গোবিন্দগঞ্জে ইপিজেড এর কার্যক্রম দ্রুত বাস্তবায়নের দাবীতে মানববন্ধন
ছবি সংগৃহিত
প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে রংপুর ইপিজেড দ্রুত বাস্তবায়নের দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার রংপুর চিনিকলের সাহেবগঞ্জ ইক্ষু খামারের জায়গায় রংপুর ইপিজেড দ্রুত বাস্তবায়নের দাবীতে শহরের চারমাথা মোড়ে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার দুপুরে গোবিন্দগঞ্জ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের ২০১৭ ব্যাচের আয়োজনে রংপুর ইপিজেড এর কার্যক্রম দ্রুত বাস্তবায়নের দাবীতে মানববন্ধন পালন করা হয়। মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, গোবিন্দগঞ্জ পৌর সভার মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মুকিতুর রহমান রাফি।
এছাড়া অন্যান্যর মধ্যে বক্তব্য রাখেন ইপিজেড বাস্তবায়ন কমিটির আহ্বায়ক ও ওয়ার্র্কার্স পার্টির সভাপতি এম এ মোতিন মোল্লা, জাসদ নেতা সেকেন্দার আলী, জেএসডি নেতা আইয়ুব হোসেন সরকার, বাসদ নেতা রফিকুল ইসলাম, অধ্যক্ষ শরিফ আহমেদ, গোবিন্দগঞ্জ প্রেসক্লাব সভাপতি গোপাল মোহন্ত, সহ-সভাপতি জাহিদুর রহমান প্রধান টুকু, সাধারণ সম্পাদক রাসেল কবির, সাংস্কৃতিক কর্র্মী ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী বাবুলাল চৌধুরী, সাংস্কৃতিক কর্র্মী অলোক কুমার, রির্র্পোটার্র্স ফোরামের শাহ আলম সরকার সাজু, সাংবাদিক এসোসিয়েশনের সভাপতি মাহমুদ খান, ক্রাইম রির্র্পোটার ইউনিটের সভাপতি আলমগীর হোসেন, মানবাধিকার সংস্থার সভাপতি ও জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার সাধারণ সম্পাদক সাহাদুর রহমান সাজু, দর্র্জি শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি সাহারুল ইসলাম, সমাজকর্মী তৌফিকুল ইসলাম পাপন, নারী নেত্রী হ্য্যাপী খাতুন, ধারাভাষ্যকার রবিউল ইসলাম প্রমুখ। বক্তারা অবিলম্বে রংপুর ইপিজেড এর অবকাঠামো নির্মাণ সহ যাবতীয় কার্যক্রম শুরু করার দাবী জানান। সেই সাথে মহান জাতীয় সংসদে ইপিজেড বাস্তবায়নের লক্ষ্যে কাজ শুরুর জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্র্ষণ করে বক্তব্য দেয়ায় সংসদ সদস্য অধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা হয়।
তারা বলেন,ইপিজেড বাস্তবায়িত হলে প্রায় ২লক্ষ মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে। ইপিজেড কেন্দ্রিক স্কুল,কলেজ,বিশ্ববিদ্যালয়,হাসপাতাল,মসজিদ,মন্দিরের মত প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠবে। এলাকার নিরাপত্তার জন্য শিল্প পুলিশ জোন ও ফায়ার সার্ভিস স্টেশন স্থাপিত হবে। বানিজ্যিক ক্ষেত্রে হাট-বাজার, পার্ক, বিনোদন কেন্দ্র, সিনেমা হল, ক্লিনিক, রেস্টুরেন্ট ও শপিংমল স্থাপন হবে। আবাসিক ক্ষেত্রে ইপিজেডের কর্মরত মানুষের জন্য বহুতল ভবন, মেস, বাসাবাড়ি, রেস্টহাউজ ও আবাসিক হোটেল নির্মাণ হবে। যোগাযোগ ক্ষেত্রে নতুন রুটে বিভিন্ন যানবাহ। চলাচল ও হেলিপ্যাড চালু হবে। গাইবান্ধা,বগুড়া,জয়পুরহাট দিনাজপুর ও রংপুর জেলায় বেকাত্বের হার কমে যাবে। দেশে আরও দক্ষ জনবল সৃষ্টি হবে। এই দক্ষ জনবল দেশ-বিদেশে কাজ করবে।
রংপুর ইপিজেডে বিদেশী বিনিয়োগ হলে দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বাড়বে। ইপিজেডের পণ্য বিদেশে রপ্তানির মাধ্যমে প্রচুর বৈদেশিক মূদ্রা উপার্জিত হবে। ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন ঘটবে। ইপিজেড এরিয়ার আশেপাশে জমির মূল্য বহুগুণে বেড়ে যাবে। জাতীয় ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার, সিকিউরিটি এজেন্সি, আন্তজার্তিক মেশিনারীজ কোম্পানির মত অফিস চালু হবে। ইপিজেড নির্মাণের সময় অনেক লোকবল ও কাঁচামালের প্রয়োজন পড়বে। যার অধিকাংশ স্থানীয়ভাবে সরবরাহ করা সম্ভব। ইপিজেড বাস্তবায়ন হলে ঢাকা-দিনাজপুর মহাসড়ক চার লেনে উন্নীত হবে।
মানববন্ধনে বক্তারা অবিলম্বে রংপুর ইপিজেডের অবকাঠামো নির্মাণসহ যাবতীয় কার্যক্রম দ্রুত শুরু করার জোর দাবি জানান।