বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারি ২০২৫ | ৯ মাঘ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

ঋণ পরিশোধ করতে ১ দিনের সন্তানকে বিক্রি করলো বাবা-মা

ছবি: সংগৃহীত

গাইবান্ধার পলাশবাড়িতে ঋণের টাকা পরিশোধ করতে ১ দিনের নবজাতককে বিক্রির অভিযোগ উঠেছে এক দম্পতির বিরুদ্ধে। বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে উপজেলার বরিশাল ইউনিয়নের ভবানীপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

ঋণ মেটাতে ভবানীপুর গ্রামের হেরেন ও ঝুম্পা দম্পতি তাদের একদিনের পুত্র সন্তানকে বিক্রি করে দেন। হেরেন বিশ্বাস এলাকার মৃত নয়ন চন্দ্র বিশ্বাসের ছেলে ও পেশায় একজন কর্মকার।

এছাড়া গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার প্রান্ত ও একই উপজেলার পান্থাপাড়া এলাকার গোবিন্দের স্ত্রী মানা ভক্তিরানী এ ঘটনায় জড়িত বলে জানা গেছে।

স্থানীয়দের অভিযোগ, হেরেন বিশ্বাস পেশায় কর্মকার হলেও তিনি নিয়মিত জুয়া খেলেন। ফলে তার বেশ কিছু ঋণ রয়েছে। এই ঋণ পরিশোধ করতেই একদিনের এক পুত্র সন্তানকে বিক্রি করেছেন হেরেন। আর এই নবজাতককে বিক্রির সঙ্গে গোবিন্দগঞ্জের প্রান্ত নামের একজন ও তারই এলাকার ভক্তিরানী নামের এক নারী সরাসরি জড়িত।

স্থানীয় সূত্রে আরও জানা গেছে, প্রায় দুই যুগ আগে বিয়ে হয় হেরেন-ঝুম্পা দম্পতির। তাদের সংসারে রনি, নিরঞ্জন, রাবিন্দ্র ও জয়দেব নামের চারটি পুত্র সন্তান রয়েছে। সর্বশেষ গত মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) রাতে আরও এক পুত্র (পঞ্চম) সন্তানের জন্ম হয় তাদের ঘরে। এরই সুযোগে ওই নবজাতককে দুই লাখ টাকায় বিক্রি করে দেয় ওই দম্পতি। নবজাতক বিক্রির টাকায় ওই রাতেই বেশ কয়েকজনের ঋণও পরিশোধ করেন তারা।

তবে অভিযুক্ত বাবা হেরেন চন্দ্র মোবাইল ফোনে সন্তান বিক্রির বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, আমি আগে জুয়া খেলতাম এখন আর খেলি না। বেশ কিছু টাকা ঋণ আছে। তবে আমি সন্তান বিক্রি করিনি, দত্তক দিয়েছি। অভাবের সংসার, শুধু ছেলেই হয়। মেয়ে হলে দিতাম না।

এসময় এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, গোবিন্দগঞ্জের প্রান্ত আর মানা ভক্তি‌রানীর সাহায্যে আমার ছেলেকে এসে কয়েকজন নিয়ে গেছে। ভক্তির সঙ্গে তিনজন মহিলা এবং একজন পুরুষ মাইক্রোবাস নিয়ে এসেছিল। যাদেরকে দিয়েছি তাদেরকে আমি চিনি না। কোনোদিন দেখিও নি। শুনেছি তাদের বাড়ি রাজশাহীতে।

হেরেনের স্ত্রী ঝুম্পা রানী কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, বাচ্চাকে যাদেরকে দিয়েছে আমরা তাদেরকে চিনি না। এখন বাচ্চার জন্য অনেক মায়া হচ্ছে। সন্তানকে নিয়ে যাওয়ার সময় তারা আমাদের থেকে সাদা কাগজে স্বাক্ষর করে নিয়েছেন।

সব অভিযোগের বিষয়ে জানতে গোবিন্দগঞ্জের প্রান্তের সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা হলে তিনি বলেন, সন্তান বিক্রির বিষয়টি সম্পূর্ণ গুজব। তারা নিজের ইচ্ছায় দিয়েছে। আমাদের কাছে কাগজও আছে। কার কাছে শিশুটিকে দেওয়া হয়েছে আর শিশুটি এখন কোথায়? এমন প্রশ্নের উত্তরে তাদের নাম-পরিচয় জানাতে রাজি হননি প্রান্ত। প্রান্তের দাবি, যারা শিশুটিকে নিয়েছেন তারা তার (প্রান্তের) দু-সম্পর্কের আত্মীয় হন।

