ঠাকুরগাঁওয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন, হুমকির মুখে কোটি টাকার ব্রিজ
ঠাকুরগাঁও শহরের আটগ্যারী টাঙন নদীর ব্রিজের কাছ থেকে দিন-দুপুরে অবাধে চলছে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন। ড্রেজার দিয়ে ব্রিজের কাছাকাছি জায়গা থেকে একটি চক্র হাজার হাজার ঘনফুট বালু উত্তোলন করে নিয়ে যাচ্ছে। অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করলেও প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর।
তবে ভূমি কর্মকর্তা বলছেন, অবৈধ বালু উত্তোলনের বিষয়ে তার জানা নাই। আর জেলা প্রশাসক বলছেন, তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বুধবার (১৬ মার্চ) দুপুরে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, জেলা শহরের আটগ্যারী টাঙন নদীর ব্রিজের নিচে প্রায় ২৫টি মাহিন্দ্র গাড়িতে করে বালু নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। আর দুটি ড্রেজার মেশিন বসিয়ে একব্যক্তি তার বাড়ির কাজের জন্য বালু উত্তোলন করছেন। ড্রেজার মেশিনের মাধ্যমে বালু উত্তোলনের ফলে নদীর পাশে সরকারি দপ্তরগুলো আর কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত ব্রিজটি হুমকির মুখে পড়েছে।
লিজ নিয়ে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে এমন তথ্য দিয়ে দিনের পর দিন এ কাজ চালিয়ে যাচ্ছে একটি প্রভাবশালী চক্র। এলাকাবাসী প্রতিবাদ করলে তাদের দেওয়া হচ্ছে হুমকি। বালু উত্তোলনের সরকারি নিয়ম থাকলেও সেটিকে কোনো তোয়াক্কাই করা হচ্ছে না। বরং ইজারা না নিয়েই চলছে এ হরিলুট। এতে সরকার কোটি টাকার রাজস্ব হারাচ্ছে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।
স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, দীর্ঘদিন ধরে একটি সিন্ডিকেট অবৈধভাবে টাঙন নদী থেকে বালু উত্তোলন করে এলেও এরা বরাবরই রয়ে গেছে ধরা-ছোঁয়ার বাইরে। বিষয়টি বার বার প্রশাসনকে জানানো হলেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি। বরং বালু দস্যুরা বেপরোয়াভাবে বালু উত্তোলনের কাজ চালিয়ে আসছে। যে কারণে ভাঙনের কবলে পড়ে নদীর পাড়ের অনেক মানুষ তাদের ঘরবাড়ি, গাছপালা ,জায়গা জমি হারিয়ে একেবারে নিঃস্ব হয়ে যায়।
মুনসুর আলী নামে এক ব্যক্তি বলেন, কয়েক মাস ধরেই একটি চক্র নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছে। যে কারণে নদীর আশপাশে সরকারি ভবনগুলোর ব্যাপক ঝুঁকিতে আছে। যারা এই বালু উত্তোলন করছে, তারা ক্ষমতাবান, ভয়ে কিছু বলতে পারি না। প্রশাসনও তাদের কিছু বলে না।
এ ব্যাপারে ঠাকুরগাঁও পানি উন্নায়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রবিউল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের বিষয়টি আমার জানা নেই।
এমএসপি