গাইবান্ধায় দেশি মরিচের বাম্পার ফলন
কথায় আছে স্বাদে ভরা রসমঞ্জুরীর ঘ্রাণ, চরাঞ্চলের ভুট্টা-মরিচ গাইবান্ধার প্রাণ। কৃষির নির্ভর জেলা গাইবান্ধা। এ জেলায় নানা ধরনের ফসলের পাশাপাশি কৃষকরা প্রতি বছর মরিচের আবাদ করে থাকে। এ বছর গাইবান্ধা সদর, ফুলছড়ি, সাঘাটা, সুন্দরগঞ্জসহ বিভিন্ন চরাঞ্চলে পলি ও বেলে-দোআঁশ মাটির উর্বর জমিতে অধিক হারে মরিচের আবাদ হয়েছে।
গত বছর বন্যা হওয়ায় ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছিল চাষিরা। কিন্তু এ বছর ফলন এবং ভালো দাম পাওয়ায় খুশি চাষিরা।
সরেজমিনে বিভিন্ন মাঠ ঘুরে দেখা গেছে মরিচের দৃষ্টিনন্দন দৃশ্য। মরিচ ক্ষেতে কৃষকের ছোঁয়া আর সঠিক পরিচর্যায় গাছ হয়ে উঠেছে সুস্থ-সবল। গাছে গাছে শোভা পাচ্ছে গাঢ় সবুজ-লাল কাঁচা মরিচের থোকা। অনেক গাছে ঝুপড়ি মরিচ ধরায় গাছ হেলে গেছে।
দুপুরের দিকে মরিচ তুলে বিকালে বাজারে বিক্রির জন্য প্রস্তুতি নেন কৃষকরা। অনেকে মরিচ তুলে নিয়ে বাড়িতে অথবা জমির আইলে পাইকারদের কাছে পাইকারি হিসাবে বিক্রি করে থাকেন।
গাইবান্ধা সদর উপজেলার কুপতলা ইউনিয়নের কুপতলা গ্রামের মরিচ চাষি মো. আব্দুর জব্বার (৫২) বলেন, ‘আমার ১০ কাঠা জমিতে দেশি মরিচের চাষ করেছি। এতে আমার ব্যয় হয়েছে ৩ হাজার টাকা। তবে এখন পর্যন্ত ৫ হাজার টাকার মরিচ বিক্রি করেছি। আর গাছে অনেক মরিচ আছে ১-২ হাজার টাকার মরিচ আরও বিক্রি করা যাবে। এখন দেশি মরিচ আমরা পাইকারি হিসাবে মণ প্রতি ১০৪০ টাকা দরে বিক্রি করছি।
এ বিষয়ে গাইবান্ধা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক (শস্য) কৃষিবিদ মো. কামরুজ্জামান বলেন, চলতি মৌসুমে এ জেলায় ১ হাজার ৯৬৭ হেক্টর জমিতে মরিচ চাষ করা হয়েছে। মরিচ চাষে কিভাবে ফলন বৃদ্ধি করা যায় এবং চাষিরা বেশি লাভবান হবে তা নিয়ে আমাদের মাঠ পর্যায়ে উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা কৃষকদের পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন।
/এএন