কুড়িগ্রাম হাসপাতালের ওষুধ পাচারের সময় নারী আটক
কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতাল থেকে বিপুলসংখ্যক ওষুধ (ইনজেকশন) পাচারের সময় এক নারীকে আটক করে পুলিশে দিয়েছে স্থানীয় জনতা।
বৃহস্পতিবার দুপুরে শাহেদা (৩৭) নামের ওই নারী ট্রাভেল ব্যাগ ভর্তি পেলটকস-২ ও পেনটিড মেগাপিলের ৩৭০টি ইনজেকশন নিয়ে হাসপাতাল থেকে বের হন। এ সময় স্থানীয়দের সন্দেহ হলে ব্যাগ খুলে ইনজেকশন দেখতে পায়। পরে ওই নারীকে আটক করে হাসপাতাল ক্যাম্পাসের ভেতর পুলিশে সোপর্দ করে।
এ সময় পুলিশ বক্সে কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসাপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. পুলক কুমার সরকার ও সদর থানার এসআই মিন্টু ও এসআই আনোয়ারসহ সঙ্গীয় ফোর্সরা উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় ওষুধসহ আটক নারী শাহেদা জানান, আমি হাসপাতালে এসেছি। হাসপাতালের একজন আয়া আমাকে এ ব্যাগটি দিয়ে বাড়ি নিয়ে যেতে বলে। আমি ব্যাগটি নিয়ে হাসপাতালের বাইরে আসলে লোকজন আটক করে। এ সময় তার নাম বলতে অস্বীকৃতি জানান ওই নারী।
আটক শাহেদা সদর উপজেলার হলোখানা ইউনিয়নের টাপুরচর গ্রামের ফজল উদ্দিনের স্ত্রী বলে জানায় পুলিশ।
জেনারেল হাসপাতালের স্টোর কিপার মমিনুল ইসলাম জানান, এ ব্যাপারে আমি কিছুই বলতে পারবো না। এ বিষয়ে তত্ত্বাবধায়কের সঙ্গে কথা বলার জন্য অনুরোধ করেন তিনি।
কুড়িগ্রাম সদর থানার অফিসার ইনচার্জ খান মোহাম্মদ শাহরিয়ার জানান, ওষুধসহ আটককৃত নারীর বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
এ ব্যাপারে কুড়িগ্রাম ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. শহিদুল্লাহ্ লিংকন জানান, কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসাপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. পুলক কুমার সরকারকে বাদী করে ওই নারীর বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে দ্রুত বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এমএসপি