মুন্সীগঞ্জ শহরে 'মেসি রিকশাওয়ালা পরিবহন'
মুন্সীগঞ্জ শহর মাতিয়ে বেড়াচ্ছে আর্জেন্টিনার পতাকার আদলে নীল-সাদা রঙে একটি অটোরিকশা। যার নাম 'মেসি রিকশাওয়ালা পরিবহন'। বাংলাদেশের পতাকা ও আর্জেন্টিনার পতাকা একই সাথে উড়িয়ে শহরের বিভিন্ন সড়কে ছুটে বেড়াচ্ছে এই অটোরিকশাটি। বসার সিট থেকে শুরু করে পুরো অটোরিকশাটির ভিতরবাহিরে একই রঙে সাজানো। যেমন দৃষ্টি কাড়ছে সাধারন মানুষের তেমনই সড়কে আনন্দের মাত্রা আরোও বাড়িয়ে দিয়েছে জেলায় আর্জেন্টিনা সমর্থকদের। খেলার উন্মাদনায় যোগ করেছে আলাদা আমেজ।
অটোরিকশাটির চালক ওমর ফারুক জানান, নিজের পরনেও একই রঙের লুঙ্গি, জার্সি ও টুপি। গাড়ির ও নিজের একই সাজসজ্জায় ভিন্ন মাত্র যুক্ত হয়েছে। ওমর ফারুক কিশোরগঞ্জ জেলার পিতা সাজুকমিশনার এর পুত্র তিনি দীর্ঘ দিন ধরে মুন্সীগঞ্জের টঙ্গীবাড়ী দিঘীর পাড় শশুর বাড়িতে থাকেন।
ওমর ফারুক জানান, ছোটবেলায় ম্যারাডোনার খেলা দেখে ও বাবার কাছ থেকে ম্যারাডোনার গল্প শুনে ভালোবাসার জন্ম নেয় ম্যারাডোনার অর্থাৎ আর্জেন্টিনার প্রতি। এর পরই ভালোবাসায় স্থান পায় মেসির প্রতি। ভক্ত হয়ে পড়েন আর্জেন্টিনার। ৯৪ সালের বিশ্বকাপে মাদকের অভিযোগে খেলা থেকে ম্যারাডোনাকে বাদ দিলে। কষ্ট কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন তিনি।
এসময় তিনি ঢাকার চাকুরীতে যাওয়া বন্ধ করে দেন। পরে ওই চাকুরীটা ছেড়ে দেন। এমনকি ওই কষ্ট ৭ দিন একরকম না খেয়ে ছিলেন এই ভক্ত। প্রিয়দলের প্রতি ভালোবাসা প্রকাশে উপার্জনের ৫ হাজার টাকা দিয়ে নিজের এই একমাত্র বাহনটিকে আর্জেন্টিনার পতাকার আদলে রাঙিয়েছেন।
২০১০ সালে পায়ের রিকশা চালানোর সময়কার থেকেই এই তিনি তার উপার্জনের যান এমনি করে সাজাতেন। এ সাজসজ্জা দেখে আগের তুলনায় যাত্রীও বেড়েছে বলেও তিনি জানান।
তিনি আরও বলেন, আমার পরিবারের সবাই আর্জেন্টিনার সমর্থক। আমার আশা এবারের বিশ্বকাপ নেবে আর্জেন্টিনা। ঘুচবে ৩৬ বছরের অপেক্ষা।
এএজেড