বুধবার, ৯ এপ্রিল ২০২৫ | ২৬ চৈত্র ১৪৩১
Dhaka Prokash

চেয়ারম্যানকে ফাঁসাতে ইউএনও’র তদন্ত নাটক

পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী ইউপি চেয়ারম্যান সাইদুজ্জামান মামুন খাঁনকে ফাঁসাতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তদন্ত নাটক সাজিয়ে রিপোর্ট জমা দিয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। পরে এ রিপোর্ট অসত্য এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত দাবি করে গত ১৮ সেপ্টেম্বর বিষয়টির অধিকতর তদন্ত চেয়ে জেলা প্রশাসকের নিকট আবেদন করেন চেয়ারম্যান মামুন খান।

জানা গেছে,নিজের অপরাধ ধামাচাপা দেওয়া ও স্থানীয় রাজনৈতিক দ্বন্দ্বকে পুঁজি করে মনগড়া তদন্ত রিপোর্ট দেন রাঙ্গাবালীর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাশফাকুর রহমান। তবে তার সঙ্গে চেয়ারম্যানের কোনও দ্বন্দ্ব নেই বলে দাবি করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা।

জেলা প্রশাসন, রাঙ্গাবালী উপজেলা প্রশাসন ও স্থানীয় একাধিক সূত্র আরও জানায়, নিজ কার্যালয়ের কর্মচারীকে গুলি ও মারধর করা, হাট-বাজারের ইজারার টাকা সরকারি কোষাগারে জমা না দিয়ে নিজের কাছে রাখা, চেক কেলেঙ্কারি ও প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর নির্মাণ না করে বরাদ্দ আত্মসাৎ করাসহ একাধিক অভিযোগ রয়েছে রাঙ্গাবালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাশফাকুর রহমানের রিরুদ্ধে। এসব বিষয় তদন্ত চলমান রয়েছে। এসব অভিযোগের রেষ না কাটতেই মনগড়া একটি তদন্ত রিপোর্ট জমা দেন তিনি। এতে নানা মহলে ব্যাপকভাবে সমালোচনার জন্ম দিলেন এই কর্মকর্তা।

অনুসন্ধানে জানা যায়, চেয়ারম্যান মামুন খাঁনকে হেনস্থা করতে ২০২০ সালে জেলা প্রশাসনে মৃত ১২ জন এবং ৫১ জনের নাম দুইবার অন্তর্ভুক্ত করা হয় এবং তাদের বরাদ্দ আত্মসাৎ করা হয়েছে বলে একটি অভিযোগ দেন স্থানীয় কয়েকজন। পরে এ অভিযোগের প্রেক্ষিতে ২০২০ সালের ২০ অক্টোবর পটুয়াখালীর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. হেমায়েত উদ্দিন সরেজমিনে তদন্ত করে জেলা প্রশাসকের কাছে তদন্ত প্রতিবেন দাখিল করেন। তদন্ত রিপোর্টে তিনি এ অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়নি এবং চেয়ারম্যানকে হেনস্থার জন্য করা হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়।

রাঙ্গাবালী উপজেলার একাধিক ইউপি চেয়ারম্যান ও মেম্বার জানান, ইউএনও মাশফাকুর রহমান চেয়ারম্যানের রাজনৈতিক দ্বন্দ্বকে পূঁজি করে নিস্পত্তি হওয়া অভিযোগটিকে পুনর্জীবিত করেছেন। এরপর তিনি চেয়ারম্যানের রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে তদন্ত কর্মকর্তা হিসেবে নিযুক্ত করে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত রিপোর্ট দাখিল করেন। গত ১ সেপ্টেম্বর ইউএনও’র দাখিল করা ওই রিপোর্টে চেয়ারম্যানকে অভিযুক্ত করা হয়। অথচ তদন্তে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা ইউএনও’র মতামতের বিরুদ্ধে বক্তব্য দেন।

এ বিষয়ে স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. হুমায়ুন কবির জানান, চেয়ারম্যান এবং উপজেলা নির্বাহী অফিসারের বিরুদ্ধে আলাদা আলাদা তদন্ত চলমান আছে। রিপোর্ট পেলে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

