শুক্রবার, ৩ জানুয়ারি ২০২৫ | ১৯ পৌষ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

সুখে থেকো জারা

আজ থেকে ৯ মাস আগের ঘটনা। ফেসবুকে একটা মেয়ের সাথে পরিচয় হয়! তার নাম জারা (ছদ্মনাম)
তার আসল নাম টা প্রকাশ করতে চাই না। তার সাথে আমার অনেক কথা হতো রাত দিন সব সময়। তার থেকে কখনো আমি তার ছবি চাইনি, সে ইচ্ছে করেই একদিন ছবি দিলো। আস্তে আস্তে ভাল লাগা শুরু হয়। তাকে জিজ্ঞেস করি সে প্রেম করে কি না। সে কিছু না বলে কথা ঘুরিয়ে নিয়ে যায়। আমি আবার জিজ্ঞেস করি। পরে সে জানায় সে প্রেম করে, কিন্তু ছেলে পাকিস্তানের। এটা শুনে আমার অনেক খারাপ লাগলো। তবুও আমি কথা বন্ধ করি নি, তখনো আমাদের কথা চলতেই থাকে। তার পাকিস্তানের বয়ফ্রেন্ড তাকে সময় দেয় না। না না অভিযোগ করতে থাকে আমার কাছে, একদিন দেখি সে খুবই রেগে আছে। জিজ্ঞেস করলাম কি হয়েছে। বলে কিছু না। আবার বললাম কি হয়েছে বলে কিছু না। তার পর হঠাৎ সে বলছে সে ব্রেকআপ করছে পাকিস্তানির সাথে।

আমিঃ কিন্তু কেন?
সেঃ ওরে আমি ব্লক করে দিছি।
আমিঃ কেন কি হয়েছিল?
সেঃ সে অনেক খারাপ ছেলে।
আমিঃ হঠাৎ এ কথা?
সেঃ সে আমাকে ---- ভিডিও দিছে।
আমিঃ----


এভাবে আরো না না অভিযোগ করতে থাকে।
তারপর আস্তে আস্তে সে আমার সাথে প্রেম শুরু করে।
দুজনে অনেক বেশি প্রেম পড়ে যাই। এদিকে জারার একটা বান্ধবী ছিলো, যে জারা কে পাকিস্তানির সাথে প্রেম করিয়ে দিছিলো। তার নাম জান্নাতুল। সে জানে না তার জারা পাকিস্তানির সাথে ব্রেকআপ করে আমার সাথে রিলেশন শুরু করছে। পাকিস্তানি ওই ছেলে জান্নাতুল কে বলে, জারা আমাকে ব্লক করছে। জান্নাতুল জারা কে জিজ্ঞেস করে কেন কি হয়েছে তোদের। জারা বলে আমি তার সাথে রিলেশন করবো না। জান্নাতুল জারা কে অনেক বোঝায়, কিন্তু জারা তখন আমার প্রেমে অন্ধ সে কিছুই বুঝতে চায় না। পরবর্তীতে জান্নাতুল মেনে নেয়, কিন্তু জান্নাতুল জানে না, জারা আমার সাথে প্রেম করছে। কারণ সে এটা মানবে না। জান্নাতুলের সাথেও আমার ফেসবুকে বন্ধুত্ব ছিলো। সে ও অনেক কথা বলতো আমার সাথে। ধীরে ধীরে জারা জান্নাতুল কে সব বলে দেয় আমার আর জারার বিষয়ে। জান্নাতুল প্রথমে না মানলেও পরে মেনে নেয়।
ধীরে ধীরে জারার সব বান্ধবী রা জানতে পারে আমার কথা। সবাই দেখি আমাকে ফ্রেন্ড রিকুয়েষ্ট দিচ্ছে জারা কে জিজ্ঞেস করে সবাই কে এড করি। এভাবে খুব ভালো চলছিল আমাদের সম্পর্ক। খুব দুষ্ট মিষ্টি ঝগড়া। আদর ভালবাসা । একদিন রাতে জারা জানায় তার বেষ্টফ্রেন্ড জান্নাতুলের কাল জন্মদিন, জান্নাতুলের জন্মদিন আর জারার গিফ্ট হিসেবে পরের দিন তাদের বিকাশে ১০২০ টাকা পাঠাই, এবং জান্নাতুল কে একটা টেডি বিয়ার আর জারার একটা টেডিবিয়ার কেনার জন্য। তারা অনেক খুশি হয়। জানিনা তারা কি কিনছিলো।

হঠাৎ একদিন......

