বিএনপির কমিটিতে আওয়ামী লীগের সমর্থক!

পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জের মির্জাগঞ্জ ইউনিয়ন বিএনপির কমিটি গঠনে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। যোগ্য নেতা-কর্মীদের বাদ দিয়ে আওয়ামী লীগের সমর্থক, ঢাকায় চাকরি ও ব্যবসা করা লোকদের নিয়ে কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে অভিযোগ স্থানীয় নেতাদের।
জানা যায়, শনিবার (১৫ অক্টোবর) উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক আলহাজ আশরাফ আলী হাওলাদার ও সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ৫ সদস্য বিশিষ্ট মির্জাগঞ্জ ইউনিয়ন বিএনপির আংশিক কমিটি গঠন করা হয়।
স্থানীয় অধিকাংশ ওয়ার্ড নেতাদের অভিযোগ, কমিটির সভাপতি গাজী তোফাজ্জল হোসেন ঢাকার একটি বেসরকারি কোম্পানিতে চাকরি করেন। তিনি মাসে একদিন অথবা দুদিন বাড়িতে আসেন। কমিটির সিনিয়র সহ-সভাপতি সাব্বির হোসেন ইসমাইল মাঝি বিগত ইউপি নির্বাচনে নৌকা প্রার্থীর সমর্থক ছিলেন এবং তার ব্যবহৃত ফেসবুক আইডি থেকে বিভিন্ন সময় দলীয় নেত্রী ও মহাসচিবের আপত্তিকর পোস্ট করা হতো। এতে কর্ণপাত না করেই দলীয় গঠনতন্ত্র পরিপন্থীভাবে উপজেলার আহ্বায়কের ঘনিষ্ট হওয়ায় তাকে ইউনিয়ন বিএনপির সুপার ফাইভে রাখা হয়।
কমিটির ১নং যুগ্ম আহ্বায়ক শামীম গাজী ২০০৪ সালে ফজলে আর্ট গাজীর গরু চুরি করে ধরা পড়ে। সালিশ মীমাংসায় তা প্রমাণিত হলে ঢাকায় পালিয়ে যান তিনি। এরপর আর ইউনিয়নে আসেননি। এখন ঢাকার কামরাঙ্গীচরে স্টুডিওর ব্যবসা করেন এবং ঢাকায় থাকেন। উপজেলা আহ্বায়ক কমিটি গঠন হওয়ার পরে তাকে কখনো আন্দোলন সংগ্রামে দেখা যায়নি। কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক জসিম উদ্দিন হাওলাদার ঢাকা সিটি করপোরেশনে চাকরি করেন।
নেতা-কর্মীদের অভিযোগ, মূলত উপজেলা কাউন্সিলকে সামনে রেখে একক কর্তৃত্ব বাস্তবায়নে বিতর্কিত আওয়ামী লীগ সমর্থকদের দিয়ে কমিটি গঠন করা হয়েছে। স্থানীয় ত্যাগী নেতাদের উপেক্ষা করে সম্পূর্ণ নিজেদের লোক দিয়ে কমিটি গঠন করা হয়।
এসব বিষয়ে অভিযুক্ত নেতারা মুঠোফোনে বলেন, তারেক রহমান লন্ডন থেকে দল পরিচালনা করতে পারলে আমরা ঢাকা থেকেও ইউনিয়নে কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারব।
ফেসবুকে দলীয় সর্বোচ্চ নেতাদের নিয়ে আপত্তিকর ছবি পোস্টের ব্যাপারে সিনিয়র সহ-সভাপতি সাব্বির হোসেন ইসমাইল মাঝিকে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, ভুলবশত শেয়ার করা হয়েছিল।
এ বিষয়ে উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক আলহাজ আশরাফ আলী হাওলাদার বলেন, গরু চুরির বিষয়টি মিথ্যা এবং তারেক রহমান যে বলছেন এলাকায় থেকেই রাজনীতি করতে হবে এটা ভিত্তিহীন।
এ বিষয়ে জানতে জেলা বিএনপির সদস্য সচিব স্নেহাংশু সরকার কুট্টিকে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।
এসজি
