বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৫ | ৪ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

তিন ফসলি জমিতে আ'লীগ নেতার ইটভাটা নির্মাণ

ছবি : ঢাকাপ্রকাশ

নওগাঁ পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা দফায় দফায় জেলার বিভিন্ন উপজেলায় অভিযান চালিয়েছেন অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে। বেশ কয়েকটি ইটভাটার মালিককে করা হয়েছে লাখ লাখ টাকা জরিমানা, এমনকি একাধিক নির্মাণকৃত ইটভাটা গুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। অথচ এসব অভিযানের মধ্যেও এবার নওগাঁর মান্দায় তিন ফসলি জমিতে অবৈধভাবে ইটভাটা নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল খালেকের বিরুদ্ধে।

উপজেলার কশব ইউনিয়নের তালপাতিলা শিবনগর এলাকায় অনুমোদন ছাড়াই একটি ইটভাটা নির্মাণের তোড়জোড় চালিয়ে যাচ্ছেন ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাবেক এই নেতা। অনেকে বলছেন প্রভাবশালী হওয়ায় ক্ষমতার জোরে তিনি নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে ইটভাটার নির্মাণ কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। আর সংশ্লিষ্টরা কোনো পদক্ষেপ না নেওয়ায় জনমনে দেখা দিয়েছে নানা প্রশ্ন।

সম্প্রতি সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার তালপাতিলা শিবনগর এলাকার একটি মাঠে ‘এসইপি ব্রিকস’ নামের একটি ইটভাটা নির্মাণের কাজ চলছে। এর চারপাশে রয়েছে ফসলি জমি। এছাড়া নিমার্ণাধীন ইটভাটা থেকে আধা কিলোমিটার দূরেই জনবসতি। ইটভাটাটি চালু হলে পরিবেশ দূষণের পাশাপাশি আশপাশের জমির ধানসহ বিভিন্ন ফসলের ক্ষতি হবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। সেখানে নির্মাণ শ্রমিকেরা ইটভাটাটির চিমনি নির্মাণের কাজ করছেন। জিজ্ঞেস করলে শ্রমিকেরা জানান, ইটভাটাটির মালিক আব্দুল খালেক।

ইটভাটা প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইন ২০০৩ অনুযায়ী, ফসলি জমিতে ইটভাটা স্থাপনে নিষেধাজ্ঞা আছে। তবে এ ক্ষেত্রে সেই নিষেধাজ্ঞা মানা হয়নি। পরিবেশ অধিদপ্তরের অনাপত্তি সনদ ছাড়াই নির্মাণ করা হচ্ছে ইটভাটাটি। নিয়মনীতি মানা না হলেও যেন দেখার কেউ নেই। এদিকে কৃষিজমিতে ইটভাটা হলে চাষাবাদের ক্ষতির আশঙ্কা করছেন স্থানীয় কৃষকেরা।

আশপাশের লোকজন বলেন, শিবনগর এলাকার ফসলি মাঠের প্রায় জমিই তিন ফসলি। এক মাস আগে ফসলি জমির এই মাঠে ইটভাটা নির্মাণের জন্য নির্মাণসামগ্রী ফেলা শুরু করে উপজেলার কাঁশোপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল খালেক। ১৫ দিন আগে থেকে ইটভাটাটির চিমনি নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে। প্রশাসনের অনুমতি না পেলেও আওয়ামীলীগ নেতা আব্দুল খালেক ইটভাটা নির্মাণের কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।

তালপাতিলা গ্রামের কৃষক সলোমান হোসেন বলেন, ‘যে মাঠে ইটভাটাটি নির্মাণ করা হচ্ছে, সেই মাঠের অধিকাংশ জমিই তিন ফসলি। ইটভাটাটি চালু হলে আশপাশের জমিতে ধানসহ বিভিন্ন ফসল আবাদ ব্যাহত হবে। যেখানে ভাটা হচ্ছে সেখান থেকে কিছু দূরেই আমার চার বিঘা ফসলি জমি আছে। মাঝেমাঝে টিভি-পত্রিকার খবরে দেখি ইটভাটার বিষাক্ত গ্যাসে মাঠের ফসল নষ্ট হয়ে গেছে। এখানে সে ধরণের ক্ষতি হতে পারে। ইটভাটাটির নির্মাণকাজ শুরুর পর থেকে এই মাঠে যাঁদের জমি আছে, তাঁরা সবাই খুব চিন্তিত।’

