বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪ | ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

সুখে থেকো জারা

আজ থেকে ৯ মাস আগের ঘটনা। ফেসবুকে একটা মেয়ের সাথে পরিচয় হয়! তার নাম জারা (ছদ্মনাম)
তার আসল নাম টা প্রকাশ করতে চাই না। তার সাথে আমার অনেক কথা হতো রাত দিন সব সময়। তার থেকে কখনো আমি তার ছবি চাইনি, সে ইচ্ছে করেই একদিন ছবি দিলো। আস্তে আস্তে ভাল লাগা শুরু হয়। তাকে জিজ্ঞেস করি সে প্রেম করে কি না। সে কিছু না বলে কথা ঘুরিয়ে নিয়ে যায়। আমি আবার জিজ্ঞেস করি। পরে সে জানায় সে প্রেম করে, কিন্তু ছেলে পাকিস্তানের। এটা শুনে আমার অনেক খারাপ লাগলো। তবুও আমি কথা বন্ধ করি নি, তখনো আমাদের কথা চলতেই থাকে। তার পাকিস্তানের বয়ফ্রেন্ড তাকে সময় দেয় না। না না অভিযোগ করতে থাকে আমার কাছে, একদিন দেখি সে খুবই রেগে আছে। জিজ্ঞেস করলাম কি হয়েছে। বলে কিছু না। আবার বললাম কি হয়েছে বলে কিছু না। তার পর হঠাৎ সে বলছে সে ব্রেকআপ করছে পাকিস্তানির সাথে।

আমিঃ কিন্তু কেন?
সেঃ ওরে আমি ব্লক করে দিছি।
আমিঃ কেন কি হয়েছিল?
সেঃ সে অনেক খারাপ ছেলে।
আমিঃ হঠাৎ এ কথা?
সেঃ সে আমাকে ---- ভিডিও দিছে।
আমিঃ----


এভাবে আরো না না অভিযোগ করতে থাকে।
তারপর আস্তে আস্তে সে আমার সাথে প্রেম শুরু করে।
দুজনে অনেক বেশি প্রেম পড়ে যাই। এদিকে জারার একটা বান্ধবী ছিলো, যে জারা কে পাকিস্তানির সাথে প্রেম করিয়ে দিছিলো। তার নাম জান্নাতুল। সে জানে না তার জারা পাকিস্তানির সাথে ব্রেকআপ করে আমার সাথে রিলেশন শুরু করছে। পাকিস্তানি ওই ছেলে জান্নাতুল কে বলে, জারা আমাকে ব্লক করছে। জান্নাতুল জারা কে জিজ্ঞেস করে কেন কি হয়েছে তোদের। জারা বলে আমি তার সাথে রিলেশন করবো না। জান্নাতুল জারা কে অনেক বোঝায়, কিন্তু জারা তখন আমার প্রেমে অন্ধ সে কিছুই বুঝতে চায় না। পরবর্তীতে জান্নাতুল মেনে নেয়, কিন্তু জান্নাতুল জানে না, জারা আমার সাথে প্রেম করছে। কারণ সে এটা মানবে না। জান্নাতুলের সাথেও আমার ফেসবুকে বন্ধুত্ব ছিলো। সে ও অনেক কথা বলতো আমার সাথে। ধীরে ধীরে জারা জান্নাতুল কে সব বলে দেয় আমার আর জারার বিষয়ে। জান্নাতুল প্রথমে না মানলেও পরে মেনে নেয়।
ধীরে ধীরে জারার সব বান্ধবী রা জানতে পারে আমার কথা। সবাই দেখি আমাকে ফ্রেন্ড রিকুয়েষ্ট দিচ্ছে জারা কে জিজ্ঞেস করে সবাই কে এড করি। এভাবে খুব ভালো চলছিল আমাদের সম্পর্ক। খুব দুষ্ট মিষ্টি ঝগড়া। আদর ভালবাসা । একদিন রাতে জারা জানায় তার বেষ্টফ্রেন্ড জান্নাতুলের কাল জন্মদিন, জান্নাতুলের জন্মদিন আর জারার গিফ্ট হিসেবে পরের দিন তাদের বিকাশে ১০২০ টাকা পাঠাই, এবং জান্নাতুল কে একটা টেডি বিয়ার আর জারার একটা টেডিবিয়ার কেনার জন্য। তারা অনেক খুশি হয়। জানিনা তারা কি কিনছিলো।

হঠাৎ একদিন......

