বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪ | ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

সুন্দরবন ভ্রমণে খরচ বৃদ্ধি, ক্ষতির মুখে পর্যটন ব্যবসায়ীরা

বিশ্বের সবচেয়ে বড় ম্যানগ্রোভ বন সুন্দরবনে দৈনিক ভিত্তিতে ভ্রমণ ফি, প্রবেশ ফি, তথ্য কেন্দ্রের ফি, গাইড ফি, লঞ্চ ক্রু ফি, নিরাপত্তা গার্ড ফি, টেলিকমিউনিকেশন ফি, ভিডিও ক্যামেরা ফি, তীর্থ ফি, ট্রলার ফি ও বিশ্রামাগার ভাড়াসহ বিভিন্ন খাতে সরকারকে টাকা দিতে হয়।

তবে এর প্রায় সব খাতে কর ও ফি বাড়িয়ে ২০ ফেব্রুয়ারি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়।
সুন্দরবনে পর্যটনের পাশাপাশি দুবলারচরে রাসমেলায় পুণ্যার্থী ও সুন্দরবনে সবধরনের বনজীবীদের জন্যও নতুন রাজস্ব হার নির্ধারণ করা হয়েছে।

পর্যটন ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, এতে বিপাকে পড়তে হচ্ছে তাদের। জ্বালানি তেলসহ অন্যান্য নিত্যপণ্যের দাম বাড়ার সঙ্গে নতুন করে রাজস্ব বাড়ানোয় তাদের লোকসান গুণতে হচ্ছে।

পর্যটন ব্যবসায়ীরা জানান, সুন্দরবনের ভেতরে কটকা, কচিখালী, নীলকমল, হিরণ পয়েন্ট, নোটাবেকী, পুষ্পকাঠী, মান্দারবাড়িয়া, হলদেবুনিয়ার মতো সরকার ঘোষিত অভয়ারণ্যগুলোতে দেশি ও বিদেশি পর্যটকদের প্রতিদিন ভ্রমণ ফি দিতে হতো যথাক্রমে ১৫০ ও ১৫০০ টাকা। এখন তা দ্বিগুণ বেড়ে যথাক্রমে ৩০০ ও ৩০০০ টাকা হয়েছে।

প্রতিযাত্রায় সুন্দরবনের পর্যটকবাহী নৌযান বনে প্রবেশ এবং অবস্থানের জন্য নির্ধারিত হারে ফি দিতে হয়। ১০০ ফুটের বেশি দৈর্ঘ্যের নিবন্ধিত নৌযানের ক্ষেত্রে আগে প্রবেশ ফি ছিল এক হাজার টাকা। তা বাড়িয়ে করা হয়েছে ১৫০০ টাকা। ৫০ ফুট থেকে ১০০ ফুট দৈর্ঘ্যের নৌযানের ক্ষেত্রে তা ৮০০ টাকা থেকে বেড়ে ১২০০ টাকা হয়েছে। একইভাবে সুন্দরবনে সবপ্রকার নৌযানের অবস্থান ফিও বেড়ে আগের তুলনায় দ্বিগুণ হয়েছে।

পর্যটন ব্যবসায়ীরা বলছেন, আমাদের দেশ যেহেতু পর্যটনবান্ধব নয়, তাই আমাদের বিদেশি পর্যটক আনতে হয় কষ্ট করে।
এই মূল্যবৃদ্ধি সুন্দরবনে বিদেশি পর্যটককে সুন্দরবন বিমুখ করবে। সরকার দেশীয় পর্যটনের বিকাশের কথা বললেও হঠাৎ করে এই রাজস্ব বাড়ানোর ফলে নতুন করে ক্ষতির মুখে পড়ছে সুন্দরবনের পর্যটনশিল্প। এর ফলে সুন্দরবনের প্যাকেজ ভ্রমণের খরচ অনেক বাড়ছে।