আমি জানতে পারি আমার পরিবার আমার বিয়ে ঠিক করেছে। সেই বিয়ে করলে মেয়ের বাবা আমাকে সরকারি চাকরি নিয়ে দিবে। আর আমার স্বপ্ন ছিলো এটা। বাবার ও স্বপ্ন ছিলো। কিন্তু আমরা মধ্যবিত্ত। আমি যখন জানতে পারি বিয়ের বিষয়ে, তখন জারা কে জানাই। জারা খুব কান্না শুরু করে। অনেক পাগলামি করতে থাকে। সম্পর্কে হঠাৎ অশান্তি চলে আসে। দুজনে কখন খাই কখন খাই না কিছু ঠিক নেই। সব এলোমেলো হয়ে গেলো। এর মাঝে জারার বান্ধবী রা আমাকে মেসেজ দিয়ে বলে ভাইয়া আপনাকে ভাল ভাবতাম আপনি জারা কষ্ট দেন কেন। কিন্তু তারা জানে না আমার বিয়ের বিষয়ে। তারা ভাবছে আমি জারার সাথে ঝগড়া করছি। এর মাঝে জারা আবার হাত কাটে। এটা দেখে তার বান্ধবী, জান্নাতুল সবাই খুব রেগে যায় আমার উপর।

কি করবো কোন কিছুই আমি বুঝতে পারছি না। একদিকে পরিবারের বিয়ের চাপ। অন্য দিকে জারার ভালবাসা। জারা কে আমি সত্যি অনেক ভালবাসি, অনেক অনেক বেশি। কেউ কল্পনাও করতে পারবে না এত ভালবাসি , জারা কান্না করে আর আমাকে বলে তুমি এ বিয়ে করো না আমি মরে যাবো। আমি সুইসাইড করবো দেখো হাত কাটছি। পরে আমি আমার স্বপ্নের ভবিষ্যৎের কথা ভুলে গিয়ে পরিবারের কথার বাইরে গিয়ে জারা কে কথা দেই আমি শুধু জারা কেই বিয়ে করবো আর কাউকে না। জারা এটা শুনে খুব খুশি হয়। পরে সেও প্রমিস করে সে শুধু আমারি হবে আর কারো না। এবং কসম করে বলে।

এদিকে আমার বাবা ওই মেয়ের বাবার সাথে বিয়ে কথা পাকা করে ফেলেছিলো। যখন আমি পরিবারে যানাই আমি এ বিয়ে করবো না। চাকরি চাই না। বাবা খুব রেগে যায়। পরিবারের অশান্তি শুরু হয়। এত অশান্তির মাঝে মা অসুস্থ হয়ে যায়। পরিবারের সবাই আমাকে জিজ্ঞেস করে কেন আমি বিয়ে করতে চাই না। আমি তাদের কিছু উত্তর দিতে পারি না। পরিবারের সবাই আমার উপর খুব রেগে যায়।
এদিকে জারার সাথে সব ঠিক ঠাক সুন্দর আবার আগের মতো৷ তার সাথে আবার সুন্দর সময় কাটে।
কিছুদিন কেটে যায় এভাবেই ৫ মাস পার হয়ে যায় আমাদের রিলেশনের।

হঠাৎ একদিন

জারার পরিবার সব জেনে যায়, আমাদের প্রেমের সম্পর্কে।
জারা তার মা আর ভাইয়ের সামনে বসে লাউডস্পিকার দিয়ে আমাকে কল দেয়৷ আমি কল রিসিভ করি। হঠাৎ শুনতে পাই জারা কান্না করছে। আমি বলি কি হয়েছে কান্না করছো কেন? সে বলে তার পরিবার সব জেনে গেছে। নাও তুমি মায়ের সাথে কথা বলো তার মায়ের সাথে কথা বলি আমি, তার মা আমাকে বলে আমি যেন জারা কে আর কল না দেই, আর জারার সব ছবি যেন ডিলিট করে দেই। এর মাঝে জারা বড় ভাই, জারার মায়ের থেকে ফোন নিয়ে আমার সাথে কথা বলে, জারা বড় ভাই আমাকে জিজ্ঞেস করে আমার বাড়ি কোথায় কি করি, আমি সব উত্তর দেই। সে বলে তার সাথে যেন ঢাকা দেখা করি। নইতো এখনি যেন জারা ওখানে গিয়ে জারা কে নিয়ে চলে আসি, জারা কে তারা আর পরিবারের রাখবে না। জারা পাশে কান্না করছে আমি শুনতে পাচ্ছিলাম। আমার চোখ দিয়ে শুধু পানি পড়ছিলো আমার এখনো মনে আছে সন্ধ্যা বেলা তখন রাস্তার পাশে বসে একা একা কানে ফোন ধরে চোখের পানি মুছছিলাম। অনেক ক্ষন ওদের সাথে কথা হয় । তারপর জারাকে দেয়। জারা আমি জানাই তুমি কান্না করো না। তোমার কান্না আমি সহ্য করতে পারছি না। জারা কে বলি তোমার পাশে কেউ না থাকলেও আমি আছি। জারা ফোন কেটে দেয়। তারপর জারার ভাই জারার ফোন ভেঙে ফেলে, তার অনেক অনেক মারধর করে। জারার স্কুল প্রাইভেট সব বন্ধ করে দেয়৷

