শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪ | ৩০ কার্তিক ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

মানিকগঞ্জে বিয়ের অনুষ্ঠানে মদপানে প্রাণ গেল মামা-ভাগ্নের

নিহত দীপু এবং প্রসেনজিৎ। ছবি: সংগৃহীত

মানিকগঞ্জে বিয়ের অনুষ্ঠানে অতিরিক্ত ‘মদপানে’ দীপু সরকার (২৯) ও প্রসেনজিৎ সরকার (২১) নামে দুজনের মৃত্যু হয়েছে। তারা সম্পর্কে মামা- ভাগনে।

শনিবার (৩ মার্চ) রাতে মানিকগঞ্জ কর্নেল মালেক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং মানিকগঞ্জ মুন্নু মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতালে তাদের মৃত্যু হয়।

নিহত দীপু গাজীপুরের ভাওয়াল কলেজ এলাকার সতীশ সরকারের ছেলে এবং প্রসেনজিৎ মানিকগঞ্জের হরিরামপুরের বয়ড়া ইউনিয়নের দাসকান্দি বয়ড়া গ্রামের প্রকাশ সরকারের ছেলে।

স্থানীয়রা জানান, সদর উপজেলার হাটিপাড়া ইউনিয়নের জগন্নাথপুর গ্রামে মামাতো বোনের বিয়েতে আসেন দীপু। শুক্রবার মধ্যরাতে সেখানে গায়ে হলুদের অনুষ্ঠানে দেশি মদপান করে কয়েকজন যুবক। তাদের মধ্যে দীপু ও প্রসেনজিৎ শনিবার সকালের দিকে অসুস্থ হয়ে পড়েন। শনিবার সন্ধ্যায় প্রসেনজিৎকে হরিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে অবস্থা গুরুতর থাকায় চিকিৎসক মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতালে পাঠান। পরে রাতে স্থানীয়রা মানিকগঞ্জ কর্নেল মালেক মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে প্রসেনজিতের মৃত্যু হয়। এদিকে দীপুকে মানিকগঞ্জ মুন্নু মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

এ বিষয়ে মানিকগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাবিল হোসেন বলেন, পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, নিহত দুজনই অতিরিক্ত মদপান করেন। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, তারা বিষক্রিয়ায় মারা যান। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যাবে।

স্থানীয়দের বরাত দিয়ে হরিরামপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মুজিবুর রহমান জানান, মানিকগঞ্জ সদর থানা এলাকায় মদপানে দুজন মারা গেছে। এর মধ্যে একজন হরিরামপুরের, আরেকজন গাজীপুরের। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

Header Ad

মুজিববাদের বিরুদ্ধে লড়াইটা শতগুণ কঠিন : আসিফ মাহমুদ

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের যুব ও ক্রীড়া এবং স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। ছবি: সংগৃহীত

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের যুব ও ক্রীড়া এবং স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেছেন, ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের থেকে মুজিববাদের বিরুদ্ধে লড়াইটা শতগুণ কঠিন। বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) দিবাগত রাতে ফেসবুকের এক পোস্টে তিনি এসব কথা বলেন।

ফেসবুক পোস্টে তিনি লিখেছেন, ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের থেকে মুজিববাদের বিরুদ্ধে লড়াইটা শতগুণ কঠিন। মুজিববাদ প্রশ্নে ফ্যাসিবাদ বিরোধী শক্তি দুঃখজনক ভাবে বিভক্ত হয়ে যাচ্ছে। তিনি আরও লিখেন, এ লড়াইয়ের পথে কি ২৪ এর প্রজন্ম একা?

প্রসঙ্গত, সম্প্রতি বঙ্গভবনের দরবার হলের দেয়াল থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি সরিয়ে ফেলা হয়েছে। উপদেষ্টা মাহফুজ আলম সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ফেসবুকে একটি ছবি শেয়ার করে তা জানিয়েছেন। শেখ মুজিবের ছবি সরানো নিয়ে বিস্তর আলোচনা চলমান এখন।

এরই মধ্যে উপদেষ্টা মাহফুজ আলম একাত্তর পরবর্তী ‘ফ্যাসিস্ট’ নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও শেখ পরিবারের বন্দনা বন্ধ করার কথা বলেছেন। পাশাপাশি মুজিববাদ ও শেখ হাসিনাকে হাসিনাকে বয়কট করার ডাক দিয়েছেন।

এবার অন্য উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ জানালেন মুজিববাদ নিয়ে তার অভিমত।