উপজেলার চকউলী ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ ইয়াকুব আলী মন্ডল বলেন, ‘একটি জমিতে চাইলেই যা খুশি তাই করা যায় না। ফসলি জমিতে ইটভাটা নির্মাণে নিষেধাজ্ঞা আছে। তারপরেও ওই এলাকায় তিন ফসলি উর্বর জমিতে কিভাবে ইটভাটা নির্মাণ হচ্ছে? আমার বোধগম্য হচ্ছে না। স্থানীয় কৃষকেরা সবাই এই ভাটা নিয়ে ক্ষিপ্ত। কিন্তু ভাটা মালিক প্রভাবশালী লোক হওয়ায় কেউ প্রশাসন কিংবা পরিবেশ অধিদপ্তরে অভিযোগ করার সাহস পাচ্ছে না। তিন ফসলি জমিতে কোনোভাবেই ইটভাটা নির্মাণ করতে দেওয়া উচিত নয়।’

 

ছবি : ঢাকাপ্রকাশ

শিবনগর গ্রামের বাসিন্দা সাইদুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের এলাকাটা অত্যন্ত ঘনবসতিপূর্ণ একটা এলাকা। ইটভাটা নির্মাণ হলে পরিবেশ দূষণের কারণে স্থানীয় লোকজনের স্বাস্থ্যঝুঁকি দেখা দিতে পারে, ফসল উৎপাদন ব্যাহত হবে আশপাশের ফসলি জমিতে। এছাড়া ইটভাটার এক থেকে দুই কিলোমিটার মধ্যে আম-কাঁঠাল থেকে শুরু করে বিভিন্ন ফলজ গাছের ফল উৎপাদন ব্যাহত হতে পারে। আর ইটভাটার কারণে এসব ক্ষয়ক্ষতি পরীক্ষিত। তাই আগামীতে ক্ষয়ক্ষতির কথা চিন্তা করে প্রশাসনের উচিত দ্রুত এই ইটভাটা নির্মাণের কাজ বন্ধ করে দেওয়া।’

এ সম্পর্কে এসইপি ব্রিকস ইটভাটার মালিক আব্দুল খালেক গণমাধ্যমকর্মীকে বলেন, ‘কাঁশোপাড়া এলাকায় আমার একটি ইটভাটা ছিল। সেই ইটভাটাটি তালপাতিলা শিবনগর এলাকায় স্থানান্তর করা হচ্ছে। তবে প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তরের অনুমতি নিয়েই ইটভাটা চালু করা হবে।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে নওগাঁ পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মলিন মিয়া জানান, ‘তিন ফসলি জমিতে ইটভাটা নির্মাণের কোনো সুযোগ নাই। এ বিষয়ে কোনো লিখিত অভিযোগ পাই নাই। অভিযোগ করলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

মান্দা উপজেলার নির্বাহী অফিসার লায়লা আনজুমান বানু জানান, ‘বিষয়টি আমার জানা নেই। খোঁজ নিয়ে দেখা হবে। প্রকৃতপক্ষে ফসলি জমিতে ইটভাটা নির্মাণ করা হলে কোনোভাবেই অনুমোদন দেওয়া হবে না।’

Header Ad
Header Ad

সাবেক এমপি বাহারের জমি-বাড়ি জব্দ, ২৯টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ

কুমিল্লা-৬ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আ.ক.ম. বাহাউদ্দিন বাহার। ছবি: সংগৃহীত

কুমিল্লা-৬ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আ.ক.ম. বাহাউদ্দিন বাহারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে এবার বড় পদক্ষেপ নিল দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আদালতের আদেশে জব্দ করা হয়েছে তার একটি বাড়ি ও ১৫ শতক জমি। পাশাপাশি অবরুদ্ধ করা হয়েছে তার এবং সংশ্লিষ্টদের ২৯টি ব্যাংক হিসাব।

বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) ঢাকার মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ মো. জাকির হোসেন গালিব এই আদেশ দেন। দুদকের করা এক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এই নির্দেশনা দেওয়া হয় বলে জানিয়েছেন সংস্থার জনসংযোগ বিভাগের উপপরিচালক আকতারুল ইসলাম।

