বুধবার, ৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ | ২২ মাঘ ১৪৩১
Dhaka Prokash

বেড়েছে বিবাহ বিচ্ছেদ, উদ্বেগ সচেতন মহল

জয়পুরহাটে জেলায় বিগত ২০২২ সালে এক বছরে (জানুয়ারি-ডিসেম্বর) যে সংখ্যক বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে, বিচ্ছেদের (তালাক) ঘটনা ঘটেছে তার অর্ধেকের চেয়েও বেশি। এ নিয়ে জেলায় সচেতন মহল উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। মোটাদাগে বিয়ে বিচ্ছেদের কারণ হিসেবে যৌতুক, পরকীয়া এবং স্বামীর মাদকাসক্তিকে দায়ী করেছেন সংশ্লিষ্টরা। এছাড়াও অনুসন্ধানে বিয়ে বিচ্ছেদের কারণ হিসেবে বাল্য বিয়ে, দীর্ঘদিন স্বামীর প্রবাসে থাকা, শ্বশুর, শাশুড়ির নির্যাতন ইত্যাদি কারণের কথাও জানা গেছে।

জয়পুরহাট জেলা রেজিস্টারের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, এ জেলায় গত এক বছরে বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে ৫ হাজার ২৬০ টি। আর বিয়ের পরে বিচ্ছেদের ঘটনা ঘটেছে ৩ হাজার ৭৩৬টি। এর মধ্যে স্বামী কর্তৃক তালাক হয়েছে ৭৭৩টি, স্বামী-স্ত্রী উভয় পক্ষের সম্মতিক্রমে তালাকের ঘটনা ঘটেছে ১ হাজার ৪৯২টি আর স্ত্রী কর্তৃক তালাকের ঘটনা ঘটেছে ১ হাজার ৪৭১টি।

জয়পুরহাট জেলা রেজিস্টার সহকারী আব্দুল খালেক বলেন, 'গত ২০২২ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত এক বছরে বিয়ে বিচ্ছেদের হার দাঁড়িয়েছে ৭১ শতাংশে। অথচ ২০১৯-২০ এবং ২১ সাল পর্যন্ত এই বিয়ে বিচ্ছেদের হার ৪৫ থেকে ৫১ শতাংশের মধ্যেই ছিল। তাই গত এক বছরের বিয়ে বিচ্ছেদের হার সত্যিই উদ্বেগ জনক।'

জেলার কালাই উপজেলার আহাম্মেদাবাদ ইউনিয়নের কাজী মুনছুর রহমান জানান, তাঁর ইউনিয়নে ২০২১ সালে মোট বিয়ে হয়েছে ১৪২টি। এরমধ্যে স্বামী কর্তৃক তালাক হয়েছে ১৪টি, স্বামী-স্ত্রী উভয় পক্ষের সম্মতিক্রমে তালাকের ঘটনা ঘটেছে ২১টি আর স্ত্রী কর্তৃক তালাকের ঘটনা ঘটেছে ২৩টি; আর ২০২২ সালে মোট বিয়ে হয়েছে ১২২টি।

এরমধ্যে স্বামী কর্তৃক তালাক হয়েছে ৫টি, স্বামী-স্ত্রী উভয় পক্ষের সম্মতিক্রমে তালাকের ঘটনা ঘটেছে ২৪টি আর স্ত্রী কর্তৃক তালাকের ঘটনা ঘটেছে ২৬টি। বিয়ের রেজিস্ট্রি এবং তালাক উভয় ক্ষেত্রে কাজীর প্রয়োজন হয়। জয়পুরহাট জেলার ৫টি পৌরসভা এবং ৩২টি ইউনিয়নে মোট কাজী আছেন ৩৭ জন। এই কাজীদের মধ্যে ৭ জনের সাথে কথা হয়েছে এই প্রতিবেদকের।

জয়পুরহাট সদর উপজেলার দোগাছি ইউনিয়নের (বিবাহ রেজিস্টার) কাজী আব্দুল ওয়াদুদ এবং জামালপুর ইউনিয়নের কাজী আব্দুল হান্নান জানান, যোতুক, বাল্য বিয়ে, স্বামীর দীর্ঘদিন বিদেশে থাকা ও স্ত্রীর খোঁজ খবর না রাখা, স্বামীর মাদকাসক্তি, মোবাইল ঘটিত পরকীয়া প্রেম, স্বামীর অর্থনৈতিক স্বচ্ছলতা, স্ত্রীর উচ্চ আকাঙ্ক্ষা, শাশুড়ি কর্তৃক নির্যাতন ইত্যাদি কারণে এ জেলায় বিয়ে বিচ্ছেদের ঘটনা ঘটছে। তাঁরা আরও জানান, আগে স্বামী কর্তৃক তালাক দেওয়ার সংখ্যা বেশি ছিল। কিন্তু বর্তমানে স্ত্রী কর্তৃক তালাক দেওয়ার প্রবণতা বেড়েছে। বাকী পাঁচজন কাজীদের মন্তব্যও অনুরূপ।