তিনি আরও জানান,কেউ দোষী হলে তার বিরুদ্ধে অবশ্যই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এ প্রসঙ্গে উপজেলা মৎস্য অফিসার আনোয়ার হোসেন বাবুল জানান, যে চাল নিয়ে অভিযোগ উঠেছে আসলে সেই চাল আত্মসাৎ হয়নি। এ বিষয়ে বেশী কিছু বলা যাবে না।

তিনি আরও বলেন, আর যদি অনিয়ম হয়েও থাকে ভিজিএফ সংশ্লিষ্টরা সবারই এর কম-বেশি দায়ভার আছে।

এদিকে ভিজিএফ সংশ্লিষ্টরা বলেন, প্রতি ওয়ার্ডের ইউপি সদস্যরা খসড়া ভিজিএফ তালিকা প্রণয়ন করে ইউএনও মনোনীত ট্যাগ অফিসারের কাছে জমা দিলে ট্যাগ অফিসার ওই তালিকা যাচাই-বাছাই করে ইউনিয়ন পরিষদে পাঠায়। পরে ইউনিয়ন পরিষদ উপজেলা মৎস্য অফিসে পাঠায়। মৎস্য অফিস যাচাই করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে পাঠালে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা যাচাই-বাছাই করে তালিকা অনুমোদন করে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) দপ্তরে পাঠায়। পরে অনুমোদিত ভিজিএফ তালিকা উপজেলা খাদ্য অফিস ও ইউনিয়ন পরিষদে পাঠানো হয়। পরবর্তীতে ভিজিএফ তালিকা অনুযায়ী চেয়ারম্যান চাল বরাদ্দ পেলে লিখিতভাবে প্রতি ইউপি সদস্যদের বুঝিয়ে দেওয়া হয়। ইউপি সদস্যরা ইউএনও মনোনীত ট্যাগ অফিসারের উপস্থিতিতে ওই চাল বিতরণ করেন। যেখানে শুধুমাত্র ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের দায় ভিত্তিহীন। ভিজিএফ সংশ্লিষ্ট সবাইকেই এর দায়ভার নিতে হবে।

এসআইএইচ

 

Header Ad
Header Ad

ঈদযাত্রায় সড়কে ৩১৫ দুর্ঘটনায় ৩২২ জন নিহত: যাত্রী কল্যাণ সমিতি

ছবি কোলাজ: ঢাকাপ্রকাশ

বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি জানিয়েছে, ঈদুল ফিতরের আগে ও পরে সারা দেশে সড়কে ৩১৫টি দুর্ঘটনা ঘটেছে। এসব দুর্ঘটনায় ৩২২ জন নিহত হয়েছেন এবং ৮২৬ জন আহত হয়েছেন। বুধবার (৯ এপ্রিল) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য প্রকাশ করা হয়।

সমিতি আরও জানায়, একই সময়ে রেলপথে ২১টি দুর্ঘটনায় ২০ জন নিহত এবং ৮ জন আহত হয়েছেন, আর নৌ-পথে ৪টি দুর্ঘটনায় ১০ জন নিহত, ১ জন আহত এবং ১ জন নিখোঁজ রয়েছেন। সব মিলিয়ে সড়ক, রেল ও নৌপথে ৩৪০টি দুর্ঘটনায় ৩৫২ জন নিহত এবং ৮৩৫ জন আহত হয়েছেন।

সংবাদ সম্মেলনে যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী জানান, ঈদযাত্রা শুরুর দিন ২৪ মার্চ থেকে ঈদের পরের ৭ এপ্রিল পর্যন্ত ১৫ দিনে সড়ক দুর্ঘটনায় ৩২২ জন নিহত এবং ৮২৬ জন আহত হয়েছেন। ২০২৪ সালের ঈদুল ফিতরের তুলনায় এবারের ঈদযাত্রায় সড়ক দুর্ঘটনা ২১.০৫%, প্রাণহানি ২০.৮৮% এবং আহতের সংখ্যা ৪০.৪১% কমেছে।

