আবুধাবিতে অগ্নিকাণ্ডে ৩ বাংলাদেশির মৃত্যু
সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাজধানী আবুধাবিতে গভীর রাতে একটি ফার্নিচার দোকানে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে বাংলাদেশি তিন যুবক আগুনে পুড়ে মারা গেছেন।
স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (৩০ মে) ভোরে দেশটির সারজা এলাকায় বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতদের সবার বাড়ি নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলায়। তাদের মৃত্যুর সংবাদে পরিবারে বইছে শোকের মাতম।
নিহতরা হচ্ছেন— ফার্নিচার দোকান ব্যবসায়ী মো. ইউছুফ (৪৩)। তিনি উপজেলার পলতি গ্রামের মৃত আব্দুল কাদের-মহব্বতের নেছা দম্পতির ছেলে। দোকান কর্মচারী মো. রাসেল (৩২), তিনি মতৈন গ্রামের মৃত আব্দুল ওয়াহাব-শরীফা বেগম দম্পতির ছেলে এবং অপরজন হচ্ছেন পলতি গ্রামের মীর আহাম্মদ-পেয়ারা বেগম দম্পতির ছেলে।
সেনবাগ থানার ওসি ইকবাল হোসেন পাটোয়ারি ও নিহত ফার্নিচার দোকান ব্যবসায়ীর বড়ভাই ডাক্তার মো. রসুল মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে এ সব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
রসুল বলেন, তার ছোট ভাই দীর্ঘ ২৫ বছর ধরে আবুধাবিতে প্রবাস জীবন যাপন করে আসছিলেন।গত দুই বছর আগে তিনি আত্মীয় স্বজন ও বন্ধুদের কাছ থেকে ঋণ নিয়ে সারজা এলাকায় একটি ফার্নিচার (সোফা তৈরি-বিক্রির ব্যবসা) শুরু করেন। গত পাঁচ বছর আগে তিনি সর্বশেষ বাড়ি এসেছিলেন। তার সংসারে স্ত্রী নুরনাহার বেগম, মাদ্রাসা শিক্ষার্থী বড় ছেলে মাইনুল ইসলাম মিলন (২০) ও ৫ম শ্রেণির ছাত্র মেহেদী হাসান সিফাত রয়েছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, প্রতিদিনের ন্যায় স্থানীয় সময় সোমবার রাতে দোকান বন্ধ করে ভেতরে ইউছুফ, দোকান কর্মচারী রাসেল ও বেড়াতে আসা মো. তারেক হোসেন ঘুমিয়ে পড়েন। এরপর মঙ্গলবার ভোরে বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে দোকানে আগুনের সূত্রপাত হলে দোকানের ভেতরে ঘুমের মধ্যেই তিনজন অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা যান।
মঙ্গলবার সকালে আবুধাবিতে বসবাসরত ইউছুফের স্বজন আবুল বাশার ও আনোয়ার হোসেন মোবাইল ফোনে কল করে তাদের মৃত্যুর খবর দেন। মৃত্যুর সংবাদ শুনে তিন পরিবারে কান্নার রোল পড়ে যায়। পরিবারগুলোর দাবি নিহতদের মরদেহ যেন দেশের বাড়িতে আনার ব্যবস্থা করে শেষ বারের মত তাদের দেখার সুযোগ দেওয়া হয়।
ওসি মো. ইকবাল হোসেন পাটোয়ারি ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, মৃত প্রবাসীদের ব্যাপারে বিস্তারিত খোঁজ খবর নিচ্ছে পুলিশ।
নোয়াখালী জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহাবুর রহমান বলেন, তিনি এ ঘটনা শুনেননি তবে খোঁজ খবর নিয়ে জানাবেন।
আরএ/