জেলার 'সরকারি ছাঈদ আলতাফুন্নেছা কলেজে'র সমাজবিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক তানজির আহমেদ সাকিব বলেন, 'আগের চেয়ে বর্তমান সময়ে বিয়ে বিচ্ছেদের প্রবণতা কিছুটা বেড়েছে। মোটা দাগে এর কারণ হিসেবে অসময়ের বিয়ে বা বাল্য বিয়েকে চিহ্নিত করা যায়। যার বেশিরভাগ সংঘটিত হয়েছে মহামারী করনাকালে। এরই নেতিবাচক প্রভাবে স্কুল কলেজের ছাত্র ছাত্রীদের লেখাপড়া ব্যাহত হওয়ায়, পিতামাতারা আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত নিয়ে দিয়েছেন অসময়ের বিয়ে।

যার ফলশ্রুতিতে সুন্দর আগামী নষ্ট হয়েছে অনেকের। তাছাড়া ডিজিটাল বাংলাদেশে স্মার্টফোনের ব্যবহার বেশি হওয়ায়, ছেলেমেয়েরা টিনেজ বয়সে পড়াশোনার পরিবর্তে প্রেমে আসক্ত হয়ে বিয়ের পিঁড়িতে বসেছেন আবেগ তাড়িত হয়ে। এসব দিয়ে বেশিদিন টেকসই হয়নি, ঘটেছে বিচ্ছেদের ঘটনা। এছাড়াও স্বামী স্ত্রীর মধ্যে নানা কারণে বনি-বনা না হওয়া, পরকীয়া, যৌতুক ইত্যাদি কারণেও সমাজে দিন দিন বিয়ে বিচ্ছেদের প্রবণতা বাড়ছে।'

জেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক সাবিনা সুলতানা বলেন, 'বাল্য বিয়ে, মোবাইল বা ইন্টারনেটের মাধ্যমে পরকীয়া প্রেম, যৌতুক, স্ত্রীর স্বামীর উপার্জনে সন্তুষ্ট না থাকা,স্বামীর মাদকাসক্ততা এবং স্ত্রীর প্রতি উদাসীন থাকা ইত্যাদি কারণে ইদানিং বিয়ে বিচ্ছেদের ঘটনা সমাজে লক্ষ্য করা যাচ্ছে। বিয়ে বিচ্ছেদের প্রবণতা কমানোর জন্য প্রথমেই সকলকে সচেতন হতে হবে, বাল্য বিয়ে প্রতিরোধ করতে হবে। সেই সাথে ধর্মীয় জ্ঞানের চর্চা করে ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে হবে।'

জয়পুরহাটে জেলা রেজিস্টার (ডিআরও) শরীফ তোরাফ হোসেন জানান, জয়পুরহাট জেলায় যৌতুক প্রবণতা তুলনামূলক বেশি। লোভী মানুষেরা যৌতুকের কারণে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হোন। চুক্তিলব্ধ যৌতুক পাওয়ার পর, অনেকের লোভ আরও বেড়ে যায়। তাঁরা আরও বেশি যৌতুকের জন্য স্ত্রী ও তাঁর বাবা-মার প্রতি চাপ সৃষ্টি করেন। তাঁর মতে, অন্যান্য আরও কিছু কারণসহ মূলত যৌতুকের কারণেই এ জেলায় বিয়ে বিচ্ছেদের প্রবণতা বেড়েছে।
এএজেড

Header Ad
Header Ad

ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে ছাত্র-জনতার ঢল, বুলডোজার ছাড়াই গুঁড়িয়ে দেওয়ার ঘোষণা