Header Ad

কৃতকর্মে নেই অনুশোচনা, ক্ষমতা হারানোকে ষড়যন্ত্র হিসেবে দেখছে আওয়ামী লীগ

শেখ হাসিনা। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশে ছাত্র-জনতার গণআন্দোলনের মুখে ক্ষমতা হারানোর তিন মাস পরও নিজেদের কৃতকর্মের কোনো অনুশোচনা করছে না আওয়ামী লীগ। বরং দলটি এখনো পুরো ঘটনাকে ষড়যন্ত্র হিসেবে দেখছে। বিশেষ করে, গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র আন্দোলন দমনে বলপ্রয়োগ এবং হতাহতের ঘটনায় দলটি এখনো দুঃখ প্রকাশ করেনি।

দলটির শীর্ষ নেতারা বিশ্বাস করেন যে গণঅভ্যুত্থানের আড়ালে একটি পরিকল্পিত ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে শেখ হাসিনাকে দেশত্যাগে বাধ্য করা হয়েছে। বর্তমানে সংগঠনকে পুনর্গঠনের চেষ্টা করছে আওয়ামী লীগ। দলের কিছু নেতাকর্মী দেশে ফেরার প্রস্তুতি নিচ্ছেন, যদিও দলটির নেতাকর্মীদের একটি বড় অংশই এখনো আত্মগোপনে রয়েছেন।

গণঅভ্যুত্থানের তিন মাস পর নেতাকর্মীদের মনোবল চাঙা করতে প্রথম আনুষ্ঠানিক কর্মসূচি পালন করে আওয়ামী লীগ। কিন্তু, বিদেশে আত্মগোপনে থেকে দলীয় নেতাদের বাংলাদেশে কর্মসূচি ঘোষণা করার বিষয়টি নিয়ে দলের তৃণমূল কর্মীদের মধ্যে অসন্তোষ বিরাজ করছে। তারা অভিযোগ করছেন, এতে দেশে অবস্থানরত নেতাকর্মীরা আরও বিপদের মুখে পড়ছেন।

বিশ্লেষকরা মনে করছেন, ক্ষমতা হারানো আওয়ামী লীগ জনগণের কাছে ক্ষমা না চাইলে মাঠে ফিরে আসা তাদের জন্য কঠিন হবে। কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় সহিংস পরিস্থিতির পর শেখ হাসিনা আন্দোলনটিকে ষড়যন্ত্র হিসেবে অভিহিত করেছিলেন। ক্ষমতা হারানোর পরও দলটির নেতারা একই কথা বলে যাচ্ছেন।

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম দাবি করেন, “গণঅভ্যুত্থান ছিল পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র। এর পেছনে একটি বিদেশি শক্তির হাত ছিল।” তিনি আরও জানান, আওয়ামী লীগ মনে করে শিক্ষার্থীদের এই আন্দোলনকে সরকারবিরোধী আন্দোলনে পরিণত করার পেছনে বিদেশি শক্তির ভূমিকা ছিল।

আন্দোলন চলাকালে পুলিশের গুলি ও বলপ্রয়োগে প্রায় সাড়ে আটশ’রও বেশি মানুষ নিহত ও ২০ হাজারেরও বেশি আহত হন। এই বিষয়ে বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, “আমরা শুরু থেকেই বলে আসছি যে আন্দোলনে একটি তৃতীয় পক্ষের হাত ছিল।”

আওয়ামী লীগের দীর্ঘ শাসনামলে মানবাধিকার লঙ্ঘন, গুম, অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগও রয়েছে। ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) জানায়, প্রতি বছর ১২ থেকে ১৫ বিলিয়ন ডলার পরিমাণ অর্থ বিদেশে পাচার হয়েছে। অনেকে ক্ষমতার অপব্যবহারে বিপুল সম্পদের মালিক হয়েছেন।

ক্ষমতা ছাড়ার পর থেকে দলটির কার্যালয় ও নেতাকর্মীদের সম্পত্তিতে হামলার ঘটনা ঘটে। জীবন রক্ষার্থে আত্মগোপন করতে বাধ্য হয়েছেন অনেকেই। শেখ হাসিনা ও অন্যান্য নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে শতাধিক মামলা দায়ের হয়েছে।

সাবেক নৌপ্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, “নেত্রীসহ বিভিন্ন নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করা হচ্ছে।” সূত্র: বিবিসি বাংলা

Header Ad

হালাল অর্থনীতির বিকাশে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা ইন্দোনেশিয়ার

ছবি: সংগৃহীত

ইন্দোনেশিয়া পৃথিবীর সর্ববৃহৎ মুসলিম জনসংখ্যার দেশ। ফলে হালাল অর্থনীতির উন্নয়নের মাধ্যমে দেশটির জাতীয় অর্থনীতির উন্নয়নে অমিত সম্ভাবনা রয়েছে। ইন্দোনেশিয়ার সরকার এই সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। ‘দ্য ২০২৩-২০২৯ হালাল ইন্ডাস্ট্রি রোডম্যাপ’ নামের এই পরিকল্পনা এগিয়ে নিতে নানামুখী উদ্যোগও গ্রহণ করেছে দেশটি।