আমি জানতে পারি আমার পরিবার আমার বিয়ে ঠিক করেছে। সেই বিয়ে করলে মেয়ের বাবা আমাকে সরকারি চাকরি নিয়ে দিবে। আর আমার স্বপ্ন ছিলো এটা। বাবার ও স্বপ্ন ছিলো। কিন্তু আমরা মধ্যবিত্ত। আমি যখন জানতে পারি বিয়ের বিষয়ে, তখন জারা কে জানাই। জারা খুব কান্না শুরু করে। অনেক পাগলামি করতে থাকে। সম্পর্কে হঠাৎ অশান্তি চলে আসে। দুজনে কখন খাই কখন খাই না কিছু ঠিক নেই। সব এলোমেলো হয়ে গেলো। এর মাঝে জারার বান্ধবী রা আমাকে মেসেজ দিয়ে বলে ভাইয়া আপনাকে ভাল ভাবতাম আপনি জারা কষ্ট দেন কেন। কিন্তু তারা জানে না আমার বিয়ের বিষয়ে। তারা ভাবছে আমি জারার সাথে ঝগড়া করছি। এর মাঝে জারা আবার হাত কাটে। এটা দেখে তার বান্ধবী, জান্নাতুল সবাই খুব রেগে যায় আমার উপর।

কি করবো কোন কিছুই আমি বুঝতে পারছি না। একদিকে পরিবারের বিয়ের চাপ। অন্য দিকে জারার ভালবাসা। জারা কে আমি সত্যি অনেক ভালবাসি, অনেক অনেক বেশি। কেউ কল্পনাও করতে পারবে না এত ভালবাসি , জারা কান্না করে আর আমাকে বলে তুমি এ বিয়ে করো না আমি মরে যাবো। আমি সুইসাইড করবো দেখো হাত কাটছি। পরে আমি আমার স্বপ্নের ভবিষ্যৎের কথা ভুলে গিয়ে পরিবারের কথার বাইরে গিয়ে জারা কে কথা দেই আমি শুধু জারা কেই বিয়ে করবো আর কাউকে না। জারা এটা শুনে খুব খুশি হয়। পরে সেও প্রমিস করে সে শুধু আমারি হবে আর কারো না। এবং কসম করে বলে।

এদিকে আমার বাবা ওই মেয়ের বাবার সাথে বিয়ে কথা পাকা করে ফেলেছিলো। যখন আমি পরিবারে যানাই আমি এ বিয়ে করবো না। চাকরি চাই না। বাবা খুব রেগে যায়। পরিবারের অশান্তি শুরু হয়। এত অশান্তির মাঝে মা অসুস্থ হয়ে যায়। পরিবারের সবাই আমাকে জিজ্ঞেস করে কেন আমি বিয়ে করতে চাই না। আমি তাদের কিছু উত্তর দিতে পারি না। পরিবারের সবাই আমার উপর খুব রেগে যায়।
এদিকে জারার সাথে সব ঠিক ঠাক সুন্দর আবার আগের মতো৷ তার সাথে আবার সুন্দর সময় কাটে।
কিছুদিন কেটে যায় এভাবেই ৫ মাস পার হয়ে যায় আমাদের রিলেশনের।

হঠাৎ একদিন

জারার পরিবার সব জেনে যায়, আমাদের প্রেমের সম্পর্কে।
জারা তার মা আর ভাইয়ের সামনে বসে লাউডস্পিকার দিয়ে আমাকে কল দেয়৷ আমি কল রিসিভ করি। হঠাৎ শুনতে পাই জারা কান্না করছে। আমি বলি কি হয়েছে কান্না করছো কেন? সে বলে তার পরিবার সব জেনে গেছে। নাও তুমি মায়ের সাথে কথা বলো তার মায়ের সাথে কথা বলি আমি, তার মা আমাকে বলে আমি যেন জারা কে আর কল না দেই, আর জারার সব ছবি যেন ডিলিট করে দেই। এর মাঝে জারা বড় ভাই, জারার মায়ের থেকে ফোন নিয়ে আমার সাথে কথা বলে, জারা বড় ভাই আমাকে জিজ্ঞেস করে আমার বাড়ি কোথায় কি করি, আমি সব উত্তর দেই। সে বলে তার সাথে যেন ঢাকা দেখা করি। নইতো এখনি যেন জারা ওখানে গিয়ে জারা কে নিয়ে চলে আসি, জারা কে তারা আর পরিবারের রাখবে না। জারা পাশে কান্না করছে আমি শুনতে পাচ্ছিলাম। আমার চোখ দিয়ে শুধু পানি পড়ছিলো আমার এখনো মনে আছে সন্ধ্যা বেলা তখন রাস্তার পাশে বসে একা একা কানে ফোন ধরে চোখের পানি মুছছিলাম। অনেক ক্ষন ওদের সাথে কথা হয় । তারপর জারাকে দেয়। জারা আমি জানাই তুমি কান্না করো না। তোমার কান্না আমি সহ্য করতে পারছি না। জারা কে বলি তোমার পাশে কেউ না থাকলেও আমি আছি। জারা ফোন কেটে দেয়। তারপর জারার ভাই জারার ফোন ভেঙে ফেলে, তার অনেক অনেক মারধর করে। জারার স্কুল প্রাইভেট সব বন্ধ করে দেয়৷