ছবি: সংগৃহীত

ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে ছাত্র-জনতার ঢল নেমেছে। আজ বুধবার, ৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ তারিখে, সন্ধ্যা ৮টার দিকে রাজধানীর ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতি জাদুঘরের সামনে বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা জড়ো হয়। তারা স্লোগান দিতে দিতে জাদুঘরের গেট ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে এবং ভাঙচুর শুরু করে। বিক্ষোভকারীরা বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালসহ জাদুঘরের বিভিন্ন স্থাপনা ক্ষতিগ্রস্ত করে।

নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাষণ দেওয়ার ঘোষণার প্রতিবাদে এই বিক্ষোভের আয়োজন করা হয়। বিক্ষোভকারীরা শেখ হাসিনার ভার্চুয়াল ভাষণের বিরোধিতা করে এবং তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্লোগান দেয়।

বিক্ষোভের আগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে 'লং মার্চ টু ধানমন্ডি-৩২' নামে একটি কর্মসূচির ঘোষণা দেওয়া হয়, যেখানে বিক্ষোভকারীরা ধানমন্ডি ৩২ নম্বর বাড়ি বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়ার আহ্বান জানায়। তবে, বুলডোজার ছাড়াই তারা নিজ হাতে ভাঙচুর চালায়।

এ ঘটনায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত থাকলেও বিক্ষোভকারীদের থামাতে ব্যর্থ হয়। বিক্ষোভ ও ভাঙচুরের পর এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।

উল্লেখ্য, ধানমন্ডি ৩২ নম্বর বাড়িটি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতি জাদুঘর হিসেবে পরিচিত, যেখানে তিনি ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট নিহত হওয়ার আগে বসবাস করতেন।

Header Ad
Header Ad

আমরা কী করলাম, সেটি ভবিষ্যৎ প্রজন্ম বিচার করবে : প্রধান উপদেষ্টা

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ছবি: সংগৃহীত

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, আমরা কী করলাম বা করলাম না- ভবিষ্যৎ প্রজন্ম সেটি দিয়ে আমাদের বিচার করবে।

বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে নিজ কার্যালয়ে জনপ্রশাসন ও বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন গ্রহণ অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।

ড. ইউনূস বলেন, দেশের রাজনৈতিক দল ও অংশীজনদের ঐকমত্যে পৌঁছানোর জন্য এসব প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে এবং এর ভিত্তিতেই সংস্কার কার্যক্রম বাস্তবায়িত হবে। তিনি আরও বলেন, "এটি জাতির জন্য এক গুরুত্বপূর্ণ সংবাদ। আমি জাতির পক্ষ থেকে কমিশনের দুই চেয়ারম্যানসহ সকল সদস্যকে আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।"

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, "এই দুটি প্রতিবেদন দেশের প্রতিটি মানুষের জীবনে প্রভাব ফেলবে। আপনি দরিদ্র, মধ্যবিত্ত বা ধনী যেই হোন না কেন, এই সংস্কারের প্রভাব থেকে কেউই বাদ যাবেন না।"

তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, "কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়িত হলে নাগরিকরা তাদের প্রকৃত অধিকার ফিরে পাবেন। আমরা যেন সত্যিকারের নাগরিক হিসেবে মর্যাদা পাই, সেটিই আমাদের প্রত্যাশা।"

সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন জনগণ, রাজনৈতিক দল ও সিভিল সোসাইটি অর্গানাইজেশনের হাতে তুলে দেওয়া হবে বলে জানান ড. ইউনূস। তিনি বলেন, "যাতে সবাই মনে করতে পারে, এখানে প্রকৃত সত্য বলা হয়েছে, ভুক্তভোগীদের বাস্তব চিত্র উঠে এসেছে। আমাদের তো পণ্ডিত হতে হবে না এটি বোঝার জন্য, কারণ প্রতিদিনই আমরা নানা অবিচারের শিকার হই।"

প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, "সংস্কার কমিশনের কাজ শুধু বাংলাদেশের জন্য নয়, এটি বিশ্বব্যাপী গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে। বিশ্বের দরবারে এটি তুলে ধরতে হলে এর ইংরেজি অনুবাদ করা প্রয়োজন।"

কমিশনের সদস্যদের প্রশংসা করে তিনি বলেন, "আপনাদের প্রজ্ঞা, অভিজ্ঞতা ও গবেষণার সংমিশ্রণে এই প্রতিবেদন তৈরি হয়েছে, যা বাংলাদেশের ইতিহাসে এক স্মরণীয় দলিল হয়ে থাকবে।"

