কুমিল্লায় পৃথক হত্যা মামলায় ২ জনের মৃত্যুদণ্ড
কুমিল্লায় পৃথক দুটি হত্যা মামলায় ২ আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এ ছাড়া তাদেরকে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৫ মে) দুপুরে কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ৩য় আদালতের বিচারক রোজিনা খান এ রায় দেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলার জরুন্ডা গ্রামের মোল্লাবাড়ির রমিজ উদ্দিনের ছেলে মোহাম্মদ রবিউল এবং দেবিদ্বার উপজেলার নবিয়াবাদ গ্রামের আব্দুল গফুরের ছেলে আব্দুল জলিল। এর মধ্যে আব্দুল জলিল পলাতক রয়েছেন।
পৃথক দুটি হত্যা মামলায় দুই আসামির মৃত্যুদণ্ডের বিষয়টি নিশ্চিত করেন দুটি মামলায় রাষ্টপক্ষের আইনজীবী নুরুল ইসলাম।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১৫ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি চান্দিনা উপজেলার জরুন্ডা গ্রামে ১১ বছর বয়সী মাসুদকে মাহফিল থেকে ডেকে নিয়ে পার্শ্ববর্তী আলু ক্ষেতে বলৎকার করে রবিউল। মাসুদ এই বিষয়ে বাসায় জানিয়ে দেবে বললে মাসুদের লুঙ্গি ছিঁড়ে গলায় পেঁচিয়ে রবিউল তাকে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করে। এ ঘটনায় মাসুদের বাবা মিজানুর রহমান বাদী হয়ে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরবর্তীতে পুলিশ আসামিকে গ্রেপ্তারের পর আদালতে ১৭ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ ও শুনানি শেষে রবিউলের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়।
অপরদিকে ২০০৬ সালের ২৪ ডিসেম্বর রাতে চান্দিনার সুহিলপুর ইউনিয়নের নূরপুর এলাকার মুজিবুর রহমানের বাড়িতে কয়েকজন ডাকাত ঢুকে। মুজিব ডাকাতদের দেখে চিৎকার করলে পরিবারের সদস্যরা ধাওয়া করেন। একপর্যায়ে মুজিব ডাকাত দলের সদস্য জলিলকে ধাওয়া করে বাড়ির পাশের খালে পেছন থেকে ঝাপটে ধরে। এসময় জলিল মুজিবকে ছুরিকাঘাত করে। খালের পানি থেকে উঠিয়ে বাড়ি আনার পর তিনি মারা যান।
এ ঘটনায় নিহত মুজিবুর রহমানের ভাগিনা নুরপুর গ্রামের ফজলু মিয়ার ছেলে ইউপি সদস্য আমিনুল ইসলাম বাদী হয়ে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। পরবর্তীতে পুলিশ ২০০৯ সালের ৫ অক্টোবর তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে। এরপর আদালতে ২৭ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৬ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ, যুক্তিতর্ক এবং শুনানি শেষে জলিলের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ প্রদান করা হয়। তবে দণ্ডপ্রাপ্ত জলিল পলাতক থাকায় ঘোষণার সময় তিনি আদালতে উপস্থিত ছিলেন না। এই মামলার অপর আসামি চান্দিনার বাতাঘাসী গ্রামের মফিজুল ইসলামের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাকে বেকসুর খালাস দেন আদালত।
এসজি