তারপর অনেক দিন আমাদের কথা হয় না। ওর বান্ধবী দের থেকে খোজ নেওয়ার চেষ্টা করি, কেউ কিছু জানে না। ভয়ে কেউ ওদের বাড়িতেও যায় না। পরে জান্নাতুল কে বলি, জান্নাতুল তার বাড়ির পাশের ছিলো সে গিয়ে খোঁজ খবর নিয়ে আমাকে জানায়, জারা এখন ঠিক আছে। আমি জারা কে অনেক মিস করতে থাকি। সব সময় চিন্তা হতো ওর জন্য।

আস্তে আস্তে ওর পরিবার জারা কে প্রাইভেটে যেতে দেয়। কিন্তু বলে দেয় আমার সাথে যেন কথা না বলে, তবুও জারা রাতে বসে বসে খাতায় লিখতো, চিঠি হিসেবে সেটা পড়তে গিয়ে তার বান্ধবীদের দিতো, তার বান্ধবী রা ছবি তুলে আমাকে দিতো, আমি পড়ে উত্তর দিতাম সেই সব কথা জারা কে বলতো এভাবে এক মাস চলতে থাকে আস্তে আস্তে তার চিঠি আসা বন্ধ হয়ে যায়। তার বান্ধবী দের থেকে শুধু জানতাম সে ভাল আছে হাসি খুশি আছে। এর মাঝে হঠাৎ একদিন আমার মা আমার পরিবারের এসব চিন্তা করতে করতে হার্ট অ্যাটাক করে। মাকে নিয়ে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করি। মায়ের কোন ঙান নেই। সারাদিন সারারাত মায়ের পাশে। একদিকে মায়ের চিন্তা অন্য দিকে জারার কথা খুব মনে পড়ছে ওর সাথে কষ্ট গুলো শেয়ার করার জন্য খুব ইচ্ছে করছিলো।

কিন্তু কি করার কথা বলা তো সম্ভব নয়। কিছু দিন পরে মা কে নিয়ে বাসায় আসি। মা একটু সুস্থ হয় তবে বিছানা থেকে উঠতে পারে না। এদিকে জারারও কোন খোঁজ পাই না। জারার এক বন্ধবির থেকে জানতে পারলাম, জান্নাতুল নাকি, জারা থেকে আমাকে দুরে রাখতে চায়। আমার নামে না না খারাপ কথা জারা কে বলতে থাকে। জারাও আস্তে আস্তে দুরে সরে যায়। জারার সাথে অনেক কথা বলতে ইচ্ছে করে। তখন আমি এক নাটক করি, আমার খালাতো বোনের হাতে আমার হাত দিয়ে একটা ছবি তুলে স্টোরি দেই, যেন জারার বান্ধবীরা গিয়ে জারা কে জানায়, আর জারা রেগে যেন আমাকে একটু হলেও বকা দিতেও কল করে। কিন্তু সে কিছুই করে নি।