তারপর অনেক দিন আমাদের কথা হয় না। ওর বান্ধবী দের থেকে খোজ নেওয়ার চেষ্টা করি, কেউ কিছু জানে না। ভয়ে কেউ ওদের বাড়িতেও যায় না। পরে জান্নাতুল কে বলি, জান্নাতুল তার বাড়ির পাশের ছিলো সে গিয়ে খোঁজ খবর নিয়ে আমাকে জানায়, জারা এখন ঠিক আছে। আমি জারা কে অনেক মিস করতে থাকি। সব সময় চিন্তা হতো ওর জন্য।

আস্তে আস্তে ওর পরিবার জারা কে প্রাইভেটে যেতে দেয়। কিন্তু বলে দেয় আমার সাথে যেন কথা না বলে, তবুও জারা রাতে বসে বসে খাতায় লিখতো, চিঠি হিসেবে সেটা পড়তে গিয়ে তার বান্ধবীদের দিতো, তার বান্ধবী রা ছবি তুলে আমাকে দিতো, আমি পড়ে উত্তর দিতাম সেই সব কথা জারা কে বলতো এভাবে এক মাস চলতে থাকে আস্তে আস্তে তার চিঠি আসা বন্ধ হয়ে যায়। তার বান্ধবী দের থেকে শুধু জানতাম সে ভাল আছে হাসি খুশি আছে। এর মাঝে হঠাৎ একদিন আমার মা আমার পরিবারের এসব চিন্তা করতে করতে হার্ট অ্যাটাক করে। মাকে নিয়ে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করি। মায়ের কোন ঙান নেই। সারাদিন সারারাত মায়ের পাশে। একদিকে মায়ের চিন্তা অন্য দিকে জারার কথা খুব মনে পড়ছে ওর সাথে কষ্ট গুলো শেয়ার করার জন্য খুব ইচ্ছে করছিলো।

কিন্তু কি করার কথা বলা তো সম্ভব নয়। কিছু দিন পরে মা কে নিয়ে বাসায় আসি। মা একটু সুস্থ হয় তবে বিছানা থেকে উঠতে পারে না। এদিকে জারারও কোন খোঁজ পাই না। জারার এক বন্ধবির থেকে জানতে পারলাম, জান্নাতুল নাকি, জারা থেকে আমাকে দুরে রাখতে চায়। আমার নামে না না খারাপ কথা জারা কে বলতে থাকে। জারাও আস্তে আস্তে দুরে সরে যায়। জারার সাথে অনেক কথা বলতে ইচ্ছে করে। তখন আমি এক নাটক করি, আমার খালাতো বোনের হাতে আমার হাত দিয়ে একটা ছবি তুলে স্টোরি দেই, যেন জারার বান্ধবীরা গিয়ে জারা কে জানায়, আর জারা রেগে যেন আমাকে একটু হলেও বকা দিতেও কল করে। কিন্তু সে কিছুই করে নি।

