বাড়তি টাকা না দিলে কাজই হয় না বুড়িমারী শুল্ক স্টেশনে
বাড়তি টাকা না দিলে কোনো কাজই হয় না লালমনিরহাটের বুড়িমারী স্থল শুল্ক স্টেশনে। শুল্ক স্টেশনের রাজস্ব কর্মকর্তারা টাকা ছাড়া পণ্য ছাড়করণের ফাইলে স্বাক্ষর করেন না বলে একাধিক ব্যবসায়ী অভিযোগ করেন।
ব্যবসায়ী, আমদানি-রপ্তানিকারক ও সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট কর্মচারীরা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, বুড়িমারী শুল্ক স্টেশনের ডেপুটি কমিশনার অসুস্থ্যতাজনিত কারণে সম্প্রতি ছুটিতে যান। এর মধ্যে দায়িত্বরত শুল্ক স্টেশনের দুইজন রাজস্ব ও দুইজন সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা ভুটান থেকে আনা জিপসাম, ডলোমাইড পাউডার, লাইমস্টোন পাথর ও পাউডার প্রতিটনে ৫০০ টাকা করে দাবি করেন। ৫ শতাংশ হারে সরকারি রাজস্ব পরিশোধ করার পরও অতিরিক্ত টাকা না দিলে পণ্য খালাসের ফাইলে স্বাক্ষর করেন না তারা। পাশাপাশি তারা বিভিন্ন বিধি-বিধান দেখিয়ে ফাইল আটক ও হয়রানি করেন । নির্বিগ্নে অনিয়ম করতে প্রভাবশালী কিছু ব্যবসায়ীর সঙ্গে সখ্যতা গড়ে সরকারের ভাবমূর্তি ম্লান করছে শুল্ক স্টেশনের এসব কর্মকর্তা।
অতিরিক্ত টাকা হাতিয়ে নেওয়া এবং অসাধু কিছু ব্যবসায়ী মিথ্যা ঘোষণায় পণ্য আমদানি ও পাচারে রাজস্ব কর্মকর্তা জড়ানোয় এ শুল্ক স্টেশনে ব্যাপক সমালোচনা তৈরি হয়েছে।
শুল্ক স্টেশনের একটি সূত্র দাবি করেছে, রংপুর সদর দপ্তরের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার নামে ব্যবসায়ীদের জিম্মি করে এসব অপকর্ম করা হচ্ছে।
এ ব্যাপারে রাজস্ব কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির মিনা এবং আবু তাহের মিয়া বলেন, ‘এখানে কাউকে কোনো ধরনের হয়রানির স্বীকার বা অনিয়ম করা হয় না। যে অভিযোগ করেছে তার নাম বলেন। আমাদের জানা মতে, শুল্ক স্টেশনে এ ধরনের কোনো সুযোগ নাই।
বুড়িমারী শুল্ক স্টেশনের ডেপুটি কমিশনার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) সাজ্জাদ হোসেন বলেন, ‘আপনি জানালেন তাই বিষয়টি জানলাম। আমি অন্যায়কারীকে ছাড় দেই না এবং দেব না। বিষয়টি শুনলাম। সরকারি স্বার্থ অক্ষুণ্ন রাখতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এমএসপি