তিনি আরও বলেন, "আমরা কী করলাম বা করলাম না, ভবিষ্যৎ প্রজন্ম আমাদের সেই কাজের জন্যই বিচার করবে। তারা প্রশ্ন করতে পারে, আপনারা তো পেয়েছিলেন, তাহলে বাস্তবায়ন করেননি কেন? কারণ, সবকিছু তো বইয়ের পাতায় লেখা আছে। এই কাজ জাতির জন্য এক মূল্যবান স্মারক হয়ে থাকবে।"

Header Ad
Header Ad

হাসিনার বিচারের স্বার্থে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে: তারেক রহমান

সমাবেশে লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপির) ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, স্বৈরাচার শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার আগে দেশের সবকিছু ধ্বংস করে দিয়ে গেছে। বিএনপি নেতাকর্মীসহ অসংখ্য মানুষকে গুম ও খুন করে স্বৈরাচার ভারতে পালিয়ে গেছে। যে কোন মূল্যে পালিয়ে যাওয়া স্বৈরাচারের বিচার করতে হবে। এই প্রশ্ন গণতান্ত্রিক সব রাজনৈতিক দলকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।

বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে 'আমরা বিএনপি পরিবারের উদ্যোগে ফেনী, নোয়াখালী ও লক্ষ্মীপুর জেলায় জুলাই আগস্ট বিপ্লবে নিহত ৪৫ শহীদ পরিবারকে আর্থিক অনুদান এবং ‌র‌্যাবের গুলিতে নিহত যুবদল নেতা মোহাম্মদ মাসুদের পরিবারকে ঘর উপহার উপলক্ষ্যে সোনাগাজী সরকারি ছাবের পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত সমাবেশে লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

তারেক রহমান আরও বলেন, বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সংস্কারের কথা বলে যে সময়ক্ষেপণ করছে এবং সংস্কার কাজ দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর করছে, তা কোনো ষড়যন্ত্রের অংশ কি-না সে ব্যাপরে সবাই সজাগ থাকতে হবে।

এ সময় তিনি বলেন, পতিত স্বৈরাচার বিগত ১৭ বছর মানুষের অধিকার কেড়ে নিয়েছিল । সে অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য বিএনপির নেতাকর্মীরা রাজপথে লড়াই করে বুকের তাজা রক্ত বিলিয়ে দিয়েছেন। মহান মুক্তিযুদ্ধ, বিগত ১৭ বছরের লড়াই এবং ২৪এর জুলাই আগস্টের বিপ্লবের চেতনায় আগামীর বাংলাদেশ বিনির্মানে সবাইকে সংগ্রাম অব্যাহত রাখতে হবে। এখন দেশে যে সংস্কারের আলোচনা চলছে সেই সংস্কার প্রস্তাব বিগত আড়াই বছর পূ্র্বে আমরাই দিয়েছিলাম। স্বৈরাচার আমাদের সংস্কার প্রস্তাব আমলে নেয়নি। আর সেই বিশ্বাস থেকেই আমরা জাতির সামনে ৩১ দফা উপস্থাপন করেছি। কারণ বিএনপি দেশ ও জনগণ নিয়ে ভাবে। দেশের কল্যাণে কাজ করতে চায়।

দ্রুত জাতীয় নির্বাচনের তাগিদ দিয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকার দেশ পরিচালনার দায়িত্ব পেলে দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা হবে এবং শহীদদের স্বপ্নের দেশ বিনির্মাণ হবে।

বিএনপি দেশ ও জনগণের কল্যাণে কাজ করতে প্রস্তুত উল্লেখ করে তারেক রহমান বলেন, বিএনপি সব সময়ই দেশ ও জনগণের কল্যাণ নিয়ে ভাবে। এর বড় কারণ হলো- দেশের জনগণ বিএনপির উপর আস্থা রাখতে চায়। কীভাবে রাজনৈতিক দল হিসেবে বিএনপি আরও জনপ্রিয় হয়ে উঠবে এবং দেশ ও জনগণের কল্যাণে কাজে আসবে নেতাকর্মীদের সে বিষয়ে সজাগ থাকতে হবে।