এখন জারার পরিবারে সব ঠিক হয়ে গেছে জারা কে ফোন কিনে দিছে জারা নতুন ফেসবুক একাউন্ট খুলেছে, জারার এক বান্ধবী আমাকে জানায়, কিন্তু জান্নাতুলের কাছে পাসওয়ার্ড আছে। জান্নাতুল নিষেধ করছে তাই জারা আমার সাথে কথা বলে না। আমি জারা কে ফ্রেন্ডরিকুয়েষ্ট দেই। জারা ব্লক করে দেয়। আস্তে আস্তে, জারার সব বান্ধবী আমাকে ব্লক করে দেয়। গত কাল আমার জন্মদিন ছিলো, সকল বন্ধু বান্ধব জন্মদিনের উইস করলো কিন্তু মনে বিন্দু মাত্র শান্তি নেই। জারা একবারও আমার সাথে কথা বললো না। একটা মেসেজও দিলো না। সারাদিন তার উইসের অপেক্ষায় ছিলাম। সে কোন মেসেজ দেই নি। এখন একা একা অন্ধকার ঘরে শুয়ে আছি চোখ দিয়ে পানি পড়ছে কান্না করতে পারছি না। পারিবারের কাছে খারাপ হলাম আমি, জারা দুরে চলে। কই গেল তার কসম? দুনিয়ার প্রতি থেকে বিশ্বাস টা হারিয়ে গেলো দুনিয়ায় থাকতে আর কারো ইচ্ছেই করে না। মায়ের অবস্থা আজ জারার জন্য । আমার পরিবারের অশান্তি আজ তার জন্য, কিন্তু সে আমাকে ভুলে অনেক শান্তি তে আছে। এই দুনিয়ায় আমার কষ্ট গুলো বলার মতো একটা মানুষ নাই। আমার দুই কূলই হারিয়ে আমি এখন শুন্য। বেঁচে থাকার আর ইচ্ছেও করে না।
কষ্ট গুলো বলার মতো কেউ নাই, তাই অন্ধকার রুমে একা একা শুয়ে শুয়ে কষ্ট গুলো লিখলাম৷ হইতো তাকে আর কখনো পাবো না, তার কন্ঠ টা আর কখনো শুনতে পাবো। তার সাথে আর কোন দিন ঝগড়া করতে পারবো না। এগুলো ভাবলেই বুক টা ফেটে যাচ্ছে।

কান্না করছি আর লিখছি আসলে লিখে কখনো মনের কষ্ট বোঝানো যায় না। জানতে পেরেছি জারার নাকি বিয়ের কথা চলছে, সে এখন মহা খুশিতে আছে। তার নতুন জীবনের জন্য আমার শুভ কামনা রইলো। সে যেন সব সময় ভাল থাকে। জারা তুমি যদি কখনো লিখা টা দেখো, তখন যদি আমি দুনিয়ায় না থাকি। আমাকে মাফ করে দিও। অনেক ঝগড়া করছি। কষ্ট দিছি। আমার ভুলটা কি ছিলো একবার বলেও গেলে না। যাই হোক সুখে থেকো।

ডিএসএস/

Header Ad
Header Ad

মধ্যরাতে ডাকসু নিয়ে উত্তাল ঢাবি, শিক্ষার্থীদের আল্টিমেটাম

ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সিন্ডিকেটে কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) বিষয়ে আলোচনা না করতে উপাচার্যের সঙ্গে বাকবিতণ্ডার অভিযোগ উঠে ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে। এ ঘটনার প্রতিবাদে তাৎক্ষণিক বিক্ষোভের ডাক দেয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা। আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে ডাকসুর রূপরেখা প্রণয়নের আল্টিমেটাম দেন তারা।

বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) রাত পৌনে ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের হলপাড়া থেকে মিছিল বের করেন শিক্ষার্থীরা। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বাসভবনের সামনে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে তারা এমন আল্টিমেটাম দেন।

বিক্ষোভে শিক্ষার্থীরা বলেন, ‌‌‘যারা ডাকসু বন্ধের চেষ্টা করছে তাদের বিরুদ্ধে আমরা রাস্তায় আছি। আমরা লীগকে বিতাড়িত করেছি, কোনো ছাত্রসংগঠনের ভয়ে ডাকসু থেকে পিছু হটব না। যারা ডাকসুর বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়, কবরস্থান, টেম্পুস্ট্যান্ডে চাঁদাবাজি করে তাদের আমরা ১৭ জুলাই লাল কার্ড দেখিয়েছি। প্রশাসনের কাছে বলব, আপনারা তাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ গ্রহণ করুন।’

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক এবি জোবায়ের বলেন, ‘ঢাবি শিক্ষার্থীরা হাসিনাকে পালাতে বাধ্য করেছে। সুতরাং নতুন করে যদি দানব তৈরি হয় শিক্ষার্থীরা তাদের পালাতে বাধ্য করবে। ঢাবি শিক্ষার্থীরা আর কোনো দানবকে দেখতে চায় না। ছাত্রদল যখন দেখেছে তারা ডাকসুতে জিততে পারবে না, তখন তারা ভিসি স্যারের সঙ্গে উচ্চবাচ্য করার সাহস দেখিয়েছে। আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই, আমরা এই প্রশাসনের সঙ্গেই আছি। অনতিবিলম্বে ডাকসু নির্বাচন দিয়ে ক্যাম্পাসে সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে।’