এখন জারার পরিবারে সব ঠিক হয়ে গেছে জারা কে ফোন কিনে দিছে জারা নতুন ফেসবুক একাউন্ট খুলেছে, জারার এক বান্ধবী আমাকে জানায়, কিন্তু জান্নাতুলের কাছে পাসওয়ার্ড আছে। জান্নাতুল নিষেধ করছে তাই জারা আমার সাথে কথা বলে না। আমি জারা কে ফ্রেন্ডরিকুয়েষ্ট দেই। জারা ব্লক করে দেয়। আস্তে আস্তে, জারার সব বান্ধবী আমাকে ব্লক করে দেয়। গত কাল আমার জন্মদিন ছিলো, সকল বন্ধু বান্ধব জন্মদিনের উইস করলো কিন্তু মনে বিন্দু মাত্র শান্তি নেই। জারা একবারও আমার সাথে কথা বললো না। একটা মেসেজও দিলো না। সারাদিন তার উইসের অপেক্ষায় ছিলাম। সে কোন মেসেজ দেই নি। এখন একা একা অন্ধকার ঘরে শুয়ে আছি চোখ দিয়ে পানি পড়ছে কান্না করতে পারছি না। পারিবারের কাছে খারাপ হলাম আমি, জারা দুরে চলে। কই গেল তার কসম? দুনিয়ার প্রতি থেকে বিশ্বাস টা হারিয়ে গেলো দুনিয়ায় থাকতে আর কারো ইচ্ছেই করে না। মায়ের অবস্থা আজ জারার জন্য । আমার পরিবারের অশান্তি আজ তার জন্য, কিন্তু সে আমাকে ভুলে অনেক শান্তি তে আছে। এই দুনিয়ায় আমার কষ্ট গুলো বলার মতো একটা মানুষ নাই। আমার দুই কূলই হারিয়ে আমি এখন শুন্য। বেঁচে থাকার আর ইচ্ছেও করে না।
কষ্ট গুলো বলার মতো কেউ নাই, তাই অন্ধকার রুমে একা একা শুয়ে শুয়ে কষ্ট গুলো লিখলাম৷ হইতো তাকে আর কখনো পাবো না, তার কন্ঠ টা আর কখনো শুনতে পাবো। তার সাথে আর কোন দিন ঝগড়া করতে পারবো না। এগুলো ভাবলেই বুক টা ফেটে যাচ্ছে।

কান্না করছি আর লিখছি আসলে লিখে কখনো মনের কষ্ট বোঝানো যায় না। জানতে পেরেছি জারার নাকি বিয়ের কথা চলছে, সে এখন মহা খুশিতে আছে। তার নতুন জীবনের জন্য আমার শুভ কামনা রইলো। সে যেন সব সময় ভাল থাকে। জারা তুমি যদি কখনো লিখা টা দেখো, তখন যদি আমি দুনিয়ায় না থাকি। আমাকে মাফ করে দিও। অনেক ঝগড়া করছি। কষ্ট দিছি। আমার ভুলটা কি ছিলো একবার বলেও গেলে না। যাই হোক সুখে থেকো।

ডিএসএস/

Header Ad

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

ছবি: সংগৃহীত

দেশের জনপ্রিয় নির্মাতা আশফাক নিপুন। কাজের পাশাপাশি সামাজিক মাধ্যমেও বেশ সরব তিনি। কথা বলেন নানা ইস্যু নিয়ে। সেই ধারাবাহিকতায় সরকার পতনের পর অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠনেও বিভিন্ন সময় নিজের আকাঙ্ক্ষা, প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন। পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশ্যেও বিভিন্ন বার্তা দিয়েছেন। এবার এমনি একটি বার্তায় দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি জনগনের আস্থার বিষয়ে আক্ষেপ জানালেন এই নির্মাতা।

বুধবার (২০ নভেম্বর) আশফাক নিপুন তার ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে লেখেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সর্বস্তরের ছাত্র এবং সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছিল, বাসায় বসে বসে দোয়া করেছিল, যার যা সামর্থ্য দিয়ে সহায়তা করেছিল। কারণ, তারা দেখেছিল লড়াইটা আওয়ামী ফ্যাসিস্ট শাসক বনাম সাধারণ ছাত্র-জনতার। এটাও অস্বীকার করার কোনো উপায় নাই যে এই আন্দোলন বেগবান করতে বিরোধী সকল দলের কর্মীদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। তাদের সংগ্রামও গত দেড় দশকের। কিন্তু এটা যদি শুধুমাত্র রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যকার লড়াই হতো তাহলে সাধারণ মানুষ এই লড়াই থেকে দূরে থাকত। সেই প্রমাণ বিগত ১৫ বছরে আছে।