দুদকের আবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, কুমিল্লার মনোহরপুর এলাকায় অবস্থিত জব্দ হওয়া বাড়িটির নির্মাণে আনুমানিক ১৬ কোটি টাকা বিনিয়োগ করা হয়েছে। পাশাপাশি ওই এলাকার ১৫ শতক জমির মূল্য ধরা হয়েছে প্রায় ৩৮ লাখ ৮০ হাজার টাকা।

দুদক দাবি করেছে, আ.ক.ম. বাহাউদ্দিন বর্তমানে পলাতক অবস্থায় রয়েছেন এবং তিনি তার স্থাবর সম্পদ বিক্রির পাশাপাশি ব্যাংক হিসাব থেকে অর্থ উত্তোলন ও স্থানান্তরের চেষ্টা করছেন। এমন প্রেক্ষাপটে মামলার সুষ্ঠু তদন্ত নিশ্চিত করতে সম্পদ জব্দ ও ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের আবেদন জানানো হয়।

Header Ad
Header Ad

বাংলাদেশের সঙ্গে কোনো ধরণের বাণিজ্যযুদ্ধে জড়াতে চায় না ভারত

ছবি কোলাজ: ঢাকাপ্রকাশ

বাংলাদেশ-ভারত বাণিজ্যিক সম্পর্কে সম্প্রতি যে টানাপোড়েন দেখা দিয়েছে, তার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে দুই প্রতিবেশী দেশ। তবে নয়াদিল্লির পক্ষ থেকে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে—বাংলাদেশের সঙ্গে কোনো ধরণের বাণিজ্যযুদ্ধে জড়াতে চায় না ভারত।

বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) ভারতের প্রভাবশালী দৈনিক টাইমস অব ইন্ডিয়া-র এক প্রতিবেদনে এই বিষয়টি উঠে এসেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশের পক্ষ থেকে সম্প্রতি ভারতীয় সুতা আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে, যা ভারতের কূটনৈতিক মহলে কিছুটা নেতিবাচক বার্তা হিসেবেই ধরা পড়েছে। অন্যদিকে ভারত দাবি করেছে, তারা ২০২০ সালে বাংলাদেশকে দেওয়া ট্রান্স-শিপমেন্ট সুবিধা সাময়িকভাবে স্থগিত করেছে শুধুমাত্র নিজেদের বন্দর ও বিমানবন্দরের চাপ কমাতে।

ভারতের পররাষ্ট্র দপ্তর নিশ্চিত করেছে, এই সিদ্ধান্তের ফলে বাংলাদেশ থেকে নেপাল ও ভুটানে রপ্তানির উপর কোনও প্রভাব পড়বে না।

সম্প্রতি ব্যাংককে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন প্রধান উপদেষ্টা মোহাম্মদ ইউনুসের বৈঠকেও বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। মোদী স্পষ্টভাবে আহ্বান জানিয়েছেন, যেন উস্কানিমূলক বক্তব্য ও কঠোর সিদ্ধান্ত এড়িয়ে চলা হয়—যাতে দুই দেশের সম্পর্কের পরিবেশ ক্ষতিগ্রস্ত না হয়।

ভারতের অভিযোগ, ট্রান্স-শিপমেন্ট সুবিধা বন্ধের আগেই বাংলাদেশ একাধিক পদক্ষেপ নিয়েছে যা তাদের দৃষ্টিতে সীমাবদ্ধতামূলক। এর মধ্যে রয়েছে—মার্চে ভারতীয় সুতা আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা, তিনটি স্থলবন্দর বন্ধ এবং জানুয়ারিতে বেনাপোল কাস্টমসে কড়াকড়ি নজরদারি।

বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাতের উদ্যোক্তারা ইতিমধ্যে সরকারকে সতর্ক করেছেন—ভারত থেকে সুতা আমদানি পুরোপুরি বন্ধ হলে তা দেশের অর্থনীতির জন্য আত্মঘাতী হতে পারে। কারণ দেশের পোশাকশিল্প এখনও বহুলাংশে ভারতীয় সুতার ওপর নির্ভরশীল।