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক মাহিন সরকার বক্তব্যের শুরুতেই ছাত্রদল কর্তৃক হেনস্তার প্রতিবাদ ও নিন্দা জানান। তিনি বলেন, উপাচার্যকে অপমান করার মাধ্যমে ছাত্রদল পুরো বিশ্ববিদ্যালয়কেই অপমান করেছে। উপাচার্যকে ৭২ ঘণ্টার মধ্যেই রোডম্যাপ ঘোষণা করতে হবে। আমরা শিক্ষার্থী নির্যাতনের আর পুনরাবৃত্তি চাই না।

Header Ad
Header Ad

বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য তৈরিতে অপচয়ের অভিযোগ, দুদকের অনুসন্ধান শুরু

বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য তৈরিতে অপচয়ের অভিযোগ, দুদকের অনুসন্ধান শুরু। ছবি: সংগৃহীত

বঙ্গবন্ধুর অপ্রয়োজনীয় ম্যুরাল ও ভাস্কর্য নির্মাণে সরকারি অর্থ অপচয়ের অভিযোগ তদন্তে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। একইসঙ্গে, সাবেক সরকারের কয়েকজন উচ্চপদস্থ ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের এবং অনুসন্ধান শুরুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সংস্থাটি।

বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) সকালে দুদকের কমিশন বৈঠকে এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে জানান সংস্থার মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) মো. আক্তার হোসেন।

তিনি জানান, চুয়াডাঙ্গার সাবেক এমপি সোলায়মান হক জোয়ার্দার ছেলুন এবং তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে ১২ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ ও ৩৭ কোটি টাকার সন্দেহজনক লেনদেনের অভিযোগে মামলা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিএফআইইউ-এর সাবেক প্রধান মাসুদ বিশ্বাসের প্রায় দুই কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ থাকার প্রমাণ পাওয়া গেছে, যার ভিত্তিতে তার বিরুদ্ধেও মামলা করার প্রস্তুতি চলছে।

এদিকে, ডাক বিভাগের সাবেক মহাপরিচালক শুধাংশ শেখর ভদ্রের বিরুদ্ধে ৯২ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে মামলা দায়ের করেছে দুদক। এছাড়া বিদেশে পালানোর আশঙ্কায় সাবেক ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুকের বিদেশ যাত্রায় নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।

ঋণের নামে ৫০০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে কেয়া গ্রুপের চেয়ারম্যান আব্দুল খালেক পাঠানসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুদক। পাশাপাশি, সাংবাদিক মুন্নি সাহার বিরুদ্ধে ১৩৪ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে অনুসন্ধান শুরু হয়েছে।

Header Ad
Header Ad

গাজায় ইসরায়েলি হামলায় আরও ৭১ ফিলিস্তিনি নিহত

ছবি: সংগৃহীত

ইসরায়েলের বর্বর হামলায় ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে গত ২৪ ঘণ্টায় প্রাণ হারিয়েছেন আরও ৭১ জন ফিলিস্তিনি। ইহুদিবাদী দেশটি এই সময়ে গাজায় ৩৪টি বিমান হামলা চালিয়েছে।

এখন পর্যন্ত এই সহিংসতায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ৪৫ হাজার ৬০০ জনে। ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া এই হামলায় আহত হয়েছেন লক্ষাধিক মানুষ। শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) বার্তাসংস্থা আনাদোলু এই তথ্য জানিয়েছে।

বার্তাসংস্থাটি বলছে, ইসরায়েলি সেনাবাহিনী গত ২৪ ঘণ্টায় ৩৪টি বিমান হামলা চালিয়েছে। গাজা উপত্যকাজুড়ে নিরস্ত্র বেসামরিক নাগরিকদের লক্ষ্য করে চালানো এই হামলায় ৭১ ফিলিস্তিনি নিহত এবং আরও বহু মানুষ আহত হয়েছেন বলে গাজার মিডিয়া অফিস বৃহস্পতিবার জানিয়েছে।