১৯ অর্থবছরে ২ লাখ ৫১ হাজার পর্যটক সুন্দরবন ভ্রমণ করেছেন। এই সংখ্যা তার আগের বছরের চেয়ে ৩০ হাজার বেশি। এ খাত থেকে সরকারের বছরে দুই কোটি টাকা রাজস্ব আয় হলেও স্বচ্ছন্দে ভ্রমণের ব্যবস্থা না থাকার নানা রকম অভিযোগ রয়েছে পর্যটকদের।

তবে রাজস্ব বাড়ানোকে ’স্বাভাবিক’ হিসেবেই দেখছেন খুলনা অঞ্চলের প্রধান বন সংরক্ষক মিহির কুমার দো।

বনবিভাগের এই কর্মকর্তা বলেন, প্রায় ১০ বছর পর নতুন রাজস্ব তালিকা প্রণয়ন করা হয়েছে। সরকার ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা রাজস্ব বাড়ানো যুক্তিসংগত মনে করেছেন বলেই নতুন রাজস্ব হার বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।

বিদেশি পর্যটকদের রাজস্ব বেশি বাড়ানো নিয়ে তিনি বলেন, দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর তুলনায় আমাদের দেশের পর্যটনকেন্দ্রগুলোতে প্রবেশমূল্য ও অন্যান্য রাজস্ব এখনও অনেক কম। এতে পর্যটনে কোনো প্রভাব পড়বে বলে আমি মনে করি না।

সুন্দরবনে অনেকদিন ধরে পর্যটন ব্যবসায় যুক্ত আছেন পাগমার্ক ট্যুরস অ্যান্ড ট্রাভেলসের স্বত্বাধিকারী নজরুল ইসলাম বাচ্চু। তিনি বলেন, সুন্দরবনে সিংহভাগ পর্যটককেই কোনো না কোনো ট্যুর অপারেটরের সাহায্য নিয়ে প্যাকেজ ভ্রমণে যেতে হয়। এখন ফি ও রাজস্ব বৃদ্ধির ফলে প্যাকেজ মূল্য বেড়ে যাবে।

তিনি জানান, সুন্দরবনে দুইরাত তিনদিনের একটি ভ্রমণের প্যাকেজ আগে যেখানে ১০ হাজার টাকা লাগত, এখন দেশি পর্যটকের ক্ষেত্রে তা দেড় থেকে দুই হাজার টাকা বেড়ে হচ্ছে। আর বিদেশি পর্যটকের অন্তত ছয় হাজার টাকা বাড়তি গুণতে হবে।

ট্যুর অপারেটর অ্যাসেসিয়েশন অব সুন্দরবনের (টোয়াস) সাধারণ সম্পাদক ও রূপান্তর ইকো ট্যুরিজমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাজমুল আজম ডেভিড বলেন, নতুন করে রাজস্ব বাড়ানোয় বিপাকে পড়তে হচ্ছে তাদের। এতে পর্যটন ব্যবসায়ীরা ক্ষতির সম্মুখীন হবেন।

টিটি/

Header Ad

হাসনাত ও সারজিসকে হত্যাচেষ্টাকারী ড্রাইভার ও হেলপার আটক

হাসনাত-সারজিসকে হত্যাচেষ্টাকারী ড্রাইভার ও হেলপার আটক। ছবি: সংগৃহীত

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম দুই সমন্বয়ক, হাসনাত আবদুল্লাহ ও সারজিস আলমকে ট্রাকচাপা দিয়ে হত্যার চেষ্টায় অভিযুক্ত ট্রাক চালক ও হেলপারকে আটক করা হয়েছে।

বুধবার (২৭ নভেম্বর) রাতে চট্টগ্রামের লোহাগাড়া থানা পুলিশ তাদের আটক করে। তবে আটক হওয়া ওই চালক ও হেলপারের নাম-পরিচয় এখনো জানা যায়নি।

এর আগে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে এ হত্যাচেষ্টার ঘটনা ঘটে। লোহাগাড়া থানার দায়িত্বরত সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) মো. আলিম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, বিষয়টি নিয়ে একটি আইনগত প্রক্রিয়া চলছে।