এই পরিস্থিতিতে যখন বাংলাদেশ ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য সম্পর্ক কঠোর করছে, তখন একই সময়ে পাকিস্তানের সঙ্গে সরাসরি বাণিজ্যিক সম্পর্ক আবার চালু করেছে ঢাকা। ফেব্রুয়ারিতে পাকিস্তানের ট্রেডিং কর্পোরেশন থেকে ৫০ হাজার টন চাল কেনার সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়েছে।

এদিকে, বাংলাদেশে বাড়তে থাকা ধর্মীয় উগ্রপন্থার প্রেক্ষাপটে পাকিস্তানের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ভারত। ইসলামাবাদকে বরাবরই সন্ত্রাসবাদের পৃষ্ঠপোষক হিসেবে দেখে এসেছে নয়াদিল্লি।

জানা গেছে, পাকিস্তান এখন বাংলাদেশে তাদের রপ্তানি বাজার সম্প্রসারণে আগ্রহী। এমনকি দুই দেশের মধ্যকার উচ্চ পর্যায়ের কূটনৈতিক সম্পর্ক আবার সচল হয়েছে। পাকিস্তানের পররাষ্ট্রসচিব আমনা বালুচ খুব শিগগিরই ঢাকা সফর করবেন এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইশহাক দারও আগামী সপ্তাহে আসছেন।

Header Ad
Header Ad

বিজ্ঞানীদের সফলতা: ইমপ্লান্ট নয়, নতুন করে গজাবে ক্ষয়ে যাওয়া দাঁত!

ছবি কোলাজ: ঢাকাপ্রকাশ

এবার মানুষের দাঁতের পুনর্জন্ম নিয়ে বাস্তব স্বপ্ন দেখছেন গবেষকেরা। একাধিকবার দাঁত গজানো সম্ভব হলেও মানুষের ক্ষেত্রে দাঁত হারালে আর ফিরে পাওয়ার সুযোগ একবারই। তবে এই বাস্তবতা বদলে যেতে চলেছে বলে মনে করছেন লন্ডনের কিংস কলেজের গবেষকরা।

সম্প্রতি তারা পরীক্ষাগারে কৃত্রিম উপায়ে দাঁত গজাতে সক্ষম হয়েছেন, যা দন্তচিকিৎসায় এক যুগান্তকারী পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। যদিও এখনই এই পদ্ধতি মানুষের মুখে প্রয়োগ হচ্ছে না, তবে বিজ্ঞানীরা বলছেন—এই অগ্রগতি ভবিষ্যতের চিকিৎসাব্যবস্থায় একটি বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনবে।

কিংস কলেজের রিজেনারেটিভ ডেন্টিস্ট্রির পরিচালক ডা. আনা অ্যাঞ্জেলোভা ভলপনি বলেন, “জৈবিকভাবে দাঁত গজানোর চিন্তাই আমাকে এই গবেষণায় টেনেছে। আমরা পরীক্ষাগারে দাঁত গজিয়ে দীর্ঘদিনের জ্ঞানগত ঘাটতি পূরণে এগিয়ে যাচ্ছি।”

বর্তমানে অনেকেই নিখুঁত দাঁতের আশায় ইমপ্লান্ট বা ব্রেসের ওপর নির্ভরশীল হলেও, ইমপ্লান্ট সবসময় ঝুঁকিমুক্ত নয়। অস্ত্রোপচার, জটিলতা এবং দীর্ঘস্থায়ী চিকিৎসা–সব মিলিয়ে এটি রোগী ও চিকিৎসক, উভয়ের জন্যই একটি চ্যালেঞ্জ।

ডা. আনা অ্যাঞ্জেলোভা ভলপনি এবং গবেষক জুয়েচেন ঝাং

এই প্রেক্ষাপটে দাঁত গজানোর নতুন পদ্ধতিটি হয়ে উঠতে পারে এক বিকল্প সমাধান। কিংস কলেজের পিএইচডি গবেষক জুয়েচেন ঝাং জানান, “ল্যাবে তৈরি দাঁত প্রাকৃতিকভাবে গজাবে এবং চোয়ালের সঙ্গে একীভূত হবে। এটি হবে অধিক টেকসই, শরীরবান্ধব এবং কার্যকর।”

গবেষক দল কিংস কলেজ ও ইমপেরিয়াল কলেজ লন্ডনের যৌথ প্রচেষ্টায় এমন একটি উপাদান তৈরি করেছেন যা কোষগুলোর মধ্যে সংযোগ স্থাপন করে। এই সংযোগ দাঁতের কোষ তৈরির সংকেত পাঠাতে সক্ষম—ফলে প্রাকৃতিকভাবে দাঁত গজানোর পরিবেশ অনুকরণ করা সম্ভব হয়।