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

কারণ হিসেবে তিনি বলেন, দেশের সাধারণ মানুষ এখনো দেশের কোনো রাজনৈতিক দলকেই পুরোপুরি বিশ্বাস করতে পারে না। এটাই বাস্তবতা। এই বাস্তবতা মেনে সকল রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত কীভাবে সাধারণ জনগণের ভেতর নিজের দলের প্রতি আস্থা তৈরি করা যায় সেই বিষয়ে নিরলস কাজ করা। এই আস্থা ক্ষমতায় গিয়ে অর্জন করা সম্ভব না। কারণ, সাধারণ মানুষ আজীবন এস্টাবলিশমেন্টের বিপক্ষে। এই আস্থা অর্জন করতে হয় ক্ষমতা বলয়ের বাইরে থেকেই।

নিপুন আরও লিখেন, অরাজনৈতিক সরকার দিয়ে দীর্ঘদিন দেশ চালানো যেমন কাজের কথা না ঠিক তেমনি রাজনৈতিক সরকার হতে চাওয়া সকল রাজনৈতিক দলগুলোর বোঝা উচিত মুক্তিযুদ্ধের পরে বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় গণঅভ্যুত্থান সংগঠিত হয়েছে সকল প্রকার পূর্বানুমান (যেমন- বর্ষাকালে আন্দোলন হয় না, নির্বাচনের আগেই কেবল জোরেশোরে আন্দোলন হয়, ঘোষণা দিয়ে বিরোধী সকল পক্ষ আন্দোলনে শামিল না হলে সফল হয় না) অগ্রাহ্য করেই। সেটা সম্ভব হয়েছে সাধারণ মানুষের ন্যায্যতার আকাঙ্ক্ষা থেকেই।

সবশেষ এই নির্মাতা লিখেছেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষার দুই পয়সার দাম দেন নাই। সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষা, ইচ্ছা আর দেশপ্রেমকে পুঁজি করে অরাজনৈতিক এবং রাজনৈতিক যারাই রাজনীতি রাজনীতি খেলতে চাইবে, তাদের দশাও কোন একসময় যেন পলাতক শেখ হাসিনার মতো না হয়, সেই বিষয় নিশ্চিত করতে হবে তাদেরকেই।

Header Ad

‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা

ফাইল ছবি

জুলাই-আগস্টের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে ঢাকা সেনানিবাসের সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবস ২০২৪ উপলক্ষে আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে দেওয়া বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, জুলাই-আগস্ট ছাত্র জনতার বিপ্লবের মধ্যে দিয়ে আমরা নতুন বাংলাদেশের সূচনা করেছি। এ নতুন দেশে আমাদের দায়িত্ব সকল মানুষকে এক বৃহত্তর পরিবারের বন্ধনে আবদ্ধ করা। কেউ কারো উপরে না, আবার কেউ কারো নিচেও না, এই ধারণা আমরা আমাদের জাতীয় জীবনে প্রতিষ্ঠিত করতে চাই।

তিনি বলেন, নতুন বাংলাদেশ গড়ার যে সুযোগ ছাত্র-জনতার সাহস ও আত্মত্যাগের বিনিময়ে সম্প্রতি আমরা অর্জন করেছি, সেটাকে কাজে লাগিয়ে আমাদের সুন্দর ও সমৃদ্ধশালী ভবিষ্যৎ গড়তে হবে। বীর মুক্তিযোদ্ধা, শহিদ, আহত এবং জীবিত ছাত্র-জনতার কাছে আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ থাকতে চাই। যে সুযোগ তারা আমাদের দিয়েছে, তার মাধ্যমে আমাদের দেশকে পৃথিবীর সামনে একটি দৃষ্টান্ত স্থাপনকারী দেশে পরিণত করতে আমরা শপথ নিয়েছি।

তিনি আরও বলেন, ছাত্র আন্দোলনে জীবন উৎসর্গ করে যারা দেশ গঠনের সুযোগ করে দিয়েছে জাতি তাদের সারা জীবন শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করবে।

বক্তব্য শেষে সেনা কর্মকর্তাদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন প্রধান উপদেষ্টা। পরে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।

Header Ad

নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু

ছবি: সংগৃহীত

নওগাঁ শহরে যানযট নিরসন ও শৃঙ্খলা ফেরাতে জেলা প্রশাসন, পুলিশ, পৌর কর্তৃপক্ষ ও রিকশা মালিক-শ্রমিকদের যৌথ উদ্যোগে বিশেষ অভিযান শুরু হয়েছে। এতে শহরে শৃঙ্খলা ফিরবে বলে আশাবাদ ব্যাক্ত করেছেন স্থানীয় কর্মকর্তারা।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) অভিযানের উদ্বোধন করেন নওগাঁ পৌরসভার প্রশাসক ও স্থানীয় সরকারের উপ পরিচালক টি.এম.এ মমিন। এ সময় নওগাঁ জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট জিয়া উদ্দিন, নওগাঁ পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী সাজ্জাদ হোসেন, নওগাঁ জেলা ট্রাফিক পুলিশের পরিদর্শক আফজাল হোসেন ও অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।