এই সময়কার দুর্ঘটনাগুলোর মধ্যে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনাই সবচেয়ে বেশি, মোট সড়ক দুর্ঘটনার ৪২.৮৫% এবং নিহতের ৪৬.৮৯% মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার কারণে হয়েছে। এবারের ঈদে মোট ১৩৫টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ১৫১ জন নিহত এবং ১৫৫ জন আহত হয়েছেন।

এছাড়াও, সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৭০ জন চালক, ৪৭ জন পরিবহন শ্রমিক, ৫০ জন পথচারী, ৬০ জন নারী, ৪০ জন শিশু, ৩৩ জন শিক্ষার্থী, ২০ জন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য, ৬ জন শিক্ষক, ৪ জন রাজনৈতিক নেতা ও ১ জন সাংবাদিকের পরিচয় পাওয়া গেছে।

দুর্ঘটনার ধরন বিশ্লেষণে দেখা গেছে, সড়ক দুর্ঘটনার ২৭.৩০% মুখোমুখি সংঘর্ষ, ৪২.২২% পথচারীকে গাড়ি চাপা দেওয়া, ২০% নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়া এবং ৮.৫৭% অন্যান্য অজ্ঞাত কারণে ঘটেছে। দুর্ঘটনার ৩৮.৪১% জাতীয় মহাসড়কে, ২১.২৬% আঞ্চলিক মহাসড়কে এবং ৩৪.৬০% ফিডার রোডে ঘটেছে।

মোজাম্মেল হক চৌধুরী জানান, প্রতিবছর ঈদকেন্দ্রিক সড়ক দুর্ঘটনার আশঙ্কাজনক বৃদ্ধি সত্ত্বেও এবার দুর্ঘটনার সংখ্যা কিছুটা কমেছে। তিনি উল্লেখ করেন, দীর্ঘ ছুটির কারণে ধাপে ধাপে বাড়ি ফেরার সুযোগ হওয়ায় ঈদযাত্রা অনেকটা স্বস্তিদায়ক হয়েছে। তবে সড়ক-মহাসড়কের উন্নতি এবং বিভিন্ন নিয়ন্ত্রক সংস্থার কার্যক্রমের পরেও অতিরিক্ত ভাড়া আদায় ও যাত্রী হয়রানির চিত্র বিদ্যমান ছিল।

তিনি দুর্ঘটনার প্রধান কারণ হিসেবে সড়ক-মহাসড়কের বিভিন্ন সমস্যা যেমন মোটরসাইকেল, ব্যাটারিচালিত রিকশা এবং সিএনজির অবাধ চলাচল, সড়কে রোড সাইন বা সড়কবাতির অভাব, মিডিয়ামে রোড ডিভাইডার না থাকা, অদক্ষ চালক এবং ফিটনেসবিহীন যানবাহন চালানোর প্রবণতাকে চিহ্নিত করেছেন।

দুর্ঘটনা প্রতিরোধে যাত্রী কল্যাণ সমিতি কিছু সুপারিশও করেছে। এগুলোর মধ্যে রয়েছে, মোটরসাইকেল ও ব্যাটারিচালিত রিকশা আমদানি ও নিবন্ধন বন্ধ করা, সড়ক-মহাসড়কে আলোকসজ্জার ব্যবস্থা করা, দক্ষ চালক তৈরির উদ্যোগ গ্রহণ, সড়ক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে রোড সাইন এবং রোড মার্কিং স্থাপন করা, এবং ফিটনেসবিহীন যানবাহন স্ক্যাপ করার উদ্যোগ নেওয়া।

এছাড়া, বাস-ট্রাকের ছাদে যাত্রী পরিবহন এবং অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের সমস্যা সমাধানে শক্তিশালী ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কর্তৃপক্ষকে আরও কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য আহ্বান জানানো হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে সমিতির চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ জকরিয়া, যুগ্ম মহাসচিব তাওহীদুল হক লিটন, অর্থ সম্পাদক মাহমুদুল হাসান রাসেল, প্রচার সম্পাদক মোহাম্মদ আলাউদ্দিন মাসুদ সহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।

Header Ad
Header Ad

উদ্ধার করা সওজের জমি দখলে নিল সমন্বয়করা!