আরেক অভিযুক্ত মানা ভক্তিরানীর সঙ্গে আপনার সম্পর্ক কি জানতে চাইলে প্রান্ত বলেন, আপনাকে কেন বলতে হবে? আপনার জেনে লাভ কী? এসব করে লাভ নেই। সকল ডকুমেন্ট ২ ঘণ্টার মধ্যে দেওয়ার কথা জানিয়ে হঠাৎ ফোনে কেটে দেন। যদিও বেলা ১টা পর্যন্ত কোনো তথ্য পাঠাননি তিনি।

তবে অভিযুক্ত মানা ভক্তিরানী বলেন, শিশুটি যাদেরকে দেওয়া হয়েছে তাদের সঙ্গে এক বিয়ের অনুষ্ঠানে গিয়ে আমাদের পরিচয় হয়। সেখানেই আমি জেনেছি তারা নিঃসন্তান। পরে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করে শিশুটিকে দত্তক দেওয়া হয়েছে। তাদের বাড়ি কোথায়? শিশুটি এখন কোথায় আছে? এমন প্রশ্ন করলে উত্তর না দিয়েই ফোন কেটে দেন ভক্তি।

এ বিষয়ে গাইবান্ধা সহকারী পুলিশ সুপার (সি-সার্কেল) উদয় কুমার সাহা বলেন, এর আগে বিষয়টি আমরা অবগত ছিলাম না। যদি সন্তান বিক্রির ঘটনা ঘটে থাকে তবে সেটি অপরাধ। আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখব। যদি দত্তক দেওয়াও হয়ে থাকে, সেটিও প্রসেস অনুযায়ী হয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Header Ad
Header Ad

ভারতে হিন্দু ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের অভিযোগে

ফিদা হুসেনের চিত্রকর্ম জব্দের নির্দেশ  

ভারতের বিখ্যাত শিল্পী মকবুল ফিদা হুসেন। ছবিঃ সংগৃহীত

দিল্লির একটি আদালত ভারতের বিখ্যাত শিল্পী মকবুল ফিদা হুসেনের দুটি বিতর্কিত চিত্রকর্ম জব্দ করার নির্দেশ দিয়েছেন। অভিযোগ উঠেছে, চিত্রকর্মগুলো ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হেনেছে।

সোমবার পাতিয়ালা হাউস কোর্ট পুলিশকে চিত্রকর্মগুলো জব্দ করার অনুমতি দেন। 

অভিযোগে বলা হয়েছে, দিল্লি আর্ট গ্যালারিতে প্রদর্শিত ওই চিত্রকর্ম দুটি হিন্দু দেব-দেবীকে নগ্ন রূপে চিত্রিত করে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হেনেছে। দিল্লি আর্ট গ্যালারিতে ২৬ অক্টোবর থেকে ১৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত এ শিল্পীর ১০০টিরও বেশি চিত্রকর্ম প্রদর্শিত হচ্ছিল। এক বিবৃতিতে গ্যালারিটি জানায়, তারা আইনি প্রক্রিয়ার পক্ষ নয় এবং বিষয়টি নিয়ে আইনি পরামর্শ নিচ্ছে।

আইনজীবী অমিতা সচদেবা ৪ ডিসেম্বর চিত্রকর্ম দুটি গ্যালারিতে দেখে ছবি তোলেন এবং পূর্ববর্তী অভিযোগগুলো খতিয়ে দেখে ৯ ডিসেম্বর দিল্লি পুলিশের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন। এরপর ১০ ডিসেম্বর তদন্ত কর্মকর্তার সঙ্গে গ্যালারিতে গেলে দেখতে পান চিত্রকর্ম দুটি সরিয়ে ফেলা হয়েছে। গ্যালারি কর্মকর্তারা তখন দাবি করেন, তারা কখনোই চিত্রকর্মগুলো প্রদর্শন করেননি।

অমিতা সচদেবা আদালতে সিসিটিভি ফুটেজ সংরক্ষণের আবেদন করেন। পুলিশ তদন্ত শেষে জানায়, প্রদর্শনীটি ব্যক্তিগত স্থানে আয়োজন করা হয়েছিল এবং এটি শুধু শিল্পীর মৌলিক কাজ প্রদর্শনের উদ্দেশ্যে ছিল।