জানা গেছে, বুধবার অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম আলিফের কবর জিয়ারত শেষে ফেরার পথে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের চুনতি ইউনিয়নের হাজী রাস্তার মোড়ে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

এর আগে আজ দুপুরে চট্টগ্রাম নগরের টাইগারপাস মোড়ে চট্টগ্রামে আইনজীবী আলিফ হত্যার প্রতিবাদে এক বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। যেখানে বক্তব্য দেন হাসনাত আব্দুল্লাহ ও সারজিস আলম। সমাবেশে ইসকনকে নিষিদ্ধের দাবি জানিয়ে আইনজীবী আলিফ নিহতের ঘটনায় জড়িতদের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেপ্তারের দাবি জানান তারা।

Header Ad

বিমান বাহিনীকে পঞ্চম জেনারেশনে উন্নীত করাই প্রধান লক্ষ্য: এয়ার চিফ মার্শাল

বক্তব্য রাখছেন এয়ার চিফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খাঁন। ছবি: সংগৃহীত

একুশ শতকের স্পেশাল বৈষয়িক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় অন্তবর্তীকালীন সরকারের মাধ্যমে বিমান বাহিনীকে পঞ্চম জেনারেশনে উন্নতি করাই প্রধান লক্ষ্য বলে জানিয়েছেন বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার চীফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খাঁন। তিনি বলেন, মহড়ার মূল উদ্দেশ্যে হচ্ছে আমাদের সক্ষমতা যাচাই করা এবং এর মাধ্যমে আমরা আমাদের অনেক বিষয় নির্ণয় করে সে মোতাবেক পদক্ষেপ গ্রহণ করি।

বুধবার (২৭ নভেম্বর) দুপুরে টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলার রসুলপুর বিমানবাহিনীর ফায়ারিং রেঞ্জে বার্ষিক গোলা বর্ষণ মহড়া অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

হাসান মাহমুদ খাঁন বলেন, বিমানবাহিনীর প্রধান ভূমিকা হচ্ছে দিগন্ত, স্থলে ও জলে যে কোন আঘাত প্রতিহত করা। এছাড়াও দেশের যে কোন প্রয়োজনে ২৪ ঘন্টা, ৭ দিন সবসময় আমরা প্রস্তুত থাকি।

এদিকে, মহড়ায় শুরুতেই দেখানো হয় দুর্ঘটনা কবলিত পাইলটকে উদ্ধারে কমান্ডো অভিযান। এতে দুটি যুদ্ধ হেলিকপ্টার ও একটি রেসকিউ হেলিকপ্টার অংশ নেয়। এরপর মহড়ায় যোগ দেয় এফ সেভেন বিজিআই ও  মিগ ২৯সহ পাঁচটি যুদ্ধ বিমান।

এসময় গোলাবর্ষণ ও রকেট নিক্ষেপ করে প্রদর্শন করে নানা যুদ্ধ কৌশল। পরে মিগ ২৯ যুদ্ধ বিমান বিমানবাহিনী প্রধানকে সালামের মাধ্যমে মহড়ার কার্যক্রম শেষ করে। অনুষ্ঠানে সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, বিমানবাহিনী, বিভিন্ন মন্ত্রাণালয় ও প্রশাসনের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

Header Ad

দুর্ঘটনার কবলে হাসনাত-সারজিস, দুমড়ে-মুচড়ে গেল গাড়ি

দুর্ঘটনার কবলে হাসনাত-সারজিস, দুমড়ে-মুচড়ে গেল গাড়ি। ছবি: সংগৃহীত

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা হাসনাত আব্দুল্লাহ ও সারজিস আলমের বহরের একটি গাড়ি দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে। এতে গাড়িটির সামনের অংশ দুমড়ে-মুচড়ে গেছে।