গবেষণাটি এখনো পরীক্ষাগারের স্তরে থাকলেও, গবেষকেরা দুটি সম্ভাব্য পথ দেখছেন—এক, দাঁতের কোষ সরাসরি মুখে প্রতিস্থাপন করে তা গজানো; দুই, ল্যাবে দাঁত তৈরি করে তা মুখে স্থাপন করা।

বিশ্বজুড়ে কোটি কোটি মানুষ দাঁত হারানোর সমস্যায় ভুগছেন, যা শুধু দৈনন্দিন কার্যকলাপ নয়, বরং মানসিক ও শারীরিক স্বাস্থ্যেও প্রভাব ফেলে। দাঁতের ক্ষয়জনিত জীবাণু রক্তপ্রবাহে প্রবেশ করে হৃদরোগের ঝুঁকি পর্যন্ত বাড়াতে পারে।

এই প্রযুক্তিকে দন্তচিকিৎসার ভবিষ্যৎ বলেই মনে করছেন ক্লিনিক্যাল লেকচারার ও প্রস্থোডন্টিক্স বিশেষজ্ঞ সাওরশে ও’টুল। তিনি বলেন, “এটি আমার চিকিৎসাজীবনে পুরোপুরি বাস্তবায়িত হবে কিনা জানি না, তবে আমার সন্তানেরা হয়তো এই প্রযুক্তির সুফল দেখতে পাবে, এবং তাদের সন্তানেরা এটি নিয়মিত ব্যবহার করবে।”

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

সাবেক এমপি বাহারের জমি-বাড়ি জব্দ, ২৯টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ
বাংলাদেশের সঙ্গে কোনো ধরণের বাণিজ্যযুদ্ধে জড়াতে চায় না ভারত
বিজ্ঞানীদের সফলতা: ইমপ্লান্ট নয়, নতুন করে গজাবে ক্ষয়ে যাওয়া দাঁত!
নওগাঁয় বাসায় ঢুকে তরুণকে কুপিয়ে জখমের ঘটনায় ৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা
বাংলাদেশের সঙ্গে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে: পাকিস্তানের পররাষ্ট্র সচিব
অবশেষে আসছে ‘ব্যাচেলর পয়েন্ট সিজন-৫’
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষার ‘বি’ ইউনিটের ফল প্রকাশ
ফোনের চার্জ দ্রুত শেষ? জেনে নিন ১০টি কার্যকর সমাধান
সংস্কারের নাম উচ্চারণের আগেই খালেদা জিয়া ভিশন ২০৩০ দিয়েছেন: বিএনপি
১ মে থেকে ডিম-মুরগি উৎপাদন বন্ধের ঘোষণা, ১০ দফা দাবি পোল্ট্রি খামারিদের
গাজায় এক মাসে গৃহহীন প্রায় ৫ লাখ মানুষ: জাতিসংঘ
বাংলাদেশি জন্মসনদ পাচ্ছেন কানাডিয়ান তারকা সামিত সোম, মাঠে অভিষেক জুনে!
পুলিশ পরিদর্শক হত্যা মামলায় আলোচিত আরাভ খানসহ ৮ জনের যাবজ্জীবন
সাকিবের নির্বাচন কভারের ছবি ভাইরাল, ব্যাখ্যা দিলেন প্রেস সচিব
ঋণ পরিশোধে সময় দিল রাশিয়া, ১৬ কোটি ডলার জরিমানা মওকুফ
হার্ভার্ড একটি তামাশার জায়গা, এটি ঘৃণা ও মূর্খতা শেখায়: ট্রাম্প
ঢাকা মহানগর আ.লীগ নেতা শাহে আলম মুরাদ গ্রেপ্তার
টাঙ্গাইলে ধানক্ষেতে মিললো প্রবাসীর স্ত্রীর মরদেহ
রিয়াল মাদ্রিদকে হারিয়ে ১৬ বছর পর চ্যাম্পিয়ন্স লিগ সেমিফাইনালে আর্সেনাল
প্রতারণার মামলায় মডেল মেঘনা আলম গ্রেপ্তার