ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে ১৪ কিলোমিটার তীব্র যানজট,যাত্রীদের ভোগান্তি
ছবি সংগৃহিত
সেতুর ওপর দুটি ট্রাক বিকল হওয়া ও ঘন কুয়াশার কারণে টোল আদায় বন্ধ থাকায় ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কের ১৪ কিলোমিটার এলাকায় যানজট তৈরি হয়েছে। বুধবার (২৪ জানুয়ারি) ভোর রাতের আগে থেকেই গাড়ির চাপ বাড়তে থাকে এবং বঙ্গবন্ধু সেতুর পূর্ব পার থেকে এলেঙ্গা পর্যন্ত যানজট তৈরি হয়। এলেঙ্গা হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (ওসি) মীর মো. সাজেদুর রহমান বলেন, রাত ৩টার পর থেকে মহাসড়কের এলেঙ্গা অংশে যানবাহনের চাপ রয়েছে এবং ধীর গতিতে চলাচল করেছে।
সরেজমিনে, মহাসড়কের এলেঙ্গা বাসস্ট্যাণ্ড, ভূঞাপুর লিংক রোড এবং ময়মনসিংহ লিংক রোড এলাকায় দেখা যায়, বঙ্গবন্ধু সেতুমুখী অসংখ্য যানবাহন মহাসড়কে দাঁড়িয়ে আছে। ঢাকামুখী যানবাহনের সংখ্যা কম। সেগুলো ঘন কুয়াশার কারণে হেড লাইট জ্বালিয়ে চলছে। অনেক গাড়ি মহাসড়কে না যেয়ে ভূঞাপুর আঞ্চলিক সড়ক হয়ে বঙ্গবন্ধু সেতুর দিকে যাচ্ছে।
ময়মনসিংহ লিংক রোডে আটকে থাকা উত্তরবঙ্গগামী ট্রাকচালক মিনহাজ মিয়া বলেন, প্রায় এক ঘণ্টা ধরে জ্যামে বসে আছি। রাস্তায় প্রচণ্ড কুয়াশা।
বাসযাত্রীরা শীতে একেবারে করুণ অবস্থায় যানজটে আছেন। বিশেষ করে শিশু ও বয়স্কদের ভোগান্তি বেশি হচ্ছে। মহাসড়কের একপ্রান্ত থেকে আরেকপ্রান্তের কুয়াশায় কিছু দেখা যায় না। ফলে দুর্ঘটনা হওয়ার ঝুঁকি বেশি।
এদিকে যানজট নিরসনে ট্রাফিক পুলিশ ও হাইওয়ে পুলিশের সদস্যরা প্রচণ্ড শীত উপেক্ষা করে মহাসড়কে কাজ করছেন।
এলেঙ্গায় দায়িত্বরত ট্রাফিক পুলিশের ইন্সপেক্টর হারুন অর রশিদ গণমাধ্যকে বলেন, বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব টোল প্লাজায় রাতে ঘন কুয়াশার কারণে সেতু কর্তৃপক্ষ টোল আদায় বন্ধ রাখে। সাতটি টোল বুথের মধ্যে এক লাইন ট্রাক, একটি বাস লাইন টোল আদায় অব্যাহত রাখে।
বাকি পাঁচটি বুথে টোল আদায় বন্ধ রাখে। তাই যানজট ও যান চলাচলে ধীরগতি হয়েছে। যানজট নিরসনের আমরা মহাসড়কে কাজ করছি।
বঙ্গবন্ধু সেতুর দায়িত্বপ্রাপ্ত নির্বাহী প্রকৌশলী আহসানুল কবীর পাভেল গণমাধ্যমকে বলেন, রাত থেকে সকাল পর্যন্ত সেতুর উপরে চারটি ছোটবড় দুর্ঘটনা ঘটেছে। এতে কয়েকজন গুরুতর আহতও হয়েছেন। ঘন কুয়াশা ও দুর্ঘটনা মিলিয়ে মহাসড়কে যানজট হয়েছে। তবে দুইটি লাইনে টোল আদায় চলছে।