বুধবার (২৭ নভেম্বর) সন্ধ্যার দিকে এই দুর্ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, চট্টগ্রামে নিহত অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম আলিফের কবর জিয়ারত শেষে ফেরার পথে আনুমানিক সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের চুনতি ইউনিয়নের হাজী রাস্তার মোড়ে এ দুর্ঘটনা ঘটে। তবে এই ঘটনায় দুই সমন্বয়ক অক্ষত রয়েছেন।

লোহাগাড়া থানার দায়িত্বরত সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মো. আলিম দুর্ঘটনার তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, এই ঘটনায় একটি ট্রাক জব্দ করা হয়েছে। জিডির প্রক্রিয়া চলছে। তবে কীভাবে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে তা প্রাথমিকভাবে জানাতে পারেননি এএসআই আলিম।

এদিকে, ফেসবুকে ভাঙা গাড়ির ছবি আপলোড করে বিষয়টি জানান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখ্য সংগঠক হান্নান মাসুদ।

পোস্টে তিনি লিখেন, শহীদ এডভোকেট সাইফুল ইসলাম আলিফ ভাইয়ের কবর জেয়ারত করে ফেরার পথে আনুমানিক সন্ধ্যা ৭.৩০ মিনিটে চট্রগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের চুনতি ইউনিয়নের হাজী রাস্তার মোড়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ ও সার্জিস আলমের গাড়ি বহরে ট্রাক চাপা দিয়ে হত্যা চেষ্টা করা হয়।

প্রাথমিক তদন্তে ড্রাইভার ময়মনসিংহ থেকে কক্সবাজারে মালামাল খালাস করে আসার কথা বললেও মাল খালাসের কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। অতীতে ভারতীয় কর্তৃক বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় অনেক ব্যক্তিকে হত্যা করার নজির রয়েছে।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

হাসনাত ও সারজিসকে হত্যাচেষ্টাকারী ড্রাইভার ও হেলপার আটক
বিমান বাহিনীকে পঞ্চম জেনারেশনে উন্নীত করাই প্রধান লক্ষ্য: এয়ার চিফ মার্শাল
দুর্ঘটনার কবলে হাসনাত-সারজিস, দুমড়ে-মুচড়ে গেল গাড়ি
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে আইনজীবী সাইফুলের গায়েবানা জানাজা
দুই দফা কমার পর আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম
বিসিএসের প্রশ্নফাঁস: বিজি প্রেসের দুই কর্মচারী গ্রেপ্তার
সাত কলেজের অনার্স ১ম বর্ষের পরীক্ষা স্থগিত
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক শেষে যা বললেন মির্জা ফখরুল
ফ্যাসিবাদের দোসরদের ষড়যন্ত্র এখনো অব্যাহত: রিজভী
জিয়াউর রহমানকে নিয়ে ‘আপত্তিকর’ মন্তব্য, বিচারককে ডিম ছুড়লেন আইনজীবীরা
কলকাতায় বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশনের সামনে বিজেপির বিক্ষোভ
নিরবের পরকীয়ার অভিযোগ ফিরিয়ে নিলেন স্ত্রী, চাইলেন ক্ষমা
মিয়ানমারের জান্তা প্রধানের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন
স্ত্রী হত্যা মামলায় জামিন পেলেন সাবেক এসপি বাবুল
ইসকন নিষিদ্ধের দাবিতে উত্তাল চট্টগ্রাম, নেতৃত্বে হাসনাত-সারজিস
চাঁদাবাজি ও কর ফাঁকির মামলা থেকে তারেক রহমানের অব্যাহতি
পাবনার আটঘরিয়ায় দিনে-দুপুরে বাড়িতে হামলা-ভাঙচুর ও লুটপাট
যে পেশায় মানুষের জায়গা নিতে পারবে না এআই
প্রবাসীদের জন্য মধ্যপ্রাচ্যে ইলিশ রপ্তানির উদ্যোগ
সুপ্তার সেঞ্চুরির আক্ষেপের পরেও বাংলাদেশের রেকর্ড সংগ্রহ