অভিযান শুরুর পর থেকেই শহরের বরুনকান্দি, মশরপুর, তাজের মোড় ও কালীতলাসহ মোট ৮ টি প্রবেশদ্বারে চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। চেক পোষ্টগুলোতে ২ জন পুলিশ সদস্য, ২ জন ছাত্র সমন্বয়ক, ৪ জন রোভার স্কাউট সদস্য ও ২ জন রিকশা মালিক শ্রমিক প্রতিনিধিসহ মোট ১২ জন করে কাজ করছেন।

পৌর প্রশাসক জানান, নওগাঁ শহরে বৈধ যানবাহনের সংখ্যা ৪ হাজার। কিন্তু প্রতিদিন পার্শবতী বিভিন্ন এলাকা থেকে অন্তত ১০ হাজার রিকশা, ব্যাটারী চালিত অটো রিকশা ও ইজিবাইক শহরে প্রবেশ করে। এতে তীব্র যানযট ও জন মানুষের ভোগান্তি তৈরী হয়। এই দূর্ভোগ লাঘোবে জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ আব্দুল আউয়াল ও পুলিশ সুপার কুতুব উদ্দিনের দিক নির্দেশনায় যানবাহন নিয়ন্ত্রনসহ বিশেষ অভিযানের সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হয়। বৈধ চালকদের চিহ্নিত করতে তাদের মাঝে পরিধেয় বিশেষ ধরনের জ্যাকেট প্রদান করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

নওগাঁর পুলিশ সুপার কুতুব উদ্দিন বলেন, নওগাঁ শহরের যানযট দীর্ঘদিনের সমস্যা। পরিকল্পিত ভাবে এই সমস্যা দূর করতে জেলা প্রশাসন ও পুলিশ বিভাগের উদ্যোগে পৌর কর্তৃপক্ষ ও রিকশা মালিক শ্রমিক নেতৃবৃন্দদের সমন্বয়ে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে স্থানীয় বাসিন্দা ও বিভিন্ন ষ্টেক হোল্ডারদের পরামর্শ নিয়ে একটি কর্ম পরিকল্পনা গ্রহক করা হয়েছে।

এ বিষয়ে নওগাঁর জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ আব্দুল আউয়াল বলেন, অভিযান সফল ভাবে বাস্তবায়ন হলে শহরে শৃঙ্খলা ফিরে আসবে। জনগন এর সুফল পাবেন। সকলকে এই কার্যক্রমে সহযোগিতা প্রদানের আহবান জানান তিনি।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’
‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা
নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু
২০২৬ সালের মাঝামাঝিতে নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত
সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে খালেদা জিয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ৫ জনকে রোবটিক হাত উপহার
সেনাকুঞ্জের পথে খালেদা জিয়া
সুযোগ পেলে শেখ হাসিনার পক্ষে মামলায় লড়ব: জেড আই খান পান্না
নির্বাচন কমিশন গঠন, সিইসি হলেন অবসরপ্রাপ্ত সচিব নাসির উদ্দীন
ডিএনএ টেস্টের ফলাফল: ভিনিসিয়ুসের পূর্বপুরুষ ছিলেন ক্যামেরুনের
জামিন পেলেন সাংবাদিক শফিক রেহমান
বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে আসা সেই শাহজাহান ওমর গ্রেপ্তার
মিরপুর ও মহাখালীতে অটোরিকশা চালকদের সেনাবাহিনীর ধাওয়া
‘শেখ হাসিনা এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী’, এমন কথা বলেননি ট্রাম্প
লেবাননে ৮ শতাধিক ইসরায়েলি সেনা নিহত
ভারতে সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরল ২৪ বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরী
ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে অবরোধ করে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের বিক্ষোভ
গাজায় ইসরায়েলের হামলায় আরও ৮৮ ফিলিস্তিনি নিহত
সাবেক এমপি শাহজাহান ওমরের বাড়িতে হামলা-ভাঙচুর
১২ বছর পর সেনাকুঞ্জে যাচ্ছেন খালেদা জিয়া