রবিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ | ১০ ফাল্গুন ১৪৩১
Dhaka Prokash

মানবেতর জীবনযাপন করছেন মুক্তিযোদ্ধা আঃ অদুদ

দির্ঘ ৯ মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধকরে রক্তের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতার লক্ষ্য আজও পূরণ হয়নি বলে দাবি করেন মুক্তি যোদ্ধা আঃ অদুদ এর পুত্র ওহাব। সাম্য মানবিক মর্যাদা ও ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য স্বাধীনতার ৫২ বছর পরেও লড়াই করছেন মুক্তিযোদ্ধারা। কেউ বেঁচে থাকার লড়াই করেন,কেউবা চিকিৎসার জন্য লড়াই করেন, আবার কেউ একমুঠো ভাত খাওয়ার জন্য লড়াই করেন। ভোলায় একমুঠো ভাত খেয়ে বেঁচে থাকার লড়াইয়ের একজন মুক্তি যোদ্ধাই আঃ অদুদ।

হ্যাঁ দেশকে তথা ভোলাকে পাকসেনাদের কবল থেকে মুক্তির নেশায় ছয় মাসের শিশুকে ঘরে রেখে মুক্তি যুদ্ধে অংশগ্রহণ করা ভোলা সদর উপজেলার চরনোয়াবাদ এলাকার মুক্তি যোদ্ধা আঃ অদুদ। অদুদ ১৯৭১ সালে ভোলা কে হানাদার বাহিনীর হাত থেকে মুক্ত করতে একজন সম্মুখ যোদ্ধা ছিলেন।

বিজয়ের ৫১ বছর পেরিয়েও অদৃশ্য কারনে আজও মুক্তি যোদ্ধার ভাতা বা সনদপত্র মিলেনি অদুদ মিয়ার ভাগ্যে। আঃ অদুদের খাবার জোটে তার একটি প্রতিবন্ধী ছেলের ভিক্ষের টাকায় । আব্দুল অদুদ তখন আলী আকবর (বড় ভাই) নামে খ্যাত এর নেতৃত্বে ভোলাকে সর্বশেষ হানাদার মুক্ত করতে সক্ষম হয়।

এক শ্রেণির মানুষ মুক্তিযুদ্ধকে পুঁজি করে সম্পদের পাহাড় গড়তে যখন ব্যস্ত তখনো মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেয়া আঃ অদুদ মুক্তিযোদ্ধা অজানা কারণে স্বীকৃতি বঞ্চিত রয়েছেন।স্বাধীনতার লাল-সবুজ পতাকা ছিনিয়ে আনতে নিজের জীবন বাজী রেখেছিলেন আঃ অদুদ। সেই মুক্তিযোদ্ধা অদুদের এখন দিন কাটছে দুরবস্থার মধ্যে। ভাগ্য বিড়ম্বিত মুক্তিযোদ্ধাদের একজন আঃ অদুদ।

একাত্তরে জীবন বাজি রেখে যুদ্ধ করেছিলেন আঃ অদুদ। দেশ স্বাধীন হওয়ার স্বপ্ন পূরণ হলেও ভাগ্যে জোটেনি মুক্তি যোদ্ধা স্বীকৃতি। ভোলায় মুক্তিযোদ্ধা অদুদের দিন কাটছে এখন খুব অভাব অনটনের মধ্য দিয়ে। দারিদ্রতার সঙ্গে প্রতিনিয়ত যুদ্ধ করে ও প্রতিবন্ধী ছেলে আবু কালামের ভিক্ষার টাকায়ই চলছেন তার ঔষধ কেনা।

ভোলার তজুমদ্দিন গহুরচৌখা নামক স্থানে সর্বশেষ পাকসেনা ও রাজাকার আটকে অংশ নেন তিনি। সেদিন ১৩ জন পাকসেনাকে আটক করেন মুক্তি যোদ্ধা শাহেদ আলম,মুক্তি যোদ্ধা খিরন ও আঃ অদুদ। তাদের আটক করে বরিশাল মুক্তিযোদ্ধা ক্যাম্পে পৌছে দিয়েছিলেন তারা। সেই বীরযোদ্ধাদের একজন আঃ অদুদ।

অদুদের আজ দিন কাটাচ্ছেন খেয়ে না খেয়ে, দারিদ্রতার সঙ্গে যুদ্ধ করে। ঔষধ কেনার টাকা না থাকায় ছেলের ভিক্ষের টাকায় পরিবার নিয়ে কোন রকমে দিন পার করছেন তিনি। অথচ স্বীকৃতির সনদপত্রের জন্য সহযোদ্ধাসহ সংশ্লিষ্ট কমান্ডারের পিছনে ঘুরেছেন দীর্ঘদিন।