গাজার মিডিয়া অফিস এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, “ইসরায়েলি সেনাবাহিনী চিকিৎসা ও বেসামরিক প্রতিরক্ষা দলকে নিহতদের লাশ সরিয়ে নেওয়ার জন্য হামলাস্থলে পৌঁছাতে বাধা দিয়েছে এবং বিশেষ করে গাজা এবং উত্তর গাজায় রাস্তায় লাশ ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে।”

“নৃশংস এই অপরাধের” জন্য মিডিয়া অফিস ইসরায়েলকে দায়ী করেছে এবং গণহত্যা বন্ধ করার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এবং জাতিসংঘের সংস্থাগুলোকে তাদের আইনি ও নৈতিক দায়িত্ব পালন করার আহ্বানও জানিয়েছে তারা।

মূলত গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির দাবি জানিয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব সত্ত্বেও ইসরায়েল অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডে তার নৃশংস আক্রমণ অব্যাহত রেখেছে। ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ মনে করছে, গাজা উপত্যকা জুড়ে ধ্বংস হওয়া বাড়ির ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনও ১০ হাজারেরও বেশি লোক নিখোঁজ রয়েছেন।

উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর হামাসের নজিরবিহীন আন্তঃসীমান্ত হামলার পর থেকে ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় অবিরাম বিমান ও স্থল হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। ইসরায়েলি এই হামলায় হাসপাতাল, স্কুল, শরণার্থী শিবির, মসজিদ, গির্জাসহ হাজার হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে।

এছাড়া ইসরায়েলি আগ্রাসনের কারণে প্রায় ২০ লাখেরও বেশি বাসিন্দা তাদের বাড়িঘর ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন।

মূলত ইসরায়েলি আক্রমণ গাজাকে ধ্বংসস্তূপে পরিণত করেছে। জাতিসংঘের মতে, ইসরায়েলের বর্বর আক্রমণের কারণে গাজার প্রায় ৮৫ শতাংশ ফিলিস্তিনি বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। আর খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি এবং ওষুধের তীব্র সংকটের মধ্যে গাজার সকলেই এখন খাদ্য নিরাপত্তাহীন অবস্থার মধ্যে রয়েছেন।

এছাড়া অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডের ৬০ শতাংশ অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে। ইসরায়েল ইতোমধ্যেই আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে গণহত্যার অভিযোগে অভিযুক্ত হয়েছে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

মধ্যরাতে ডাকসু নিয়ে উত্তাল ঢাবি, শিক্ষার্থীদের আল্টিমেটাম
বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য তৈরিতে অপচয়ের অভিযোগ, দুদকের অনুসন্ধান শুরু
গাজায় ইসরায়েলি হামলায় আরও ৭১ ফিলিস্তিনি নিহত
বাড়তে পারে ৬৫ পণ্যের দাম, ভ্যাট বৃদ্ধির প্রস্তাব
জুলাই-আগস্টের ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের তথ্য সংরক্ষণের আহ্বান
স্ত্রীসহ খালেদা জিয়ার বাসভবনে সেনাপ্রধান
রংপুরের টানা তৃতীয় জয়, বরিশালের বিপক্ষে সহজ জয়
ভারতে সিগারেট খাওয়া নিষিদ্ধ চান বলিউড কিং
ইসরায়েলি হামলায় গাজার পুলিশ প্রধানসহ নিহত ১১
নওগাঁয় এক বছরে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৬৫
অবশেষে কাজী নজরুল ইসলামকে জাতীয় কবির রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি
বাংলাদেশ আমাদের হারানো ভাই: পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী
৪৩তম বিসিএস: বাদ পড়া ২২৭ প্রার্থীদের পুনর্বিবেচনার সুযোগ
জানুয়ারিতে বোতলজাত এলপিজি’র দাম অপরিবর্তিত, অটো গ্যাসের দাম সামান্য কম
বছরের শুরুতেই বিয়ে করলেন গায়ক আরমান মালিক
টানা দুই ম্যাচে পরাজয়ের স্বাদ পেল ঢাকা, রাজশাহীর প্রথম জয়
গোয়েন্দা সংস্থার সুপারিশে ৪৩তম বিসিএসে ২২৭ জন বাদ
ভারতে তুলনামূলক হারে কমেছে বাংলাদেশী পর্যটক
ভ্যাট বাড়ানোর সিদ্ধান্তে নিত্যপণ্যে প্রভাব পড়বে না: অর্থ উপদেষ্টা
কেন খাবেন সারা রাত ভেজানো কিশমিশ-পানি