যেমন- হালাল পণ্যের সংজ্ঞা নির্ধারণ, হালাল সার্টিফিকেটের বাধ্যবাধকতা আরোপ এবং ‘দ্য ন্যাশনাল কমিটি ফর শরিয়া ফাইন্যান্স’ গঠন ইত্যাদি। হালাল পণ্যের সংজ্ঞায় বলা হয়েছে, তা এমন পণ্য, যার উৎপাদনে ইসলামী আইন অনুসরণ করা হয়। যার লক্ষ্য হবে দেশ ও বিদেশের মুসলিম জনগোষ্ঠী।

ইন্দোনেশিয়ান সরকার হালাল শিল্পকে দুই ভাগে ভাগ করেছে : ক. মৌলিক হালাল শিল্প, খ. উন্নয়নশীল হালাল শিল্প।
মৌলিক হালাল শিল্পের অধীনে আছে খাদ্য ও ভোগ্য পণ্য, ওষুধ ও চিকিৎসাসামগ্রী, প্রসাধনী ও সেবা। আর উন্নয়নশীল শিল্পের অধীনে মুসলিম ফ্যাশন, মুসলিমবান্ধব পর্যটন ও সৃজনশীল ইসলামী অর্থনীতি। রোডম্যাপ বাস্তবায়নে ইন্দোনেশিয়া চারটি লক্ষ্য সামনে রেখেছে : ১. হালাল পণ্যের উৎপাদন ও প্রতিযোগিতা বৃদ্ধি করা, ২. নীতি ও প্রবিধান বাস্তবায়ন ও শক্তিশালী করা, ৩. অর্থায়ন বৃদ্ধি ও অবকাঠামোর উন্নয়ন, ৪. জনসচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমে হালাল ব্র্যান্ডিং সৃষ্টি করা।

ইন্দোনেশিয়ার অর্থনৈতিক সমীক্ষা অনুসারে ২০২৩ সালে হালাল শিল্পের টার্নওভার ৩৬ ট্রিলিয়ন আরপি। প্রতিবছর জাতীয় অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে (জিডিপি) হালাল শিল্পের অবদান ৫.১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। ইন্দোনেশিয়ার সরকার একে ২.২৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলালে উন্নীত করতে চায়। সূত্র : দ্য ইনভেস্টর ডটভিএন।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

মুজিববাদের বিরুদ্ধে লড়াইটা শতগুণ কঠিন : আসিফ মাহমুদ
কৃতকর্মে নেই অনুশোচনা, ক্ষমতা হারানোকে ষড়যন্ত্র হিসেবে দেখছে আওয়ামী লীগ
হালাল অর্থনীতির বিকাশে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা ইন্দোনেশিয়ার
আজীবন ফ্রি চিকিৎসাসেবা পাবেন গণঅভ্যুত্থানে আহতরা
টাঙ্গাইলে যুবলীগ নেতাসহ ৩ জন গ্রেফতার
এক কর্মস্থলে ৩ বছর হলেই বদলি, পরিপত্র জারি
৩১ দফা নিয়ে নওগাঁয় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের মতবিনিময়
বাংলাদেশের চারদিকে কোনো বন্ধু রাষ্ট্র নেই: আসিফ নজরুল
দেশে ফিরলেন প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস
ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শহীদদের নামে ৩ স্টেডিয়ামের নামকরণ
শিল্পপতিকে হত্যার পর ৭ টুকরো করে লেকে ফেলে দেন পরকীয়া প্রেমিকা
ছাত্র আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ সোহরাওয়ার্দী কলেজ শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহর মৃত্যু
আগামীতে আওয়ামী লীগের মতো পরিবারতন্ত্র থাকবে না: তারেক রহমান
বঙ্গবন্ধু নাম পাল্টে নওগাঁ বিশ্ববিদ্যালয় লেখা সাইনবোর্ড টানালেন শিক্ষার্থীরা
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে মুক্তিযোদ্ধার নাতি-নাতনি কোটা বাতিল
মাউশির ৮ আঞ্চলিক কার্যালয়ে নতুন উপ-পরিচালক
ঢাবিতে ছাত্রদলের ২৪২ সদস্যবিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা
ভারতে বসে শেখ হাসিনার মোবাইল ব্যবহার ও বিবৃতি নিয়ে ঢাকার অসন্তোষ
গাইবান্ধায় বড় ভাইকে হত্যার দায়ে ছোট ভাইয়ের মৃত্যুদণ্ড
সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে’র সঙ্গে ড. ইউনূসের বৈঠক