এই দেশকে স্বাধীন করতে যাদের এতো আত্মত্যাগ, এতো রক্তদান তাদের মুল্যায়ন নেই এ দেশের মাটিতে। তাহলে কি পেলেন অদুদের মত মুক্তি যোদ্ধারা? ভোলায় আঃ অদুদের সহযোদ্ধাদের অন্যতম মুক্তি যোদ্ধা এমএ তাহের বলেন অদুদ সহ আমরা দেশের লাল সবুজ পতাকা পেয়েছি এটা বড় গৌরবের হলেও আমার সহযোদ্ধা আঃ অদুদের মুক্তি যোদ্ধার স্বীকৃতিপত্র আজও পায়নি এটা বড় দুঃখের।

ভোলা সদর উপজেলা বীর মুক্তি যোদ্ধা ওয়াহিদুর রহমান বলেন আঃ অদুদ মানবেতর জীবনযাপন করছেন এটা আমি জানি । তবে আমরা আঃ অদুদকে সহ উপজেলার ৯৭ জন মুক্তি যোদ্ধাদের তালিকা তৈরি করে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করেছি, আশা করছি সিগ্রই গেজেট পাশ হবে।

এ বিষয়ে ভোলা সমাজসেবা অধিদপ্তরের উপপরিচালক মোঃ নজরুল ইসলাম বলেন আঃ অদুদ মিয়ার মুক্তিযোদ্ধা স্বীকৃতির বিষয়ে সমাজসেবা অধিদপ্তরের কিচু করার নেই। তবে তার মানবেতর জীবনযাপন করার বিষয়টি সমাজসেবা অধিদপ্তর অবশ্যই দ্রুততার সাথে দেখবে বলে জানান এই কর্মকর্তা।
এএজেড

Header Ad
Header Ad

এস আলম পরিবারের ৮,১৩৩ কোটি টাকার শেয়ার অবরুদ্ধের নির্দেশ

এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. সাইফুল আলম। ছবি: সংগৃহীত

এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. সাইফুল আলম ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে থাকা ৮ হাজার ১৩৩ কোটি ৫৬ লাখ ৭২ হাজার টাকা মূল্যের শেয়ার ফ্রিজ (অবরুদ্ধ) করার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

রোববার (২৩ ফেব্রুয়ারি) দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ জাকির হোসেন গালিব এ আদেশ দেন। দুদকের পক্ষে সংস্থাটির উপপরিচালক তাহাসিন মুনাবীল হক আদালতে শেয়ার অবরুদ্ধের আবেদন করেন, যা শুনানি শেষে মঞ্জুর করা হয়।

আবেদনে উল্লেখ করা হয়, এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. সাইফুল আলমের বিরুদ্ধে অর্থ পাচারের অভিযোগের অনুসন্ধান চলছে। অনুসন্ধানে দেখা গেছে, তিনি ও তার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বিভিন্ন ব্যাংক থেকে বিধিবহির্ভূতভাবে ঋণ নিয়ে তা আত্মসাৎ করেছেন এবং দেশ-বিদেশে বিপুল পরিমাণ সম্পদ গড়েছেন।

এছাড়া, বিভিন্ন সূত্র থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, তিনি ও তার পরিবারের সদস্যরা এসব অস্থাবর সম্পদ অন্যত্র হস্তান্তর বা বেহাত করার চেষ্টা করছেন। অনুসন্ধান শেষ হওয়ার আগে এসব সম্পদ স্থানান্তর হয়ে গেলে তা উদ্ধার করা কঠিন হয়ে পড়বে।

ফলে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা, সম্পত্তি বাজেয়াপ্তকরণ এবং সরকারের অনুকূলে রাখার স্বার্থে শেয়ারগুলোর পাশাপাশি সেগুলো থেকে উদ্ভূত মুনাফা, আয় ইত্যাদি জরুরি ভিত্তিতে ফ্রিজ (অবরুদ্ধ) করার প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে বলে দুদকের আবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

Header Ad
Header Ad

থাকবে না সরকারি ছুটি

২৫ ফেব্রুয়ারি ‘জাতীয় শহীদ সেনা দিবস’ পালনের ঘোষণা

পিলখানা হত্যাকাণ্ড। ছবি: সংগৃহীত

২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর পিলখানা হত্যাকাণ্ডে ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জন নিহত হন। দিনটি রাষ্ট্রীয়ভাবে পালনের জন্য ‘জাতীয় শহীদ সেনা দিবস’ ঘোষণা দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারির সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।

রবিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) মন্ত্রিপরিষদ সচিব ড. শেখ আব্দুর রশীদ গণমাধ্যমকে এসব তথ্য জানান।

সকালে মন্ত্রিপরিষদ সচিব ড. শেখ আব্দুর রশীদ গণমাধ্যমকে বলেছিলেন, ২৫ ফেব্রুয়ারিকে ‘জাতীয় শহীদ সেনা দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করে আজই প্রজ্ঞাপন জারি হবে। এ বছর থেকে দিবসটি পালন করা হবে। তবে এ দিনে থাকবে না সরকারি ছুটি।

