অপহৃত ১২ জেলেকে ছেড়ে দিল আরাকান আর্মি
নাফ নদী। ছবি: সংগৃহীত
কক্সবাজারের উখিয়া সীমান্তের নাফ নদীতে মাছ শিকারের সময় ধরে নিয়ে যাওয়া ১২ জেলেকে ছেড়ে দিয়েছে মিয়ানমারের বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি (এএ)।
বৃহস্পতিবার (২ মে) রাত পৌনে ৮টায় বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম সীমান্ত দিয়ে জেলেদের ছেড়ে দেওয়া হয়।
স্থানীয়দের ভাষ্যমতে, গেল বুধবার সকালে উখিয়া উপজেলার পালংখালী ইউনিয়নের নাফ নদীর অংশের মোদিরখালে মাছ ধরছিলেন স্থানীয় ১২ জেলে। এ সময় আরাকান আর্মির একটি দল অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে জেলেদের ধরে নিয়ে যায়।
ফেরত আসা জেলেরা হলেন- অপহৃত জেলেরা হলেন - পালংখালী ইউনিয়নের রহমতের বিল এলাকার হোসেন আলীর ছেলে জানে আলম (৩৫), মৃত আবদুস ছালামের ছেলে আব্দুর রহিম (৪০), মৃত জালাল আহমদের ছেলে আনোয়ারুল ইসলাম (৩৭) ও সাইফুল ইসলাম (৩০), মৃত আলী আহমদের ছেলে আয়ুবুল ইসলাম (৩০), আবু তাহেরের ছেলে শাহীন (২০), গৌজঘোনা এলাকার আলী আহমদের ছেলে আবদুর রহিম (৫২), পুটিবনিয়া এলাকার মৃত মিয়া হোসেনের ছেলে ওসমান গণী (৩০), মৃত আবুল শামার ছেলে ওসমান (৩৫), আয়ুব ইসলামের ছেলে আবুল হাশিম (৩৫), টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং লম্বাবিল এলাকার রোমান আলীর ছেলে আব্দুল জলিল (৩২) ও দৈংগ্যাকাটা এলাকার হোসাইন আহমদ (৫৫)।
উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তানভীর হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, বাংলাদেশি ১২ জেলেকে আরাকান আর্মি ধরে নিয়ে যাওয়ার বিষয়টি স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান বুধবার দুপুরে তাকে অবগত করেন। তাৎক্ষণিক ঘটনাটি বিজিবিসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে তিনি জানান। এরপর জেলেদের ফেরত আনতে তৎপরতা শুরু হয়।
তিনি আরও জানান, বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ৮টায় নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম সীমান্ত দিয়ে ১২ জেলেকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। সীমান্তের এপার পৌঁছার পর জেলেদের বিজিবির হেফাজতে নেওয়া হয়। পরে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাদের বাসা—বাড়িতে পাঠানো হয়েছে।
এ বিষয়ে পালংখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এম গফুর উদ্দিন চৌধুরী জানান, ফেরত আসা জেলেরা নিজ নিজ বাড়িতে নিরাপদে ফিরেছেন। ধরে নিয়ে যাওয়ার পর তাদের ওপর কোনো ধরনের নির্যাতন করা হয়নি বলে জানিয়েছেন তিনি।