মকবুল ফিদা হুসেনকে ‘ভারতের পিকাসো’ বলা হতো। তাঁর চিত্রকর্ম বহুবার বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। ২০০৬ সালে ‘মাদার ইন্ডিয়া’ চিত্রকর্মের জন্য তাঁকে অশ্লীলতার অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়। ওই চিত্রকর্মে এক নগ্ন নারীকে ভারতের মানচিত্রের রূপে উপস্থাপন করা হয়েছিল। বিতর্কের মুখে হুসেন দেশ ছেড়ে লন্ডনে নির্বাসিত জীবনযাপন করেন এবং ২০১১ সালে মৃত্যুবরণ করেন।

২০০৮ সালে ভারতের সুপ্রিম কোর্ট হুসেনের বিরুদ্ধে অপরাধমূলক মামলা গ্রহণে অস্বীকৃতি জানান। আদালত বলেন, হুসেনের চিত্রকর্ম ভারতীয় প্রতীক ও ইতিহাসে প্রচলিত নগ্নতার ধারণার সঙ্গে সংগতিপূর্ণ। বহু শিল্পী ও সমালোচক মনে করেন, ভারতে মতপ্রকাশের স্বাধীনতার ওপর ক্রমবর্ধমান চাপ সৃষ্টি হচ্ছে। অক্টোবরে বোম্বে হাইকোর্ট এফএন সাউজা ও আকবর পাদামসির শিল্পকর্ম ‘অশ্লীল’ বলে কাস্টমস বিভাগের জব্দের আদেশ প্রত্যাখ্যান করেন। আদালত রায় দেন, প্রতিটি নগ্ন চিত্রকর্ম অশ্লীল নয়।

Header Ad
Header Ad

মালয়েশিয়ায় ৭১ বাংলাদেশি গ্রেপ্তার  

ছবিঃ সংগৃহীত

মালয়েশিয়ায় অবৈধ অভিবাসী দমন অভিযানে ৭১ বাংলাদেশিসহ ১৭৬ জনকে গ্রেপ্তার করেছে ইমিগ্রেশন পুলিশ। বৈধ কাগজপত্র না থাকা এবং দেশে অতিরিক্ত সময় অবস্থানে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

বুধবার (২২ জানুয়ারি) স্থানীয় সময় সন্ধ্যা সোয়া ৭টায় রাজধানী কুয়ালালামপুরের বুকিত বিনতাং থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

কুয়ালালামপুরের অভিবাসন বিভাগ জানায়, বুধবার সন্ধ্যায় ‘হটস্পট’ হিসেবে পরিচিত বুকিত বিনতাংয়ের জালান আলোর আশপাশে অভিযান চালিয়ে ১৭৬ জন অভিবাসীকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের মধ্যে ৭১ জন বাংলাদেশি।

এক বিবৃতিতে কুয়ালালামপুরের অভিবাসন বিভাগের পরিচালক ওয়ান মোহাম্মদ সৌপি ওয়ান ইউসুফ জানান, কুয়ালালামপুর সিটি হলের (ডিবিকেএল) সহযোগিতায় শুরু হওয়া এই অভিযানে ৭১ জন বাংলাদেশি ছাড়াও মিয়ানমারের ৬০, ইন্দোনেশিয়ার ২৪, নেপালের ১৬, পাকিস্তানের ৩, মিশর ও সুদানের একজন করে নাগরিক রয়েছেন। গ্রেপ্তারকৃদের নথিপত্র ও পরবর্তী পদক্ষেপের জন্য কুয়ালালামপুর ইমিগ্রেশন সদর দপ্তরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।

Header Ad
Header Ad

রমজানের খেজুর ও ছোলা কিনতে হিমশিম খেতে পারে সাধারণ মানুষ  

ছবিঃ সংগৃহীত

দেড় মাস পড়েই মুসলিমদের সিয়াম সাধনার মাস মাহে রমজান। রোজাদারদের খাদ্যতালিকায় থাকে খেজুর ও ছোলা। উচ্চমূল্যে ভোজ্য দ্রব্যাদি কিনতে সাধারণ মানুষের যেন হিমশিম খাওয়ার মত অবস্থা হয়েছে। আয়ের বিপরীতে অনেক বেশি দামে সব ধরনের পণ্য কিনতে হচ্ছে।

