শার্শায় ভ্রুন হত্যার অভিযোগে স্বামীসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা
যশোরের শার্শার মাটিকুমড়া গ্রামে মেহেরজান খাতুন (২২) নামে এক গৃহবধূর ভ্রুন হত্যার অভিযোগে স্বামীসহ পাঁচ জনকে আসামি করে আদালতে একটি মামলা হয়েছে।
সোমবার (১৪ মার্চ) উপজেলার ছোট নিজামপুর গ্রামের মৃত জহির উদ্দিনের মেয়ে মেহেরজান বাদী হয়ে এ মামলা করেন।
আসামিরা হলেন- মাটি কুমড়া গ্রামের মৃত জহর আলীর ছেলে ও মেহেরজানের স্বামী সেহেল রানা, শাশুড়ি মমতাজ বেগম, আলমগীর হোসেনের স্ত্রী আন্না খাতুন পুতুল, মারুফ হোসেনের স্ত্রী তাসলিমা খাতুন ও গিলেপোল গ্রামের সিদ্দিকের ছেলে সাসুম।
যশোর সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মঞ্জুরুল ইসলাম অভিযোগটি এজাহার হিসেবে গ্রহণ করার জন্য শার্শা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে আদেশ দেন।
মামলার অভিযোগে জানা গেছে, চলতি বছরের ৪ জানুয়ারি আসামি সোহেল রানার সঙ্গে মেহেরজানের বিয়ে হয়। এক মাস যেতে না যেতে অপর আসামিদের প্রোরোচনায় সোহেল রানা তার স্ত্রীর কাছে ২ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে নির্যাতন শুরু করেন। এর মধ্যে মেহেরজান অন্তঃসত্তা হয়ে পড়েন। বিষয়টি জানতে পেরে আসামি গর্ভের সন্তান নষ্ট করার নানা ষড়যন্ত্র শুরু করেন।
গত ২৬ ফেব্রুয়ারি মেহেরজান শার্শার বুরুজবাগান প্রাইভেট জেনারেল হাসপাতাল থেকে প্রেগনেন্সি টেস্ট করে পজেটিভ রিপোর্ট পান। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে আসামিরা তার গর্ভের সন্তান নষ্ট করার জন্য মরিয়া হয়ে ওঠেন। গত ১ মার্চ আসামিরা সন্তান নষ্ট করে ফেলার জন্য তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করেন। মেহেরজান সন্তান নষ্ট করার জন্য হাসপাতালে যেতে রাজি না হওয়ায় আসামিরা তাকে মারপিট করে মাটিতে ফেলে পেটে আঘাত করেন। এতে গুরুতর অসুস্থ্য হয়ে পড়ে মেহেরজান। সংবাদ পেয়ে বাড়ির লোকজন এসে তাকে শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক পরীক্ষা করে গর্ভের সন্তান নষ্ট হয়ে গেছে বলে রিপোর্ট দেন।
এমএসপি