ইলিশ ধরায় নিষেধাজ্ঞা শেষ আজ
ফাইল ছবি
ইলিশের প্রজনন মৌসুম উপলক্ষে সাগরে মাছ ধরার ওপর ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়। যা শেষ হচ্ছে আজ বৃহস্পতিবার। এ দিন মধ্যরাত থেকে আবারও শুরু হচ্ছে মাছ ধরা। এদিকে নিষেধাজ্ঞা শেষ হওয়ার পরপরই যাতে মাছ ধরা শুরু করা যায়- এ লক্ষ্যে কক্সবাজারের অর্ধ লক্ষাধিক জেলে প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছেন। এমনটি জানিয়েছেন জেলা বোট মালিক সমিতির নেতৃবৃন্দ।
ভোলা সদরের ইলিশা নদী থেকে মনপুরার চর পিয়াল পর্যন্ত ৯০ কিলোমিটার এবং ভোলার ভেদুরিয়া থেকে চর রুস্তম পর্যন্ত ১০০ কিলোমিটারসহ মেঘনা ও তেঁতুলিয়ার ১৯০ কিলোমিটার ইলিশ অভয়াশ্রম এলাকায় মা ইলিশ ধরার ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয় সরকার। এই নিষেধাজ্ঞা শেষ হচ্ছে আজ বৃহস্পতিবার রাত ১২টায়। ভোলায় প্রায় ১ লাখ ৫৭ হাজার জেলে মেঘনা ও তেঁতুলিয়ায় মাছ আহরণ করতে নামবেন।
তবে মা ইলিশ রক্ষায় সরকার যে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে তা বাস্তবায়ন করার জন্য প্রশাসনের সর্বোচ্চ কঠোর নজরদারি ও প্রচেষ্টা অব্যাহত ছিল বলে জানায় জেলা মৎস্য অফিস ।
ইলিশা নৌ থানার ওসি মো. আখতার হোসেন বলেন, আমাদের লোকবল কম থাকায় ১৯০ কিলোমিটারের বিশাল এলাকা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয় না। তবে মা ইলিশ প্রজনন সময়ে অভিযানের শুরু থেকে আমরা দিন ও রাতে অভিযান পরিচালনা করেছি। তবে অনেকাংশে সফলতা লাভ করেছি। আমাদের লোকবল বাড়ানো হলে ভবিষ্যতে আরও সফলতা লাভ করব।
দৌলতখান ও ভোলা সদর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মাহাফুজুল হাসনাইন বলেন, আমরা এ বছরে মেঘনাতে সব ধরনের জাল মুক্ত রাখতে দিনে রাতে অভিযান পরিচালনা করেছি। আশা করছি এ বছর মাছের উৎপাদন বেশি হবে।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ গণমাধ্যমকে জানান, জাতীয় সম্পদ ইলিশ। মা ইলিশ রক্ষা করাই আমাদের সফলতা। নিষেধাজ্ঞা সময়ে নির্বিঘ্নে বাধাহীনভাবে মা ইলিশ ডিম ছাড়তে পারে এ ব্যাপারে আমরা সর্বাত্মক চেষ্টা করেছি। জেলেদের সচেতন করতে বিভিন্ন এলাকায় লিফলেট বিতরণসহ সভা, সমাবেশ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাত ১২টার পর থেকে জেলারা নদীতে নির্বিঘ্নে মাছ শিকার করতে পারবে। লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে এবারে প্রজনন উৎপাদন বেশি হবে বলে আশা করি।