আমরা বিএনপি পরিবার কেন্দ্রীয় কমিটির আহবায়ক আতিকুর রহমান রুমনের সভাপতিত্বে ও ফেনী পৌর বিএনপি'র সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট মেজবাহ উদ্দিন ভূঁইয়া ও আমরা বিএনপি পরিবার কেন্দ্রীয় কমটির সদস্য সচিব মোকছেদুল মোমিন মিথুনের যৌথ পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, আব্দুল আউয়াল মিন্টু, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভেকেট রুহুল কবির রেজভী, বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা জয়নাল আবেদীন ফারুক,জয়নাল আবেদীন ভিপি জয়নাল, যুগ্ম-মহাসচিব শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি, কোষাধ্যক্ষ এম রশিদুজ্জামান মিল্লাত, চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক হারুনুর রশিদ হারুন, সহ প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক রেহানা আক্তার রানু, নির্বাহী কমিটির সদস্য বেলাল আহমেদ, অ্যাডভোকেট শাহানা আক্তার শানু, আবদুল লতিফ জনি, জালাল আহমদ মজুমদার, মামুনুর রশিদ মামুন, মশিউর রহমান বিপ্লব, ফেনী জজ কোর্টের পিপি অ্যাডভোকেট মেজবাহ উদ্দিন খান, জেলা বিএনপির আহবায়ক শেখ ফরিদ বাহার, যুগ্ম আহবায়ক গাজী হাবিব উল্লাহ মানিক, সদস্য সচিব আলাল উদ্দিন আলাল, সোনাগাজী উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক জামাল উদ্দিন সেন্টু, সদস্য সচিব সৈয়দ আলম ভূঞা, শহীদ ছাত্রদল নেতা কাওছার উদ্দিনের পিতা ফিরোজ আলম, শহীদ মেহাম্মদ মাসুদের কন্যা মুনতাহা বিনতে মাসুদ ও শহীদ জাফর আহমদের কন্যা জাহানারা বেগম প্রমুখ।

এসময় ২০১৬ সালের ২৫ জুন র‌্যাবের গুলিতে নিহত মোহাম্মদ মাসুদের পরিবারকে ঘর এবং ফেনী, নোয়াখালী ও লক্ষ্মীপুরে চব্বিশের ছাত্র-জনতার গণআন্দোলন চলাকালে নিহত ৪৫ শহীদ পরিবারসহ আহতদের প্রায় ২৫ লাখ টাকার মাঝে আর্থিক অনুদান প্রদান করা হয়।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে ছাত্র-জনতার ঢল, বুলডোজার ছাড়াই গুঁড়িয়ে দেওয়ার ঘোষণা
আমরা কী করলাম, সেটি ভবিষ্যৎ প্রজন্ম বিচার করবে : প্রধান উপদেষ্টা
হাসিনার বিচারের স্বার্থে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে: তারেক রহমান
মুক্তিপনের প্রতিবাদ করায় ছাত্রদল নেতাকে কুড়াল দিয়ে কোপালেন আ'লীগের কর্মিরা
খুব দ্রুতই জবি ছাত্রদলের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠিত হবে: ছাত্রদল সভাপতি
বগুড়ায় ৫০ টাকা অফারে টি-শার্ট কিনতে গিয়ে হুলস্থুল কান্ড, নিয়ন্ত্রণে সেনাবাহিনী
নওগাঁ সীমান্তে বাংলাদেশি যুবককে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ
মোহাম্মদপুরে বিড়াল হত্যার অভিযোগে আদালতে মামলা, তদন্তের নির্দেশ
চুয়াডাঙ্গায় সার কাণ্ডে বিএনপি ও যুবদলের ৫ নেতা বহিষ্কার
আজ বন্ধুর সাথে গোসল করার দিন
২ আলাদা বিভাগসহ দেশকে ৪ প্রদেশে ভাগ করার সুপারিশ
শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টা মামলায় হাইকোর্টের রায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ৯ আসামিসহ সবাই খালাস
হাসিনার লাইভ প্রচারের আগেই নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের ফেসবুক পেজ উধাও
হাইকোর্ট প্রাঙ্গণে সাংবাদিকদের ওপর বিএনপি নেতাকর্মীদের হামলা
বিচারবিভাগ ও জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন হস্তান্তর
গাজীপুরে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সবজিবাহী পিকআপ খাদে, চালকসহ নিহত ৩
নতুন রাজনৈতিক দল গঠনে জনগনের মতামত চাইলো হাসনাত  
এই ফটো তোলোস কেন? আদালত চত্বরে শাহজাহান ওমর  
মনে হচ্ছে বিবিসি বাংলা গণহত্যাকারী শেখ হাসিনার ভক্ত : প্রেস সচিব  
পটুয়াখালীতে বাংলাভিশনের সাংবাদিককে কুপিয়ে জখম