প্রতি রমজানে সব পণ্যের দাম হয়ে যায় স্বাভাবিকের চেয়ে একটু বেশি। এই বছর মানুষের মধ্যে উৎকণ্ঠা আবারো যদি সব ভোজ্য পন্যের দাম বাড়ে তাহলে হয়তো কিনে খাওয়া কষ্টকর হয়ে যাবে।

এ নিয়ে একজন ভোক্তার সঙ্গে কথা বললে তিনি বলেন, 'খাবার-দাবার কিনে খাওয়া আমাদের জন্য না। ঐটা বড়লোকের জন্য।'

আরো একজন ভোক্তার সঙ্গে কথা বললে তিনি বলেন, 'দিনমজুরের জন্য আসলে বেঁচে থাকা না। আমি দিনে ইনকাম করি ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা। অথচ এক লিটার তেল কিনতে হয় ১৯০ টাকা দিয়ে।'

এইদিকে বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, রমজানকে কেন্দ্র করে সবচেয়ে বেশি চাহিদার পণ্য খেজুর, এর যোগান যেন বাজারে এখন সবচেয়ে কম। অথচ এই পণ্যের ভ্যাট ও ট্যাক্স কমিয়ে দিয়েছে সরকার। তবে ট্যাক্স কমানোর পরেও রমজানে খেজুরের দাম কমবে না বলে যেন তার আগাম বার্তা দিচ্ছে ব্যবসায়ীরা।

এ নিয়ে একজন ব্যবসায়ীর সঙ্গে কথা বললে তিনি জানান, 'মাত্র পাঁচ শতাংশ টেক্সট কমিয়ে দিলে সেটা আমার মনে হয় না ক্রেতাদের উপর কোন বড় প্রভাব ফেলবে। আমার কাছে মনে হয় এটা চোখে ধুলা দেওয়ার মতো একটা ব্যবস্থা।'

 

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

ফিদা হুসেনের চিত্রকর্ম জব্দের নির্দেশ  
মালয়েশিয়ায় ৭১ বাংলাদেশি গ্রেপ্তার  
রমজানের খেজুর ও ছোলা কিনতে হিমশিম খেতে পারে সাধারণ মানুষ  
চুরির টাকা ফেরাতে বিদেশি বন্ধুদের সহায়তা চেয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা  
পণ্যের দাম বাড়লে অধিকাংশ মানুষ ধরে নেয়, দেশটা ভালো নেই: হাসনাত  
ট্রাম্পের প্রশাসনের সঙ্গে বাংলাদেশ নিয়ে আলোচনা হয়েছে: জয়শঙ্কর  
এবার মালয়েশিয়ার নম্বর থেকে আসলো হুমকি বার্তা  
ইডেনে অভিষেক শর্মার তাণ্ডব: ৭৭ বল বাকি থাকতে ভারতের দাপুটে জয়
চুয়াডাঙ্গায় শুরু হলো দু'দিনব্যাপি তারুন্যের মেলা
এবার ৫০ হাজার টাকায় বিক্রি হলো দুই হালি ডালিম ও এক হালি মাল্টা  
১০ লাখ মেট্রিক টন চাল-গম আমদানি করবে সরকার
চন্দ্রা-নবীনগর মহাসড়ক রণক্ষেত্র করলো বেক্সিমকোর শ্রমিকরা  
পরিচয় মিলেছে ঢাবি ক্যাম্পাসে গাছে ঝুলন্ত ব্যক্তির  
ছাত্রশিবির ও ছাত্রলীগকে জড়িয়ে প্রচার নিয়ে যা জানা গেল
ময়মনসিংহে ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক হৃদয় ও মাসুদ গ্রেপ্তার
শেখ হাসিনার ‘নিশি রাতের ভোট’ নিয়ে তদন্তে নামলো দুদক  
বইমেলা ঘিরে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে : ডিএমপি কমিশনার
ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশে আতঙ্কে বাংলাদেশিরা, নিউইয়র্কে গ্রেপ্তার ৪
ক্যালিফোর্নিয়ায় আবারও ভয়াবহ দাবানল    
চিটাগংকে উড়িয়ে তৃতীয় জয় তুলে নিলো ঢাকা ক্যাপিটালস