কুষ্টিয়ায় লালন স্মরণোৎসবের ভক্তের ঢল
মহামারির কারণে দুই বছরের বিরতির পর কুষ্টিয়ার ছেঁউড়িয়ায় লালন সাঁইয়ের আখড়াবাড়িতে অনুষ্ঠিত হচ্ছে লালন স্মরণোৎসব। বুধবার (১৬ মার্চ) দ্বিতীয় দিনে হাজারো সাধু-গুরু-লালন অনুসারী ও লালনপ্রেমীদের ঢল নেমেছে লালন মাজার ও উন্মুক্ত মঞ্চ প্রাঙ্গণে৷
অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় দিনে বুধবার রাত ৮টায় লালন একাডেমির উন্মুক্ত মঞ্চে আলোচনা অনুষ্ঠান হয়। আলোচনা শেষে শুরু হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান৷ এরপর একে একে লালন সংগীত পরিবেশন করেন লালন একাডেমি ও কুষ্টিয়া শিল্পকলা একাডেমির শিল্পীরা এবং প্রবীণ ও নবীন শিল্পীরা৷ রাতভর এ সংগীতানুষ্ঠান চলে৷
১৫-১৭ মার্চ তিন দিনব্যাপী লালন স্মরণোৎসবের প্রতিদিন সন্ধ্যায় আলোচনা পর্ব শেষে দ্বিতীয় পর্বে লালন মঞ্চে বিভিন্ন শিল্পী ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের সমন্বয়ে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে পরিবেশিত হচ্ছে লালন সংগীত৷ এতে সংগীত পরিবেশন করছেন দেশের খ্যাতনামা শিল্পীসহ লালন একাডেমির স্থানীয় শিল্পীরা৷
এ ছাড়া উৎসবকে ঘিরে পুরো একাডেমি চত্বরে শুরু হয়েছে মেলা এবং বসেছে সাধু-ভক্তদের গানের আসর৷ গান শুনে দর্শক-শ্রোতারাও নেচে-গেয়ে গানের সঙ্গে তাল মিলিয়ে উদযাপন করছেন দোল উৎসব৷
অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় দিনে বুধবার রাত ৮টায় লালন একাডেমির উন্মুক্ত মঞ্চে কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ছিলেন কুষ্টিয়া-৪ (কুমারখালী-খোকসা) আসনের সংসদ সদস্য সেলিম আলতাফ জর্জ, কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার খাইরুল আলম, কুষ্টিয়া জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (উপসচিব) মুন্সী মো. মনিরুজ্জামানসহ অনেকে। এ ছাড়া আলোচনায় অংশ নিয়েছিলেন লেখক ও গবেষক ড. আমানুর আমান৷ শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোছা. নাসরিন বানু ও লালন একাডেমির অ্যাডহক কমিটির সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা জাহিদ হোসেন৷ স্বাগত বক্তব্য রাখেন লালন একাডেমির অ্যাডহক কমিটির সদস্য মো. সেলিম হক৷
এসএন