ছবি: সংগৃহীত

বরিশালের রূপাতলী বাস টার্মিনাল এলাকায় জাতীয় টেলিযোগাযোগ পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের সাবেক মহাপরিচালক এবং বর্তমানে কারাগারে বন্দি মেজর জেনারেল (অব.) জিয়াউল আহসান কর্তৃক দখল করা সওজের জমিতে নতুন করে স্টল নির্মাণ শুরু করেছেন কয়েকজন ছাত্র। এই জমি বরিশাল-কুয়াকাটা সড়কের পাশের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক এলাকা হিসেবে পরিচিত।

আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর সড়ক ও জনপথ (সওজ) কর্তৃক উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়, এবং সওজের জায়গা থেকে জিয়াউল আহসানের তৈরি ২২টি স্টল সহ ৫ শতাধিক অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে দেওয়া হয়। তবে, উচ্ছেদ হওয়া ওই জমিতে এখন আবার নতুন করে স্টল নির্মাণের কাজ চলছে। বিশেষত, এই কাজটি করছেন ছাত্ররা, যারা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত।

স্থানীয়দের মতে, এই ছাত্ররা বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র, এবং তাদের নেতৃত্বে সেখানে ব্যবসায়িক স্থাপনা তৈরি হচ্ছে। এমনকি কিছু স্থানে সাইনবোর্ডও ঝুলানো হয়েছে, যার মধ্যে একটি সাইনবোর্ডে 'অবসরপ্রাপ্ত সশস্ত্র বাহিনী কল্যাণ সংস্থার বরিশাল শাখার অস্থায়ী কার্যালয়' লেখা রয়েছে। আরেকটি স্টলে, যেখানে আগে 'ভোজনবিলাস' রেস্তোরাঁ ছিল, এখন কাঠের কাঠামো নির্মাণের কাজ চলছে।

এ বিষয়ে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বরিশাল মহানগরের আহ্বায়ক শাহেদুল ইসলাম শাহেদ এই কাজের সঙ্গে জড়িত। তিনি বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র এবং শেরেবাংলা হলে বসবাস করেন। যদিও তিনি সওজের জমি দখল করার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন, তবে তিনি জানিয়েছেন যে, তারা সেখানে ঘর তোলার পরিকল্পনা সম্পর্কে শুনেছেন এবং বিষয়টি খতিয়ে দেখছেন।

অন্যদিকে, সওজের বরিশাল নির্বাহী প্রকৌশলী নাজমুল ইসলাম জানান, তারা এই বিষয়ে কিছু জানেন না এবং প্রয়োজন হলে তদন্তের জন্য লোক পাঠানো হবে। তিনি বলেছেন, "যদি সেখানে ঘর তৈরি হয়, তবে সেগুলো আবার উচ্ছেদ করা হবে।"

Header Ad
Header Ad

নবাব শেখের ভাইরাল সেই ‘চলমান-খাট’ নিয়ে গেছে পুলিশ

ভাইরাল সেই চলমান-খাট। ছবি: সংগৃহীত

ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ জেলার নবাব শেখের তৈরি ভাইরাল 'চলমান-খাট'টি জব্দ করেছে পুলিশ। প্রায় দেড় বছরের কঠোর পরিশ্রমের পর তৈরি করা এই খাট-গাড়িটি গত রোজার ঈদের দিন ‘ট্রায়াল’ দিতে বের হওয়ার পরই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায়। মুহূর্তেই হাজার হাজার মানুষ ভিড় জমানো শুরু করেন খাটটি দেখতে।

বিবিসি জানিয়েছে, মুর্শিদাবাদের ডোমকল থানার পুলিশ এই গাড়িটি জব্দ করেছে, কারণ এটি মোটর ভেহিকলস আইনের বিরোধী। নবাব শেখের এই গাড়িটি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমোদন ছাড়াই রাস্তা চলতে শুরু করেছিল।