মন্ত্রিপরিষদ সচিবের এমন বক্তব্যের কিছু সময় পরই ২৫ ফেব্রুয়ারিকে ‘জাতীয় শহীদ সেনা দিবস’ ঘোষণা করে পরিপত্র জারি করা হয়।

Header Ad
Header Ad

প্রথমবার বাংলাদেশ-পাকিস্তান সরাসরি বাণিজ্য চালু

ছবি: সংগৃহীত

১৯৭১ সালের পর প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে সরাসরি বাণিজ্য শুরু হয়েছে। সরকারি পর্যায়ের চুক্তির (জি টু জি) আওতায় বিপুল পরিমাণ চাল নিয়ে একটি পাকিস্তানি কার্গো জাহাজ বাংলাদেশের উদ্দেশে যাত্রা করেছে।

পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউন জানিয়েছে, এই প্রথমবার সরকার অনুমোদিত একটি কার্গো জাহাজ করাচির পোর্ট কাসিম থেকে বাংলাদেশের পথে রওনা দিয়েছে। চুক্তির আওতায় বাংলাদেশ পাকিস্তান থেকে মোট ৫০ হাজার টন চাল আমদানি করছে, যা পাকিস্তানের ট্রেডিং করপোরেশন (টিসিপি) সরবরাহ করছে।

চলতি ফেব্রুয়ারির শুরুতে এই চুক্তি চূড়ান্ত করা হয়। দুই ধাপে চাল রপ্তানির প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে। প্রথম চালানের আওতায় ২৫ হাজার টন চাল ইতোমধ্যে বাংলাদেশের উদ্দেশে যাত্রা করেছে। আগামী মার্চের শুরুতে দ্বিতীয় চালানে আরও ২৫ হাজার টন চাল পাঠানো হবে।

এবারের চালান বিশেষ গুরুত্ব পাচ্ছে, কারণ এটি ১৯৭১ সালের পর প্রথমবারের মতো পাকিস্তান ন্যাশনাল শিপিং করপোরেশনের (পিএনএসসি) কোনো জাহাজ সরকারি কার্গো নিয়ে বাংলাদেশে পৌঁছাবে। এই ঘটনা দ্বিপাক্ষিক সামুদ্রিক বাণিজ্য সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে সরাসরি বাণিজ্যিক যোগাযোগ স্থগিত ছিল। এই উদ্যোগ দুই দেশের অর্থনৈতিক সম্পর্ক জোরদার করবে এবং সামুদ্রিক পথ ব্যবহারের নতুন সম্ভাবনা সৃষ্টি করবে বলে আশা করা হচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, সরাসরি জাহাজ চলাচলের ফলে বাণিজ্যিক কার্যক্রম আরও সহজ হবে এবং দুই দেশের ব্যবসায়ীদের জন্য নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

এস আলম পরিবারের ৮,১৩৩ কোটি টাকার শেয়ার অবরুদ্ধের নির্দেশ
২৫ ফেব্রুয়ারি ‘জাতীয় শহীদ সেনা দিবস’ পালনের ঘোষণা
প্রথমবার বাংলাদেশ-পাকিস্তান সরাসরি বাণিজ্য চালু
৪ ডিআইজিকে বাধ্যতামূলক অবসর, জানা গেল নাম
পুলিশ প্রজাতন্ত্রের স্বাধীন কর্মচারী, কোনো দলের নয়: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
ধর্ষণের প্রতিবাদে আসাদ গেটে ছাত্র-জনতার সড়ক অবরোধ
স্ত্রীর সামনে বিএনপি নেতাকে পিটিয়ে হত্যা, গ্রেপ্তার ২
দুই ফুসফুসেই নিউমোনিয়া, পোপ ফ্রান্সিসের অবস্থা ‘আশঙ্কাজনক’
সংস্কার কমিশনের সুপারিশ: জুনেই স্থানীয় সরকার নির্বাচন
নওগাঁয় রাতে সড়কে গাছ ফেলে ডাকাতি
প্রযোজনায় নাম লেখালেন বুবলি  
চোখে লাল কাপড় বেধে ঢাকার উদ্দেশ্যে কুয়েটের ৮০ শিক্ষার্থী  
বিয়ে বাড়িতে গান বাজানোর জেরে বাসর ঘরে হামলা  
আজ দুবাইয়ে ভারত-পাকিস্তান মহারণ  
মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে বাবা গ্রেপ্তার  
দুপুরের মধ্যে ১৪ জেলায় বজ্রবৃষ্টির আভাস  
সারা দেশে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে যা জানালো র‍্যাব  
এ বছরই মধ্যে তারেক রহমান প্রধানমন্ত্রী হবেন : দুদু  
জিম্মিদের ফেরত পেয়েও ফিলিস্তিনিদের মুক্তি দিল না ইসরাইল  
জশ ইংলিসের সেঞ্চুরিতে রেকর্ড গড়ে ইংল্যান্ডকে হারাল অস্ট্রেলিয়া