রানী নামে এক নারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (১৭ মার্চ) আমতলী সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করা হলে আদালতের ভারপ্রাপ্ত সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. নাহিদ হোসেন রানীকে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এর আগে বুধবার (১৬ মার্চ) রাতে বরগুনা নারী শিশু নির্যাতন দমন আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী তাকে গ্রেপ্তার করে আমতলী থানা পুলিশ।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০১৪ সালে আমতলী উপজেলা পরিষদ সড়কের সুভাস চন্দ্র হাওলাদারের স্ত্রী শিখা রানী যৌন হয়রানীর অভিযোগ এনে পৌর কাউন্সিলর মো. জান্নাতুল ফেরদৌসের নামে মামলা করেন। পুলিশ ওই মামলায় ২০১৫ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি বরগুনা নারী শিশু নির্যাতন দমন আদালতে আসামি ফেরদৌসের বিরুদ্ধে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেন।
ছয় বছর মামলটি আদালতে বিচারাধীন অবস্থায় একজন সাক্ষিও আদালতে সাক্ষ দেননি। পরে আদালতের বিচারক মো. হাফিজুর রহমান আসামি জান্নাতুল ফেরদৌসকে খালাস দিয়ে মামলাটি নিস্পত্তি করে দেন এবং একই আদেশে বাদী শিখা রানীর বিরুদ্ধে আসামিকে নারী শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করার নির্দেশ দেন।
পরে আসামি জান্নাতুল ফেরদৌস এ বছরের ২ ফেব্রুয়ারি বরগুনা নারী শিশু নির্যাতন দমন আদালতে বাদী শিখা রানীর বিরুদ্ধে মামলা করেন। ওই মামলায় আদালতের বিচারক মো. হাফিজুর রহমান বাদী শিখা রানীর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।
মো. জান্নাতুল ফেরদৌস বলেন, আমাকে হয়রানী করতে শিখা রানী মিথ্যা মামলা করেছেন। মামলাটি মিথ্যা প্রমাণিত হওয়ায় আদালতের বিচারক আমাকে খালাস দিয়ে বাদী শিখা রানীর বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের নির্দেশ দেন। মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করার ঘটনায় আমি বিচার চাই।
আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একেএম মিজানুর রহমান বলেন, নারী শিশু নির্যাতন দমন আদালতের ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি শিখা রানীকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে তাকে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
এমএসপি