নবাব শেখ জানিয়ে বলেন, একদিন ঘুমের মধ্যে স্বপ্নে তিনি ভাবলেন, যদি খাটে চেপে চায়ের দোকানে যাওয়া যেত! সেই চিন্তা থেকেই শুরু হয় চলমান-খাটের নির্মাণ। প্রথমে খাটে চারটি চাকা লাগানো হয়েছিল, তবে সেটি নিজের শক্তিতে চলছিল না। পরে, তিনি একটি ইঞ্জিন ফিট করে চলমান খাট তৈরি করেন। রোজার ঈদের দিন বন্ধুদের সহায়তায় তিনি খাটটি নিয়ে বের হন এবং ভিডিও বানিয়ে ফেসবুকে পোস্ট করেন। মুহূর্তেই সেই ভিডিও ভাইরাল হয়ে যায়।

নবাব শেখের ভাই আলমগীর শেখও এই প্রকল্পে তার সহায়তা করেন। দেড় বছর ধরে দুই লাখ ১৫ হাজার টাকা খরচ করে, তারা খাটের কাঠামোর সাথে ৮০০ সিসি ইঞ্জিন এবং মারুতি ওমনি গাড়ির চেসিস লাগিয়ে একটি চলন্ত খাট তৈরি করেন। স্থানীয় কাঠমিস্ত্রি ও গাড়ির মেকানিকদের সহায়তায় এটি তৈরি করা হয়।

নবাব শেখ পেশায় গাড়িচালক, মাসে প্রায় ৯ হাজার ভারতীয় রুপি আয় করেন। এই খাট বানাতে স্ত্রীর গয়না বিক্রি করতে হয়েছে, এমনকি কিছু সময় তাদের বাড়ির পাশের গুদামেই এটি রাখা হয়েছিল। কিন্তু আইনি অনুমতি না থাকায় পুলিশ গাড়িটি থানায় নিয়ে যায়।

ভিডিওতে দেখা যায়, যখন নবাব শেখ গাড়ির স্টিয়ারিংয়ে বসেছিলেন, তখন এক সিভিক পুলিশ সদস্য লাফ দিয়ে বিছানার ওপরে উঠে বসেন, এবং রাস্তার মানুষজন মজা নিয়ে সেই দৃশ্য উপভোগ করছিলেন।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

ঈদযাত্রায় সড়কে ৩১৫ দুর্ঘটনায় ৩২২ জন নিহত: যাত্রী কল্যাণ সমিতি
উদ্ধার করা সওজের জমি দখলে নিল সমন্বয়করা!
নবাব শেখের ভাইরাল সেই ‘চলমান-খাট’ নিয়ে গেছে পুলিশ
টাঙ্গাইলে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছেন ৪৮ হাজার শিক্ষার্থী
মাঠে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে আম্পায়ার গাজী সোহেল
বাংলাদেশে পরীক্ষামূলকভাবে চালু হলো স্টারলিংক ইন্টারনেট সেবা
বিনিয়োগ সম্মেলনে ইয়ংওয়ান প্রধানকে সম্মানসূচক নাগরিকত্ব দিল বাংলাদেশ
ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা সনদে বিসিএসসহ সরকারি চাকরি, দুদকের তদন্তে মিলেছে প্রমাণ
এসএসসি পরীক্ষায় মানতে হবে যেসব নির্দেশনা
‘মাইক্রোসফটের সবার হাতে ফিলিস্তিনিদের রক্ত’, প্রতিবাদ করে বরখাস্ত দুই কর্মী
বিনিয়োগ সম্মেলনে যোগ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস
হত্যা মামলায় অভিনেত্রী শমী কায়সার গ্রেপ্তার
সংস্কার সুপারিশে ত্রিমুখী অবস্থানে বিএনপি-জামায়াত-এনসিপির
অপহরণ নাটক সাজিয়ে চাঁদা দাবি, সাভারের মা-মেয়ে গ্রেফতার
গাজায় ফের ইসরাইলি হামলা, নিহত আরও ২৬ ফিলিস্তিনি
যেসব অঞ্চলে ঝড়ের আভাস ও সতর্কতা দিল আবহাওয়া অধিদপ্তর
নাইট ক্লাবের ছাদ ধসে ৬৬ জনের মৃত্যু
সাবেক এমপি মোরশেদ আলম ডিবির হাতে গ্রেপ্তার
জামিনে মুক্ত হওয়া সাবেক এমপিকে পিটিয়ে আবারও পুলিশে দিলো ছাত্র-জনতা
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে পিটার হাসের সাক্ষাৎ